দীর্ঘ ১০টি বছর পর দেশে ফিরছি বাবা দেনা করে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। পরিবারের সবাই তখন ভেবেছিল, এবার বুঝি অভাবের দিন ফুরলো।দশ বছর ধরে প্রবাসে ছিলাম, শেষ কবে টাকা পাঠিয়েছিলাম মনেই নেই। টাকাই বা পাঠাবো কিভাবে? জেলে বসে থেকে কি আর টাকা পাঠানো যায়! সুদের টাকা বাড়তে-বাড়তে এখন কত হয়েছে জানিনা। বাবা’ই বা এই বুড়ো এত টাকার দেনা মাথায় নিয়ে কি করছেন কে জানে? তিনি কি মারা গেছেন নাকি এখনো বেঁচে আছেন জানতে ইচ্ছে করে। পারুল কে কথা দিয়েছিলাম, চার বছরের মধ্যে ফিরে আসব।সুখের ঘর বাঁধব। দশটি বছর কেটে গেল, পারুল কে দেয়া কথাটি রাখতে পারিনি। গিয়ে হয়তো দেখবো, পারুল এখন অন্যের ঘরণী।
আসার সময় পারুল বলেছিল, প্রাবাসিদের ভাগ্য নাকি লটারির মত। যে পায় সব কিছু পায়। যে হারায় সব কিছুই হারায়। পারুল কে হাসি মুখে বলেছিলাম, আমি সব হারাতে রাজি,কিন্তু তোমাকে না। সেদিন পারুল আমাকে জড়িয়ে ধরে অঝোর কান্না করেছিল। তার শেষ কথাটি ছিল, অপেক্ষায় রইলাম।ভালোই ভালোই ফিরে এসো। পড়া লেখা বেশিদূর করতে পারিনি। এইচ.এস.সি পাশ। বড়ই অভাব অনটনের সংসার ছিল। বাবা জমিজমা বিক্রি করে এক-এক করে বড় তিন বোন কে বিয়ে দেন।ছোট বোন মিতার ক্লাস টেনে পড়ে। তারও ক’বছরের মধ্যে বিয়ে দিতে হবে। দেখতাম বাবার মুখটা দুশ্চিন্তায় ভারি হয়ে থাকত। বাবার অসহায় মুখটা দেখলে মায়া হত। কলেজ শেষ করে সবেমাত্র অনার্সে ভর্তি হয়েছি, তার কিছুদিনের মধ্যেই মিতা এক ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। বাবা খোঁজ নিয়ে দেখেন, ওই ছেলের বংশ ভাল।বড় ঘরের ছেলে। বাবা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। বিয়ের যৌতুকের জন্য শেষ ধানী জমিটা তো আর বিক্রি করতে হচ্ছে না।
ঠিক তখন বাবার সব চিন্তা ধারণার কেন্দ্রবিন্দু হলাম আমি। বাবা বলতেন, ‘পড়ালেখা করে কি হবে? সংসার তো চলছে না। এসব বাদ দিয়ে কাজে লেগে যা।’ আমার মা ছিলেন সরল মনা মানুষ। বাবা যা বলতেন মা তার সব কথার সহমত পোষণ করতেন। কিন্তু সেদিন বাবার সে কথার সাথে-সাথে মা বলে বসলেন, ‘মামুন রে বিদেশ পাঠায় দেও। দক্ষিণ পাড়ার আজিজের পোলা তো বিদেশে গিয়া অনেক টাকা পাঠায়তাছে।’ মা’র কথা শুনে বাবার মাথায় যেন হাজারো দুশ্চিন্তা এসে ভর করল।তিনি মায়ের কথার উত্তর না দিয়ে উঠে চলে যান। দিন চলছিল আমার বেশ ভালোই। একদিন আড্ডা থেকে সন্ধার সময় ফিরে এসে দেখি মা চুলোয় আঁচ দিচ্ছেন। ঘরের ভিতর ঢুকার সময় মা বললেন, ‘পারুল এসেছিল আজ।অনেক্ষণ বসেছিল।’ ‘কখন এসেছিল আম্মা?’ ‘বিকেলে। কি জানি জরুরী কথা আছে তোর সাথে।’ আমি উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বললাম,’তোমাকে কিছু বলেছে?’ ‘না। তোর টেবিলে দেখেছিলাম,খাতার মধ্যে কি যেন লিখছিল।হয়তো চিঠি রেখে গেছে।’
আমার বাবা আর পারুলের বাবা ছোটবেলা থেকেই বন্ধুত্ব। তারা নাকি অনেক আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল, পারুলের সাথে আমার বিয়ে দিবে। এমনিতেও পারুল আমাদের বাড়িতে সব সময় যাওয়াআসা করে। মিতু চলে যাওয়ার পর থেকে প্রায়ই এসে মা’র নানা কাজে সাহায্য করত। আমি তড়িঘড়ি করে ভিতরে ঢুকলাম। ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়া পারুলের সাথে আমার বেশ কদিন যাবৎ কোন যোগাযোগ হচ্ছিল না। এসে দেখি টেবিলের মধ্যে চিঠিখানা একটা বইয়ের নিচে চাপা দিয়ে রাখা। মুহূর্তে অনেক গুলো প্রশ্ন এসে ভিড় জমালো মনে। কি এত জরুরী, চিঠিতে কি লিখেছে পারুল? শঙ্কিত মনে চিঠির বাজ খুললাম। চিঠিটা পড়ে আমার মনোজগৎ উলটপালট হয়ে যাচ্ছিল।তারপরও চিঠিটা বারকয়েক পড়লাম।পারুল লিখেছে__ ‘ তোমার কোন খোঁজ পাচ্ছি না। বাবার কাছ থেকে শুনলাম তুমি নাকি বিদেশ চলে যাচ্ছ। আমাকে জানালে কি এমন দোষ হত?’
রাতে বাবা বাড়িতে ফিরলেন। আমি বাবার সামনে এসে দাঁড়াতেই তিনি বললেন, ‘ আজিজের পোলারে যে লোকে বিদেশ পাঠায়ছিল, তার সাথে আমার ফাইনাল কথা হয়ে গেছে। ও বলছিল তিন লাখ, শেষ পর্যন্ত আড়াই লাখে রাজি হইছে।’ রেগে বাবাকে বললাম, ‘এত টাকা তুমি পাবে কই? আর আমি যাব কি যাবনা আমার মতামত নেয়ার প্রয়োজন মনে করলে না?’ ‘তোর মতামতের কি আছে? আমি তো আর তোর অমঙ্গল চাইতেছিনা। টাকার চিন্তা আমার সেটা তোর না ভাবলেও হবে।’ বাবা কিভাবে যেন টাকার যোগাড়ব্যবস্থা করে ফেললেন। পরে শুনেছি, জমি বন্ধক রেখে বেশ কিছু টাকা নিয়েছিলেন আর বাকি টাকা সুদে নিয়েছেন। ঢাকায় এসে সেই লোকের সাথে পাসপোর্ট ভিসা করালাম। আস্তে আস্তে যাওয়ার দিনও ঘনিয়ে আসতে লাগলো। দিন যত যায় পারুলের উৎকণ্ঠা বাড়ে। সে চেয়েছিল, আমি যেন কোথাও না যাই। ফ্লাইটের আগের দিন রাতে পারুলের কান্নায় টিশার্ট ভিজে গিয়েছিল।
আসার সময় মা কাঁদতে-কাঁদতে বিদায় দিলেন। বাবা চুপ করে চেয়ারে বসে ছিলেন।বের হওয়ার সময় বললেন, ‘দোয়া করি কোন অঘট ছাড়া যেন পৌঁছতে পারিস।’ তারপর কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বললেন, ‘অনেক টাকা দেনা হয়ে আছে রে বাজান, সময়মত টাকা দিস। বাজেভাবে টাকা নষ্ট করিস না।’ বাবার কথা শুনার পর আমার সমস্ত ধ্যানজ্ঞান ছিল একটাই, টাকা। ভেবেছিলাম, যে টাকার জন্য দেশ ছাড়া হয়েছি, প্রিয় মানুষ গুলোর আড়াল হয়েছি, সেই টাকার মুখ না দেখা পর্যন্ত আর ফিরছি না। মালোশিয়া যেন ধনকুবের ও বড়-বড় ব্যবসায়ীদের স্বর্গরাজ্য। সেই স্বর্গরাজ্যে তাদের খেদমতের জন্য রয়েছে ভাগ্যসন্ধানী কিছু এশিয়ান শ্রমিক বা ওর্য়ারকার।সেখানে একজন মালিকের আন্ডারে কনস্টাকসনে কাজ করতাম। শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়া উত্তপ্ত রোদে, মাথায় করে ইট বালু সিমেন্ট নেওয়াই ছিল আমার কাজ।
মাঝেমধ্যে খুব কান্না পেত। ভাবতাম, এরচেয়ে দেশে কামলাগিরি করলেও হয়তো ভাল হত।অন্তত্য প্রিয়জনের মুখগুলো তো দেখতে পারতাম। অনেক অভাগা বাঙালি সেখানে কাজ করত। ইন্ডিয়ানরা সেখানে লিডার। সব জায়গায় ওদের খবরদারি চলে। কারণ সংখ্যায় ওরা বেশি। কিন্তু, মালোশিয়া আসার কিছুদিন পর বুঝতে পারি আমাকে টুরিস্ট ভিসায় দুবাই পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টা জানার পর সেই দালাল লোকটা কে ফোন দেই। সে আমায় মধুর গলায় অাশ্বস্ত করে, কিছু দিনের মধ্যেই নাকি কাগজপত্র ঠিকঠাক করে দেয়া হবে। কিছুই ঠিক হয়নি। বরঞ্চ দিন দিন চোরের মত লুকোচুরি ও হয়রানি বাড়ছিল। সারাদিন গাধারখাটুনি করেও ন্যায্যমূল্য পেতাম না। যাদের কাগজ পত্রের ঠিক নেই তারা নাম মাত্র একটা সেলারি পেত। আর পুলিশের ভয় তো আছেই। আমাদের গ্রুপে অনেক অবৈধ বাঙালি কাজ করত। তারা অনেকেই আতঙ্কে থাকত। কখন যেন ধরা পড়ে যায়। চোরের মত লুকিয়ে লুকিয়ে কাজে যেত, রাতে ফিরে আসত।
কখনো বের হাওয়ার প্রয়োজন পড়লে চার পাঁচজন একসাথে যেতাম না।একা যেতাম, দ্রুত ফিরে আসতাম।
বাবা-মা’কে কখনো বুঝতে দিতাম না। কি এক অসহ্য যন্ত্রনায় দিন পার করছি। পারুলের সাথে যখন ফোনে যখন কথা হত এক পরশ শান্তি কাজ করত। পারুল কান্না জড়িত কণ্ঠে বলত’ ঠিক মত খাওয়াদাওয়া কর তো? শরীরের যত্ন নিয়ো। কবে আসবে তুমি?’ হাজারো মুগ্ধতা নিয়ে ওর কথা শুনতাম। বলতাম, ‘আসবো তো। কি লাগবে তোমার?’ ‘তোমাকে।’ ‘আর কিছু না?’ ‘তুমিই তো আমার সব। তুমি এসে গেলেই আমার সব পাওয়া হয়ে যাবে।’ পারুলের কথা শুনে আমার চোখও ভিজে যেত। ইচ্ছে হত উড়ে চলে যাই সেখানে। পরক্ষণেই বাবার ওই কথাটা মনে হত, অনেক টাকা দেনা হয়ে আছে রে বাজান যতদূর মনে, সারা দিন খেয়ে না খেয়ে ছয় মাসে লাখ-খানেকের মত টাকার পাঠিয়েছিলাম। তারপর একদিন আসে সেই ভয়াল দিন। মালোশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশের কড়া অভিজানে ধরা পরে যাই। সেখানে আমার জন্য এত নিষ্ঠুরতম চমক অপেক্ষা করছিল যা বর্ণনার অতীত।
সেদিন কুকুরের মত টানতে টানতে জেলের ভিতর ঢুকায়। আমার সাথে শখানেক বাঙালিও ধরা পড়ে।পরে বুঝতে পারি এই জেলখানা যেন অবৈধ অভিবাসী বাঙালিদের মিলনমেলা।শতশত নিরীহ বাঙালি জেলের ভিতর আটকা আছে। লিনকিং কারাগার। দুনিয়াতে যেত সাক্ষাৎ এক নরক। ওদের প্রাধান কাজই যেন বাঙালিদের কুকুরের মত পিটানো। উলঙ্গ করে হাত পা বেধে বেত মারত। সেই আঘাতে চামড়া ফুলে উঠত, বেতের উপর্যুপরি আঘাতে শরীরের লাল-লাল মাংস উঠে আসত। অসহ্য যন্ত্রণায় মরার মত পড়ে থাকতাম। শুধু আমি না প্রত্যক বাঙালিরাই এই নির্মম অত্যাচারের শিকার হত। দিনক্ষণ কিছুই মনে থাকত না। রাতদিন কিছুই বুঝতামনা। মাঝেমধ্যে জ্ঞানহূস ফিরলে দেখতাম ছোট এক জায়গায় গদাগদি করে ৩০/৩৫জন একজন আরেক জনের উপর শুয়ে আছি।
একবেলা খাবার দিত।খাবার বলতে, ভাত আর পঁচা শুঁটকিমাছ। মুখে নিলেই বমি আসত। পানি খাবার সময় মনে হত, এটা পানি নাকি টয়লেটের জল? বাংলাদেশি দূতাবেশ থেকে কেউ খবর নিতে আসেনি। অন্যদিকে নেপাল, ইন্ডিয়ান অবৈধ অভিবাসীরা সহজেই ছাড়া পেয়ে যেত। আর বাঙালিদের কাছে মালোশিয়ার জেল যেন জীবন্ত কবরখানা। অন্ধকার নরকে দশ বছর ছিলাম। জেল থেকে প্রথম ছাড়া পেয়েই বাবার নাম্বারে ফোন দেই। সেটা বন্ধ দেখায়। বোকার মত কেন জানি মনে হয়েছিল, পারুলের নাম্বারে ফোন দিতে… কিন্তু সেটাও বন্ধ ছিল। আজ দীর্ঘ দশ বছর পর দেশে মাটিতে পা রাখি। বিমানবন্দর থেকে নেমে সরাসরি বাসে চড়ে বসলাম। জানি বাড়িতে গিয়ে হয়তো কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে চলছি। ভাবছি, কেমন আছে,কি অবস্থায় আছে তারা?
‘এই তুমি মামুন না?’ গলার স্বরটা চেনা চেনা লাগছিল।পিছন ফিরে তাকিয়েই দেখি পারুলের বাবা দাঁড়িয়ে আছেন। ‘একি স্বাস্থ্য হয়েছে তোমার একদম চেনাই যাচ্ছে না!’ কথার জবাব না দিয়ে উদ্বিগ্ন কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলাম, ‘চাচা বাবা কেমন আছে?’ পারুলের বাবা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল। আমার কাঁধে হাত রেখ কাঁপা-কাঁপা কণ্ঠে বলতে লাগলেন , ‘তুমি জেলে আটাকা আছো তা জানতে পেরে তোমার বাবা ভেঙে পড়েন। এদিকে দেনার টাকা দিন-দিন বেড়েই চলছিল।এত কিছুর চাপ তোমার বাবা নিতে পারেনি। একদিন ঘুমের মধ্যেই হুট করে মারা গেছে।’ আমি নিস্তব্ধ পাথরের মত দাঁড়িয়ে আছি। চোখ মুছেতে মুছতে বাড়ির দিকে হাঁটা ধরলাম। বাড়ির উঠনে এসে দেখি ৩/৪ বছর বয়সী ফুটফুটে একটা বাচ্চা ছেলে খেলা করছে। আমাকে দেখেই দৌড়ে ঘরের ভিতর চলে গেল। উঠান থেকে দাঁড়িয়েই মা’কে ডাক দিলাম। কিন্তু ভেতর থেকে কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। শঙ্কিত মনে আস্তে-আস্তে এগিয়ে যাচ্ছি।
হঠাৎ একটি মেয়ে ঘোমটা দিয়ে ঘরের ভিতর থেকে দরজায় এসে দাঁড়াল। আমি এক পলক তাকাতেই মেয়েটি আঁচল দিয়ে মুখ ডেকে ফেলে। ছোট্ট শিশুটি মাথা উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘আম্মু কে এটা?’ মেয়েটি উত্তর না দিয়েই আবার ভিতরে চলে যায়। আমি বিস্মিত চোখে পারুলের ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছি। পারুল বলত, দোখো, আমাদের প্রথম সন্তান ছেলে হবে। আমি মাথা নাড়িয়ে বলতাম, উঁহু মেয়ে হবে। অশ্রু ভেজা চোখে ছেলেটার কপালে চুমু দিলাম। যাক, পারুলের একটা ইচ্ছে তো পূরণ হয়েছে। ভিতরে ঢুকে দেখি মা অসুস্ত। গত কয়েকদিন যাবৎ নাকি বিছানা থেকে উঠতেই পারেননি।কিন্তু আমাকে দেখেই ওঠে বসেন। কাছে যেতেই কান্না শুরু করে দিলেন।হাত দিয়ে আমার নাক মুখ চোখ সারা শরীরে হাত বুলাতে লাগলেন। আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছি, তার গাল বেয়ে নামছে লোনা জলের ধারা।
চার পাঁচ দিন হল বাড়িতে এসেছি। সব সময় মায়ের কাছাকাছি থাকতে হয়।একদম চোখের আড়াল হতে দেননা। মা’র কাছ থেকে শুনেছি বাবা আকস্মিক ভাবে মারা যাওয়ার পর মিতার শ্বশুর ঋণের টাকা শোধ করে দেন। মিতা চেয়েছিল মাকে নিয়ে যেতে,কিন্তু মা রাজি হয়নি। বলেছে, আমার ছেলে যদি এসে আমাকে না পায় আমি আসার পরদিন’ই পারুল শ্বশুর বাড়ি চলে গেছে।সেদিন পারুলের সাথে আমার একটি বারও কথা হয়নি। আমি ও চোখ তুলে ওর দিকে তাকাতে পারিনি। আজ বার বার পারুলের সেই কথাটা মনে পড়ছে, প্রাবাসীদের ভাগ্য নাকি লটারির মত।যে পায় সবি পায় যে হারায় সবি হারায়।’ পারুল কি সেদিন কোনভাবে আন্তাজ করতে পেরেছিল, আমিও তাকে হারাতে যাচ্ছি …
গল্পের বিষয়:
গল্প