দ্বন্ধি ভিটা ছাড়িতে হইল। কেমন করিয়া তাহা খোলসা করিয়া বলিব না, আভাস দিব মাত্র। আমি পাড়াগে’য়ে নেটিভ ডাক্তার, পলিসের থানার সম্মখে আমার বাড়ি। যমরাজের সহিত আমার ষে পরিমাণ আনুগত্য ছিল দারোগাবাবদের সহিত তাহা অপেক্ষা কম ছিল না, সতরাং নর এবং নারায়ণের বারা মানুষের যত বিবিধরকমের পীড়া ঘটিতে পারে তাহা আমার সগোচর ছিল। যেমন মণির বারা বলয়ের এবং বলয়ের বারা মণির শোভা বন্ধি হয় তেমনি আমার মধ্যস্থতায় দারোগার এবং দারোগার মধ্যপথতায় আমার উত্তরোত্তর আর্থিক শ্ৰীবৃদ্ধি ঘটিতেছিল। । এই-সকল ঘনিষ্ঠ কারণে হাল নিয়মের কৃতবিদ্য দারোগা ললিত চক্লবতীর সঙ্গে আমার একটা বিশেষ বন্ধত্বে ছিল। তাঁহার একটি অরক্ষণীয়া আত্মীয়া কন্যার সহিত বিৰাহের জন্য মাঝে মাঝে অনুরোধ করিয়া আমাকেও প্রায় তিনি অরক্ষণীয় করিয়া তুলিয়াছিলেন । কিন্তু, শশী আমার একমাত্র কন্যা, মাতৃহীনা, তাহাকে বিমাতার হাতে সমপণ করিতে পারিলাম না। বর্ষে বষে নতেন পঞ্জিকার মতে বিবাহের কত শুভলগনই ব্যথ হইল। আমারই চোখের সম্মখে কত যোগ্য এবং অযোগ্য পাত্র চতুদোলায় চড়িল, আমি কেবল বরযাত্রীর দলে বাহির-বাড়িতে মিষ্টান্ন খাইয়া নিশ্বাস ফেলিয়া বাড়ি ফিরিয়া আসিলাম। শশীর বয়স বারো হইয়া প্রায় তেরোয় পড়ে। কিছু সুবিধামত টাকার জোগাড় করিতে পারিলেই মেয়েটিকে একটি বিশিষ্ট বড়োঘরে বিবাহ দিতে পারিব, এমন আশা পাইয়াছি। সেই কমটি শেষ করিতে পারিলে অবিলবে আর-একটি শাভকমের আয়োজনে মনোনিবেশ করিতে পারিব। সেই অত্যাবশ্যক টাকাটার কথা ধান করিতেছিলাম, এমন সময় তুলসীপাড়ার হরিনাথ মজুমদার আসিয়া আমার পায়ে ধরিয়া কাঁদিয়া পড়িল। কথাটা এই, তাহার বিধবা কন্যা রাত্রে হঠাৎ মারা গিয়াছে, শত্রপেক্ষ গভপাতের অপবাদ দিয়া দারোগার কাছে বেনামি পত্র লিখিয়াছে। এক্ষণে পলিস তাহার মতদেহ লইয়া টানাটানি করিতে উদ্যত ।
– সদ্য কন্যাশোকের উপর এতবড়ো অপমানের আঘাত তাহার পক্ষে অসহ্য হইয়াছে। আমি ডাক্তারও বটে, দারোগার বন্ধও বটে, কোনোমতে উত্থার করিতে হইবে। লক্ষয়ী যখন ইচ্ছা করেন তখন এমনি করিয়াই কখনও সদর কখনও খিড়কি দরজা मिज्ञा अनाश७ श्रानिद्रा फेर्नान्थठ एन । खर्मध चाफ़ नाक्लिन्ना दाजलाभ, “वानाग्नप्लेो वाक्ला গরতর।” দটো-একটা কল্পিত উদাহরণ প্রয়োগ করিলাম, কচ্ছপমান বন্ধ হরিনাথ णिभद्र भण्ठा कॉमिरठ जाणिव्त । विन्ठाब्रिऊ बना बाहट्ला, कनाग्न चरन्ऊर्जाच्छै-नरकाद्वग्नग्न ऋष्याभ कब्रिटठ शब्रिनाथ ফতুর হইয়া গেল।
– नाट्ञ थांब्रह्मा केन श्रअन कब्रिग्ना काँमट्ठाँइश ” .
