১.ঈগল ও শেয়াল:
এক ঈগল এক শেয়ালছানা ধরে নিয়ে চলল। শেয়াল মা গভীর দুঃখে অনেক কাকুতিমিনতি করল।
কিন্তু ঈগল তা শুনল না। সে ভাবল, “অনেক উঁচুতে পাইন গাছে আমার বাসা। শেয়াল আমার কী আর ক্ষতি করতে পারবে? সে আমার নাগালই পাবে না।”
এই ভেবে ছানাটিকে নিয়ে চলল। শেয়াল মা দৌড়ে গেল মাঠে, লোকের কাছ থেকে আগুন নিয়ে পাইন গাছে বয়ে আনল। সে সবে গাছে আগুন লাগাতে যাচ্ছে। এমন সময় ঈগল ক্ষমা চেয়ে তাকে তার বাচ্চা ফেরত দিল।
২.বেড়াল ও শেয়াল
এক বেড়াল শেয়ালকে বলছিল কীভাবে কুকুরদের কাছ থেকে আত্মরক্ষা করা যায়।
“আমি কুকুরদের মোটেই ভয় পাই না।” বলল বেড়াল, “কেননা আমার একটা কৌশল জানা আছে।”
আর শেয়াল বলল, “মাত্র একটা কৌশলের সাহায্যে কীভাবে তুমি কুকুরদের হাত এড়াও? আমার জানা আছে এমন সাতাত্তরটি কৌশল।”
যখন তারা কথাবার্তা বলছিল সেই সময় একদল শিকারি তাদের কুকুর নিয়ে সেই পথে যাচ্ছিল। বেড়াল তার জানা একটিমাত্র উপায়ই ব্যবহার করল। সে একটি গাছে চড়ে বসল আর কুকুরেরা তার নাগাল পেল না। আর শেয়াল তার জানা সবগুলো উপায়কেই কাজে লাগাতে চেষ্টা করল কিন্তু কোনোটাই তার কাজে এল না এবং কুকুরেরা তাকে ধরে ফেলল।
৩. বাঁদর ও শেয়াল
একদিন জন্তুরা সকলে মিলে বাঁদরকে তাদের নেতা নির্বাচন করল।
শেয়াল বাঁদরের কাছে এসে বলল, “তুমি এখন আমাদের প্রধান, আমি তোমার সেবা করতে চাই। এই বনের মধ্যে এক জায়গায় আমি গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছি, চল আমি তোমাকে দেখাব।”
বাঁদর খুব খুশি হয়ে শেয়ালের সঙ্গে চলল। শেয়াল বাঁদরকে এক ফাঁদের কাছে এনে বলল, “এই সেই জায়গা। তুলে নাও সব, তোমার আগে আমি কিছু নিতে চাই না।”
বাঁদর যেই না ঐ ফাঁদে তার থাবা ঢুকিয়েছে অমনি সে ধরা পড়ে গেল। তখন শেয়াল ছুটে অন্য জন্তুদের কাছে গেল এবং বাঁদরকে দেখিয়ে বলল, “দেখো তোমরা, এমন নেতা নির্বাচন করেছ যে কিনা ফাঁদে ধরা পড়ে এমনই তার বুদ্ধি।”