তনু:শ্রাবণ ছাড় বলছি। ইশ্ লাগছে তো আমার। এবার আমি চেঁচাবো কিন্তু বললাম।(রেগে)
শ্রাবণ: প্লিজ চেঁচামেচি করিস না। চুপ করে থাক তো একটু। শ্রাবণ আর তনু দুজনেই সমবয়সী। সবে ১০শে পা দিয়েছে। দুজনেই ঝগড়া করতে করতে দুতালা বাড়িটির নিজ দিয়ে যাচ্ছিল। বাড়িটা ভালোই পুরোনো। দেয়ালের গায়ে লাগানো চুন রং খসে খসে বয়সের সংকেত জানিয়ে দিয়েছে। সে বাড়িরই দুতালার বারান্দায় বসে একজন ভদ্র মহিলা মন দিয়ে ওদের ঝগড়ার বিষয়টি অনুধাবন করছিল। মহিলাটির মুখে চিন্তার ভাঁজ।
সাদা চামড়ার উজ্জ্বল্য তার যৌবনের সৌন্দর্য বুঝিয়ে দিচ্ছে। মাথার পেছনে বেশ বড়সড় একটা হাত খোঁপা করা। চুলে পাক ধরেছে সবে। তার কানে শ্রাবণ নামটা বারবার বাড়ি খাচ্ছে। হ্যাঁ, এমন একটা নাম তো তার খুবই পরিচিত। সে এই নামের একজন মানুষকে চেনে। ৩০ ছাড়িয়ে আজো তার কথা মনে পড়ছে ভাবতেই আনমনে হেসে ফেলে সে। পরক্ষনেই মনে হলো সেও কি তাকে মনে রেখেছে? নাকি বিয়ে করে বউ সন্তান নিয়ে সুখে আছে? হবে হয়তো! ভাবতেই চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসে। বাদামী রঙের শাড়ির আঁচলখানা হাতে গুটিয়ে এক কোণা দিয়ে চশমাটা খুলে সযত্নে মুছে চোখ পড়ে নিলো। ভীষণ মনে পড়ছে আজ কৈশোরের পাগলামো গুলো। না হলো স্বপ্ন পূরণ ভাবতে তো আর মানা নেই। কিছু কিছু জিনিস ভাবতেও ভালো লাগে। সে যতোই বেদনাদায়ক হোক না কেন। কিছু বেদনায় মারাত্মক তৃপ্তি আছে। আজ না হয় চোখ বেয়ে আরেকটু বর্ষা নামলো। কি এমন ক্ষতি তাতে?
১৫ বছর আগের কথা। বর্ষা আর শ্রাবণ ছিল বেস্ট ফ্রেন্ড। ওদের দুজনের বাবার সূত্র ধরেই ওদের আলাপ। ওরা ৩ বছরের ছোট বড়। ২২শে শ্রাবণ গধুলী বেলায় টিপটিপ বর্ষায় জন্ম শ্রাবণের। শ্রাবণ মাস হওয়ায় তার দাদি জমেলা বেগম নাম রাখলেন শ্রাবণ। ২ বছর বয়সে শ্রাবণকে নিয়ে তার বাবা মামুন ইসলাম আর মা রাশেদা বেগম শহরে চলে আসেন। ততোদিনে জমেলা বেগম গত হয়েছিলেন। শহরে গিয়ে বশির আহমেদ এবং তার স্ত্রী জেসমিন আফরোজের সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে তাদের। যদিও তারা পূর্ব পরিচিত কিন্তু তেমন একটা ভাব ছিল না। শ্রাবনের ৩য় তম জন্মদিনে জেসমিন আর বশিরের ঘর আলো করে জন্ম নেয় একটি কন্যা। সেদিনও টিপটিপ বৃষ্টি ছিল। শ্রাবণ খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায় তার খেলার সাথী পেয়ে। কি নাম রাখা হবে সেইটা নিয়ে ভীষণ কান্না জুড়ে দিয়েছিল শ্রাবণ। কারণ কেউ তাকে গুরুত্ব দিচ্ছিল না নতুন অতিথির আগমনে। অবশেষে তার কথামতই নাম রাখা হলো। সেই থেকে শুরু শ্রাবণ আর বর্ষার খুনসুটি। বয়সের ব্যবধান হলেও তারা একে অপরের বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে উঠে। বর্ষা মাস্টার দিদি সাজতো আর শ্রাবণ ভীষণ রেগে যেতো।
তখন শ্রাবণ সবে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে। আর বর্ষা তখন মাধ্যমিকের ছাত্রী। কলেজে যাওয়ার পর বর্ষাকে সময় কমই দিতো শ্রাবণ। একই বাড়িতে উপর তালা আর নিচতালায় থাকত তারা কিন্তু শ্রাবণ যেন দিন দিন নিজেকে সরিয়ে নিতে চায় বর্ষার থেকে। বর্ষা তখন কেবল বাড়তি বয়সের এক তরুণী। শ্রাবনও তাই আর সেই জন্য নানা রকম ভুল করে বসতো সে। একবার সিগারেট খাওয়ার সময় বর্ষা দেখে ফেলে। আর তাই নিয়ে কতো কেলেঙ্কারি। জেঠিমা তো কানমলা দিয়ে সেকি মার। তারপর থেকে শ্রাবণ আরো রেগে যেতো বর্ষার উপর। বর্ষা যখন কলেজে পা দিলো তখন শ্রাবণের কলেজ জীবন শেষের দিকে।
কলেজে গিয়ে বর্ষা জানতে পারে শ্রাবণ ইতু নামের এক মেয়ের সাথে প্রেম করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কথাটা ভীষণ কষ্ট দিয়েছিল তাকে কারণ সে মনে মনে শ্রাবনকে ভীষণ ভালোবাসতো। তারপর থেকে শ্রাবণ প্রায় প্রায়ই বর্ষাকে দিয়ে ইতুর কাছে চিঠি পাঠাতো। কিন্তু ইতু দেখতে ভীষণ সুন্দরী ছিল বলে কলেজের কারো সাথেই তেমন মিশতো না। বর্ষাকে শ্রাবনের চোখে না পড়লেও পাড়ার ছেলেদের হুমড়ি খাওয়ার একমাত্র কারণ ছিল বর্ষা। ইতু বর্ষাকে অনেক বার কটু কথা শুনিয়েছে চিঠি দেওয়ার জন্য। বর্ষা যখন ইতুর কথা শুনে ভীষণ কান্না করতো তখন শ্রাবন তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার বদলে ছিঁচকাদুনে বলে উপহাস করতো। এরি মাঝে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে শহর ছাড়ে ইতু আর তার সাথে শুরু হয় শ্রাবনের পাগলামো। ইতু চলে যাওয়ার পর থেকে শ্রাবণ নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলেছিল।
বর্ষাকে আরো সহ্য করতে পারতো না কেন জানি। দিন দিন শ্রাবনের প্রতি বর্ষার ভালোবাসা বাড়তেই থাকে। তারুণ্যের ছোঁয়ায় এবং বন্ধুদের জোরাজুরিতে একদিন বর্ষা শ্রাবনকে তার ভালোবাসার কথা বলে। আর সেদিন ছিল বর্ষার ১৬ তম এবং শ্রাবনের ১৯তম জন্মদিন। বর্ষা ভেবেছিল জন্মদিনে এটাই হবে শ্রাবনের সেরা গিফট। কিন্তু শ্রাবণ তাকে ভুল প্রমাণিত করেছিল সেদিন। বর্ষার ভালোবাসার কথা শুনে অনেক বাজে কথা সে বর্ষাকে শুনিয়েছিল। সেদিন সে ইতুর শহর ছাড়ার কারন হিসেবে বর্ষাকে দায়ী করেছিল। বর্ষার মুখ দেখতে চায় না বলে বর্ষাকে চোখের সামনে আসতে বারণ করেছিল। বর্ষা এইচএসসি দেওয়ার জন্য এক বছর সেখানে থেকে গেলেও শ্রাবনের সামনে আর যায়নি। ব্যাপারটা সবাইকে অবাক করলেও কেউ কিছু বলার সাহস পায়নি।
বর্ষার বাবা আর মায়ের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে সবাই একত্রিত হয় অনেক দিন পর। কিন্তু সেদিনও বর্ষা চেষ্টা করেছিল শ্রাবনের সামনে না যেতে। কিন্তু শ্রাবণ নিজে থেকে বর্ষার সামনে এসে সব দোষ বর্ষার উপর চাপিয়ে তাকে অনেক খারাপ কথা শোনায়। সেদিন শ্রাবণ বলেছিল বর্ষাকে দেখলে তার শরীর নাকি ঘৃনায় ঘিনঘিন করে। এই কথাটাই বর্ষাকে সবথেকে বেশি কষ্ট দিয়েছিল। আর তাই সে এইচএসসি পরীক্ষার পর পরই নিজের জন্মস্থান ছেড়ে অন্য শহরে এসে পড়াশোনা করে। সময়ের সাথে সাথে তার বাবা মা তাকে বিয়ের জন্য জোর করতে থাকে। আর তাই সে চাকরির সন্ধান করতে শুরু করে। অবশেষে একটা হাই স্কুলে বাংলার মাস্টার দিদি হিসেবে জয়েন করে সে। পাশাপাশি একটা অনাথ আশ্রমের বাচ্চাদের বিনা পয়সায় পড়াশোনা শেখায় এবং সেখানেই থাকে। কারো সাথে যোগাযোগ না রাখলেও বাবা মায়ের সাথে ঠিকই যোগাযোগ রেখেছিল সে। কিন্তু হঠাৎ একদিন তার মা তাকে বলে শ্রাবনের নাকি সেই ইতু মেয়েটার সাথেই বিয়ে ঠিক হয়েছে। তার মা বাবা সেদিন অনেক আফসোস করে বলে তাদেরও যদি শ্রাবনের মতো একজন ছেলে থাকতো তাহলে সে কিছুতেই এতো দূরে সরে থাকতো না।
বর্ষার বাবা তাকে বলে দিয়েছিল হয় সে তার বাবার কথামতো তার পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করবে না হলে তারা ভুলে যাবে তাদের কোন মেয়ে আছে। কারণ এভাবে সমাজে থাকাটা ভীষণ কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের জন্য। দুঃখে কষ্টে আর এক পাহাড় অভিমান জমে সেদিনের পর আর যোগাযোগ করেনি করো সাথে। নাম্বার পাল্টে ফেলেছে, ঠিকানা পাল্টে ফেলেছে। কি অদ্ভুত জীবন তার! কেউ আর একটি বারও খোঁজার চেষ্টা করলো না তাকে? সে কি এতোটাই অপ্রয়োজনিয় হয়ে গেছে? যদি তাই হয় তাহলে ছোট বেলা থেকে এতো কেন ভালোবাসতো সবাই? কথাগুলো ভাবতে ভাবতে টপটপ করে চোখের পানি গড়িয়ে পড়লো। চোখের পানি মুছে তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটিয়ে তোলে মুখে। এরি মাঝে একটি মেয়ে দৌড়ে এসে বলে গেল…
চাঁপা:দিদিমনি, তোমার ক্লাসের সময় হয়ে গেছে। বর্ষা শাড়িটা ঠিক করে ক্লাসের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়। এখন সে এই অনাথ আশ্রমেই থাকে। ক্লাসে পড়াশোনার ফাঁকে একটি মেয়ে জিজ্ঞেস করলো….
কলি:কাল তো ২২শে শ্রাবণ। তার মানে দিদিমনির জন্মদিন। এবারো কি তুমি ঐ পুকুর পাড়ে বসেই সারাটা বিকেল কাটাবে?
বর্ষা: হালকা হেসে বলে আমার এতো সাজগোজ ভালো লাগে না তুলি। আমার জন্য ঐ নিরব পুকুরই ঢের ভালো।
বাচ্চারা বায়না করে কালকে তাদেরকে সময় দিতেই হবে। অবশেষে বর্ষা আশ্বাস দিয়ে বলে ঠিক আছে, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সে তাদের সাথেই থাকবে কিন্তু বিকেলে সে পুকুর পাড়ে যাবেই। বাচ্চারাও রাজি হয়ে যায়।
আসলে পরিবারের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকেই প্রতি ২২শে শ্রাবণ এই পুকুর পাড়েই বিকেলটা কাঁটায় সে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে ছোট বেলা থেকেই সে আর শ্রাবণ তাদের বাড়ির পেছনের পুকুর পাড়ে বসে মাছ ধরতো প্রায় সময়ই। বর্ষার ভীষণ পছন্দের জায়গা ছিল ঐ পুকুর পাড়টা। মন খারাপ হলে বা ভালো থাকলে সে ওখানেই বসে থাকতো। অদ্ভুত ভাবে শ্রাবন একই কাজ করতো। আর এই পুকুর পাড়টার সাথে সে তার শৈশবের পুকুর পাড়ের ভীষণ মিল পায়। তাই শ্রাবণ মাসের ২২ তারিখ বিকেলটা সে এই পুকুর পাড়েই কাঁটায়। এই পুকুর পাড়ের হাওয়ায় সে মনে শান্তি অনুভব করে। তাই সে এই পুকুর পাড়ের নাম দিয়েছে শান্তি নগর। শ্রাবনের ভারি বর্ষায় পুকুর পাড়ে বসে ভেজার মজাই আলাদা। কথাগুলো ভাবতেই এক গাল হেসে উঠে সে। ক্লাস থেকে বের হতে হতে সে ভাবে শ্রাবনেরও হয়তো এই বাচ্চা গুলোর মতোই কিউট একটা বাচ্চা আছে।
একটা? নাকি দুটো? কি জানি! হবে হয়তো একটা কিংবা দুটো! আবার হয়তো তিনটেও হতে পারে! সবকিছু যদি ঠিক থাকতো তাহলে হয়তো তারও একটা ফুটফুটে বাচ্চা থাকতো। আবার পরক্ষনেই ভাবে ধ্যাত এইসব কেন ভাবছি? ওরা সবাই তো আমারই বাচ্চা। হ্যাঁ ওরাই আমার সব। আজ ২২শে শ্রাবণ। বর্ষা কাল পুরোটা জুড়েই কেমন যেন বৃষ্টির আমেজ লেগেই থাকে। আজো বেতিক্রম না। সকাল থেকেই টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বর্ষা বাচ্চাদের সাথেই ছিল। ১৫ বছরে কোনো জন্মদিনে তেমন একটা সাজেনি বর্ষা। কেকও কাটেনি। আজ সে নীল রঙের শাড়ি আর নীল রঙের কাঁচের চুড়ি পড়েছে। শুষ্ক ঠোঁটে গোলাপী রঙের লিপস্টিক ছুঁইয়েছে। কালি জমা চোখ জোড়ায় গাঢ় কাজল লাগিয়েছে। আজকে সে পাক ধরা চুলগুলো খুলে দিয়েছে।
চুলগুলো যেন এতো দিনে কোমর ছোঁয়ার স্বাদে মাতোয়ারা হয়ে গেছে। কাঁধের উপর ১৫ বছর আগের সেই কলেজ ব্যাগটা ঝুলিয়ে হাঁটা দিলো পুকুর পাড়ের উদ্দেশ্যে। আজ সে ভীষণ খুশি। আজ সকালেই তার এক পাড়ার বান্ধবী আশ্রমে এসেছিল একটা বাচ্চা দত্তক নিতে। তার থেকে সে জানতে পারে শ্রাবণ সেদিন বিয়ে করেনি। আসর ছেড়ে সে উঠে গেছিল। কিন্তু কেন গিয়েছিল সেইটা এখনো অজানা। সবার ধারণা বর্ষার জায়গাটা সেদিন বুঝতে পেরেছিল শ্রাবণ তাই সে শেষ পর্যন্ত বিয়েটা করতে পারেনি। কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই একা একাই হেঁসে উঠছে বর্ষা। টিপটিপ বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে পুকুর পাড়ের নারকেল গাছের তলায় দাঁড়ায় বর্ষা। দৃষ্টি স্থির পুকুরের পানির দিকে। টপটপ বৃষ্টির ফোঁটা গুলো থেকে থেকেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে পুকুরের পানিতে। হঠাৎ ভারি বর্ষায় ভিজে চুপচুপে হয়ে যায় বর্ষার শরীর।
পেছন থেকে কারো পায়ের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে পায়ের পাতা পানিতে ভিজিয়ে ভিজিয়ে হেঁটে আসছে কেউ। না চাইতেও বর্ষার মুখে হাসি ফুটে উঠলো। এ যেন বহু চাপা কষ্টের পর তৃপ্তির হাসি। মনে মনে বারবার আওরাচ্ছে হ্যাঁ আজকে আবারও সেই ২২শে শ্রাবণ,হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ,আজ ২২শে শ্রাবণ। এবার সে বলবে আমাকে বর্ষা, মনে রেখেছিস? আজ যে ২২শে শ্রাবণ। তখনি পায়ের আওয়াজ থেমে গেল। শানশান বৃষ্টির মাঝে কানে আসছে একটি চেনা কন্ঠ আজ ২২ শে শ্রাবন আজ দেখেছি স্বপন,, তোমার কেশে কাঠগোলাপ আরআমার হাতে বকুলের মালা।। তবে বুঝে উঠতে পারিনি আমি তুমি কি মত্ত আমাতে? নাকি আমি মত্ত তোমাতে?!! খুঁজেছি অনেক পাইনি তোমায় ঘুমুঘুমু দুটি চোখে,, শুধু শুধু পেপার নষ্ট করেছি বেখেয়ালি তোমায় এঁকে।।
পুকুর পাড়ের নারকেল তলায় নীল শাড়িতে তুমি,, এদিক সেদিক পায়চারী করছো কখন আসবো আমি।। দুহাত ভরে হিজল ফুল নিয়ে দাঁড়াবো তোমার পাশে,, লজ্জায় রাঙা হয়ে তুমি বলবে আমায় শেষে বয়সের ধাঁচে পাক ধরেছে রেশমি কালো চুলে,, তবুও আজ যৌবনে ফিরবো মোরাবো তোমায় ফুলে।। মনে আছে? আজ আবারো ২২ শে শ্রাবন! আবারো সেই বিকেল!! আবারো সেই ভারি মেঘের গন্ধ! তুমি আমি আজও পাশাপাশি ভারি শ্রাবনে!! হ্যাঁ আজ ২২শে শ্রাবণ……
গল্পের বিষয়:
গল্প