‘রাষ্ট্র ধারণার বিরুদ্ধে মামলা’- এমন একটা ধারণা অনেক দিন যাবৎ মনের উনুনে জ্বলছে। বছর বিশেক আগে এই প্রস্তাবনা নিউরনের চিন্তা-বিস্তারে বাজার বসিয়েছিল। ভেবেছিলাম, হয়তো হতেই পারে; সাময়িক আগুনের আঁচ, কিন্তু না। জেগে থাকা অথবা ঘুমোতে না পারা অস্বস্তি ভেতরে ভেতরে তেলাপোকা হয়ে কামড়েছে আমার যাপনকে। যাদের অভিজ্ঞতা আছে; তেলাপোকার কামড়, ভীষণ অশান্তিদায়ক, দৃশ্যমান নয় কিন্তু যন্ত্রণা জেগে থাকে ঘোর মফস্বলের শেয়ালের মতো।
আমার জন্ম গ্রামে। শেয়াল- খুব অসুখকর অভিজ্ঞতা, শীতের অনিশ্চিত সন্ধ্যায় আতঙ্ক ছড়ানোর অভ্যাস, হুক্কা-হুয়া, ধূর্ত। দেশ ধারণার ভেতর দিয়ে আমার শরীর বেড়ে উঠেছে সাবলীল অভ্যাসে। দেশ, দেশ- আমাকে কোনো ধরনের নষ্ট চালাকি শেখায়নি। আমি বেড়ে উঠেছি তিসি-সরিষার নরম বিশ্বাসে, অথচ রাষ্ট্র! এই গল্পে শেয়াল প্রাসঙ্গিক নয়, তবু মাঝে মাঝে হয়তো দেখার ভুল। দেখি, রাষ্ট্র ধারণার ভেতর ঘাপটি মেরে বসে থাকা শেয়ালতন্ত্র এবং এদের দৌরাত্ম্য।
আমার যখন জন্ম; শোনা কথা, তখন নাকি ফজরের আজান হচ্ছিল এবং মায়ের প্রসব যন্ত্রণা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পেঁৗছেছিল। নানিবাড়ি থেকে শহর নদীপথের দূরত্ব। নৌকা ঠিক করার সময় আমার গগন চিৎকারে কেঁপে উঠেছিল রাষ্ট্র। আহা রাষ্ট্র- তোমাকে ভয় পেতে দেখলে ভালো লাগে। আমি মায়ের দ্বিতীয় সন্তান, প্রথম ছেলে। বেড়ে উঠেছি আদরে-দুঃখে, শাসনে, মধ্যবিত্ত প্রশ্রয়ে। দেশের জন্ম- সেও এক কষ্টবিদারী ইতিহাস। মা ও স্বাধীনতা যুদ্ধে অদ্ভুত মিল। ন’মাস সময়-বৃত্তে একে অপরের গর্ভে বেড়ে ওঠা পরিপূর্ণ ভ্রূণ।
বাবা; যুদ্ধ করেনি বলে বাবার বিরুদ্ধেও মামলা। তবে ছোট দাদা যোদ্ধা। কম বয়সেই তার কথা মুষড়ে পড়েছিল, কিন্তু যখন আমাদের কব্জির পরীক্ষা নিতেন, বাম হাতে, আমাদের হার ছিল নিশ্চিত। শোনা কথা, তিনি বাম হাতেই তিনজন রাজাকারের পরীক্ষা নিয়েছিলেন, ডান হাতে কয়েকজন হানাদারের। যে যুদ্ধে দাদা জয়ী, সেই যুদ্ধেই পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে নিশ্চুপ তিনি। আমার ভেতরে প্রথমবার রাষ্ট্র ধারণার বিরুদ্ধে মামলা করার ইচ্ছে তৈরি হয়েছিল সেদিন, যেদিন ছোট দাদা অর্ধ-চিকিৎসায় মারা গিয়েছিলেন। এখন তার ছেলে, মানে আমার কাকা, যিনি ইটভাটার ম্যানেজার, কিছু সুবিধা পান। দাদা বেঁচে থাকলে তিনি রাষ্ট্রের এই অনুগ্রহ কিছুতেই গ্রহণ করতে দিতেন না, তিনি দেশ। আমি দাদার দৃষ্টিপটে আগুনের আভা দেখেছিলাম। এসবের গভীরে নিমগ্ন মহানন্দা- নীলাভ উত্তেজনা, আমন ধানের ক্ষেত আর দামুশের বিলের উচ্ছল কাতলা। স্মৃতির উচ্ছিষ্টাংশ খুঁটে বের করা অতীত জীবন আমার ভেতর এক ধরনের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল- আমি তা বুঝে গিয়েছিলাম মাত্র তিন দিনে সাইকেল চালানো শিখে নিয়ে। সেটা আরও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল পাঁচ দিনের দিন সাঁতরাতে পেরে। ছোট দাদা সাবলীল ভঙ্গিতে সাঁতার কাটা ও সাইকেল চালানোয় সিদ্ধহস্ত ছিলেন। তা তো হবেনই। যে হাতে হানাদার তাড়িয়েছেন, রাজাকার মেরেছেন; তিনি পারবেন- এটাই অনিবার্য সত্য। দাদার নাম ছিল আজাহার; আজাহার ব্যাঠা।
