অতঃপর কোনো এক বৃষ্টির দিনে শাশুড়ি আম্মাকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে বলবো, “আম্মা চলেন,লুডু খেলি!” ভ্রু কুঁচকে শাশুড়ি উত্তর দিবেন,, ” লুডু খেলি মানে? এখন রান্না বসাতে হবে না?”
আমার উত্তর,, “আজ আপনার ছেলে আর আব্বা রান্না করবে” বিস্ময়ে চোখ বড় বড় করে শাশুড়ি বলবেন,, “বলো কি? তারা কেনো রান্না করবে?” “আমরা তো প্রতিদিনই রান্না করি, আজ তো ওনাদের ছুটি তাই ভাবলাম ওনারা করুক” হঠাৎই গম্ভীরভাবে আমার শশুরের আগমন হবে।গলার স্বর রুক্ষতায় পরিপূর্ন করে বলবেন,, “কি নিয়ে কথা হচ্ছে এখানে? শাশুড়ি আমার এবার ভয়ে অজ্ঞান হবে প্রায়,এই মেয়ে কি না কি বলে ফেলে ভেবে। মাথায় কাপড়টা ঠিকঠাক আছে কিনা যাচাই করে,আমি শশুরের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলবে “আব্বা,বাইরে তো বৃষ্টি,আসেন আমরা সবাই মিলে লুডু খেলি।”
শাশুড়ি আমার জ্ঞান হারাবেন প্রায়,এমতাবস্থায় শশুর বলবেন,, “মন্দ বলোনি,সে অনেক দিন আগে এরকম মজা হতো বৃষ্টির দিনে,এখন আর হয় না” একের পর এক বিস্ময় কাটিয়ে উঠতে পারবেন না আমার শাশুড়ি। কোথা থেকে আমার বরটা এসে বলবে,, “আমি কি বাদ যাবো নাকি?” আমি বলবো,,”আরে না না,,এসো তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম” শাশুড়ি আমার কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলবেন,,”রান্নার কি হবে?” শশুর আব্বা বলবেন,,”সে হবে ক্ষন” লুডু খেলায় আমি বরকে চিমটি কেটে বুঝিয়ে দেবো যেনো আম্মা,আব্বা জিতে যায়।জেতার পর তারা দু’জনেই খুশি।আমি বলবো,,”আম্মা একটু অপেক্ষা করেন,,আমি খিচুরি আর ইলিশ মাছ নিয়ে আসি” অবাক চোখে শাশুড়ি বলবেন,,”সে কি? রান্না করলে কখন?”
আমার উত্তর,, “আপনি ঘুম থেকে ওঠার আগেই” উচ্চস্বরে আমার শশুর হেসে বলবেন,,”মেয়েটার গুন আছে বলতে হয়” খাবার পরিবেশন করে,,সবাইকে খেতে ডাকবো আমি।খেতে খেতে এক পর্যায়ে একটু আদিক্ষেতা নিয়ে বলবো,,”কতদিন মায়ের হাতে খাবার খাই না” শাশুড়ি মৃদু হেসে বলবেন,,”ঢং” “নে হা কর” পাশ থেকে আমার বর বলবে,,”এ আমি কি দেখছি? এতোদিনে তো নিজের ছেলেকে এভাবে খাওয়ালে না কখনও” শাশুড়ি হেসে বলবেন,,”বাচ্চা হয়ে গেছিস নাকি তোরা?” এভাবেই খুঁনসুঁটি চলতে থাকবে।শাশুড়ি মা বকলে শশুর আব্বাকে বলে দিবো,,আমার বর বকলে শাশুড়ি আম্মাকে বলে দিবো।এভাবেই চলতে চলতে একটা সুখি পরিবার গড়ে তুলবো।
গল্পের বিষয়:
গল্প