স্বপ্ন কথাটা কেমন শুনলেই মনে হয় হাজার আসা আর হাজার নিরাশা। আমারা সবাই স্বপ্ন দেখি তবে সব কি আর রোমান্টিক হয়। তবে আমার টা রোমান্টিক। না এতো কথা না বলে আসল কথা শুরু করি।
“”খুজে পাওয়ার অপেক্ষায়””
আমার ইদানিং একটা সমস্যা হচ্ছে আর সেটা হলো আমার স্বপ্ন। প্রতিদিনই একই স্বপ্ন। আর সেটা হলো একটা মেয়ে। আমি ঘুমালেই আমার স্বপ্নে একটা মেয়েকে দেখতে পাই । আজও আসছে আমার ঘুমের ভিতর আমার স্বপ্নে। আমি তার জন্য বাস স্টান্ডে অপেক্ষা করতেছি সে আসছে সময় টা হলো শিতের সকাল সে আসছে একটা সাদা পোশাক পরে কিন্তুু তার মুখটা ঢাকা ছিল। সে এসে বললো চলো আর আমি তার হাত ধরে হাটতে শুরু করলাম আমরা হাটতে হাটতে একটা উদ্যানে পৌছালাম সেখানে ছিল শিশির ভেজা ঘাস আর পাখির কিচির মিচির আওয়াজ আমরা হাত ধরে হাটতে ছিলাম সে আমার সাথে অনেক গল্প করছিল আমি শুধু শুনতেছিলাম কিছু বলিনি বলবো কি বলার সুযোগ পাই নি সে আমাকে বললো আচ্ছা তুমি আমাকে চিনো আমি মাথা ঝাকালাম বললাম হুম সে বললো বলোতো আমি কে আমি বললাম জানি না। সে বললো তুমি একটা আস্তো পাগল যানোনা যেহেতু তাহলে হুম বললে কেন আমি চুপ করে রইলাম।কিছু বললাম না। হঠাৎ তার ফোনে কল আসলো আর সে বললো বাসায় যেতে হবে মা ফোন করছে আমি বললাম এই মাত্রইতো আসলে এখন চলে যাবে। সে বললো হুম আর কিছু বললো না।
আমি বললাম তোমাকে তো দেখতে পারলাম না সে বললো পরে দেখতে পারবে এখন যাই সে চলে গেল। আর আমার ও ফোনের অ্যালারাম বাজলো আর আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। তখন আর কোনো কিছু মনে করিনি। ভেবেছিলাম এটা আর কি। কিন্তুু সেটা আর হলো না পরের রাত্রে আবার সে তবে আজ নীল শাড়ি পড়ে কিন্তুু শাড়ীর আচোল দিয়ে মুখ ঢাকা ছিল। সময় টা ছিল বিকাল আমরা হাত ধরে হাটতে ছি একটা পার্কের ভিতর দিয়ে আর গল্প করতেছি। আমরা এক সুন্দর এক নিরিবিলি বেন্চ এ গিয়ে বসলাম। আজ ও সে আমাকে কিছু বলতে দেয়নি সে নিজেই বলে যাচ্ছে আমি শুধু শুনতেছি কিছু বলতেছি না। আমি তার কথা এবং তার অঙ্গ ভঙ্গির দিকে তাকিয়ে ছিলাম অপোলক দৃষ্টিতে। আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম তার মনের মাঝে। আমার মনে হলো সে আমাকে বলছে তুমি আমাকে গ্রহন করো আমি শুধু তোমার শুধু তোমার। পরে সে আমার হাত ধরে নাড়া দিলো আর আমি কল্পনা থেকে বেরিয়ে এলাম। সে বলল। কি হয়েছে তুমি আমার কথা শুনছো না। আমি বললাম তুমি বল আমি শুনতেছি সে আবার বলা শুরু করলো।
আমি মনে মনে ভাবলাম সে মনে হয় বাড়ি থেকে সব মুখস্ত করে এসেছে কোথাও কোনা বাধা নেই মনে হচ্ছে শিক্ষার্থী তার শিক্ষকের কাছে পড়া বলতেছে। হঠাৎ কিছু সময় পরে সে বললো আমার এখন যেতে হবে আমি বললাম এখনই সে বললো হুম। কিন্তুু আজও সে দেখাদিল না চলে গেল আমি কি করবো চুপচাপ বসে রইলাম পরে ঘুম ভাঙ্গলো। আজ আমি একটু অবাক হয়েছি তবে ততোটা না সারাদিন ভালো ভাবেই গেল কিন্তুু ব্যাপারার টা এখানেই শেষ না পরের দিন রাতে আবার এই ভাবে আমি ৭ দিন তাকে দেখলাম কিন্তু সে আমাকে কখনো তার মুখটা দেখতে দিলোনা দেখতে চাইলে বলতো সময় হয় নি। আমি আজ ও প্রতিরাতে সেই সময়ের অপেক্ষা করি যে কবে সেই সময় হবে। আর আমি তাকে দেখতে পারবো।
অবোশেষে আজ অর্থাৎ রাতে সে আবার আমার স্বপ্নে আসলো আজ লাল একটা শাড়ি পরে আমি আগের দিন গুলোর মতো তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে সে আসলো পরে তার হাত ধরে হাটশুরু করলাম আর কথা বলতেছিলাম। আমি আজ তাকে বললাম তোমাকে দেখবো সে বললো না দেখলে হয় না। আমি বললাম না সে বললো আজ আমি তোমাকে দেখা দিতেই এসেছি এই বলে তার মুখ থেকে শাড়ির আচল সরালো আমি তাকে দেখে আবাক হলাম এতো সুন্দর আমি কখনো দেখিনি। তার ছিলো কাশফুলের মতো এলোমেলো চুল বাকা চাঁদের মতো বাকা ভ্রু, হরিনের চোখের মতো দুইটা চোখ আর ছোট্ট একটা মুখ, আমি কিছু সময়ের জন্য তার সৌন্দর্যময় রুপের ভিতর হারিয়ে যাই।
সে আমাকে ডেকে বললো দেখা হয়েছে এই বলে সে তার চেহারা আবার তার আচলে ঢেকে ফেলে। যেমন করে ঝিনুক তার মুক্তকে ঢেকে রাখে।কিন্তুু আমার খুব খারাপ লাগলো কারন তার চেহারা আমি বেশি সময় মনে রাখতে পারলাম না কিন্তুু সুধু মনে আছে তার মুখের বাম পাশে তিল আছে ডান পাশেও আছে। আরেক দিন আবার একই ভাবে চললো আমি তাকে বললাম আমি তোমাকে আবার দেখতে চাই। সে বললো কেন আমি বললাম তোমার চেহারা আমি ভুলে গেছি সে বললো এটাই স্বাভাবিক আমি বললাম কেন সে বললো কিছুনা। এবং বললো পরবর্তিতে তুমি যদি আমাকে চিনতে না পারো তাহলে আমার মুখের তিল দেখে আমাকে সনাক্ত করো।
এই বলে সে চলে গেল। পরে আমি এই ধরনের মেয়েকে খোজার জন্য অনেক চেস্টা করছি কিন্তুু পাইনি। পরে আবার সে আমাকে আবার বললো আরে পাগল আমি তো তোমার আসে পাশেই আছি তুমি মন থেকে খোজ করো পেয়ে যাবে। কিন্তুু আমি তাকে খুজে পাইতেছি না অনেক খোজ করছি। কিন্তু পাইতেছি না এইবার বুঝি তাকে খুজে পাওয়ার জন্য আমার আরো অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে। জানি নাহ কবে পাবো তাকে। তবে আমি তার জন্য অপেক্ষা করবো।