– আমি তাহাকে ধমক দিয়া বলিলাম, “যা যা, তোয় এত খবরে দরকার কাঁ।” বেৰি ৪৩৯ ७ईबाब्र नरनाळा कनामाट्नब्र नथ नदथयन्छ इश्न । विवादश्त्व मिम न्धिग्न एईब्रा গেল। একমাত্র কন্যার বিবাহ, ভোজের আয়োজন প্রচুর করিলাম। বাড়িতে গহিণী माई, धछिट्वभौद्रा मग्ना कब्रिग्ना याधाटक नाशया कब्रिटूळ स्रामिण । नदध्वान्ठ कृष्ठळ शब्रनाथ निमब्राग्नि थाफ्रेिष्ठ जाणण । গায়ে-হলুদের দিনে রাত তিনটার সময় হঠাৎ শশীকে ওলাউঠায় ধরিল। রোগ উত্তরোত্তর কঠিন হইয়া উঠিতে লাগিল। অনেক চেষ্টার পর নিফল ঔষধের শিশিগলা ভূতলে ফেলিয়া ছটিয়া গিয়া হরিনাথের পা জড়াইয়া ধরিলাম। কহিলাম, “মাপ করো, দাদা, এই পাষণ্ডকে মাপ করো। আমার একমাত্র কন্যা, আমার আর কেহ নাই।” হরিনাথ শশব্যস্ত হইয়া কহিল, “ডাক্তারবাব করেন কী, করেন কী। আপনার কাছে আমি চিরঋণী, আমার পায়ে হাত দিবেন না।” আমি কহিলাম, “নিরপরাধে আমি তোমার সবনাশ করিয়াছি, সেই পাপে আমার कना अन्त्रि ७र्छ ।” এই বলিয়া সকলোকের সমক্ষে আমি চীৎকার করিয়া বলিলাম, “ওগো, আমি এই বন্ধের সব নাশ করিয়াছি, আমি তাহার দণ্ড লইতেছি ; ভগবান আমার শশীকে রক্ষা করুন।” বলিয়া হরিনাথের চটিজতা খালিয়া লইয়া নিজের মাথায় মারিতে লাগিলাম ; বন্ধ ব্যস্তসমস্ত হইয়া আমার হাত হইতে জনতা কাড়িয়া লইল । পরদিন দশটা-বেলায় গায়ে-হলুদের হরিদ্রাচিহ্ন লইয়া শশী ইহসংসার হইতে চিরবিদায় গ্রহণ করিল। তাহার পরদিনেই দারোগাবাব কহিলেন, “ওহে, আর কেন, এইবার বিবাহ করিয়া ফেলো। দেখাশনার তো একজন লোক চাই।”
– মানুষের মমাতিক দুঃখশোকের প্রতি এরপ নিষ্ঠর অশ্রদ্ধা শয়তানকেও শোভা পায় না। কিন্তু, নানা ঘটনায় দারোগার কাছে এমন মনুষ্যত্বের পরিচয় দিয়াছিলাম যে, কোনো কথা বলিবার মাখ ছিল না। দারোগার বন্ধত্বে সেই দিন যেন আমাকে চাবক মারিয়া অপমান করিল।
– হৃদয় যতই ব্যথিত থাক, কম’চক চলিতেই থাকে। আগেকার মতোই ক্ষুধার আহার, পরিধানের বস, এমন-কি চুলার কাঠ এবং জতার ফিতা পৰ্যন্ত পরিপণ উদ্যমে নিয়মিত সংগ্রহ করিয়া ফিরিতে হয়। কাজের অবকাশে যখন একলা ঘরে আসিয়া বসিয়া থাকি তখন মাঝে মাঝে কালে সেই করণ কণ্ঠের প্রশন বাজিতে থাকে, “বাবা, ঐ বড়ো তোমার পায়ে ধরিয়া কেন अभन कब्रिग्ना काँलिङझिल।” मर्गब्रप्त इग्निनाद्रथन्न छौभ* धव्र निरअग्न