সেদিন শপিং মলে দেখি আমার এক্স তার নতুন গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে শপিং করতে এসেছে। আমাকে হঠাৎ দেখে কিছুটা ইতস্তত বোধ করছিল। আমি বুঝতে পেরে ওর সামনে থেকে চলে যায়।
দূর থেকে দেখলাম বেশ ভালোই আছে।নতুন গফ অনেক সুন্দরি।তার সাথে স্মার্ট ও।বেশ ভালোই মানিয়েছে।শুধু শুধু আমার সাথে কেন থাকবে।এত সুন্দর দেখতে একটা মেয়ে কেউ হাত ছাড়া করতে চায়।ভালোই করেছিল ছেড়ে গিয়ে।একরাশ দুঃখ নিয়ে ফিরে যাচ্ছিলাম।মনে মনে তুই ভালো না ছেলে তুই ভালো না গানটা গাইতে লাগলাম।
হঠাৎ মনে হলো আমি কেন ছ্যাকা খাওয়া গান গাইছি।আমিতো ভালোবেসে ছিলাম।ও আমার যোগ্য ছিল না।আমি তো ছ্যাকা খাইনি। তারপর আবার মনে হলো কষ্টতো আমি একা পায় ও তো পায় না।ও তো দিব্যি ভালো আছে। তারপর ভাবলাম আমি ভালো নাই ওকে ও ভালো থাকতে দিব না।চলে গেলাম আবার ওর সামনে।
আগের মতই গফের জন্য মেকাপের জিনিসপত্র কেনাই ব্যস্ত।আমি ও পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম।আমাকে দেখে আবির তার গফকে বলছে-
-চলো না আমরা অন্য কোথা থেকে কিনি?
-কি বলছো এইখানের মত মেকাপ কির্টস আর কোথায় পাব।তুমি একটু দাঁড়াও না।
.সেও বাধ্য ছেলের মত দাঁড়িয়ে আছে।আর আরচোখে আমাকে দেখছে।
কি ভাবে মেয়েটার সাথে কথা বলবো ভেবে না পেয়ে সজোরে একটা ধাক্কা মারলাম।
-ব্যাপারটা কি দেখে চলতে পারেন না?
-আমি অন্যের বয়ফ্রেন্ডকে দেখি না।
-আমাকেতো দেখতে পেয়েছেন তারপর ও ধাক্কা কেন মারলেন?
-আপনি কে?এতক্ষন দেখিনি এখন দেখছি,মুখে এত কি দিছেন আটার মত সাদা হয়ে আছে।আমিতো ভেবে ছিলাম কোন পুতুলটুতুল শো করে রেখেছে হয়তো।
-কি বলতে চাইছেন?ফ্যাশান বুঝেন এই গুলা আটা না এইগুলাকে মেকাপ বলে।নিজেতো একটা ক্ষ্যাত।
-আমি না ন্যাচারাল।আপনার মত সং না।
রীতিমত দুজনের তুমুল ঝগড়া।লোকজনও জড়ো হয়ে গিছে।সবাই এসে জিজ্ঞাসা করছে কি হয়েছে।আর মেয়েটা অমন্নি ন্যাকা কাঁন্না শুরু করে দিয়েছে।আমি পরিস্থিতি খারাপ দেখে ভীড়ের মধ্য থেকে কেঁটে পড়লাম।দূর থেকে দেখছিলাম কি হয়।সব লোকজন মেয়েটাকে শান্তনা দিয়ে চলে গেল।
মেয়েটা এবার আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে।
-এইভাবে কেন তাকিয়ে আছো।তখনিতো বললাম অন্য কোথাও চলো।
-ওই মেয়েটা আমাকে এত কিছু বললো আর তুমি চুপ করে ছিলে।আমাকে বললো মেনে নিলাম আমার মেকাপ সম্পর্কে বললো তুমি তবুও চুপ করে ছিলে।
-আমি কি বলবো বলো?
-কিছুই বলতে হবে না যা বলার আমি বলছি, আজ থেকে তোর সাথে আমার ব্রেকআপ।আর কখনও আমাকে কল দিবি না।বুঝছিস।
ও….ও…..ওগো শু……নো।যে……যে…..য়……..।
কথা শেষ হয়নি এখনো। মেয়েটা হনহন করতে করতে বেড়িয়ে গেছে।দূর থেকে দাঁড়িয়ে মজা দেখছিলাম।বেঁচারা সম্পূর্ণ কথাটাও বলতে পারলো না তার আগেই মেয়েটা চলে গেলো।
কি শান্তি যে পেলাম তা বলে বোঝাতে পারব না।
মনের সুখে গান গাইতে গাইতে এক্সের সামনে দিয়ে বেঁড়িয়ে গেলাম।
আমি জানি ও এখন আমাকে কিছুই বলতে পারবে না কেননা ও রেগে গেলে কথা বলতে পারে না তুতলে যায়।
ওর সামনে এসে একটু সুর দিয়ে বললাম,
“দেখ কেমন লাগে”