কালো কাঁচ লাগানো একটা গাড়ি ছুটছে শহরের পূর্ব দিকে। চব্বিশ পঁচিশ বছরের একটি ছেলের মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা। তাকে গাড়ীর ফ্লোরে শুইয়ে কপালে চাইনিজ পিস্তল ধরে বসে আছে দুজন লোক। চিৎকার করে পথের মধ্য ঝামেলা বাঁধানোর কোন সুযোগ নেই। একজন লোক ঘনঘন ঘড়ি দেখে ড্রাইভারকে বলছে জোরে চালাতে। ঢাকা শহরে গাড়ি কি ইচ্ছে করলেই জোরে যেতে পারে। ফাঁকা না পেলে জোরাজুরি হবে কোত্থেকে। তবুও যেমন করেই হোক সকাল এগারোটার কিছু পর দোতলা একটা বাড়ির গেট দিয়ে ঢুকে পড়ল গাড়িটি। যে বাড়ির ভেতর ঢুকল তার দেয়ালে কারখানার সাইনবোর্ড লাগানো। আশেপাশে সাধারণ লোকজন নেই, নেই কোন কর্মচারী। শুধু পাঁচ ছয়টা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে বাইরে।
বাঁধন খুলে ছেলেটিকে নিয়ে আসা হল বসার রুমে। বিরাট রুম বটে, পুরোটাই এয়্যারকন্ডিশন বাতাসের দখলে। ভারি ভারি পর্দা ঝুলছে, বড় একটা পেইন্টিং পেছনের দেয়াল জুড়ে। বেশ কিছু লোক ছিল, ছেলেটি আসার সাথে সাথে ওরা অন্যদিকে চলে গেল। যেন নিজস্ব কিছু জরুরী কাজ আছে তাদের। শুধু থাকল জ্বলজ্বলে চোখ নিয়ে তাকানো একটি মেয়ে, যার খুব কাছ থেকে মেহেদি পাতার গন্ধ ছুটেছে। আর রয়েছে কিছু পাহারাদার।
শাড়ির আঁচলে মুখ চেপে মেয়েটি এমন করে কাঁদছে যেন তার কান্নার শব্দ কেউ শুনতে পেলে মহা হুলস্থূল বেঁধে যাবে। অনেক দিন পর নির্মল একটা হাসি ফুটে উঠল ছেলেটির মুখে। সে প্রচণ্ড শক্তি পেল সমস্ত শরীরে এবং ভাবতে শুরু করল কিছুই হয় নি তার। শেষ দেখার পর আজই যেন পরবর্তী দেখা সাক্ষাত হবার কথা। এই ছেলের নাম পলাশ যদিও তার অন্য একটি নাম আছে। পলাশই প্রথম কথা শুরু করল।
এভাবে ডেকে আনলে কেন। ওখানেই ভাল ছিলাম।
ঘরের চারিদিকে অনেক নীরবতা। এতক্ষণে বোঝা গেল এসির শব্দ। ঘটঘট শব্দের ভেতর দিয়েও মেয়েটির কান্না শোনা যাচ্ছে। পলাশ দাঁড়াবার চেষ্টা করেও বসে পড়ল। ওর কাছে যেতে চাইল না শুধু মাথা উঁচিয়ে বলল,
যেখানে ছিলাম তার নাম জানি না। তবে জংলা পরিষ্কার করা ছোট্ট একটা উঠান ছিল। ঘন গাছপালার ফাঁক দিয়ে সকালের সূর্যের আলো আসতো। মাথার ওপর চাল ছিল না, ছিল শুকনো পাতার ছায়া।
বৃষ্টির দানাগুলো গড়িয়ে গড়িয়ে লুকাতো আমার শরীরের আনাচেকানাচে। সব কিছু মিলিয়ে মন খারাপ হবার কিছু ছিল না। এই বলেই সে কিছুটা হাসতে চেষ্টা করল। ফিকে সেই হাসি থামিয়ে বলল,
একটি মেয়ে কাক আর আমি সারাক্ষণ মুখোমুখি বসে থাকতাম। সে চলে গেলে আমি একা, সে ফিরে এলে আমরা দুজন হতাম।
এতটুকু বলে চোখ তুলে মেয়েটিকে দেখে নিলো। এরপর তাকাল পাহারাদারদের দিকে।
ভুলেই গিয়েছিলাম আমারও একটা মানুষ মেয়ে ছিল। আমি তাকে পাগলের মত ভালবাসতাম।
কাউকে ভালবাসলে তাকে নিজের দেয়া নাম ধরে ডাকা আমার ছোট বেলার অভ্যাস।
ভালবেসে তোমার নাম রেখেছিলাম ‘শাপলা ফুল’। মেয়ে কাকটার নাম দিলাম ‘টিনের চাল’।