याद्वग्न झईका मिलाभ, আমার দন্থবতী গাভীটি তাহাকে দান করিলাম, তাহার কথাক জোভজম্বা মহাজনের কিছুদিন সদ্যশোকের দুঃসহ বেদনায় নিজন সন্ধ্যায় এবং অনির রাত্রে কেবলই মনে হইত, আমার কোমলহৃদয়া মেয়েটি সংসারলীলা শেষ করিয়াও তাহার বাপের মিষ্ঠর কেমে পরলোকে কোনোমতেই শান্তি পাইতেছে না। সে ফেজ ব্যথিত হুইয়া त्कबलरे आआरक अथ्र्न कोब्रम्रा र्यािब्रन्थ्यक्ष, “शष, कन अधन कमीझण।”
পারিতাম না। কোনো ছোটো মেয়ের ব্যামো হইলে মনে হইত, আমার শশীই যেন পল্লির সমস্ত রনো বালিকার মধ্যে রোগ ভোগ করিতেছে। তখন পরা বর্ষায় পল্পী ভাসিয়া গেছে। ধানের খেত এবং গহের অঙ্গনপাশব দিয়া নৌকায় করিয়া ফিরিতে হয়। ভোররাত্রি হইতে বটি শরে হইয়াছে, এখনও বিরাম নাই।
– জমিদারের কাছারিবাড়ি হইতে আমার ডাক পড়িয়াছে। বাবদের পাসির সামান্য বিলম্ববটুকু সহ্য করিতে না পারিয়া উদ্ধত হইয়া উঠিবার উপরুম করিতেছে। ইতিপবে এরপে দাযোগে যখন আমাকে বাহির হইতে হইত তখন একটি লোক ছিল যে আমার পরাতন ছাতাটি খালিয়া দেখিত, তাহাতে কোথাও ছিদ্র আছে কি না এবং একটি বাগ্র কণ্ঠ বাদলার হাওয়া ও ব্যটির ছাঁট হইতে সযত্নে আত্মরক্ষা করিবার জন্য আমাকে বারবার সতক করিয়া দিত। আজ শান্য নীরব গহ হইতে নিজের ছাতা নিজে সন্ধান করিয়া লইয়া বাহির হইবার সময় তাহার সেই নেহময় মুখখানি স্মরণ করিয়া একটখানি বিলম্ব হইতেছিল। তাহার রন্ধ শয়নঘরটার দিকে তাকাইয়া ভাবিতেছিলাম, যে লোক পরের দঃখকে কিছরই মনে করে না তাহার সখের জন্য ভগবান ঘরের মধ্যে এত স্নেহের আয়োজন কেন রাখিবেন । এই ভাবিতে ভাবিতে সেই শান্য ঘরটার দরজার কাছে আসিয়া ব্যকের মধ্যে হয় হয় করিতে লাগিল। বাহিরে বড়োলোকের ভূত্যের তজনস্বর শনিয়া তাড়াতাড়ি শোক সম্বরণ করিয়া বাহির হইয়া পড়িলাম।
– নৌকায় উঠিবার সময় দেখি, থানার ঘাটে ডোঙা বাঁধা, একজন চাবা কোঁপীন পরিয়া ব্যটিতে ভিজিতেছে। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “কী রে।” উত্তরে শুনিলাম, গতরাত্রে তাহার কন্যাকে সাপে কাটিয়াছে, থানায় রিপোর্ট করিবার জন্য হতভাগ্য তাহাকে দরগ্রাম হইতে বাহিয়া আনিয়াছে। দেখিলাম, সে তাহার নিজের একমাত্র গাত্রবস্ত্র খলিয়া মতদেহ ঢাকিয়া রাখিয়াছে। জমিদারি কাছারির অসহিষ্ণ মাঝি tनौका छाम्निघ्ना मिळ !
– বেলা একটার সময় বাড়ি ফিরিয়া আসিয়া দেখি, তখনও সেই লোকটা বকের কাছে হাত পা গটাইয়া বসিয়া বসিয়া ভিজিতেছে ; দারোগাবাবর দশন মেলে নাই। আমি তাহাকে আমার রন্ধন-অম্লের এক অংশ পাঠাইয়া দিলাম। সে তাহা ছাইল না। তাড়াতাড়ি আহার সারিয়া কাছারির রোগীর তাগিদে পনবার বাহির হইলাম। সন্ধ্যার সময় বাড়ি ফিরিয়া দেখি তখনও লোকটা একেবারে অভিভূতের মতো বসিয়া আছে। কথা জিজ্ঞাসা করিলে উত্তর দিতে পারে না, মাখের দিকে তাকাইয়া থাকে। এখন তাহার কাছে এই নদী, ঐ গ্রাম, ঐ থানা, এই মেঘাচ্ছন্ন আদু পকিল পথিবীটা সবনের মতো। বারবার প্রশেনর দ্বারা জানিলাম, একবার একজন কনস্টেবল আসিয়া জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, ট্যাঁকে কিছু আছে কি না। সে উত্তর করিয়াছিল, সে নিতান্তই গরিব, তাহার কিছ নাই। কনস্টেবল বলিয়া গেছে, “থাক, বেটা, তবে এখন বসিয়া থাক।”
. . . . এমন দশ্য পাবেও অনেকবার দেখিয়াছি, কখনও কিছই মনে হয় নাই। আজ কোনোমতেই সহ্য করিতে পারলাম না। আমার শশীয় করপোগদগদ অবান্ত কণ্ঠ भन्नन्ठ वामलाङ्ग आकाल छाप्ना बाछिक्का जँठण। श्वे कनाशब्रा वाकाशीौन झाशाग्न দবেদ্ধি অপরিমেয় দুঃখ আমার বকের পজিরগলোকে যেন ঠেলিয়া উঠিতে লাগিল। – দারোগাবাব বেতের মোড়ায় বসিয়া আরামে গড়গড়ি টানিতেছিলেন। তাঁহার কন্যাদায়গ্রস্ত আত্মীয় মেসোটি আমার প্রতি লক্ষ করিয়াই সম্প্রতি দেশ হইতে আসিয়াছেন ; তিনি মাদরের উপর বসিয়া গল্প করিতেছিলেন। আমি একদমে ঝড়ের বেগে সেখানে উপস্থিত হইলাম। চীৎকার করিয়া বলিলাম, “আপনারা মানুষ না পিশাচ?” বলিয়া আমার সমস্ত দিনের উপাজনের টাকা বনাং করিয়া তাহার সম্মখে । ফেলিয়া দিয়া কহিলাম, “টাকা চান তো এই নিন, যখন মরিকেন সঙ্গে লইয়া যাইবেন ; এখন এই লোকটাকে ছটি দিন, ও কন্যার সৎকার করিয়া আসক।” বহল উৎপীড়িতের আশ্রসেচনে দারোগার সহিত ডাক্তারের যে প্রণয় বাড়িয়া উঠিয়াছিল, তাহা এই ঝড়ে ভূমিসাং হইয়া গেল। অনতিকাল পরে দারোগার পায়ে ধরিয়াছি, তাঁহার মহদাশয়তার উল্লেখ করিয়া অনেক স্তুতি এবং নিজের বন্ধিভ্রংশ লইয়া অনেক আত্মধিক্কার প্রয়োগ করিয়াছি, কিন্তু শেষটা ভিটা ছাড়িতে হইল।.
ভাদ ১৩০৭