কদিন থেকে সকালটা খুব ফাঁকা যাচ্ছে রাশেদের। কাজের ছেলেটা আসবে আটটার দিকে। বিদুষী স্ত্রী গেছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করতে যুক্তরাজ্য। এই মাঝবয়সে একা একা নিঃশব্দ ঘরে বেশ অস্বস্তি বোধ করে। মেয়েটাও গেল হোস্টেলে। স্থাপত্যবিদ্যার মডেল করতে দিন-রাত লেগে যায়। ফলে সে গৃহত্যাগী। মা নেই, মেয়ে নেই, কাজের ছেলেটা নেই, আছে শুধু সে একা, সকালের চা-টাও নিজেকে তৈরি করতে হয়, জীবনে যা কোনোদিন করেনি। সকালটা খারাপ গেলে দিনটাও ভালো যায় না। সংকট উত্তরণের উপায়? দশতলা ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে মোড়ায় বসে নিচে জন-গতায়ত অবলোকন। সকাল পাঁচটায় ঘুম ভাঙলেও দেখেছে, সামনে দিয়ে লোকজন চলছে রমনা পার্কের দিকে। বেলা আটটাতেও সে-স্রোত বহাল।
খুব সকালে ওঠার অভ্যাস নেই। তাই প্রাতঃভ্রমণের সুযোগ হয় না। ভাবে, সবাই যখন যাচ্ছে দেখি ওই ব্রিগেডে যোগ দিয়ে। ভাবা মাত্র কর্ম। চট করে প্যান্ট পরে বেরিয়ে পড়ে।
মৎস্য ভবন পার হতে গিয়ে টের পায় ফিরতি স্রোতটা প্রবল। দু-একজন পরিচিত মানুষের সঙ্গে দেখা। তারা ঘেমে গেছে। জামা ভেজা। দেরি করে ফেলেছেন… পরিচিত সবার এক নসিহত। সে জানে, সে দেরি করেনি। এই প্রথম বেরিয়েছে মাত্র। না বেরোলে দেরি হতো না।
পার্কের ফটকে ডাবওয়ালা বসে। ভালো ডাব। পকেটে হাত দিয়ে দেখে পকেট ফাঁকা। অগত্যা তৃষ্ণা মিটল না। ভেতরে প্রবেশ করে বাঁদিকের রাস্তা ধরে। বাঁধানো রাস্তা, কিন্তু জনসমাগমের তুলনায় অপ্রশস্ত। অনেক সময় তরুণ-দঙ্গলকে জায়গা দেবার জন্যে রাস্তা ছেড়ে মাঠে নামতে হয়, যেটা সকালের মানুষকে সহায়তা দেয় না। রমনা হ্রদের জলে হাওয়ার তিরতিরানি, আলোর ঝিকিমিকি… ক্রমশ তাকে টানতে থাকে। নিজেকে বেশ সতেজ মনে হয়। মনের ফাঁক ভরাট হতে শুরু করে। না, পার্কে আসলেই ভালো জিনিস… গ্রামে কোনো সমস্যা নেই, শহরে অনেক পার্ক দরকার। অনেক পার্ক। অনেক।
হ্রদের ছোট সাঁকো পার হয়ে ডানে মোড় নিয়ে এবার ফিরতি। এতক্ষণ রোদ ছিল পিঠে – এবার মুখে। অগত্যা যে-রাস্তায় গাছের আচ্ছাদন খুঁজে বের করতে হয়। এদিকটায় লোক কম। বা জায়গাটা প্রশস্ত বলে এমন মনে হচ্ছে। নাগকেশরের গাছগুলো মন্দির-চুড়োর মতো উঠে গেছে। ঝাঁকড়া। ছায়া বেশি। ফুলের গন্ধও মেলে। অবশ্য রেণু নাকে নিয়ে হ্যাঁচ্চো হতে দেরি হলো না। কয়েকটা হাঁচি লোকজনকে সচেতন করার মতো। তবে ভাগ্য ভালো, এদিকে বেশি লোক নেই। সামনে একজন শুধু মহিলা। তার হাঁচির তোড়ে বিরক্তিভরা চোখে চায়।
মহিলা শ্যামবর্ণ, কিন্তু মুখে একগাদা পাউডার। রাশেদের মুখ দিয়ে আপনা-আপনি বেরিয়ে পড়ে এবং বেশ উচ্চস্বরে : ক্যালোট্রপিস জায়গানটিয়া।
মহিলা দু-পা এগিয়ে গিয়ে থমকে দাঁড়াল। তারপর নাক-মুখ মোছারত রাশেদকে বলে, আপনি আমার সম্বন্ধে কী যেন মন্তব্য করলেন?
কই, না তো!
মিথ্যে কথা বলবেন না। সত্য বলার সাহস নেই?
দেখুন, আমি আপনাকে কিছু বলিনি।
আমি পরিষ্কার শুনেছি কী যেন একটা বললেন… ক্যালোট্রপিস…
জায়গানটিয়া…
হ্যাঁ। মানে কী?
সে তো আপনার সম্পর্কিত নয়। এটা উদ্ভিদবিজ্ঞান-উদ্ভূত।
কথা ঘোরাবেন না। আমি মুখ ফিরিয়েছি আর সঙ্গে সঙ্গে আপনি কথাটা উচ্চারণ করলেন, কী যেন… ক্যালোট্রপিস… জায়গানটিয়া।
আমি অনেকক্ষণ ধরে খেয়াল করেছি, আপনি আমার পিছু নিয়েছেন।
দেখুন, পার্কে হাজার লোক হাঁটতে আসে… একজন সামনে থাকবে একজন পেছনে… এটা তো স্বাভাবিক… এতে পিছু নেবার কি আছে!
মহিলাদের পিছু নেওয়া কি নতুন ব্যাপার?
না, নতুন হবে কেন! তবে সে তো ইয়াংদের ব্যাপার… আমি একজন বয়স্ক মানুষ…
বয়স্কদেরও বাতিক থাকে…
জীবনে আমি এই পার্কে প্রথম এলাম…
কেন, প্রথম দর্শনে কিছু হয় না?
হয়। আচ্ছা আপনি বলছেন আমি পিছু নিয়েছি, এখন আমি যদি অভিযোগ দাঁড় করাই যে, আপনি অনেকক্ষণ ধরে আমার সামনে নিয়েছেন?
সামনে নিয়েছি মানে!
মানে, অনেকক্ষণ ধরে আপনি সামনে থেকে আমার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন! আপনি আমার সামনে নিয়েছেন! সুর চড়ায় রাশেদ।
মহিলা একটু থতমত খেয়ে গেল।
তারপর সামলে নিয়ে বলে, সামনে নিয়েছি! এর কোনো অর্থ আছে?
তাহলে পিছু নেবারই বা অর্থ কী?
পিছু নেবার অর্থ আছে।
তাহলে সামনে নেবারও অর্থ আছে।
না, তেমন কোনো অর্থ নেই। বা অর্থ আছে এমন কথা কখনো শুনিনি।
শোনেননি, এখন শুনলেন।
এটা তো হলো গায়ের জোরের কথা। যে-কথার অর্থ নেই তাকে দাঁড় করানো।
আপনিও তো গায়ের জোরে দাঁড় করাচ্ছেন যে, আমি আপনার পিছু নিয়েছি।
তাদের বাগ্বিতন্ডার ফলে দু-চারজন উৎসুক লোক দাঁড়িয়ে গেছে। তারা অংশ না নিয়ে উপভোগ করছে। ভদ্রলোকদের তরজা দেখা যাক।
নিশ্চয়, পিছু নিয়েছেন, মহিলা উত্তেজিত-স্বরে বলে। জানেন, মেয়েদের পেছনেও দুচোখ আছে?
তাই নাকি! শ্লেষের সুর শাহেদের। তাহলে আপনার পেছনের চোখ দুটো দেখান তো!
মহিলার মুখ-চোখ রক্তবর্ণ ধারণ করে।
কি আমাকে উলঙ্গ হতে বলছেন?
না, তা বলিনি।
লোকজন হাসাহাসি করছে।
আপনারা হাসছেন কেন?
মহিলা ধমকে ওঠে।
এই সময় অদূরে পেছন থেকে অট্টহাসি শোনা গেল।
রাশেদ চমকে ওঠে। এমন করে হাসছে কারা?
এই অট্টহাসির রেশ ধরে যারা আশপাশে দাঁড়িয়েছিল সবাই কোরাসে হাসতে লাগল, মনে হলো পার্কজুড়ে যেন হাসির প্রতিযোগিতা চলছে।
মহিলা বিমূঢ়। বিমূঢ় রাশেদও। কী হলো রে বাবা – সবাই এমন করে হাসছে কেন?
উপস্থিত সবার হাসি থামতে চায় না। গায়ে গায়ে গড়িয়ে পড়ে হাসছে।
মহিলা আর রাশেদ স্থাণুর মতো দাঁড়িয়ে। তারা ছাড়া আর সবাই হাসছে।
একসময় পেছনের হাসির আওয়াজ কমে এলো। কিন্তু সামনের লোকদের হাসি তখনো দমকে দমকে চলছে। একসময় এদেরও বেগ কমে এলো।
একেবারে থেমে গেলে মহিলা বলে, আপনারা সবাই এভাবে হাসলেন যে? আমি কি খুব একটা হাসির কথা বলেছি?
জনতার মধ্য থেকে একজন বয়স্ক সুবেশধারী ভদ্রলোক এগিয়ে এলেন।
বললেন, মাফ করবেন ম্যাডাম, আমরা আপনাদের বাক্যালাপ ধরে হাসিনি। আমরা এখানে সবাই লাফিং ক্লাবের মেম্বার। পেছনে ওই যে বাঁধানো চত্বর দেখছেন, ওটা আমাদের হেড কোয়ার্টার্স। ওখান থেকে কোনো হাসির ব্যায়াম শুনলেই আমরা যারা শুনতে পাই, যে যেখানে থাকি, হাসির প্রতিধ্বনি তুলি। এটা একটা ব্যায়াম। আগামীকাল সকালে সাতটার দিকে এসে আপনারাও মেম্বার হতে পারেন। দেখবেন সকালটা হাসি দিয়ে শুরু করলে দিনটা কেমন ভালো যায়। এটা পরীক্ষিত সত্য।
আপনি?
মহিলা জানতে চান।
আমি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির প্রফেসর, নজরুল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ধন্যবাদ আপনাকে, আমি তো রীতিমতো অপমানিত বোধ করছিলাম আপনাদের হাসতে দেখে।
আজ চলি। কাল সকাল সাতটার দিকে আমাদের ক্লাবে চলে আসুন। বলেন অধ্যাপক নজরুল, লোকজন যারা ঘিরে ছিল তারাও এক এক করে কমতে থাকে। যাবার আগে নজরুল সাহেব বলে গেলেন, দেখুন ম্যাডাম, আমি আপনাদের কথোপকথন শুনেছি। আসলে আপনি যে বললেন মেয়েদের পেছনেও চোখ থাকে, এটা কিন্তু পেছনে নয়, থাকে মস্তিষ্কে। নিরাপত্তার অভাবজনিত কারণে মেয়েরা খুব সচেতন থাকে, এটা একটা ডিফেন্স ম্যাকানিজ… আত্মরক্ষার প্রয়োজন থেকেই মেয়েরা টের পেয়ে যায় কেউ পিছু নিয়েছে কিনা। তবে আমার যদ্দূর মনে হয় ওই ভদ্রলোক আপনার পিছু নেননি।
কিন্তু আমি যেই পিছু ফিরেছি ভদ্রলোক বেশ জোরেশোরে বলে উঠলেন, ক্যালোট্রপিস জায়গানটিয়া।
এটা ল্যাটিন ভাষা বলেই মনে হচ্ছে… তা আপনি ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করে এর অর্থ জেনে মিটমাট করে নিন। উত্তেজিত হবেন না। তাহলে যুক্তি হারিয়ে যায়। চলি। আশা করি কাল দেখা হবে।
এভাবে মিটমাট হয়ে যাচ্ছে দেখে কৌতূহলী জনতা একে একে কেটে পড়তে থাকে।
হ্যাঁ বলুন, ক্যালোট্রপিস জায়গানটিয়া মানে কী? রাশেদকে প্রশ্ন করে মহিলা।
তার আগে আমার একটা প্রশ্নের জবাব দিন। আচ্ছা আমাকে কি একটা ছোটখাট গুন্ডা মনে হয়? সিনেমার ডায়ালগটা ব্যবহার করল রাশেদ।
এভাবে সরাসরি প্রশ্ন করায় মহিলা একটু দ্বন্দ্বে পড়ে। ভাবে – না, ভদ্রলোককে তো গুন্ডা মনে হবার কোনো কারণ নেই। তাছাড়া কোনো কটু কথাও উচ্চারণ করেনি। সবসময় শালীনতা বজায় রেখে কথা বলেছে। নিশ্চয় উচ্চশিক্ষিত এবং ভালো চাকরি-বাকরি করে। আর চেহারা দেখে কি সবসময় বিচার করা যায়?
মহিলার কাছ থেকে কোনো জবাব না পেয়ে রাশেদ বলে, ঠিক আছে আপনাকে এ-প্রশ্নের জবাব দিতে হবে না। উদ্ভিদবিজ্ঞানে জ্ঞান আছে আপনার এমন কোনো আত্মীয় বা পরিচিত কেউ নেই?
হ্যাঁ আছে। আমার এক বোনঝি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।
ওকে জিজ্ঞেস করুন।
ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে মহিলা ফোন করে।
রিনি, শোন… একটা কথার অর্থ বল : ক্যালোট্রপিস জায়গানটিয়া। মাসি আমি মাত্র ফার্স্ট ইয়ারে… এই শব্দের অর্থ আমার জানা নেই। তোর বিভাগের চেয়ারম্যান কে?
রফি স্যার। রফিউল ইসলাম। তাকে জিজ্ঞেস কর?
স্যার ছুটিতে। রুমে তালা ঝুলছে।
তোদের যে-স্যার বাংলাদেশে স্ট্রবেরির পত্তন করল…
মঞ্জুর হোসেন স্যার… তার টিস্যু কালচার ল্যাবে আমি কাজ শুরু করেছি…
তাকে ফোন কর?
দাঁড়াও, আমি জেনে দিচ্ছি।
মিনিটখানেক পর রিনির ফোন এলো।
মাসি, ক্যালোট্রপিস জায়গানটিয়া হলো আকন্দগাছ। আফ্রিকার গাছ। আমাদের দেশে রেললাইনের পাশে খুব দেখা যায়।
চিনতে পেরেছি।
দেখুন, আমি ক্যালেন্ডারের পাতায় এই আকন্দের ছবিটা দেখে ঘর থেকে বেরিয়ে জপ করছিলাম। এটা আমার একটা বদভ্যাস। কোনো নতুন টার্ম সামনে এলে মনে রাখার চেষ্টা করি।
স্যরি। মহিলা এসপোলজি চায়। আপনি কোথায় আছেন?
আমি মিনিস্ট্রি অব অ্যাগ্রিকালচারে।
তাই নাকি! আমার স্বামী তো মাসখানেক হলো ওখান থেকে কালচারাল মিনিস্ট্রিতে বদলি হয়েছে।
তার মানে আপনি সাহানা বউদি?
বউদি নয়, ভাবি।
আপনি মুখার্জি পরিবারের মেয়ে না?
তাতে কি! তোমার কামালভাইকে পেতে গিয়ে ধর্ম ছাড়তে হয়েছে।
খুব ভালো করেছেন। এরকম একজন সৎ, চৌকস, সপ্রতিভ মানুষকে পেতে গিয়ে মেয়েরা সবকিছুই ছাড়তে পারে। আমার নাম রাশেদ। যুগ্ম-সচিব।
যাক, ক্যালোট্রপিস জায়গানটিয়ার বদৌলতে আপনার সঙ্গে আলাপ হলো।
সন্ধি হয়ে যাবার পর তারা পাশাপাশি হাঁটতে থাকে।
আপনি একা যে? কামালভাই কোথায়?
ও তো লন্ডনে। গেছে তিন মাসের জন্যে। আমরা দুজন একসঙ্গেই বেরোই। অবশ্য ও থাকলে আরো অনেক সকালে বের হই। ও না থাকায় ইচ্ছা করে দেরি করি।
আরে, আমার স্ত্রীও তো লন্ডনে। পোস্ট ডক্টরেট করছে।
তাই নাকি! দেখো, ‘দুজন আবার যুক্তি করে যায়নি তো?
না, না, ও কামালভাইকে নামে চেনে। পরিচয় নেই।
বিদেশে পরিচয় করে নিতে কতক্ষণ।
সাহানা মুচকি মুচকি হাসে।
হাঁটতে হাঁটতে একসময় রাশেদ একটা ভারি প্রশ্ন করে বসে।
আচ্ছা, বউদি…. ভাবি, আপনি যে ধর্ম ত্যাগ করলেন, কখনো পূর্বের স্মৃতি আপনাকে তাড়ায় না?
না রাশেদভাই, সংসারে ডুবে যাওয়ায় ওসব তেমন করে কষ্ট দেয় না। তবে হ্যাঁ, শরৎকাল এলে আকাশে যখন নীলের বন্যা বয়, আর সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়, কেন জানি মা গৌরীর কথা মনে পড়ে। মানে দুর্গাপুজোর কথা মনে হয়। তখন মনটা আনমনা হয়ে যায়।
অদ্ভুত তো! আমি এমনি কথা শুনেছিলাম এক বাংলার অধ্যাপকের মুখে। নাম বলছি না। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সময় প্রথম দুমাস পুরনো ঢাকায় সেই ভদ্রলোকের বাসায় ছিলাম। তিনি ছিলেন আমার বাবার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তখন শরৎকাল। একদিন সকালে তিনি বললেন, রাশেদ চলো ছাদে যাই। আমরা থাকতাম তাঁতিবাজারে। তিনতলায় ছাদে গিয়ে তিনি বললেন, রাশেদ, আকাশটা দ্যাখো, কী ঘন নীল। বাতাসে কেমন একটা পুজো পুজো গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আপনার কথার সঙ্গে কি অদ্ভুতভাবে মিলে গেল।
রাশেদ দেখে সাহানা ভাবির চোখ ছলছল করছে।
সে বলে, ধুৎ, সকালবেলাটা আমরা খুব সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছি।
রাশেদ, সন্ধ্যায় তোমার চায়ের দাওয়াত, মানে নিমন্ত্রণ রইল।
ঠিক আছে।
খানিকক্ষণ পর সাহানা বলে, আচ্ছা, রাশেদ একটা কথা আমার মাথা থেকে কিছুতেই যাচ্ছে না। তুমি হাঁচি দিলে প্রচন্ড শব্দ করে, আমি মুখ ফেরালাম… কিন্তু তুমি অত জোরে কেন বললে ক্যালোট্রপিস জায়গানটিয়া।
রাশেদের মুখে হাসি। বলে, এর উত্তর পেতে হলে আবার অকুস্থলে ফিরে যেতে হবে।
তা যেতে রাজি।
দুজন আবার আগের জায়গায় হাজির। এখানে একটা আকন্দগা।