ফেল

ফেল লেজা এবং মড়া, রাহ এবং কেতু, পরস্পরের সঙ্গে আড়াআড়ি করিলে যেমন দেখিতে হইত এও ঠিক সেইরকম। প্রাচীম হালদার-বংশ দুই খণ্ডে পথক হইয়া প্রকাণ্ড বসত-বাড়ির মাঝখানে এক ভিত্তি তুলিয়া পরপর পিঠাপিঠি করিয়া বসিয়া আছে ; কেহ কাহারও মাখদশন করে না। নবগোপালের ছেলে নলিন এবং ননীগোপালের ছেলে নন্দ একবংশজাত, একবয়সি, এক ইস্কুলে যায় এবং পারিবারিক বিদ্বেষ ও রেষারেবিতেও উভয়ের মধ্যে সম্পন্ণ ঐক্য। নলিনের, বাপ নবগোপাল অত্যন্ত কড়া লোক। ছেলেকে হপি ছাড়িতে দিতেন না, পড়াশনা ছাড়া আর কথা ছিল না। খেলা খাদ্য ও সাজসজা সম্বন্ধে ছেলের সব প্রকার শখ তিনি খাতাপত্র ও ইস্কুল-বইয়ের নীচে চাপিয়া রাখিয়াছিলেন। নন্দর বাপ ননীগোপালের শাসনপ্রণালী অত্যন্ত শিথিল ছিল। মা তাহাকে অত্যন্ত ফিটফাট করিয়া সাজাইয়া ইস্কুলে পাঠাইতেন, আনা-তিনেক জলপানিও সঙ্গে দিতেন; নন্দ ভাজা মসলা ও কুলপির বরফ, লাঠিম ও মাবলগালিকা ইচ্ছামত ভোগবিতরণের বায়া যশস্বী হইয়া উঠিয়াছিল। মনে মনে পরাভব অনুভব করিয়া নলিন কেবলই ভাবিত, নন্দর বাবা যদি আমার বাবা হইত এবং আমার বাবা যদি নন্দর পিতৃস্থান অধিকার কারত, তাহা হইলে নুন্দকে মজা দেখাইয়া দিতাম । কিন্তু, সেরাপ সংযোগ ঘটিবার পবে ইতিমধ্যে নন্দ বৎসরে বৎসরে প্রাইজ পাইতে লাগিল; নলিন রিক্তহস্তে বাড়ি আসিয়া ইস্কুলের কর্তৃপক্ষদের নামে পক্ষপাতের অপবাদ দিতে লাগিল। বাপ তাহাকে অন্য ইস্কুলে দিলেন, বাড়িতে অন্য মাস্টার রাখিলেন, ঘামের সময় হইতে একঘণ্টা কাটিয়া পড়ার সময়ে যোগ করলেন, কিন্তু ফলের তারতম্য হইল না। নন্দ পাস করিতে করিতে বি. এ. উত্তীণ হইয়া গেল, নলিন ফেন্স করিতে করিতে এনট্রান্স-ক্লাসে জাতিকলের ইন্দরের মতো আটকা পড়িয়া রহিল। – এমন সময় তাহার পিতা তাহার প্রতি দয়া করিলেন। তিনি মরিলেন। তিন বৎসর মেয়াদ খাটিয়া এনট্রাস-ক্লাস হইতে তাহার মন্তি হইল এবং স্বাধীন নলিন আংটি, দিবার চেষ্টা করিতে লাগিল। এনট্রান্স-ফেলের জড়ি চৌঘড়ি, বি. এ.-পাসের এক- , ঘোড়ার গাড়িকে অনায়াসে ছাড়াইয়া বাইতে লাগিল ; বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্নি ওয়েলারएथाप्लान्त्र जीश्ब्ज भमान क्लाटल छाँछाट्ठ भाब्रिञ्जन ना ।

– এ দিকে নলিন এবং নন্দর বিবাহের জন্য পায়ীর সন্ধান চলিতেছে। নলিনের थाँठळा, ध्न भधन कना विवाह कर्मब्रव वाशब्र क्षेत्रमा भला छाग्न, छाशव्र छछि अयर তাহার শীর কাছে নন্দকে হার মানিতেই হইবে। হয়। কাছাকাছি কোনো মেয়েকেই নলিন পছন্দ করিয়া খতম করতে সাহস করিল না, ফেল । 80% পাছে আরও ভালো তাহাকে ফাঁক দিয়া আর-কাহারও ভাগ্যে জোটে । অবশেষে খবর পাওয়া গেল, রাওলপিণ্ডিতে এক প্রবাসী বাঙালির এক পরমাসন্দরী মেয়ে আছে। কাছের-সন্দরীর চেয়ে দরের সন্দেরীকে বেশি লোভনীয় বলিয়া মনে হয় । নলিন মাতিয়া উঠিল, খরচপত্র দিয়া কন্যাকে কলিকাতায় আনানো হইল। কন্যাটি সন্দেরী বটে। নলিন কহিল, “যিনি ষাই করন, ফস করিয়া রাওলপিণ্ডি ছাড়াইয়া যাইবেন এমন সাধ্য কাহারও নাই। অন্তত এ কথা কেহ বলিতে পরিবেন না ষে, এ মেয়ে তো আমরা পৰেই দেখিয়াছিলাম, পছন্দ হয় নাই বলিয়া अभ्दन्थ कर्गद्र नाझे ।” কথাবাত তো প্রায় একপ্রকার স্থির, পানপত্রের আয়োজন হইতেছে, এমন সময় একদিন প্রাতে দেখা গেল, ননীগোপালের বাড়ি হইতে বিচিত্র থালার উপর বিবিধ উপঢৌকন লইয়া দাসীচাকরের দল সার বধিয়া চলিয়াছে। নলিন কহিল, “দেখে এসো তো হে, ব্যাপারখানা কাঁ।” খবর আসিল, নন্দর ভাবী বধর জন্য পানপত্র যাইতেছে। • নলিন তৎক্ষণাৎ গড়গড়ি টানা বধ করিয়া সচকিত হইয়া উঠিয়া বসিল; বলিল, “খবর নিতে হচ্ছে তো।” তৎক্ষণাৎ গাড়ি ভাড়া করিয়া ছড়ছড় শব্দে দত ছটিল। বিপিন হাজরা ফিরিয়া আসিয়া কহিল, “কলকাতার মেয়ে, কিন্তু খাসা মেয়ে।” নলিনের বকে দমিয়া গেল; কহিল, “বল কী হে!” হাজরা কেবলমাত্র কহিল, “খাসা মেয়ে।” নলিন বলিল, “এ তো দেখতে হচ্ছে!” পারিষদ বলিল, “সে আর শক্তটা কী।” বলিয়া তঞ্জনী ও অপাঠে একটা কালপনিক টাকা বাজাইয়া দিল । সযোগ করিয়া নলিন মেয়ে দেখিল। যতই মনে হইল, এ মেয়ে নগদর জন্য একেবারে সিথর হইয়া গেছে, ততই বোধ হইতে লাগিল, মেয়েটি রাওলপিণ্ডজার চেয়ে ভালো দেখিতে। বিধাপীড়িত হইয়া নলিন পারিষদকে জিজ্ঞাসা করিল, “কেমন ঠেকছে হে ।” হাজরা কহিল, “আজ্ঞে, আমাদের চোখে তো ভালোই ঠেকছে।” मलिन काइन, “न छाळला कि ¢ छाला ।” হাজরা বলিল, “এই ভালো।” – তখন নলিনের বোধ হইল, ইহার চোখের পল্লব তাহার চেয়ে আরও একট, যেম घन; ऊाशग्न ब्र७छे ईशब्र क्राग्न ७कछेद एवम ध्वणि काकाटन, ऐशन्न जाँब्रयाभ**कछेद যেন হলদে আভায় সোনা মিশাইয়াছে। ইহাকে তো হাতছাড়া করা জায় না। नालन विश्वबछात्य ध्ठ झद्देब्रा जुम्लाफूि शेर्पानट्ठ छैनिरल कौश्न,”ecश् शबब्रा, कौ कव्रा शाग्न वाला ठा !”

– o : शजब्रा बनिन, “भशबाब, लखी कौ।” यजिब्रा •एनन्फ चभग्नष्ठे उबबौरड काल्नीमक झैाका दाझाइँझा मिल । – इद्देज ना। कनाच्न णिटा अको अकाब्रन थठा कब्र बाइब्र नउाच्न जाँश्ड कृश्रण 8○も গল্পগুচ্ছ ঝগড়া বাধাইলেন। বরের পিতা বলিলেন, “তোমার কন্যার সহিত আমার পরের যদি বিবাহ দিই তবে—” ইত্যাদি ইত্যাদি। কন্যার পিতা আরও একগণ অধিক করিয়া বলিলেন, “তোমার পত্রের সহিত আমার কন্যার যদি বিবাহ দিই তবে—” ইত্যাদি ইত্যাদি। অতঃপর আর বিলম্বমাত্র না করিয়া নলিন মন্দকে ফাঁকি দিয়া শম্ভলগ্নে শাভবিবাহ সত্বর সম্পন্ন করিয়া ফেলিল। এবং হাসিতে হাসিতে হাজরাকে বলিল, “বি. এ. পাস করা তো একেই বলে। কী বলো হে হাজরা! এবারে আমাদের ও বাড়ির বড়োবাব ফেল ।” অনতিকাল পরেই ননীগোপালের বাড়িতে একদিন ঢাক ঢোল সানাই বাজিয়া উঠিল। নন্দর গায়ে-হলুদ। নলিন কহিল, “ওহে হাজরা, খবর লও তো পারটি কে।” হাজরা আসিয়া খবর দিল, পাত্রীটি সেই রাওলপিণ্ডির মেয়ে। রাওলপিন্ডির মেয়ে! হাঃ হাঃ হাঃ । নলিন অত্যন্ত হাসিতে লাগিল। ও বাড়ির বড়োবাব আর কন্যা পাইলেন না, আমাদেরই পরিত্যন্ত পারটিকে বিবাহ করিতেছেন। হাজরাও বিস্তর হাসিল । কিন্তু, উত্তরোত্তর নলিনের হাসির আর জোর রহিল না। তাহার হাসির মধ্যে কীট প্রবেশ করিল। একটি ক্ষুদ্র সংশয় তীক্ষ বরে কানে কানে বলিতে লাগিল, “আহা, হাতছাড়া হইয়া গেল! শেষকালে নন্দর কপালে জটিল ” ক্ষুদ্র সংশয় ক্রমশই রক্তস্ফীত জোঁকের মতো বড়ো হইয়া উঠিল, তাহার কন্ঠস্বরও মোটা হইল। সে বলিল, “এখন আর কোনোমতেই ইহাকে পাওয়া যাইবে না, কিন্তু আসলে ইহাকেই দেখিতে ভালো। ভারি ঠকিয়াছ ।” অন্তঃপারে নলিন যখন খাইতে গেল তখন তাহার স্ত্রীর ছোটোখাটো সমস্ত খ:ত মন্ত হইয়া তাহাকে উপহাস করিতে লাগিল। মনে হইতে লাগিল, সীট তাহাকে ভয়ানক ঠকাইয়াছে। রাওলপিণ্ডিতে যখন সম্প্রবন্ধ হইতেছিল তখন নলিন সেই কন্যার যে ফোটো পাইয়াছিল সেইখানি বাহির করিয়া দেখিতে লাগিল। “বাহবা, অপরপে রপমাধরী ! এমন লক্ষয়ীকে হাতে পাইয়া ঠেলিয়াছি, আমি এতবড়ো গাধা !” x. বিবাহসন্ধ্যায় আলো জালাইয়া বাজনা বাজাইয়া জড়িতে চড়িয়া বর বাহির হইল। নলিন শইয়া পড়িয়া গড়গড়ি হইতে যৎসামান্য সানা আকর্ষণের নিম্ফল চেষ্টা করিতেছে, এমন সময় হাজরা প্রসন্নবদনে হাসিতে হাসিত্তে আসিয়া নন্দকে লক্ষ্য করিয়া পরিহাস জমাইবার উপক্ৰম করিল। মলিন হকিল, “দারোয়ান!” হাজরা তটস্থ হইয়া দরোয়ানকে ডাকিয়া দিল । বাব হাজরাকে দেখাইয়া দিয়া কহিল, “অবহি ইকো কান পকড়কে বাহার নিকাল দো।”

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত