টম অ্যান্ড জেরির ঝগড়া

টম অ্যান্ড জেরির ঝগড়া
“তোর মতো শাকচুন্নি ডাইনি চুন্নি কে তো আমি কিছুতেই বিয়ে করবো না ওই তুই আমার মায়ের বান্ধবীর মেয়ে কোন দুঃখে হলি বলতো?”
“ওই তুই বেশি কথা বলবি না তুই তাহলে কিভাবে আমার মায়ের বান্ধবীর ছেলে হলি তোকে তো আমার মায়ের বান্ধবীর ছেলের মত বুঝায় যায় না”
“ওই চুপ কর বিল্লি। তুই কি অন্য কারো ঘরে জন্ম নিতে পারলি না আমার মায়ের বান্ধবীর ঘরেই জন্ম নিতে হলো”
“তুই চুপ কর বিল্লা। আমারও তো সেম প্রশ্ন তুই ও তো অন্য কোথাও জন্ম নিতে পারতি আমার আম্মুর বান্ধবীর ঘরে হলি কেন?”
“ওই জেরী কম কথা বলবি”
“আমি জেরী না আমি জেরিন আর তুই কি টম কোথাকার”
“অশিক্ষিত কোথাকার আমি টম না তন্ময়।তোর মতো অশিক্ষিত কে তো আমি মরে গেলো ও বিয়ে করবো না”
“তাহলে ভাই তুই বেঁচে আছিস কেনো মরে যা না ভাই তাড়াতাড়ি মরে যা”
“ওই আমি মরবো কেন তুই মরবি আয় তোরে এই ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেই আর বাসায় গিয়ে বলি তুই আত্মহত্যা করেছিস”
“ওই শালা আমি মরবো কেন তুই মর যা ভাগ”
“ওই বিল্লি তুই গিয়ে বলতে পারিস না যে তুই এই বিয়েতে রাজি না”
“তোর কি ধারণা এই কথা বললে আমি জীবিত থাকবো আমার ভিলেন মা এইখানেই বটি দিয়ে কুচি কুচি করে কেটে গুম করে দিবে”
“ওয়াউ আন্টি কি ভালো রে “
“ওই খবিস চুপ। তুই যা গিয়ে বল বিয়ে করবি না”
“এই কথা বললে বুঝে রাখ আমি আর বেশি সময় এই দুনিয়া দেখবো না”
“এএএএ ওই তোর মতো ছাগলের সাথে আমার বিয়ে হলে তো আমি শেষ।”
“তোর মতো ছাগলিকে কে বিয়ে করবে? বাই দা ওয়ে তোর না বয়ফ্রেন্ড আছে যা ভেগে যা”
“ওইটার টাকা নাই ভালো জব করে না আর ওইটা তো টাইম পাস করার জন্য পার্মামেন্ট না”
“তাও ঠিক তোর মতো ডায়নীর সাথে কি আর ভালো কেউ আসবে প্রেম করতে”
“তাহলে তুই যা তোর গার্লফ্রেন্ড নিয়ে যা”
“গার্লফ্রেন্ড থাকলে বসে থাকতাম না সত্যিই পালিয়ে যেতাম পরে তিন চার বছর পর বাচ্চা নিয়ে আসতাম সমস্যা এইখানেই শেষ”
“তারমানে বুঝাতে চাচ্ছিস তোর মত গরুর সাথে প্রেম করতে কোনো মেয়েই রাজি না”
“তোকে তো আজ মেরেই ফেলবো”
“আমি কি ছেরে দিবো”
কথাটা বলেই জেরিন আর তন্ময় মারামারি করতে লাগলো আর এই সুযোগে ওদের পরিচয়টা দিয়ে দেই তন্ময় আর জেরিন একই সাথে পাঁচ বছর পড়ালিখা করে একই কোম্পানিতে জব করছে আর ওদের কথা শুনেই তো বুঝতে পারছেন ওদের সম্পর্ক কি রকম। ওরা দুই জন জানতো না যে ওদের দু জনের মা একে অপরের বান্ধবী। ওদের দু জনের বিয়ের কথা চলছে তাই আজ তন্ময় ওর মায়ের সাথে পাত্রী দেখতে এসেছে আর পাত্রীকে দেখে তো তন্ময় আকাশ থেকে পড়লো তেমন জেরিন ও একই অবস্থা ওদের দুইজন কে বলা হয়েছে আলাদা কথা বলার জন্য আর ওরা আলাদা কথা না বলে এসে মারামারি শুরু করে দিছে ওদের মারামারি আর ঝগড়া করা দেখে কাজের মেয়েটি দৌড়ে এসে তন্ময় আর জেরিনের মাকে বললো ওনারা ছাদে এসে ওদের কে ধমক দিয়ে থামালো….
“আম্মু এই পাউল মেয়েকে বিয়ে করবো না এক নম্বরের ঝগড়ুটে”
“ওই তুই পাউল কারেন্টের খাম্বা তোকে কে বিয়ে করবে তোর বউ হবে রাক্ষসী যে তোর টাকা সব শেষ করবে”
“তোর জামাই হবে রাক্ষস। আম্মু এই মেয়ে কিছুতেই আমার বউ হওয়ার যোগ্য না”
“আর এই ছেলে আমার বর হওয়ার যোগ্য না”
“ইহহ কি চেহারার চেহারা কুত্তা দেয় না পাহারা তার আবার যোগ্য বর চাই”
“তোর চেহারায় কুত্তা পাহারা দেয় তাই না যা তাহলে গিয়ে ওই দেখ কুত্তা ওইটাকে গিয়ে বিয়ে কর হারামী”
ওদের দু জনের ঝগড়া দেখে ওদের মায়েরা রেগে গিয়ে বললো “আজকেই তোদের বিয়ে দিবো এক্ষনি কাজী কে ফোন দিয়ে আসতে বলছি” ওরা দু জনেই চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো “নাআআআআআ এই বিয়ে কিছুতেই হতে পারে না” কিন্তু কে শুনে কার কথা ওদের বিয়ে দিয়েই ছাড়লো দুই ফ্যামিলি মিলে বাসর রাত…..
“ওই তুই আমার রুমে কি করছ”
“এইটা আমারও রুম”
“ওই সালাম কর এসে”
“আগে তুই কর সালাম পরে আমি”
“ওই তুই জানিস না জামাই কে আগে সালাম করতে হয়”
“ওলে বাবালে তুই আমার জামাই।আয় জামাই আয় চল গিয়ে শপিং করি আর জানিস তো তোর টাকা সব শেষ করে তোকে দেওলিয়া বানাবো”
“আগে আমার পা টিপ পড়ে দেওলিয়া। ভার্সিটিতে অনেক জ্বালিয়েছিস আজ এর প্রতিশোধ নিবো”
“তুইও কম করছ নাই আমি ও নিবো প্রতিশোধ”
বলেই আবারো ঝগড়া করতে লাগলো ঝগড়া করতে করতে বালিশ ছুড়াছুড়ি করে বালিশের তুলা বের করে ফেললো। ফুল ছিড়ে একটা আরেকটার মাথায় বারী দিতে লাগলো। একটা চুল আরেকটা টানতে লাগলো হটাৎ করেই খাট ধপাস করে শব্দ হলো তখন ও ওরা মারামারি করতে ব্যাস্ত। হটাৎ করেই ওদের মনে হলো ওরা ফ্লোরে বসে বসে ঝগড়া করছে তাই আসে পাশে তাকিয়ে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে জোড়ে জোড়ে হাসতে লাগলো আর বললো “আমাদের এই টম অ্যান্ড জেরির ঝগড়া জীবনেও শেষ হবে না হাহাহা”
গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত