ঘুমের ঘোরে কোলবালিশটাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। লেপের ভেতরে উষ্ণ শরীরে ঘুমিয়ে থাকতে ভালই লাগছে। কিছুক্ষণ পরে বুঝতে পারলাম কোলবালিশ নড়াচড়া করছে! কোলবালিশ তো নড়াচড়া করে না। কাহিনি কি! চোখ খুলে দেখলাম এটা কোলবালিশ না! একটা মেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে রাখছে। ভাল করে দেখে বুঝলাম এটা আমার বউ। কালকে আমার বিয়ে হয়েছে!
চোখ খুলে বুঝলাম সকাল হয়ে গিয়েছে। দরজায় ধাক্কা শুনে ঘুম ভেঙে গিয়েছে। আভার দিকে তাকালাম। এখনো ঘুমাচ্ছে। ঘুমানোর সময় মানুষকে সবচেয়ে নিষ্পাপ লাগে। ওর মুখে রাজ্যের সব সৌন্দর্য এসে ভিড় করেছে। তাকে জাগানোর ইচ্ছা হচ্ছে না। কিন্তু দরজায় শব্দের কারনে বেশিক্ষণ ওকে দেখতে পারলাম না। তাকানোর সাথে সাথে আমার চোখে চোখ পরল। মুচকি হেসে বলল
-শুভ সকাল।
-শুভ সকাল।
-তুমি শুয়ে থাক। আমি দরজা খুলে দিচ্ছি।
আভা বিছানা ছেড়ে উঠে শাড়ি ঠিক করল। রাতে নিজেই ওর কুচি ঠিক করে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন সেটা নেই। আমি লেপের মধ্যে শুয়ে ওইএ দেখছি। দরজা খুলে দিতেই দুই ভাবি ভেতরে ঢুকল। আমার আপন কোন ভাবি নেই। তবে ফুপাত, মামাত ভাবি আছে কয়েকটা। দুইজন ভাবি বিছানার কাছে এসে বলল
-দেবর! এখনো ঘুমাচ্ছ!
-হুম। ঘুমাতে দাও।
-রাতে অনেক ধকল গিয়েছে। তুমি ঘুমাও।
কথা শেষ করেই হেসে উঠল। আরেক ভাবি তার সাথে তাল মিলিয়ে হাসতে থাকল। চোখ খুলে আভার দিকে তাকালাম। সে কিছুটা লজ্জা পেয়েছে।
-একি! তুমি দাঁড়িয়ে কেন! এখানে বস।
আভা বিছানায় বসল। ভাবি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল
-তুমি শাড়ি পড়তে পার!
-না।
-তাহলে রাতে কিভাবে পড়েছিলে!
-ও পড়িয়ে দিয়েছিল।
আভা মাথা নিচু করে আছে। নতুন মানুষের সামনে লজ্জা পাওয়া স্বাভাবিক। ভাবি আমাকে খোঁচা মেরে বলল
-একি দেবর! এখনি শাড়ি করে দিতে শুরু করেছ! এখন তাহলে তুমি পড়িয়ে দিবে নাকি আমরা!
পাশ থেকে অন্য ভাবি বলল
-আরে নাহ। এখন সে পারবে না। চলো আমরা পড়িয়ে দেই।
দুই ভাবি আভাকে সাথে নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকল। সে এখনো ফ্রেশ হয়নি। যাওয়ার আগে ব্রাশ নিয়ে গেল। আমি শুধুই চুপচাপ শুয়ে আছি। এখন আমাকে ঘুম থেকে উঠে পড়া উচিত। ফ্রেশ হয়ে বাইরে যাওয়া লাগবে। লেপ ছেড়ে উঠে লুঙ্গি ঠিক করে পড়লাম। গায়ে একটা চাদর জড়িয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে আসলাম।
-এতক্ষণে উঠলি! আমি তো ভাবছিলাম তুই উঠবি না আজ।
পিছনে তাকিয়ে দেখলাম, আমার ছোট চাচাত ভাই তাকিয়ে আছে। মুচকি মুচকি হাসছে। ওকে কাছে ডেকে বললাম
-উঠব না কেন!
-নতুন বউ পেলে কেউ কি উঠতে চায়! ????