“দরজা খোলা রেখেই সব করবে নাকি?” ফিক করে হেসে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিলো জেরিন! হ্যাঁ, ঠিকই তো, দরজা বন্ধ না করেই এগিয়ে গিয়েছি খাটের দিকে!একে এলকোহল পুরো চেপে ধরেছে, তারওপর জেরিনের টোলপরা হাসি,খেয়াল ছিলোনা ওটা!অবশ্য মদের নেশায় যে আমার কিছু মনে থাকেনা এমন নয়, বরং মদ খেলে আমার মাথা খোলে ভালো!আজপর্যন্ত্য যত প্রেমের কবিতা লিখেছি,সব মদ খেয়েই!
দরজা বন্ধ করতে ভুলে গিয়েছিলাম অন্য কারণে!জীবনে প্রথমবারের মতো আজ কোন বেশ্যাবাড়ীতে পা রেখেছি!আমার বাপ দাদা চোদ্দগুষ্টির কেউ জন্মেও বেশ্যাবাড়ী যায়নি!গুষ্টির প্রথম কুলাঙ্গার হিসেবে শেষমেশ এখানেও এসে গিয়েছি আমি!অপরাধবোধ, আকর্ষণ, নার্ভাসনেস, অভিমান, ঘোর, সবই কাজ করছে একসঙ্গে!মাথা ঠিক না থাকাটাই স্বাভাবিক! তাসনিমের সঙ্গে ব্রেকআপ হয়ে গেছে আজ প্রায় তিনমাস হতে চললো!এই তিনমাসে আমি সবকিছুই ঠিকভাবে করেছি, অফিসের কাজ থেকে শুরু করে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা কোনকিছুই বাদ দিইনি!শুধু কবিতার ভাষা পাল্টে গিয়েছে আমার, আগে প্রেমের কবিতা লিখতাম হুইস্কিতে সিপ মেরে,এখন বিরহের কবিতা লিখছি একচুমুকে গ্লাস খালি করে!
তবুও ফ্যানরা খাচ্ছে ভালোই, প্রেম হোক বা বিরহ, আমার সব কবিতাই সমানভাবে জনপ্রিয়,কারণ আমি টাকাপয়সার জন্যে লিখিনা, লিখতে ভালোবাসি তাই লিখি আর সেরাটা বেরিয়ে আসে!ওদিক দিয়ে দেখতে হলে আমি ভাগ্যবান, আমাকে পেটের দায়ে অন্তত সাহিত্য লিখতে হয়না,যাদের করতে হয়,ওদের দুঃখটা কোন লেভেলের সেটা খুব ভালো করেই জানি!তো যাইহোক, সবকিছু মোটামুটি ঠিকই চলছিলো লাইফে এতদিন!শুধু যেবার তাসনিমের সঙ্গে রিফাতের সম্পর্কটার কথা জেনে গেলাম আর তাসনিমও ব্যপারটা অস্বীকার করলোনা, তখন কিছুটা ভেঙে পড়েছিলাম!ওকে যদিও একটা কথাও বলিনি,কোন ঝগড়াও করিনি, চুপচাপ বেরিয়ে এসেছি সম্পর্কটার থেকে!এটা আমার অফিসের কাজ নয় যে জোর করে ধরে করাবো!জোর করে আর যাইহোক,ফিলিংস আনানো যায়না ওটা বুঝি!বুঝি বলেই কাউকে কিছু বলিনা, চুপ থাকি, মাঝেমধ্যে বারে যাই মেহতাব এর সঙ্গে আর নেশা করে বিরহের কবিতা লিখি!এমনই একদিন কয়েকপেগ শেষ করার পর মেহতাব আইডিয়াটা দিলো!শোনার পর মাথা ঘুরে গিয়েছিলো প্রথমে কিন্তু ওর কোন রিয়েকশনই দেখলামনা!
ও খুব স্বাভাবিকভাবেই বললো যে সিঙ্গেল ব্যাচেলর ছেলেরা বেশ্যাবাড়ীতে যাবে এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই বরং এতেও নাকি সাহিত্যসৃষ্টির অনেকরকম অনুপ্রেরণা আর উপাদান পাওয়া যায়!আমি গল্পগুচ্ছ আর সঞ্চয়িতা পড়ে বড় হওয়া পাবলিক, দেশের সবচেয়ে বড় কবিতার পেজের এডমিন প্যানেলের সদস্য আমি!আমার বাবার অফিসের ফাইলের সঙ্গে শরৎচন্দ্রের বই থাকে আর মায়ের গলায় জীবনানন্দের কবিতা শুনে সবাই বলে মার গলায় নাকি মা সরস্বতী কথা বলে!এই পরিবারের ছেলে হয়ে আমাকে ‘অনুপ্রেরণা’ খোঁজার জন্যে যে এমন জায়গায় যাওয়ার আইডিয়াও কেউ দিতে পারে সেটা ওইদিন প্রথম জানলাম!তবে যেকোন কারণেই হোক, কয়েকদিন পর ঠিকই এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় ছয় পেগ গলায় ঢালার পর পৌঁছে গেলাম ওই গলিতে!তাসনিমের কথা একটু বেশীই মনে পড়ছিলো ওইদিন!
ফালতু কথা বলে লাভ নেই,এই গলিতে কেউ মহাপুরুষ হতে আসেনা, প্রেমিক হতেও নয়, আমরাও যেকাজে এসেছি তার সব ব্যবস্থা করলো মেহতাবই!সুন্দর শরীর খোঁজাই যদি এই গলিতে আসার মূল কারণ হয় তাহলে আমার উদ্দেশ্য সফল কারণ জেরিনকে একবার দেখার পরই মনে হয়েছিলো যে এই মেয়ে পৃথিবীর মেয়ে অন্তত নয়!এর আগে আমার ধারণা ছিলো যারা এই লাইনে কাজ করে তারা চূড়ান্ত মেকআপ করে সেজেগুজে থাকে, আসল চেহারা প্রায় ঢাকাই থাকে!চূড়ান্ত ভুল ধারণা!এই পৃথিবীর কেউ কেউ জেরিনের মতো দেখতেও হয়, পিঠ ছোঁওয়া ষ্ট্রেট চুল, তারমধ্যে ছোট একটা রজনীগন্ধার মালা কিভাবে যেন সেট করা!গালে মেকআপের ম ও নেই তবুও সব বিদেশী ব্র্যান্ডের ইম্পোর্টেড কসমেটিকস মার খাবে ওর কাছে, হাসলে গালে খুনখারাপি টাইপের দুটো টোল পরে আর চোখ?
হালকা করে কাজল পরা আর সেদিকে তাকিয়ে আমার মনেহলো যে প্রেমের কবিতা এখনও কিছুই লেখা হয়নি আমার, ওর চোখের দিকে তাকিয়ে নতুনকরে আবার প্রেমের কবিতা লেখা শিখবো!তো যাইহোক, আমি এখানে কবি হতে আসিনি,প্রেমে পড়তেও আসিনি, যে কারণে এসেছি, সরাসরিই দাম জেনে নিয়ে(এবং ছোটলোকের মতো দরাদরি না করে) জেরিনকে নিয়ে সোজা ঢুকে গিয়েছি ওর রুমে! এবং ঢুকেই লজ্জা পেয়ে গিয়েছি দরজা বন্ধ করতে ভুলে গিয়েছি বলে!দরজা লাগিয়ে এসে দেখি জেরিন এখনও মিটিমিটি হাসছে! এই হাসিটার মধ্যে কোন ব্যঙ্গের ছাপ নেই, নেই কোন দুঃখের চিহ্নও তবে কেমন যেন একটা দুস্টুমিতে ভরা হাসি! “আজকে প্রথমবার নাকি?”
এই প্রশ্নটাই কি করার ছিলো প্রথমে?অবশ্য আমার অবস্থা দেখে ওটা যে কেউই বুঝে যাবে!ওখানে যাওয়ার সময় কি মনেকরে একটা লাল গোলাপ আর একটা বার্ণভিল চকলেট নিয়ে গিয়েছি যেভাবে তাসনিমের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম সবসময়! ওগুলো এখনও হাতে ধরা! জেরিন আমার হাতের দিকে তাকিয়েই প্রশ্নটা করলো!উত্তর দিলামনা, চুপচাপ ওর সামনে গিয়ে বসলাম বাধ্য ছেলের মতো যেভাবে বাচ্চারা বাড়ীতে টিউটরের সামনে বসে!কেমন যেন একটা অস্বস্তি হচ্ছিলো!কি করা উচিৎ বুঝতে পারছিলামনা যদিও আমি জানি, আমি এখানে কি করতে এসেছি তারপরেও! ওর দিকে তাকিয়ে,”হাই, এগুলো তোমার জন্যে” বলে খুব সুন্দর করে গোলাপটা আর চকলেটটা ওর হাতে দিলাম! ও আবারও একটা মাথানষ্ট করা হাসি দিয়ে থ্যাঙ্কস বললো! “তোমার নাম কি গো?” উফ,এই মেয়ে আমার ইন্টারভিউ নেওয়া শুরু করবে নাকি এবার! “আমার নাম রিফাত!” বাজে কথা, একদম বাজে কথা, আমি মোটেও রিফাত না, আমি বাবাই,তানভীর আহমেদ বাবাই!মেহতাব বারবার করে শিখিয়ে দিয়েছে ভুলেও যেন আসল নাম না বলি কাউকে!কাজেই আমিও বেমালুম মিথ্যে বলে দিয়েছি ওর মুখের ওপর!ও মুখে কিছু বললোনা কিন্তু আবারও সেই দুস্টুমিতে ভরা হাসিটা দিলো মুখ নামিয়ে!
এরপর আমার শার্টের দিকে তাকিয়ে ইঙ্গিত করলো আঙ্গুল দেখিয়ে!আর আমার যাবতীয় সমস্যার শুরু হোলো ওখানেই!মোটেও শার্ট খোলার জন্যে আমি প্রস্তুত নই ওটা বুঝতে পারলাম!চুপ করে বসে আছি দেখে ও নিজেই শাড়ীর আঁচলটা সরিয়ে ব্লাউজ খোলার জন্য রেডি হোলো!আশ্চর্য্য!আমার তাতেও সমস্যা!আমাকে কে চালাচ্ছিলো তখন জানিনা তবে নিজের হাতে ওর আঁচলটা আবার বুকে জড়িয়ে দিলাম!অথচ আমি কিন্তু এখানে একমাত্র শরীরের খোঁজেই এসেছি ওটাও খুব ভালো করে জানি! কেন জানি ওর দিকে তাকিয়ে মনেহোলো ও মোটেও এরকম ব্যবহারে অবাক হয়নি বরং ওও হয়তো আমার থেকে এটাই আশা করছিলো!সেই রাতে একটাকথা বুঝতে পারলাম আবারও!আমার মতো লোক চাইলেও কোন মেয়ের শরীর ছুঁতে পারবেনা যতক্ষণ না ওখানে কোন সম্পর্ক থাকে, যে সম্পর্কটা পয়সা দিয়ে কেনা কোন সম্পর্ক নয়!আমি অপরিচিত মেয়েদের ইভটিজিং করতে পারবো, বাজে কথা বলতে পারবো, সব করতে পারবো শুধু ওদের শরীর বাদ দিয়ে, একমাত্র সম্পর্কের দাবী দিয়েই শরীর ছোঁওয়া যায়!নিজেকে নতুনভাবে চিনে গিয়েছিলাম ঠিক ওই মুহুর্তেই!
পনেরো মিনিট পার হয়ে গিয়েছে!নিজেকে গালি দিলাম মনে মনে ফালতু এতগুলো টাকা খরচ করলাম বলে!কিন্তু এখন কিছু করারও নেই!মেহতাব অন্য ঘরে আছে,একঘন্টার আগে বেরোবেনা!আপাতত আমাকে এখানেই বসে থাকতে হবে!অগত্যা গল্প শুরু করলাম ওর সঙ্গে!নাম জানতে চাইলে নাম বললো, আর হাতের করা ‘জেরিন’ ট্যাটুটা দেখিয়ে বললো যে এটাই ওর আসল নাম!আমি কিন্তু ওর কাছে জানতেও চাইনি যে নামটা আসল কিনা কিন্তু তবুও কেন এরকম করলো কে জানে!এরপর আরও কিছু বেদরকারী কথা যেগুলো সব রেডলাইট এরিয়ার ইন্টারভিউতে পড়ে এসেছি ছোটবেলা থেকে!
ও উত্তর দিতে দিতে কেমন যেন অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছিলো বারবার!ওকে হঠাৎ খুব উদাসী বলে মনে হতে লাগলো!তবে আমার অবাক হওয়ার আরও বাকী ছিলো!ও কি আমার মনের কথাগুলো বুঝে যাচ্ছিলো কোনভাবে? সন্দেহ দেখা দিলো যখন ও আমার দেওয়া টাকাটা ফেরত দিতে চাইলো!ও সরাসরিই বললো যে আমি যেহেতু কিছুই করছিনা কাজেই আমার থেকে টাকা নেওয়ার কোন প্রশ্নই নেই!কেন জানিনা, খুব অস্বস্তি হোলো কথাটা শুনে, আমার টাকা নষ্ট হলেও কোনভাবেই ওই টাকাটা ফেরত অন্তত চাইছিলামনা ওর কাছ থেকে এটাও জানতাম!ব্যপারটাকে হাল্কা করার জন্যেই বললাম, “এটা তোমার সময়ের জন্যে!” “আর এগুলো?” ও চকলেট আর গোলাপটা দেখালো,তখনও হাতে ধরে বসে ছিলো!কোন উত্তর দিতে পারলামনা, আমার কাছে কোন উত্তর ছিলোওনা! চুপ করে ছিলাম দুজনেই, হঠাৎ ও বললো, “আজকে আমার জন্মদিন!আমাকে একটা বার্থডে গিফ্ট দেবে?”
কার দিব্যি দিয়ে বলবো জানিনা, তবে এই প্রশ্নটা শোনার পর ঠিক কিরকম ভালো লেগেছিলো ওটা বোঝাতে পারবোনা!অস্বস্তি কাটানোর জন্যে ওর এই প্রশ্নটাই যথেষ্ট ছিলো!ওকে বার্থডে উইশ করার পর জানতে চাইলাম যে কি উপহার চায়!যা চাইলো ওটা শোনার জন্যে কোনভাবেই আমি প্রস্তুত ছিলামনা, ও বললো উপহার হিসেবে ওকে যাতে একটা কবিতা লিখে দিই শুধু ওর জন্যে! অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালাম!ওর চোখমুখ স্বাভাবিক!আমার অবাক হওয়াটা বুঝতে পেরেই খুব স্বাবলীল ভাবেই আমাকে বললো, “তোমার যতগুলো প্রেমের কবিতা আছে তার সবগুলোই আমার পড়া তানভীর!” আমার আর কিছু বোঝার বাকী ছিলোনা!ঠিক ওই মুহুর্তে মনে হচ্ছিলো যে কোনভাবে ওর সামনে থেকে উঠে পালাতে পারলেই বেঁচে যাবো!তারমানে ও আমাকে প্রথম থেকেই চিনতে পেরেছে আর এজন্যেই মিথ্যে নাম বলেছি বলে চুপ করে হাসছিলো আর নিজের নাম বলে আমাকে প্রমাণ হিসেবে নামলেখা ট্যাটু দেখিয়েছিলো!খুব ছোট লাগছিলো নিজেকে ওর সামনে!
লজ্জায় কোন কথা বলতে পারলামনা!একটা অডিও সিডি চোখে পড়লো টেবিলের ওপরে, তার জ্যাকেটের কাগজটা বের করে উল্টোপিঠে দুটো লাইন লিখলাম, “সকাল দেখার ইচ্ছে ছিলো তারার পানে চেয়ে রাতেই আমার রাত পোহালো তোমার দেখা পেয়ে!” ওর দিকে কাগজটা এগিয়ে দিতেই ও সেটা হাতে নিলো! ততক্ষণে ওর চোখের জল গাল বেয়ে ওই কাগজটা ছুঁয়ে ফেলেছে!ও আস্তে করে আমার দেওয়া টাকাগুলো আমার শার্টের পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে বললো, “এখান থেকে চলে যাও প্লিজ!আর এসোনা!” আমিও বেঁচে গিয়েছিলাম, ওর সামনে আর একমুহূর্তও থাকা আমার পক্ষে সম্ভব ছিলোনা! বেরিয়ে আসার আগে কি মনেকরে ওই কাগজটাতে আমার মোবাইল নাম্বার লিখে দিয়ে এলাম আর আস্তে করে বললাম, “কখনও কিছু দরকার হলে কল দিও!” জানি ও জীবনেও কল দেবেনা তবুও কেন বললাম কথাটা কে জানে!
সেই রাতের পর অনেকবার ওখানে গিয়েছি আবার!শুধুমাত্র ওকে খোঁজার জন্যেই!কেউই কোন খবর দিতে পারেনি, কিছু বলতেও পারেনি!বাকী যারা ওখানে ছিলো সবার টিটকিরি খেয়েছি বারবার,তবে গায়ে মাখিনি!ও যেন সেই অন্ধকার গলি আর এই প্রেমহীন শহর,সবখান থেকেই উধাও হয়ে গিয়েছিলো হঠাৎ করেই! একবছর কেটে গিয়েছে এভাবেই!আজকে ৩১শে অগাষ্ট!খুব ভালো করেই এই দিনটা মনে আছে আমার, কারণ আজকে জেরিনের জন্মদিন!ওর সঙ্গে কাটানো সেই রাতের একটা একটা মুহুর্ত মনে পড়ছে আবারও আর মন খারাপ হচ্ছে!অফিসে যাইনি আজ!ছুটি নিয়ে ঘরে বসে আছি আর একা একা মদ খাচ্ছি! কিছুই করার নেই আজ হঠাৎ একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে কল এলো!অপরিচিত নাম্বার দেখলে আমি রিসিভ করিনা কিন্তু তখন আর কিছু করার নেই বলেই কলটা রিসিভ করলাম এমনিতেই! হ্যালো বলতেই একটা খুব পরিচিত কন্ঠ ভেসে এলো!এই স্বরটা আমার খুব চেনা, একবার শোনার পরেই চিরজীবনের জন্যে মনে রয়ে গিয়েছে এটা! “আজ আমার জন্মদিন!আমাকে একটা বার্থডে গিফ্ট দেবে?”
কিছুক্ষণ পর……
জেরিনের ঘরে শুয়ে আছি ওর কোলে মাথা রেখে!খুব ঘুম পাচ্ছে!ও যদিও অনেক কথাই বলে চলেছে তবে ওসব কিছুই শুনতে ইচ্ছে করছেনা!কারোর কোলে এভাবে মাথা রেখে শান্তিতে ঘুমোনোর ইচ্ছেটা বহুদিনের!ওটা হারাতে পারবোনা,আপাতত ঘুমিয়ে নিই,ওর কথা শোনার জন্যে সারাটা জীবন পড়ে আছে!আর তাছাড়া ওর জন্মদিনের উপহার ওকে দিয়েই দিয়েছি ওর হাতে লিখে, “তোর শরীরে ঝরে পড়া কৃষ্ণচূড়ার গন্ধ ভালোবেসেই মরতে হবে ফেরার রাস্তা বন্ধ!
গল্পের বিষয়:
গল্প