ছেলেটার মুখচোরা স্বভাব। বুকের ভিতর টর্নেডো চললেও মুখে কিচ্ছুটি বলবে না। অনেকে ডাকে, ভ্যাবলা!
মেয়েটা সিনেমায় দেখেছে, অ্যালকোহল খাইয়ে দিলে মানুষ গড়গড় করে সব মনের কথা খুলে বলে। খুব ইচ্ছা ওর, একদিন এভাবে ওকে দিয়ে সত্যিটা শুনে নেবে।
সারাদিন ওকে মাতাল করে রাখবে, যেনো আহ্লাদের কথা বলতে ছেলেটাকে হিসাব কষতে না হয়, যেনো এমনভাবে ভালোবাসার কথা বলা শুরু করে যাতে মেয়েটাই লজ্জায় পড়ে যায়…
আচ্ছা, হ্যালুসিনেশন না কী জানি আছে না! বশে নিয়ে এসে সব সত্যিটা উগড়িয়ে নেওয়া… হ্যাঁ, ভালো কোনো ম্যাজিশিয়ানকে হায়ার করতে পারলেই, কেল্লা ফতে!
মেয়েটার চিন্তার সুতোয় টান পড়ে, ছেলেটা এদিকেই আসছে…
‘এখানে অপেক্ষা করছ কেন? তোমাকে না বলেছি, আমার দেরি হলে ওই শেডের নিচে গিয়ে দাঁড়াতে… তুমি এখানেই থাকো, আমি রিকশা ডেকে আনছি, রাস্তায় অনেক কাদা, তুমি হেঁটো না…’ বলেই মেয়েটার হাতের ব্যাগটা নিজের হাতে নিয়ে প্যান্ট গুটিয়ে গটগট করে এগিয়ে গেলো রিকশার খোঁজে…
মেয়েটা শেডের দিকে পা বাড়ায়। একটু আগের চিন্তাগুলোকে উড়িয়ে দেয় মেঘের লেজে বেঁধে…
ছেলেটার ঘোলাটে চশমার গ্লাসের ভেতর দিয়ে চোখজোড়া পড়ে ফেলেছে ও, মুখে ‘ভালোবাসি’ না বললেও ক্ষতি নেই আর!