বাদী-আসামি এসব ব্যাপার সম্পর্কে আমার পরিষ্কার ধারণা তৈরি হতে হতেই আমি আমার প্রিয় সাইকেলটা হারিয়েছিলাম। আমার সাইকেল; উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সাইকেল, রেলি সাইকেল- রঙচটা। মেড ইন ইংল্যান্ড। রাষ্ট্র ব্যবস্থা এখানেও অপাঙ্ক্তেয়। বিচার বুঝে ওঠার আগেই প্রতিরোধের বৃত্তটা ভেঙে পড়েছিল। আমি এখন আর সাইকেল চালাতে পারি না। কৌশলে কালি লেগেছে। সেই থেকে আমার ভেতর জেগে উঠেছিল প্রতিশোধের তুষ।
আমার বয়স যখন ৯; একটা মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলাম আমি। আমার বাড়ির পেছনে, সদ্য কবর খুঁড়ে তোলা হয়েছিল মোড়লের মেজো ছেলের বউকে। মামলা না কী হয়েছিল! সেই মেয়েটিকে বড় মোড়ল- মেয়েটির শ্বশুর রাইফেলের নল দিয়ে ধানের গোলাঘরে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মেরেছিল; যতক্ষণ পর্যন্ত না মরেছিল মেয়েটি- প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা অনুযায়ী। যৌতুক না পাবার রোষে মেরেছিল মেয়েটিকে। ছয়-সাত দিন পর মেয়েটির মৃতদেহ তোলার জন্য থানা থেকে পুলিশ আসে; সঙ্গে ডোম। কবর খুঁড়ে মৃতদেহ তোলা হয়। বীভৎস-শরীর ফুলে উঠেছিল; উৎকট গন্ধ! কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, মেয়েটির চোখ জোড়া সাবলীল ছিল। মৃতদেহ তোলার পর সেই মেয়েটি নিজেই নিজের হত্যাকারীকে শনাক্ত করেছিল। ততক্ষণে প্রত্যক্ষদর্শী সবাই কবরের ভেতর ঘুমিয়ে পড়েছিল। মৃত মানুষের সাক্ষ্য দিয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করা যায় না- এ কথা বুঝেছিলাম সেদিন। ঘুমোতে পারিনি অনেক দিন। নির্ঘুম রাতে মেয়েটি আমার ঘরের জানালার আকাশে পরী হয়ে উড়ে বেড়াত।
কিশোর বয়সে আমি দুইবার মিছিল করেছিলাম। সে কী উত্তেজনা আমার মধ্যে! মজিদ স্যার রাষ্ট্র ধারণার সপক্ষে আমাকে পাস্ট-প্রেজেন্ট-ফিউচার টেন্স শিখিয়েছিলেন। রাজেকুল স্যার রাষ্ট্র ধারণার সপক্ষে আমাকে ত্রিকোণমিতি- জ্যামিতি-পাটিগণিত শিখিয়েছিলেন। মজিদ স্যার রাষ্ট্র ধারণার বিপক্ষে আমাকে পাস্ট-প্রেজেন্ট-ফিউচার টেন্স শিখিয়েছিলেন। রাজেকুল স্যার রাষ্ট্র ধারণার বিপক্ষে আমাকে ত্রিকোণমিতি-জ্যামিতি-পাটিগণিত শিখিয়েছিলেন। রাশেদ স্যার, লম্বা চুলের রাশেদ স্যার একদিন শেষ পিরিয়ড বাদ দিয়ে মিছিলে নিয়ে গিয়েছিলেন আমাদের। স্বৈরাচারবিরোধী মিছিল। আরেকবার সম্ভবত সাদ্দামের পক্ষে, বুশের বিপক্ষে। কিছু বুঝিনি, কিছু বুঝেছিলাম। পরে বুশ, সাদ্দাম, এরশাদ- সবাইকে চিনেছিলাম। রাশেদ স্যার বিয়ে করেননি। অভিমানে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন। রাশেদ স্যারের লম্বা চুলের জন্য অনেক দিন লুকিয়ে লুকিয়ে কেঁদেছিলাম। উনি বাংলা ব্যাকরণ খুব ভালো পড়াতেন। রাশেদ স্যার ও তার লম্বা চুলের শোক আমি ভুলতে পেরেছিলাম ম্যাকগাইভার দেখে, রাষ্ট্রের কাঠামোতে থেকে, রাষ্ট্র ধারণা আমাকে অন্তর্মুখী হতে বাধ্য করেছিল। আমি কথা কম বলাকেই সবচেয়ে নিরাপদ পন্থা হিসেবে ঠিক করেছিলাম।
ইসলাম ধর্ম বাদে সব সাবজেক্টে আমার ফল বরাবরই ভালো। অংক মুখস্থ, তবে সন্তোষজনক। বিজ্ঞানে চলনসই। তালগোল পাকাতাম ভূগোলে। দ্রাঘিমাংশ, অক্ষাংশ, মানচিত্র, জলবায়ু- এসবেই থেমে যেতাম বরাবর। স্কুল আমাকে খতিয়ে দেখত। ঠা-ঠা রোদে অ্যাসেম্বলি করতে গিয়ে অজ্ঞান হওয়ার মতো নিয়মিত ঘটনা ঘটত। এর শোধ নিতে গিয়ে আমরা হেড স্যারের ডাক নাম বের করেছিলাম- লুটুু তার ডাক নাম, হেডমাস্টারি নাম জনাব বজলার রহমান। আড়াল থেকে আমরা মাঝে মাঝে লুটু ডাক দিয়েই পালাতাম। উনি অপরাধী খুঁজে বের করার ব্যাপারে সচেষ্ট ছিলেন। এগুলো ক্লাস এইটের কথা। নাইনে ওঠার পর আমাদের ভেতর থেকে কেউ একজন আমাদের ঐক্যে ছুরি মেরে দিয়েছিল। বজলার স্যার অপরাধী খুঁজে বের করে ফেলেছিলেন। তখনই আমার ভেতর রাষ্ট্র ধারণার জন্ম হয়।
হরেন, আমার বন্ধু, ভালো ফাস্ট বল করত। একদিন খুব ভোরে ওদের বাড়ি গিয়ে দেখি, বাড়ি শূন্য। খাটিয়াটা শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীর মতো হাঁপাচ্ছে। কাপড় ঝুলানোর দড়িতে দুইটা কাক। চুলাভর্তি সদ্য নেভা ছাই। ঘরের শিকল তোলা। কিছু সময় আগেই মারা যাওয়া হরেনের দাদি, তখনও শক্ত হয়নি। ওরা ইন্ডিয়া পালিয়ে গিয়েছিল, দাদিকে টানার ধকল সইতে চায়নি ওরা। কারও কাছে কি বেচে দিয়ে গেছে সম্পত্তি? নাকি দখলের জন্য কেউ ওদের ভয় দেখিয়েছে অথবা ওরাই বিশ্বাস রাখতে পারেনি এই রাষ্ট্র ধারণার ওপর? আমিই বা কীভাবে রাষ্ট্র ধারণার ওপর বিশ্বাস রাখব? হরেনের বাবা আমার বাবার খুব ভালো বন্ধু ছিল। দাদিকে পোড়ানোর দায়িত্ব কেউ নিতে চায়নি। অথচ হরেনের দাদি আমারও দাদি; খুব কেঁদেছিলাম সেদিন। না; দাদি বা হরেনকে হারানোর শোকে নয়। দাদির সৎকার কে করবে- এটা ভেবে। আমার ভেতর রাষ্ট্র ধারণার বিরুদ্ধে মামলা করার ইচ্ছাটা জোরদার হতে থাকে।
দুদিন বাদে কথা বলা পোষা টিয়া পাখিকে আমি মাঠে ছেড়ে দিয়ে এসেছিলাম। ভ্যাসের দাস হয়ে সে আবার ফিরে আসে; তার খাঁচাকে ভেঙে ফেলেছিলাম। সে গৃহহীন, উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে। ইক্ষু চাষে সাফল্য আসায় আমার ফুপার বেশ কিছু লাভ হয়। হাবু চাচার অসাধারণ চুলের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছিল। পাগলের চিকিৎসা মাথা ন্যাড়া! আমার বড় বোন ম্যাট্রিকে আর্টস থেকে হায়ার সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছিল। নানার যক্ষ্মা ধরা পড়েছিল। আমগাছের পাতা বিক্রির ব্যবসা আরম্ভ করেন আমার কাকা। বিএ পাস চাচাতো ভাই ট্রাক চালানো আরম্ভ করেন। আমার ফুপু বিধবা হয়ে আবার আমাদের বাড়িতে ফিরে এসেছিল। তার অপরাধ বাচ্চা না হওয়া, যদিও দ্বিতীয় ঘরে তার দুইটা মেয়ে। আব্বা আমাকে একটা নতুন বাইসাইকেল কিনে দেন। হিরো সাইকেল, মেড ইন ইন্ডিয়া। বাড়িতে নিক্বণ টিভি এসেছিল। তাতে শুধু বিটিভি আর ডিডি ওয়ান। আমি নতুন একটা খেলা শিখি- দাবা। মামলা করার ইচ্ছেটা ধীরে ধীরে আবছা হয়ে আসে।
‘আমার ভাই তোমার ভাই, শাজাহান ভাই শাজাহান ভাই; আমার ভাই তোমার ভাই, ছাতা ছাড়া মার্কা নাই’ খুব ক্যানভাস করে বেড়িয়েছিলাম। চাচাকে ভাই বলার ভেতর একধরনের আনন্দ আছে। আমার চাচা, একবার নির্বাচন করেছিল। ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে, প্রতিপক্ষে সোনা মিয়া। চাচা সাকল্যে ভোট পেয়েছিল- আমার আঙুলের ছাপসহ ১৮১। সোনা মিয়া চার হাজার ৯৭২। সোনা মিয়ার আঙিনা-ভর্তি ভাতিজা ছিল। ফেল করার পরও শাজাহান চাচাকে মানুষ চেয়ারম্যান ডাকা আরম্ভ করেছিল।
ইন্টারমিডিয়েট পড়তে রাজশাহী কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। আমি, আমার বন্ধু মাসুম, আরও নয়জন। মাসুম থানা পরিষদের স্টাইপেন্ড হিসেবে ২২শ’ টাকা পেয়েছিল। স্টাইপেন্ডের অ্যাপ্লিকেশন করার কথা আমাদের না বলাতে মাসুমকে একটা থাপ্পড় মেরেছিল সালাহ উদ্দীন। আমার মেজাজও খুব খারাপ হয়েছিল। ২২শ’ টাকা! কম কথা! আমার দুই মাস হোস্টেলে থাকার খরচ। মাসুম কী মনে করে বলেনি, জানি না। থাপ্পড় খেয়ে মাসুম কেঁদে ফেলেছিল। এত কিছুর পরও আমাদের বন্ধুত্বটা টিকে গিয়েছিল। আমরা শীতাক্রান্ত ভোরে ম্যাথ পড়তে উপশহর যেতাম শুধু একটা মেয়ের টোল পড়া গাল দেখতে। মেয়েটা পরবর্তীকালে আত্মহত্যা করেছিল। এ নিয়ে কোনো মামলা হয়েছিল কি-না জানি না। তবে সুস্মিতা নামে বড় আপুটি সপ্তাহে দুই দিন সকাল সাড়ে ৫টায় একটা আবাসিক হোটেল থেকে বেরিয়ে হোস্টেলে আসতেন। গোসল করে ক্লাসে যেতেন; রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অনার্স ক্লাস! মামলার ধারণা হয়তো সুস্মিতা আপু জানতই না।
২৩ বছর বয়সে আমি ভোটার হই। আমার পাসপোর্ট হয়। ভোট দিই না আমি। ড্রাইভিং লাইসেন্স করি, আমার জাতীয় পরিচয়পত্র হয়। মানচিত্র বদল করতে করতে আমি ঢাকা শহরে এসে হাজির হই। ক্রমান্বয়ে আমার ভেতর শাহরিক নাগরিকতার এক চতুর দালালের জন্ম হয়। মামলার ধারণা থেকে একেবারেই যে নাগরিক-দালাল-মানুষ আমাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে, করপোরেট ফাঁপরে পড়ে যে আমি প্রবেশ করতে থাকি দালিলিক মারণাস্ত্রের এনভেলাপে; আমার সাইকেল ধারণাটা অকেজো হয়ে পড়ে চিরদিনের জন্য। পা দুটোও হারাই। পা হারিয়ে আমি হয়ে উঠি অসাড়।
এই স্থায়িত্ব বেশি দূর এগোতে পারে না। স্থির হয়ে পড়ে এক রাতের ছোবলে। মামলা করার সিদ্ধান্ত নিতেই হয় আমাকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা আসার পথে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ছোড়া পেট্রোল বোমায় আমার মা যখন দগ্ধ হন, তখন রাষ্ট্র ধারণার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না আমার। মামলা আমি করবই। রাষ্ট্র ধারণার বিরুদ্ধে মামলা।
আসামি খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছি আমি; আসামি…