তুমি কিছু বলছ না কেন। একবারও জানতে চাইলে না তিন মাস পালিয়ে থাকার গল্প। অথবা তার সংক্ষিপ্ত অংশ।
যারা এখানে নিয়ে এলো তারা বলেছিল কোন কথা বলা যাবে না। সম্পূর্ণ নিষেধ। তুমিও নাকি কোন কথা বলবে না সেরকম একটা কথা দিয়েছ তোমার বাবাকে।
দেখ, আমি কথা ভঙ্গ করেছি।
তুমি কি শুধু চোখ দিয়েই কথা বলবে।
চোখের ভাষাটাও দেখি অন্য রকম। চোখ তোমার কিন্তু দৃষ্টি অচেনা।
এবার ওর কান্না কম এবং এসি’র শব্দ বেশি মনে হল।
তোমার বড় ভাই একদিন বলেছিল রাস্তার দিকে তাকালে চোখ তুলে নেবে। ভালই করেছ তারপর থেকে বারান্দায় না গিয়ে। যার বাবা গড ফাদার, যার সবগুলো ভাই গড ব্রাদার তারা যে কি কাণ্ড করতে পারে সে কথা কারো অজানা নয়।
গড ফাদারদের নাম অনেক শুনেছি কিন্তু এমন গড ফাদার কোন দিন দেখে নি কেউ। লোহার শিকল দিয়ে নিজেদের পা আটকে রাখা মুক্ত মানুষ এরা। পুলিশের ভয়ে যারা দৌড়ে পালায় তারা শিয়াল কুকুর, গড ফাদার বৃষ্টির মত গুলির নিচে বুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, তবেই না লোকে তাকে ইজ্জৎ করবে। বাহ কি সাংঘাতিক জীবন দর্শন তোমাদের পরিবারের। নিজে তো বটেই দলের সব লোকদেরও শিকল পড়তে উৎসাহ দিয়েছেন তোমার বাবা।
ভাগ্যিস জন্মের পর তোমার চোখে শিকল পরিয়ে রাখে নি।
টিনের চালের চোখ দুটোও বেশ সুন্দর। কিন্তু সে শুধু বোকার মত চেয়ে থাকে। দেখতে দেখতে কদিনের মধ্যে টিনের চালের উপর ভীষণ নির্ভরশীল হয়ে গেছি। ভাবতে শুরু করেছিলাম আমিও যেন ওর মত একটা কাক। শুধুই পালিয়ে যাবার ভয়। জীবনটাকে মনে হয় নর্দমার জীবন। পিঠের বড় ক্ষতটা এখনো দগদগ করছে। দেখবে! না থাক। হুকুমী মার মেরেছিল। পাঁচ মিশেলি মার, শরীর তো পচবেই।
কতক্ষণে যে চেয়ার ছেড়ে মেয়েটির কাছে এসে কথা বলছে পলাশ সে কথা ও বলতে পারবে না। তাদের এই কাছে আসাকে মেনে নিলো পাহারাদারদের নেতা।
মনে পড়ে, বাণিজ্য মেলায় তোমাকে যেদিন প্রথম দেখেছিলাম সেদিনও তোমার সাথে চারজন পাহারাদার ছিল। ঠিক এই চারজনের মত। যেন তুমি বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক সব সময় নজরে রাখতে হয়। তোমাকে বলেছিলাম পাহারাদারের মধ্যে শাপলা ফুলের মত ভিজে আছ কেন, কার মেয়ে গো?
মনসুর, সেজান, রনি বলেছিল তুমি গড কন্যা। কাছে যেতে বারণ করেছিল।
ভারি বয়েই গেছে আমার। প্রথম দেখাতেই ভালবেসে ফেলেছি, ভয় পেলে কি শাপলা তোলা যায়।
আমার কথা শুনে তুমি চোখ তুলে তাকালে। আরো কাছে গিয়ে বললাম;
‘এই যে শাপলা ফুল, ব্রেন ভাল হলে একটা গ্রামীণ নম্বর মুখস্থ করে ফেল।
শূন্য এক সাত, পাশাপাশি কবুতরের মত দুটো দুই। এরপর চিনাবাদামের মত একটা আট। অর্থাৎ শূন্য এক সাত দুই দুই আট। তারপর তিন ছক্কা। আর কিছু বলা সম্ভব হয় নি। একজন পাহারাদার কাছে এসে জিজ্ঞেস করল
‘এই তুমি কে’?
আমি উত্তর দিলাম বাংলাদেশ।
‘মানে কি’।
ওকে উলটো প্রশ্ন করলাম, বলেন তো দেখি কোন দেশের জাতীয় ফুল শাপলা?
লোকটি স্কুল বালকের মত বলল ‘বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা’।
তাহলে আমি সেই বাংলাদেশ। আর আমার ভেতর গেঁথে গেছে একটা শাপলা ফুল।
আশ্চর্য কি জান, গড ফাদারের পাহারাদার প্রেমিক মনে ভয় ঢুকাতে ব্যর্থ হল। বুঝে নিলাম মানুষ মানুষে যুদ্ধ হবে। রাজকন্যাকে তুলে আনা মোটেই অসম্ভব না। শুধু দরকার সময়ের ডিঙ্গা।
গড কন্যা হলে কি হবে তোমার স্মরণশক্তি অনেক ভাল। মাস্টারদের মত নম্বর মুখস্থ করে আমাকে ফোন করলে। অবশ্য উনিশ বার চেষ্টার পর সঠিক নম্বর পেয়েছিলে। বলেছিলে ‘এত সাহসী ছেলে আজকাল দেখা যায় না। তাই জানার আগ্রহ হল তুমি কে’। তারপর এক এক করে গড়িয়ে গেল দু’বছর দশ মাস এগারো দিন। ষোল দিনের মাথায় আমি কিডন্যাপ হলাম।
কিডন্যাপ করে টর্চার সেলে নিয়ে গেলেও কেউ শরীরে হাত দেয় নি। একটা ফোনের অপেক্ষায় ছিল সবাই। এর মধ্যে এক কাপ চা খেতে দিল। তারপর এলো পুলিশের গাড়ি। তারাও কিছু বলল না, এমন কি নাম ঠিকানাও জিজ্ঞেস করল না। জানা কথা কেন জিজ্ঞেস করবে বল। কিছুক্ষণ পর এলো সেই কাঙ্ক্ষিত ফোন। তোমার বড় ভাই, মানে গড ফাদারের বড় ছেলের ফোন যেন যাদুর কাঠি। সবগুলো পুলিশ ভয়ে অস্থির। আমার ছবি তুলে তাকে টেক্সট করা হল। ছবি দেখে সে বলল থানায় নিয়ে যেতে। আরো বলল ‘পাগল মানুষ, থেরাপি লাগবে’।
তারপর থেকে থেরাপি আর থেরাপি। শরীরে আর ধরে না। গরম পানি, ঠাণ্ডা বরফ। বাঁশ চাপা, আগুনের শলা। সব কিছু দিয়ে শরীরের চামড়া পরীক্ষা করেছে।
তিন দিন পর আমার ঝুলে থাকা শরীর একটা ডোবার কাছে ফেলে রেখে চলে গেল ওরা। সেদিন থেকেই টিনের চালের সাথে আমার পরিচয়। সে-ই প্রথম আমাকে দেখেছিল। তারপর চিৎকার করে ডেকে এনেছিল সঙ্গী সাথীদের। এতোগুলো কাক একসাথে চিৎকার করলে কি বুঝতে অসুবিধা হয় নতুন লাশ এসেছে গ্রামে।
আমি কিন্তু তখনো মানুষ, একটু পরে লাশ হবার কথা ছিল। ছাগল পুলিশ থানায় নিয়ে গেল। পাগল পুলিশ করলো পাগলামি। বোকা পুলিশ ভাবল আমি মরে গেছি। চালাক পুলিশ বলল ফেলে দিয়ে আসি। দেখ, সেই চালাক পুলিশের জন্য আজো বেঁচে আছি।
জীবন প্রদীপ জ্বালিয়ে দিয়ে গ্রামের মানুষগুলো একটা গরুর গাড়িতে করে অনেক দূরে নিয়ে এলো। কেউ যেন দেখতে না পারে সেজন্য কলার স্তুপের মাঝে আমাকে লুকিয়ে রেখেছিল। গ্রাম্য একটা হাট, সেখান থেকে গভীর জংগল পার হয়ে সাধুবাবার ঘাট। গরুর গাড়ি সেখানে এসে থামল।
জংগলের এক কোনায় ছোট্ট একটা ঘর, দশ হাত চওড়া উঠান, বাকীটা শুধুই সবুজ। সেটাই ছিল পলাতক পৃথিবী। সাধু বাবা বলেছিলেন কাক পক্ষীও জানতে পারবে না। পক্ষীরা জানে নাই ঠিকই কিন্তু মনে হয় টিনের চাল প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। উঠানে এলেই দেখতাম টিনের চাল অপেক্ষা করছে। আমাকে দেখা মাত্র উড়ে এসে ঘাড়ে চড়ত। শক্ত ঠোট দিয়ে ঘষাঘষি করত। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম। শরীরের মাংসগুলো খুলে পড়ার অবস্থা, যদি ঠোকর দেয়। অথচ সে-ই উলটো আমার জন্য বিস্কুট রুটি এমন কি মরা ইঁদুরও নিয়ে আসতো। প্রায়ই টিনের চালের কানে কানে বলতাম একটা ফোন এনে দিতে পারবে? বুঝতাম না টিনের চাল কি অক্ষমতার জন্য লজ্জা পেত নাকি তোমাকে হিংসে করত।
আবারো হেসে দিল ছেলেটি।
ভাবছো এতো কিছুর পরও আমি কি ভাবে বকবক করে যাচ্ছি। ছোটবেলা থেকেই আমি কথার পাগল। কথা না বলতে পারলে শরীরটা ঠাণ্ডা হয়ে যায়।
শাপলা ফুল, তুমি কাশি দিলে কেন। মনে হচ্ছে গলা পরিষ্কার করে আমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছো?
আগে চোখ মোছ, কিছু একটা খাও। এই যে পাহারাদার ভাইরা শাপলা ফুলকে এক বোতল পানি এনে দেন।
‘পলাশ শোন। আজ আমি বিদেশ চলে যাচ্ছি। তিনদিন আগে আমার বিয়ে হয়েছে’।
তোমার কি হয়েছে। আমাকে পলাশ বলছ কেন। ডাকবেই যখন বাংলাদেশ বলে ডাক। যে নামে আমি তোমার কাছে পরিচিত।
‘দেখ পলাশ আমার হাতে সময় নেই। শুনতেই পাচ্ছ বাইরে চার পাঁচটা গাড়ি স্টার্ট দিয়ে অপেক্ষা করছে। আমি বিয়েতে রাজী হয়েছিলাম একটা শর্তে। তোমাকে জীবিত দেখতে চাই। দুদিন সময় বেশি নিলেও ওরা তোমাকে নিয়ে এসে দেখাল।
বলেছিলাম কোন ভাবেই বিদেশে যাব না। এয়ারপোর্টে চিৎকার করে বলবো আমাকে জোর করে বিদেশে পাঠান হচ্ছে। ঢাকায় না পারি, লন্ডন এয়ারপোর্টে গিয়ে চিৎকার দিব। তবুও তোমাকে জীবিত না দেখে কোথাও যাব না। ওরা গড ফাদার, গড ব্রাদার হলে আমিও গড কন্যা।
জীবনে একবার গডের মত আচরণ করলে দোষের কিছু নেই।
এখন ওরা যেখানে তোমাকে নিয়ে যাবে তুমি ওদের সাথে যেতে আপত্তি করো না।
ভাল একটা জায়গাতে তোমার থাকার ব্যবস্থা করবে।
চিকিৎসার ভারও তারা নিয়েছে।
কিছুদিন চেষ্টা করে দেখব। তোমাকে ছাড়া যদি বাঁচতে না পারি চলে আসবো’।
পলাশ বলল; কি করছ এসব! এদের সামনে আর কিছু বোলো না। দেখছ না ওরা ফোন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সবগুলো ফোন খোলা। আমাদের কথা ওরা যেন কাকে শোনাচ্ছ।
‘ভয় পেও না বাংলাদেশ। সব সময় চুপ থাকাও ভাল কাজ না’।
পাঁচ ঘণ্টা পর।
পলাশকে আবারো সেই গাড়িতে করে অন্যত্র নিয়ে আসা হল। এবার যাত্রা বেশ সংক্ষিপ্ত। যেখানে এসে গাড়ি থামল তার চারিদিকে শূন্যতা। কোথা থেকে যেন একটা তীব্র গন্ধ এসে তার নাকে ঢুকল। গন্ধটা তাজা নয় বেশ মরা মরা, মনে হচ্ছে নাড়িভুঁড়ি সব উল্টে যাবে।। গাড়ি থেকে নামিয়ে পলাশকে কিছুটা ধাক্কাধাক্কিও করা হল। পলাশ আর এগুতে চায় না। সে দাঁড়িয়ে থাকতে চায় দু’পায়ের উপর ভর করে।
পাহারাদার ভাই, আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। চোখ খুলে দিলে আকাশটা দেখতে পেতাম। প্লেনটা কি উড়ে গেছে?
তাকে আবারো ধাক্কা দেয়া হল। অনিচ্ছা স্বত্বেও আরো কিছুটা এগিয়ে এলো সে। হটাত সে চীৎকার করে বলল;
একি! পায়ের নিচে মাটি ভেজা কেন? আমি নদীতে কেন। এ-তো দেখছি শীতলক্ষ্যা নদী।
নদীর পানি এতো নাচছে কেন। শীতলক্ষ্যায় কি ঝড় উঠেছে।
কে! কে ডাকছে ওভাবে, টিনের চাল? আমাকে বাঁচাও টিনের চাল।
গগন বিদারী চিৎকার দিয়ে সে বলল,
তোমরা কি চাও?
বাংলাদেশকে কি শীতলক্ষ্যায় ডুবিয়ে মরবে!
কা কা কা কা কা কা কা কা কা কা কা কা কা কা কা…