ঝগড়াটে ভালোবাসা পর্ব-২

ঝগড়াটে ভালোবাসা পর্ব-২

মেহেরাজ আর অবনী বাসা থেকে বের হয়ে যায়।আর মেহেরাজের বাইক থাকায় বাইকে করে কলেজে চলে আসে। আর পরীক্ষায় এটেন্ট করে।
১ঘন্টা পর পরীক্ষা শেষ করে হল থেকে দু’জনেই বেরিয়ে আসে।

অবনী:—মেহেরাজ চল তো ফুচকা খাবো।☺☺

মেহেরাজ:—তুই গিয়ে তোর ফুচকা খা আমি যেতে পারবো না। 😏😏

অবনী:—তার মানে তুই যাবি না তাই তো?😒😒

মেহেরাজ:— কেনো তুই কি কানে কম শুনছ নাকি? যা আবার বললাম আমি পারবো না যেতে তুই নিজে যা।😒😒

অবনী:—আচ্ছা তুই যাবি না তো ফুচকা খেতে নিয়ে যেতে।
ওকে তোর আমাকে নিয়ে যেতে হবে না।
আমি এক কাজ করি আন্টিকে কল করে বলি যে তুই আমাকে তোর সাথে বাসায় নিয়ে যাবি না বলছচ।😎😎

মেহেরাজ:—এই কি কছ তুই আমি তোরে কখন বলছি যে তোরে বাসায় আমার সাথে নিয়ে যাবো না।
আমি তো তোরে বলছি ফুচকা খেতে নিয়ে যেতে পারবো না। 😱😱

অবনী:—ঐ একই কথা আন্টি তো আর জানে না যে তুই আমাকে কোথায় নিয়ে যাবি না বলছচ।
আর তুই তো জানছ আমি আন্টিকে যা বলবো আন্টি আমার কথা শুনবে আর তুই কিছু বললে তা শুনবে না।
আর তারপর তোর অবস্থা কি হবে তা কি তুই ভেবে দেখেছিস।
এখন তুই বল যে আমাকে নিয়ে যাবি কি না।😒😒

মেহেরাজ:—না আমি যাবো না তুই বললেই কি হবে নাকি তুই গিয়ে খা যা।😏😏

অবনী:—আচ্ছা ঠিক আছে তোকে কোথাও যেতে হবে না আমি আন্টির কাছে কল দিচ্ছি (এই বলে ফোনটা ব্যাগ থেকে বের করলাম)😒😒

মেহেরাজ:—আরে আরে অবু বাবুনি আমার আমি তো শুধু তোমার সাথে মজা করতেছিলাম।
তুমি বলছো আর আমি কি আর না গিয়ে উপায় আছে বলো।
চলো তোমাকে ফুচকা খেতে নিয়ে যাই।😞😞

অবনী:—থাক না থাক বাবু তোমাকে আর কষ্ট করে আমাকে নিয়ে যেতে হবে না আমি আন্টিকে কল করি শুধু। 😊😊

মেহেরাজ:— না রে ভুলেও এই কাজ করিছ না।
আম্মু তবে বাসায় গেলে আমার কানটা ছিরে নিবে।
আর তা দেখবে না আসলেই আমি কিছু করছি কি না।
তোর কথা আর কান্না দেখেই আমার বারোটা বাজাবে।
তার চাইতে ভালো তোকে নিয়ে যাই আর আমার সাদের কানটারে বাঁচাই। 😩😩

অবনী:—এতোটাই যদি কানের মায়া থাকে তবে কেনো আগে আমার কথা শুনছ না।
তুই তো যাবছ আমি কি করবো আমার কথা না শুনলে তবে কেনো যে তুই এমনটা করিস বল তো আমি না কিছুই বুঝি না।😒😒

মেহেরাজ:— তোকে আর কিছুই বুঝবে হবে না এবার চল।😪😪

অবনী:— আচ্ছা চল যাই।☺☺

অবনী মেহেরাজের বাইকের পিছনে উঠে বসে আর মেহেরাজ অবনীকে ফুচকা খেতে নিয়ে যায় অবনীর পছন্দের জায়গায়।
ছোট থেকে দু’জনে এক সাথে বড় হয়েছে তার জন্যে মেহেরাজ অবনী সব পছন্দ অপছন্দের কথা জানে।
মেহেরাজ বাইকটা ফুচকার দোকানের সামনে এনে থামায়।

অবনী:—মামা কেমন আছেন আপনি?😊😊

ফুচকাওয়ালা:—এই তো মা তোমগো দোয়াতে ভালাই আছি।তুমি কেমন আছো মা?😊😊

অবনী:—এই তো মামা ভালো আছি। মামা দুই প্লেট ফুচকা দিয়েন।😊😊

ফুচকাওয়ালা:—আচ্ছা মা তুমি বসো আমি দিতাছি।😊😊

মেহেরাজ:—ঐ তুই মানুষ একজন তুই দুই প্লেট কেনো দিতে কইছচ।😕😕

অবনী:—আমার ইচ্ছে হইছে তাই খামু আমি তাতে তোর কি রে?😏😏

মেহেরাজ:—আমার কিছু না তোর যতো ইচ্ছে খা তাতে আমার কি দরকার হলে ফুচকা দোকানটা নিয়ে খা।

ফুচকাওয়ালা:— এই নেও মা তোমার ফুচকা।

অবনী ফুচকা নিয়ে খেতে শুরু করে।

অবনী:—(ফুচকা মুখে দিয়ে)মামা তোমার হাতের ফুচকাটা যা হয় না👌 যার স্বাদ অন্য কিছুতে নেই।মেহেরাজ নে খাবি একটা? 😋😋

মেহেরাজ:— না আমার খেতে হবে না তুই খা এসব আমি খাইনা।

অবনী:—তোকে খেতে হবে না যা।

(খাওয়া শেষ করে)

অবনী:—নে খাওয়া শেষ এখন তুই ফুচকার বিল দে।

মেহেরাজ:—তোর বিল আমি কেন দিমু?খাইলি তুই আর বিল কেন আমি দিমু?

অবনী:—তুই বিল দিবি নাকি আমি আন্টিকে কল দিমু?😡😡

মেহেরাজ:—এই তুই সারাদিন আন্টি আন্টি করছ কেনো?
খালি তুই কিছু কইলেই আম্মুকে কেন কইতে হইবো?আমি তো এমনিতে কইলাম।😪😪

অবনী:—ও আচ্ছা তাই না!!!

মেহেরাজ:—হুম তাই তো!! এই নে টাকা।এবার চল।

অবনী ফুচকা বিল দিয়ে মেহেরাজের বাইকে উঠে।
আর অবনীকে নিয়ে অবনীর বাসায় চলে আসে।
মেহেরাজ অবনী বাসায় এসে অবনীর আম্মুকে ডাকতে থাকে।

মেহেরাজ:—আন্টি ও আন্টি কই তুমি।
তোমার ছেলে তোমাকে ডাকতেছে যেখানে আছো তাড়াতাড়ি চলে আসো।😔😔

অবনী:—এই তুই আম্মুকে কেনো ডাকছ?কি করবি তুই আম্মুকে দিয়ে😒😒

মেহেরাজ:—আমি আন্টিকে ডাকি আর কেনো ডাকি তা কি আমার তোরে কইতে হইবো?
আন্টি কই তুমি।

অবনী আম্মু:—কি রে কি হইছে এই তো আমি। কেমন আছিস বল?

মেহেরাজ:—আর কেমন থাকি বলো তোমার মেয়ে সারাক্ষণ শুধু শুধু মিথ্যা কথা বলে আমাকে আম্মুর হাতে মাইর বকা সব খাওয়ায়।

অবনী:—ঐ কি কছ তুই এগুলো কখন মাইর খাওয়াইলাম আমি তোরে?
আম্মু বিশ্বাস করো আমি আন্টিকে কিছু বলি নাই।মেহেরাজ তোমাকে মিথ্যা কথা বলতেছে।

অবনী আম্মু:—তোকে আর কিছু বলতে হবে না আমি তোরে হারে হারে চিনি।
তুই আমার ছেলেটাকে শুধু শুধু মিথ্যা কথা বলে বকা খাওয়াছ।
আর একটা কথাও বলবি না তুই যা এখন এখান থেকে।
মেহেরাজ তুই তো এখনো কিছু খাছ নাই।
তুই হাত মুখ ধুয়ে খাবার টেবিলে আয় আমি খাবার আনছি।😓😓

মেহেরাজ:—আচ্ছা আন্টি।

এই বলে অবনী আম্মু চলে যায়।
আর মেহেরাজ অবনীর কানে কানে বলতে থাকেঅবু তুই যেমন সারাদিন আমাকে বকা শুনাছ এটা হলো তার প্রতিশোধ তুই তো জানছ আন্টি আমার কথা বিশ্বাস করবে আর তার জন্যে আমার নামে কিছু বলে তোর কোনো লাভ হবে না আন্টির কাছে।😁😁

অবনী:—মেহেরাজের বাচ্চা তোকে তো আমি আজ মাইটাই ফেলমু।😡😡

মেহেরাজ:—আন্টি কই গো তুমি দেখো অবনী আমাকে মারতেছে আজ তোমার ছেলেকে মাইরাই ফেলবে।আন্টি কই গো তুমি।😞😞

অবনী:—(মেহেরাজের মুখ চেপে ধরে) আরে আরে কী করছ তুই মেহেরাজ তুই না ভালো চুপ কর কিছু করমু না আমি তোরে।😖😖

মেহেরাজ:— আচ্ছা যা এবারের মতো ক্ষমা করে দিলাম। আর ভুলেও এমন কাজ করিছ না তখন সত্যি আন্টি কে কমু।😒😒

অবনী:—আরে না আমি কিছুই তো করমু না😤😤

আগের পর্ব:

ঝগড়াটে ভালোবাসা পর্ব-১

পরের পর্ব :
ঝগড়াটে ভালোবাসা পর্ব-৩
ঝগড়াটে ভালোবাসা পর্ব-৪

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত