ব্ল্যাকহোল

ব্ল্যাকহোল
মেধা আজকে একটা জলপাই রং এর সিফনের শাড়ি পরেছে।কাজী অফিস থেকে বের হয়ে নিজেকে খুব হালকা মনে হতে থাকলো।যেন অনেকদিন পর নিজেকে স্বাধীন করে দিয়েছে। নিলয়ের আর মেধার পাঁচ বছরের সংসারের ইতি টানার প্রথম ধাপটা আজকে মেধা নিজেই সূচনা করেছে।কাজী অফিসের মাধ্যমেই তালাকের নোটিস নিলয়ের কাছে পৌছে যাবে। মেধা অনেকদিন ধরেই এই পদক্ষেপ নেবে বলে ভাবছিল কিন্তু কোন ভাবেই মনের জোর খুঁজে পাচ্ছিল না।আসলে গত পাঁচটা বছর একটু একটু করে তার নিজেস্বতাকে সে হত্যা করে ফেলেছে। কনফিডেন্স নামের ওয়ার্ডটা যেন সে একেবারেই হারিয়ে ফেলেছে।তাদের সংসার টায় ছন্দ হারিয়েছে বিয়ের প্রথম বছরেই তবুও মেধা সবকিছু মানিয়ে নিচ্ছিল।চেয়েছিল ভালোবাসার মানুষটার সাথেই জীবনটা কাটিয়ে দিতে।
নিলয় আর মেধা মাত্র দুমাসের প্রেমের সম্পর্কেই নিজেরা মালিবাগের একটা কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে নেয়।মেধা জানতো তার বাবা শামসুল হক কখনই নিলয়কে মেনে নেবে না। নিলয়দের পরিবারে আছে তার দুইবোন এবং মা।নিলয়ের বাবা ওয়াদুদ সরদার বহু বছর আগেই মধ্যপ্রাচ্যের একটা দেশে ওয়ার্কার হিসেবে যেয়ে আর ফিরে আসেনি তবে কয়েক মাস পরপর কিছু টাকা পাঠায় মাঝে মাঝে ভাইভারে কথাও হয়। ওয়াদুদ সরদার ওখানে ঐ দেশেরই একজন নারী বিয়ে করে নেয় যার কারণে নিলয়ের মাকে নিজের পরিবারের কাছে সবসময় নানান কথা শুনতে হয়।
নিলয়রাও বড় হয়েছে তাদের মাকে এদিক ওদিক থেকে চেয়ে নিয়ে কোন মতে সংসার চালানো দেখতে দেখতে।নিলয়ের ছোট বোন দিপির বিয়ে হয়ে গেছে , থাকে মুগদায় শশুরবাড়িতে আরেকজন লিপি এবার ইন্টারনিডিয়েট পরিক্ষা দেবে। মেধার সাথে নিলয়ের পরিচয় হয় মেধার ফেসবুকের বান্ধবী অরিনের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে।নিলয়ও অরিনের ফেসবুক বন্ধু।নিলয়ের আকর্ষণীয় বাচন ভঙ্গি মেধার খুব ভালো লেগেছিল।প্রথম দিকে দুজনের ইনবক্সে টুকটাক কথা বলা তারপর অফিস শেষে ধানমন্ডি লেকে বসে আড্ডা মারা।
এভাবেই কেটে যায় বেশ কয়েকদিন।মেধা একটা এডভার্টাইসিং কোম্পানীতে বেশ লোভনীয় বেতনেই জব করে।তার বাবা শামসুল হক একজন নামকরা ফিল্ম মেকার।মেধা যখন হাইস্কুলে পড়ে তখন তার মা মারা যায়।মেধার বড় ভাই মঈন তখন ইউনিভার্সিটিতে পড়ত এখন বাবার সাথেই কাজ করে।মা মারা যাবার পর থেকেই মঈন খুব খেয়াল রাখতো একমাত্র বোন মেধার দিকে। মেধা যে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করছে সেটা ভাইকে জানানোর সাহস হয়নি।মেধা আসলে খুব চেষ্টা করছিল নিলয়ের একটা ভালো চাকরির জন্য।সে খুব ভালো করে জানতো নিলয়ের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা শুনলে তার বাবা ভাই প্রথমেই নিলয়কে বাতিল করে দেবে মেধার জন্য , তার উপর যদি শুনে নিলয় কেবল মাত্র একটা কোচিং এ পড়ায় আর দু’টা টিউশনি করায় তাহলে কখনই এই সম্পর্ক মেনে নেবে না।এটাই স্বাভাবিক।
এই কারণেই মেধা দিনরাত চিন্তা করতো অন্তত একটা ভালো চাকরির কথা বল্লে ওরা হয়তো আর মানা করবেনা।
একবার বন্ধুরা সবাই মিলে আড্ডার মধ্যে দুষ্টুমি করে বলছিল মেধা কখনই নিলয়কে বিয়ে করবে না এমনিই টাইম পাস করছে।মেধার মতো উচ্চবিত্ত ঘরের মেয়ে নিম্নবিত্ত নিলয়ের বউ এটা অসম্ভব এই ধরণের কথা বলে মশকারী করছিল সবাই। তখন কেমন যেন সবকিছু অসহ্য লাগছিল মেধার।নিলয়ের চেহারার দিকে তাকাতে পারছিল না।সেদিন বন্ধুদের সাথে চ্যালেন্জ করেই হঠাৎ করে তাদের বিয়েটা হয়ে যায় মালিবাগ কাজী অফিসে।অরিন ছিল তাদের সাক্ষী। বিয়ের পর যার যার বাড়িতে ফিরে আসে।মেধার সে রাতে খুশির চেয়ে ভয় লাগছিল বেশি।ঝোঁকের মাথায় বাসায় কাউকে কিছু না বলে এমন একটা পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে নিজেকে খুবই অপরাধীর মতো লাগছিল।
সবকিছু উল্টাপাল্টা হয়ে গেল। নিলয়ের চাকরিরও কোন ব্যবস্থা হল না। কি যে করবে মেধা , নানান চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে পরেছিল। পরের কয়েকটা দিন খুব সাবধানে অফিসের জন্য বাড়ি থেকে বের হতো আবার ফেরার সময়ও মাথা নীচু করে নিজের ঘরে চলে যেত।মঈন কিংবা শামসুল হক এর চোখের দিকে তাকাতে পারতো না মেধা।
বিয়ের একমাসের মাথায় একটা বায়িং হাউজে নিলয়ের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করে মেধা এবং যেদিন নিলয় জয়েন করে ওইদিন রাতেই বাবা আর ভাইকে তার বিয়ের খবরটা দেয়।শামসুল হক মেয়ের এমন আচরণ মেনে নিতে পারে না তবে কিছু বলেও না মেধা কে।মঈন তার আদরের বোনের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়।নিজের বাড়িতেই মেধা কেমন যেন অপরিচিত হয়ে উঠতে থাকে।তার কয়েকদিন পর শরৎ এর এক শুক্রবারের সকাল বেলায় মেধা তার বাবার বাড়ি ছেড়ে নিলয়দের তিন রুমের ভাড়া বাড়িতে উঠে আসে এবং শুরু করে তাদের সংসার জীবন।
মেধার অফিস,বড়লোকী চালচলন, সংস্কৃতি কোন কিছুই যেন ভালো লাগে না নিলয়ের মায়ের তবুও ছেলের দিকে তাকিয়ে তেমন কিছু বলে ঝামেলা করে না নিলয়ের মা আঙ্গুরী।
মেধা প্রথম প্রথম বেশ মানিয়ে নিচ্ছিল।চেষ্টা করতো সবাইকে খুশি রাখার তবুও তালগোল পেকে যেত।প্রথমদিকে এসি নেই বলে ভীষণ কষ্ট হত মেধার দিন দিন সেটাও সয়ে গেল। একটা এসি কিনবে বলে ঠিক করে তখন নিলয় সেটা মানা করে দেয়।কিনলে প্রথমে মায়ের ঘরে লাগাতে হবে তারপর তাদের ঘরে। তারউপর দুটো এসির বিল এফোর্ট করাও সম্ভবনা সব মিলিয়ে এসি কেনার প্ল্যান বাদ দিতে হয় মেধার।মেধা মানিয়ে নিয়ে সুখী হতে চায়।কয়েক মাস যাবার পর খেয়াল করল মাসের শেষে হাতে টাকা থাকছে না।সংসার খরচ সম্পূর্ণ মেধাই চালিয়ে নিচ্ছে এদিকে দুদিন আগে এক বন্ধু থেকে জানতে পারল নিলয় বায়িং হাউজের চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছে।তখন মেধার কাছে পরিষ্কার হয় কেন নিলয়কে সেলারির কথা বল্লেই এটাসেটা বলে কথা কাটিয়ে দেয়।সে রাতে এইসব নিয়ে বিশ্রী রকমের ঝগড়া হয় তাদের দু’জনের।
নিলয় একটার পর একটা চাকরি ছাড়ে কোন কিছুতেই তার মন নেই।মেধা সকালে উঠে কোন মতে বাড়ির কাজ যতটুকু পারে শেষ করে অফিসে ছুটে। সকালে বের হবার সময় যেমনটা নিলয়কে বিছানায় কখনও গেমস খেলতে কখনও ফেসবুকে ভিডিও দেখতে বা স্ক্রল করতে দেখে সন্ধ্যায় ফেরার পরও ঠিক এভাবেই আলসেমী করে ঘরেই পরে থাকে।এখন আর কোচিং এও পড়ায় না টিউশনিও করে না। মেধার পরিশ্রম দিন দিন বাড়তে থাকে, সংসার খরচ বাড়তে থাকে । এভাবেই কেটে যায় বছরের পর বছর।মেধার জীবন যেন হয়ে যায় একটা ব্ল্যাক হোলের মতো যার কোন তল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সবকিছু করেও বাড়ির সবার কাছে যেন মেধা চক্ষুশূল। কেন সে দেরীতে ফিরে, কেন রান্না প্রতিদিন করে না? কেন বাজার পছন্দ মতো করতে পারে না?কেন এতো স্টাইল করে এমন হাজারটা অভিযোগ তাকে আসে দিন শুনতে হয় এবং সে মাথা ঠান্ডা রেখে সংসার এবং অফিসে মন দেয়। কিন্তু গতমাসে নিলয়ের তার গায়ে হাত তোলাটা মেধা মেনে নিতে পারেনি।গত পাঁচ বছরের যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিলয়দের গোটা পরিবারের সেবা সে করেছে তার ন্যায্য সম্মান সে পায় নাই কখনই। পুরা পরিবারের সমস্ত খরচ মেধার উপর চাপিয়ে দিয়েও ক্ষেন্ত থাকেনি পদে পদে মেধাকে অপমানিত করতে ভুলতো না আঙ্গুরী বেগম কিংবা নিলয়।
মেধার বাবা তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি এবং মেয়ের বিয়েতে মোটা অংকের সালামী বা ঘর ভর্তি করে ফার্নিচার, ফ্রীজ, টিভি এসব দেওয়া হয়নি বলে কথায় কথায় খোটা শুনতে শুনতে মেধার মাঝে মাঝে মরে যেতে ইচ্ছে হতো।মাস শেষে বেতনটা হাতে আসলেই বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে মাসের বাজার এমন কি নিলয়ের ছোটবোনের ভার্সিটির খরচের বেশ বড় অংশও মেধা পূরণ করতো।সংসারের ঘানি টানতে টানতে নিজের প্রতি যত্ন নেওয়া সেই কবেই ছেড়ে দিয়েছে মেধা।তারপরও বুঝতে পারতো না কেন এরা তাকে ভালোবাসতে পারছেনা।কেন সবটা সময় শুধু কম্প্লেইন আর কম্প্লেইন। নিলয় যখন মেধাকে তার বাবার কাছে ব্যাবসার জন্য দশ লক্ষ টাকা চাইতে বলল মেধা তখন রাগে ঘৃণায় অবাক হয়ে গিয়েছিল।যে বাবা তার বিয়েই মেনে নেয়নি তার কাছে কি করে টাকা চাইতে বলে নিলয় এ যেন মেধার কাছে এক আশ্চর্য ঘটনা। মেধা কোন জবাব দিচ্ছিলোনা বলে নিলয় সজোড়ে তার ডান গালে একটা চড় বসিয়ে দিল এবং মেধা নিজেকে সামলাতে না পেরে পাশের টেবিলের কোণায় আছরে পরে মাথা ফাটিয়ে ফেলল।নিলয় মেধার রক্তাক্ত এই অবস্থার দিকে একটুও ভ্রুক্ষেপ না করে ঘর থেকে চিৎকার করতে করতে বের হয়ে গেল।
মেধা সেদিনই প্রথমবারের মতো বুঝতে পারলো এই পরিবারে মেধার উপস্থিতি কেবল মাত্র একটা টাকার মেশিন হিসেবে।সেই রাতে নিলয় ফিরলো না। মেধাও সারা রাত বসে ভাবলো সে যদি চলে যায় এই গোটা সংসার চলবে কি করে?তাছাড়া এই প্রথমবারের মতো তার এটাও মনে পরলো তাদের বিয়ের আগে কি করে এই সংসার চলতো?
কে উপার্জন করতো?নিলয়? তাহলে এখন সে এমন কেন? কোন কিছুর হিসাব মেধা মেলাতে পারে না।নিলয় সকালে বাড়ি ফিরে দেখে মেধা চলে গেছে।আঙ্গুরী বেগমের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পরে।গত পাঁচ বছরে তাকে কারো কাছে হাত পাততে হয় নি।নিলয়ও ঘুরে বেড়িয়েছে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে।তার টাকা আনার মেশিন মেধা যদি স্থায়ী ভাবে চলে যায় সংসার চালাতে বেগ পেতে হবে প্রচুর। এই পাঁচ বছরে তো হাত পাতার অভ্যাসটাও নষ্ট হয়ে গেছে।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মেধা নিজের বাবার বাড়িতে ফিরে আসে।এই পাঁচ বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে।মঈন বিয়ে করে এক বাচ্চার বাবা হয়েছে।১ বছরের একটা ফুটফুটে মেয়ে বাবু পুরো বাড়িতে হামাগুরি দিয়ে বেড়াচ্ছে।মেধার কি যে ভালো লাগলো যেন নিজের ছোটকাল দেখতে পারছে ।মেধা ফিরে আসার পর থেকে কেউ তাকে কিছুই জিজ্ঞেস করেনি।
কয়েকদিনের মধ্যে নিজেকে একটু সামলে নিয়ে তার বাবা শামসুল হক কে সে সব খুলে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরলো।এতবছর পর প্রিয় বাবার মমতা ভরা হাত নিজের মাথার উপর পেয়ে মেধা যেন একটা আস্থা খুঁজে পেল। নিলয় ডিভোর্সের পেপারটা হাতে পেয়েই কি করবে বুঝতে পারলো না।মেধা তাদের বাড়ি থেকে গেছে কয়েকমাস না যেতেই বাড়ির যে হাল হয়েছে।প্রতিদিন কাঁচা মরিচ ছাড়া আলু ভর্তা দিয়ে ভাত খেতে হচ্ছে।মরিচের কেজি দুইশত টাকা এই কারণে মরিচ আনা হয় না।নিলয় টিউশনি খোঁজা শুরু করেছে আবার কিন্তু এখনও কোন কিছুর ব্যবস্থা করতে পারেনি।আঙ্গুরী বেগম ডেইলি দুপুরে বের হয়ে যাচ্ছেন কারো না কারো বাড়িতে। টুকটাক যাই চেয়ে পাওয়া যায় নিয়ে আসতে।নিলয়ের নিজের উপর রাগ উঠে প্রচুর । কেন যে সেদিন মেধাকে এভাবে মারতে গেল। আর নইলে সব তো চলছিলই ঠিকঠাক। অন্তত থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাটা তো হচ্ছিল।সংসার নিয়ে একটু চিন্তাও করতে হয়নি।
মোবাইলটা হাতে নিয়ে ম্যাসেজ করলো মেধাকে শেষ বারের মতো একবার দেখা করে ক্ষমা চাইতে চায় এই বলে।নিলয় যখন দেখল ম্যাসেজ সেন্ট হয়েছে , তার মানে তাকে ব্লক করেনি । এটা দেখার সঙ্গে সঙ্গে তার মেরুদন্ড দিয়ে একটা ঠান্ডা হাওয়া বয়ে গেল , চোখ চকচক করতে লাগলো,ঠোটের কোণে একটা হাসি ফুটে উঠলো।
দুদিন পর খবরের ব্রেকিং নিউজ এবং প্রত্যেকটা পত্রিকার হেড লাইন “বিখ্যাত চিত্র পরিচালক শামসুল হকের একমাত্র কন্যা মেধার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া গেছে কাঁচপুর ব্রীজের নীচে।সদ্য তালাক নোটিস প্রাপ্ত তার স্বামী নিলয় সরদার পলাতক।নিহত মেধার লাশ পাওয়ার আগের দিন সন্ধ্যায় নিলয় এবং মেধা কে গুলশানের একটা রেস্তোরা থেকে এক সাথে বের হয়ে সাদা একটা গাড়িতে উঠতে শেষ দেখা গেছে।নিলয়ের মা আঙ্গুরী বেগম এবং ছোটবোন লিপি কে পুলিশ আটক করেছে।”
এমন গল্প আমাদের চারপাশে অনেক ঘটে থাকে যা কিছু কিছু আমাদের চোখে পরে আবার কিছু ঢাকা পরে যায় কালের অন্ধকারে।জীবনসঙ্গী সিলেকসন কোন গেইম নয় তাই কখনই কোন চ্যালেন্জের কারণে জীবনের এমন করুন দশা কারোই কাম্য নয়।সংসার বাঁচাতে সবাই একটা সুযোগ দিতে চায় কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে আপনি আসলেই কোন সংসারে আছেন নাকি আপনি কেবলই প্রয়োজন। প্রিয়জন যদি নাও হতে পারেন কারো প্রয়োজন হবার কোন দরকার নেই।কারণ প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে আপনাকে ফুরিয়ে ফেলতে এক সেকেন্ডও লাগবে না।বিপদজনক সম্পর্ক থেকে একা থাকা অনেক উত্তম। নিজে ভালো থাকুন আশেপাশের মানুষকে ভালো রাখুন।মনে রাখবেন লোভীদের লোভের কখনও শেষ নেই। লোভীর লোভ একটা ব্ল্যাক হোল।আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি ব্ল্যাক হোলে তলিয়ে যাবেন নাকি নিজেকে বেঁচে থাকার সুযোগ দেবেন॥
গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত