১. কথপোকথোন
‘তোমাকে খুন করাটাই সবকিছু নয়; আমি তোমাকে শাস্তি দিতে চাই।’
তিথির কথায় হেসে উঠে শুভ। পানির গ্লাসে আলতো চুমুক দেয়। এরপর ধীরে খুবই ধীরে বলে,’ আমি যখন যা করেছি তোমাকে ভালবেসে করেছি। যা বলেছো তাই করেছি। উই ইভেন হ্যাভ হ্যাড সেক্স হয়েন ইউ আস্কড ফর। অথচ বেলা শেষে আমি একা হলাম। তুমি নতুন ঠিকানা খুঁজে নিলে। আমি তো ভালোই বেসেছি। তারজন্যেও শাস্তি?’
তিথি এবার আশেপাশে রেস্টুরেন্টের লোকজনদের দিকে তাকালো। নাহ কেউ ওদের দিকে তাকিয়ে নেই। প্রচণ্ড রাগ নিয়ে দাঁত কামড়ে শুভকে বললো,’ তুমি কি যাবে এখান থেকে? রকির আসার সময় হয়ে গেছে৷’
‘ রকি? তোমার সেই ইঞ্জিনিয়ার বয়ফ্রেন্ডটা?’
‘ হুম।’
‘ ওকে যাচ্ছি। তাকে বলে দিয়ো-আ’ম ফিলিং জেলাস।’
শুভ উঠে দাঁড়ায়। তিথি ফিসফিস করে বলে,’ বাটহোল।’
শুভ শুনে ফেলে। আবারো হেসে বলে,’ তোমার বেস্টফ্রেন্ড নিরা আমাকে কি বলেছিলো জানো?’
‘ কি? ‘
‘ আই এম ফাকিং অসাম। খামোখা তোমাকে ভালবেসে সময় নষ্ট করছি। বেচারি! তখন ভেবেছিলাম প্যাঁচ লাগাচ্ছে। এখন বুঝতে পারছি ও আমার ভালো চেয়েছিলো।’
তিথি রেগে মুখ দিয়ে জোরে একটা নিঃশ্বাস ছাড়লো। দাঁত কামড়ে খুব মৃদুস্বরে বললো,’ বিচ।’
শুভ চলে যাবার জন্য ঘুরে দাঁড়ায়। তিথি আবার ডেকে জিজ্ঞেস করে,’ একটা উত্তর দিয়ে যাও।’
শুভ ঘুরে জিজ্ঞেস করে,’ কি?’
‘ তুমি কখনোই কারো সাথে কোন বিষয়ে সম্মতি প্রদান করো না। কিন্তু আমার সব ডিসিশন মেনে নিতে। কেন?’
‘ আই লাভ টু বি ইন অপজিশন। বাট ইউ আর স্পেশাল ওয়ান। তাই আমি সবসময় চেয়েছি তোমার সাথে থাকতে। ‘
শুভ আর দাঁড়ায় না। খানিকটা দূরে আরেকটা টেবিলে গিয়ে বসে। এরপর একটা আঠারো কি উনিশ বছরের মেয়ে এসে বসে শুভর বিপরীতে।
তা দেখে তিথি এসএমএস করে শুভকে,’ কে এই মেয়ে?’
শুভর রিপ্লাই,’ বসের মেয়ে।’
তিথির রিপ্লাই,’ তোমার ছাব্বিশ চলে। সি ইজ টু ইয়াং ফর ইউ। ‘
শুভ পুনরায় রিপ্লাই করে,’ আমি শুভ। বিল্লু ফারেবি না।’
২. দ্যা গার্ল ফ্রম দ্যা ধানমণ্ডি
মহল্লার ভেতর ধর্ষণ প্রতিরোধ ও নারী নিরাপত্তার সেমিনার দেখে শুভর মনটা কেমন যেন খারাপ হয়ে যায়। অনেকটা সেমিনারের প্যান্ডেলের বিষাদ নীলের মতো। ধর্ষকদের কারণে আজ নিজেকে পুরুষ ভাবতেই কেনো যেন ওর খারাপ লাগে।
সেমিনারের প্যান্ডেলটা পাশ কাটিয়ে শুভ এগিয়ে যাচ্ছিলো। এমন সময় পাশ থেকে একটা মেয়েলী কণ্ঠ এসে বললো,’ হাই মিস্টার শুভ।’
শুভ চমকে মুখ তুলে তাকায়। এরপর একটা সৌজন্য হাসি উপহার দিয়ে বলে,’ ও হ্যালো। কি যেনো নাম?’
‘ ইটস সাদিয়া।সবাই আমাকে ধানমণ্ডি গার্ল কেন বলেন?’
‘ সবাই মানে?’
‘ আপনার ফ্রেন্ড সার্কেল।’
‘ ডো’ন্ট ওরি। দে আর নট রেপিস্ট৷ ইউ উইল বি সেফ এমোং দেম।’
‘ গ্রেট। কিন্তু আমাকে ধানমণ্ডি গার্ল বলার কারণ কি? ধানমণ্ডির মেয়েদের প্রতি আপনার ফ্রেন্ডের এতো ফ্যান্টাসি কেন?’
‘ ওরা ড্রাগস এডিক্টেড। ‘
‘ কি?’
‘ ওরা যতোবার গিয়েছে ধানমণ্ডি লেকে; অনেক মেয়েকে দেখেছে গাঁজা টেনে আর কাশির ওষুধ খেয়ে পরে আছে। আমার ফ্রেন্ডরাও ড্রাগস এডিক্টেড। তাই ওরাও চায় ড্রাগস এডিক্টেড গার্লফ্রেন্ড। ‘
‘ ওয়েল। বাট আই হ্যাভন’ট গোট এনি প্রপোজাল ইয়েট।’
‘ সমস্যা হচ্ছে ধানমণ্ডির মেয়েদের মতো ওরা ফেক একসেন্টে বাংলা বলতে পারে না। তাই প্রপোজ করে নি।’
‘ ইউ আর সো মিন।’
শুভ হেসে ফেলে। হেসে বলে,’ এটা আমার না। ওদের ধারণা। আই রেসপেক্ট অল বাংলাদেশী সিটিজেন ইকুয়্যালী।’
‘ স্কিপ ইট। সেমিনার চলছে ওমেন সেফটির উপর। অনেকে ছেলেরাও এসেছে। আপনিও চাইলে জয়েন করতে পারেন।’
শুভ এবার সেমিনারের দিকে তাকায়। তারপর বলে,’ ছেলে না। সব রেপিস্ট এসে জমেছে ওখানে।’
সাদিয়া অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,’ কি বলেন?’
‘ পুরুষ আমি। আরেক পুরুষের চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে পারি তার মনে কি চলছে। আরেক পুরুষের চিবুকে তাকিয়ে বলে দিতে পারি সে কবে শেষবার সেক্স করেছে। ওই যে বক্তৃতা দিচ্ছে সুমন। সে তার তেরো চৌদ্দ বছর বয়সী কাজের মেয়েকে নিয়মিত ধর্ষণ করে।’
‘ আর ইউ আউট অফ ইউর মাইন্ড। সুমন একজন সোস্যাল ওয়ার্কার।’
‘ ওদের বাসার কাজের মেয়েটার নাম তৃণা। দু’বছর আগে যখন আসে এই মহল্লায় তখন আট দশটা বাচ্চার মতোই ছিলো। বয়স তখন কতো হবে? দশ কি এগারো। রোজ বিকেলে রাস্তায় অন্যান্য মেয়েদের সাথে খেলতো। সব সময় হাসিখুশি থাকতো। দু’বছর পর তৃণার শরীর দেখুন। যুবতী হয়ে গেছে। অথচ বয়স সবে তেরো কি চৌদ্দ। তবে সেই হাসিটা আর নেই। সবসময় কেমন যেনো একটা বিষণ্নতার মাঝে থাকে।’
‘ মেয়েদের শরীর একটা নির্দিষ্ট বয়সে বৃদ্ধি পায়। এটা স্বাভাবিক। ‘
‘ আমি গাঁজা খাই ; এর মানে এই না যে-আমি পাগল। স্বাভাবিক আর অস্বাভাবিক এর পার্থক্য বুঝি। আর আমার কথা বাদ দিন। সুমন একজন চৌদ্দ বছরের চেয়ে কম মেয়েকে কাজে এনেছিলো। সে দেশের শিশু শ্রম আইন ভঙ্গ করেছে। আইনত সে একজন ক্রিমিনাল। আর একজন ক্রিমিনালকে দিয়েছেন নারী নিরাপত্তার দায়িত্ব। গ্রেট ওয়ার্ক ম্যাম।’
সাদিয়া একবার সুমনের দিকে তাকাচ্ছে। আরেকবার শুভর দিকে। এরপর বললো,’ সবাই ঠিকই বলে। আপনি সবসময় সবকিছুর বিরোধিতা করেন। ‘
‘ কিন্তু বিরক্ত করি না। বিনা অনুমতিতে রাস্তা বন্ধ করে সেমিনার করছেন। ইমার্জেন্সি হলে ফায়ার সার্ভিস বা এম্বুলেন্স কিভাবে আসবে? মাইকের আওয়াজে শব্দ দূষণ হচ্ছে। বাচ্চাদের পড়তে সমস্যা হচ্ছে। এতো কিছুর পরও আমি কি খারাপ কিছু বলেছি আপনাকে? কারণ আপনারা একটা ভালো কাজ করছেন। বাই। ‘
শুভ পা বাড়ায়। সাদিয়া চেঁচিয়ে বলে,’ আপনাকে সবাই নাস্তিক বলে। আপনি আর আপনার বন্ধুরা ওয়াজ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে মহল্লার মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন। সবাই আপনাদের ঘৃণা করে। এমনকি আপনাদের মা বাবারাও।’
শুভ সাদিয়ার সামনে এসে দাঁড়ায়। প্রচণ্ড রাগে সাদিয়ার গালটা দু’হাতে চেপে ধরে বলে,’ ঠিক এখানেই ওয়াজ হচ্ছিলো। আর এই পাশের বাড়ীর তিন তলায় একজন সনাতনী বিধবা তার আট বছরের মেয়েকে নিয়ে থাকে। আর এখানেই এরকম একটা মঞ্চে বসে একজন লেবাসধারী সনাতনীকে সনাতনী না বলে মালাউন বলেছিলো। ওয়াজের নামে ধর্মের নামে অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপর ঘৃণা প্রকাশ করছিলো। একবার ভাবুন আপনি ওই বিধবা মহিলা। আর আপনার আট বছরের মেয়ে মাইকে ভেসে আসা হেট স্পিচ শুনে আপনাকে জিজ্ঞেস করছে- মা! ওরা আমাদের মালাউন কেন বলছে? বকা দিচ্ছে কেন? কি উত্তর দিবেন আপনি?’
‘ এটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সবকিছুর জন্য আইন আছে।’
শুভ এবার সাদিয়ার গাল ছেড়ে দিয়ে বলে,’ গনতন্ত্র পুঁজিবাদের জন্ম দিয়েছে৷ সংখ্যাগরিষ্ঠদের সমর্থনে কাজ করেছে। সাম্যবাদ বলে গনতন্ত্রে কিছু নেই। ‘
৩. লিটনের চায়ের দোকান
‘ মোদিরে দোষ দিয়া লাভ নাই। মাইনোরিটি যদি দেশদ্রোহী হইয়া যায় তখন ধইরা একটু পিটানো লাগেই।’
খুব সহজেই কথাগুলো বললেন শম্ভু। শুভ পকেট থেকে মোবাইল বের করে সুজনকে কল দিলো। কল রিসিভ হতেই শুভ লাউড স্পিকার অন করে বললো,’ ওই সুজন। আপনার ধর্মের ভাইরা তো সবকিছু জ্বালাইয়া পুড়াইয়া ফেলতাছে।’
‘ আপনি বস মানুষ। তবু কই ভাই। ওইগুলা আমার বালের ভাই। চলেন দুইজনে মিইল্লা ওইখানে যাই। তারপর ধইরা পাছার মধ্যে আগুন লাগাইয়া দেই। তাইলেই সব ঠিক হইয়া যাইবো।’
‘ আচ্ছা ফোন রাখেন।’
কল কেটে দিয়ে শুভ এবার শম্ভুকে বললো,’ শম্ভুদা! আমার এসিস্ট্যান্ট সুজনের সাথে কথা বললাম। ওর ধর্মও হিন্দু। আপনিও হিন্দু। ফারাক এই ও শিক্ষিত।’
‘ তুমি আমার শিক্ষা নিয়া খোচা দিলা?’
‘ আমার এমডি স্যার বলছিলো- শুভ! শিক্ষিত শিক্ষিতই। আর চাওয়লা চাওয়লাই। এক্সেপশনাল দিয়া দুনিয়া চলে না। এই দেখো আওয়ামিলীগরে লোকে বলে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আছে। কিন্তু শেখ হাসিনা পিএইচডি করা মানুষ। আর যাই করুক দেশে কাজ করছে। আর ওই দেখো ইন্ডিয়ায় এক চাওয়ালারে প্রধানমন্ত্রী বানাইছে। এতো বড় দেশটার জিডিপি বাংলাদেশের জিডিপির অর্ধেক করে ফেলছে। কোথায় কমপিটিশন দিবে চায়নার সাথে,এমেরিকার সাথে,ইউরোপের সাথে। এরা কমপিটিশন দেয় পাকিস্তানের সাথে। এমন বোকাচোদা দেশ আর আছে? আমরা এতো ছোট দেশ। আমরাও তো ভারত পাকিস্তানের সাথে নিজেদের কম্পেয়ার করি না। আমরা ইউরোপ এমেরিকার সাথে নিজেদের কম্পেয়ার করি। ওদের মতো নিজেকে ডেভেলপ করার চেষ্টা করি।’
শুম্ভু চায়ের কাপে একটা বড়সড় চুমুক দিয়ে জিজ্ঞেস করলো,’ কি বুঝাইতে চাইলা তুমি?’
‘ বুঝাইতে চাইলাম আপনার কথা শুনা পর এমডি স্যারের কথা সত্যি মনে হচ্ছে।’
শম্ভু এবার রাগে চায়ের কাপ বেঞ্চে রেখে দাঁড়িয়ে গেলো। প্রচণ্ড রাগ নিয়ে শুভকে বললো,’ তোমার স্বভাবই হলো মাইনষের পুটকিতে আঙুল দেয়া। শিক্ষিতের বাল আমার।’
রাগে৷ গজগজ করতে করতে শম্ভু চলে যায়।
এমন সময় সেখানে আসে হাজী আকবর আলী। শুভকে দেখে বলে,’ কি ব্যাপার ভাতিজা। কেমন আছো?’
শুভ উত্তর দেবার আগে নিজেই বললো,’ কেমন আর থাকবা? ভারতে মুসলমানগো উপর যা শুরু হইছে। তোমরা যুবক মানুষ। রক্ত টগবগ করে। বুঝি সবই।’
‘ কাকা আমার রক্ত টগবগ করে শাস্তি দেবার জন্য। খুন করার জন্য না।’
‘ খুন কি শাস্তি না?’
‘ খুন,হত্যা বা মৃত্যুদণ্ড এগুলো কোন শাস্তি না৷ এগুলা মুক্তি। শাস্তি ভিন্ন জিনিস।’
হাজী আকবর আলী লিটনকে এক কাপ চা দিতে বলে শুভকে জিজ্ঞেস করলো,’ যেমন?’
‘ এই যেমন ধরেন বিচির মধ্যে বাটকারা বেঁধে রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখা। ‘
‘ কি বালছাল কও বুঝি না। আর বুইঝাই কি করুম? দেশটা কি আর দেশ আছে? পাকিস্তান আমলেই ভালো ছিলাম।’
‘ পাকিস্তান আমলে কারেন্ট ছিলো?’
‘ না।’
‘ এতো রাস্তাঘাট আর স্কুল কলেজ ছিলো?’
‘ না।’
‘ তাইলে কেমতে ভালো ছিলো?’
‘ তখন দেশটা মুসলমানগো ছিলো।’
‘ এর লেইগাই একাত্তুরে আপনার পাকিস্তানি মুসলিম ভাইয়েরা আপনার মা বোইনের ইজ্জত মারছে।’
আকবর আলী বেশ ঠান্ডা স্বরে বলে,’ এইডি মিছা কথা। ‘
শুভ দাঁত কামড়ে বলে,’ আপনারে চাচা উল্টা কইরা ঝুলাইয়া আপনার জিহ্বার লগে বাটখারা বেধেঁ ঝুলাইয়া দিতে মন চাইতাছে।’
লিটন এবার কথার মাঝে ঢুকে পরলো। শুভকে বললো,’ শুভ! ভাইগ্না তুমি কি শুরু করছো? যে যাই কয় তার উল্টাটা কও তুমি।’
‘ তুমি লেউড়া কথা কইয়ো না। চা বেচার কাম চা বেচো।’
হাজী আকবর আলী এবার শুভকে বলে,’ তোমার বাপে আমারে সম্মান দিয়া কথা কইতো শুভ। আর তুমি হইছো একটা বেয়াদব। ‘
শুভর আবার ঠোঁটকাটা উত্তর,’ চাচা! আমার বাপে বোকাচোদা ছিলো। আমি না। এই যে পাকিস্তান পাকিস্তান করেন। পাকিস্তানের জন্ম দিছে কারা? বাঙালীরা। দেশভাগের আন্দোলন করছে বাঙালীরা। পাকিস্তানের মুসলিমরা হিন্দু-মুসলিম দাঙা নিয়াই ব্যস্ত ছিলো। জিন্নাহরে জাতির পিতা বাঙালীরাই বানাইছিলো। পয়ষট্টিতে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে এক মিনিটে ভারতের পাঁচটা যুদ্ধবিমান ধ্বংস করছিলো কমান্ডার আলম। সেও বাঙালী ছিলো।’
হাজী আকবর আলীও রেগে উঠে যান। শুভকে কিছু না বলে লিটনকে ধমক দিয়ে বলে,’ তোর দোকানেই আর আমু না হারামজাদা।’
হাজী আকবর আলীও চলে যান।
এবার লিটন শুভকে জিজ্ঞেস করে,’ ভাইগ্না! তুমি আসলে চাওটা কি? সবার বিরুদ্ধে গিয়া লাভ কি?’
শুভ হাসতে হাসতে বলে,’ অপজিশন ছাড়া দেশ চলে না। তখন সবকিছু স্বৈরতন্ত্র হয়ে যায়।’
লিটন জবাব দেয়,’ এতো কিছু বুঝি না। আমি চাওয়ালা চা বেঁচি। তোমরা শিক্ষিত মানুষ তোমরা দেশ নিয়া ভাবো।’
শুভ হাসে। হেসে বলে,’ আর কোনদিন খালি কইয়ো তোমার বাকীর হিসাব টাইনা দিতে। ওইদিন বুঝামু।’