আমার বেস্ট ফ্রেন্ড বিয়ে করতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে। মেয়ের বাড়ি আমাদের বাসার পাশেই। যেতে বেশী সময় লাগে না, তাই ভাবলাম একটু পরেই যাই। কিন্তু যেই-না রেডি হয়ে বের হচ্ছি তখুনি এই নিউজ শুনলাম। বিয়ে বাড়ি না গিয়ে তাড়াতাড়ি দৌড়ে হসপিটালে গেলাম।
বন্ধুর জ্ঞান ফিরেছে। আমরা দেখা করতে রুমে ঢুকলাম। আমাদের দেখে বন্ধু ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে। যেন বলতে চাচ্ছে- আমি কোথায়, এখানে কিভাবে আসলাম? আমি কাছে গিয়ে বললাম, ‘দোস্ত কী হইছে?’ বন্ধু ড্যাবড্যাবের মাত্রা আরো বেশী করে বাড়িয়ে দিল। আমি ওরে ধরে একটা ঝাঁকুনি দিলাম। ঝাঁকি খেয়ে বন্ধু আমার দিকে এমন একটা লুক দিল, যেন মনে মনে বলছে- ছেড়ে দে শয়তান! আমার দেহ পাবি; তবুও মন পাবি না আমি আরো জোরে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে বললাম, ‘ঐ কী হইছে তোর?’ এবার ঝাঁকুনিতে কাজ হলো। খুব অনিচ্ছা নিয়ে বলল, ‘কিছু না।’
-কিছু না মানে! অজ্ঞান হয়ে গেলি ক্যান? কোনো প্রবলেম?
-না…
-না মানে..ওরা কোনো চিটারি করছে? এক মেয়ে দেখাইয়া আরেক মেয়ের সাথে বিয়ে দিচ্ছে?
-আরেএএএ না।
-তাইলে, মেয়ের কারো সাথে কিছু ছিল? কোনোকিছু লিক হইছে?
-ধুররররর! কিসব বলতেছিস..
-তাহলে মেয়ের কোনো সমস্যা? ট্যারা, রাতকানা , লুলা-লেংড়া?
-তুই থামবি?
-আচ্ছা থামলাম। এখন বল কী হইছে?
-কিছু না..
-আবার কিছু না! তোর কী কোনো প্রবলেম আছে..দোস্ত? বিয়ে করতে চাস না? বল..আমরা বন্ধু মানুষ, আমার চেনাজানা ভালো ডাক্তার আছে।
-রাজিব!
-আচ্ছা, রাগ করিস না। আর কিছু বলমু না। আর না প্যাঁচায়া এবার এটলিস্ট বল কী হইছে?
-আরেহ্ বাল! মেয়ে কোনো মেকআপ করে নাই।
-মানেহ্?
-মানে একটা মেয়ের আজকে বিয়ে;
আর সে কোনো বেসমেকাপ, কন্সিলার, ফাউন্ডেশন, কম্পেক্ট, ব্লাশন, হাইলাইটার এইগুলা কিচ্ছু ব্যবহার করে নাই। মানে সিরিয়াসলি? একটা মেয়ে তার বিয়েতে কোনো ব্রাইডাল মেকআপ নিবে না, সে কী স্বাভাবিক, তুই নিজেই বল? এমন অস্বাভাবিক মেয়ের সাথে সংসার করা যাবে, বল?
গল্পের বিষয়:
গল্প 
