কিছু মানুষ হঠাৎ করে হারিয়ে যায়।সবার মাঝে থেকেও যেনো তারা নেই। নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে কোন এক অজানা জগতে। তাদের জীবনে থাকে না কোন পিছুটান। থাকে না কোন লক্ষ্য। থাকে না কোন চাওয়া-পাওয়া, থাকে না কোন স্বপ্ন।
তাদের জীবনটা হয় শুষ্ক মরুভূমির মতো। পথ হারা পথিকের মতো তারা কি যেনো খুঁজে যায়।
কি যেনো একটা নেই।
মায়াবী চেহারার সেই সরল ছেলেটির মতো।
যার জীবনে এক সময় নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিলো। ছিলো ছোট ছোট কিছু চাওয়া-পাওয়া।
কিছু স্বপ্ন, যা কারো হাত ধরেই পূর্নতা পেতে চেয়েছিলো।
তবে তা বাস্তবে পূর্নতা পাওয়ার আগেই থমকে দাঁড়ালো।
একটু একটু করে গড়ে তোলা অনেক বছরের বিশ্বাস গুলো ভেঙ্গে পড়তে লাগলো তাসের পাতার মতো।
আর সেদিন তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলো ছেলেটি। কয়েক মূহুর্তের জন্য নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলো না।
কয়েক মূহুর্তের ভেতর চেনা মানুষটির বদলে যাওয়া মেনে নিতে পারছিলো না।
কিছু মানুষ যে গিরগিটির মতো রং পাল্টাতে পারে, তা তার জানা ছিলো না।
এক সময় এই চরম সত্যটাকেই মেনে নেয়। তবুও তার মাঝে মাঝে বিশ্বাস হয় না, যে তার সেই চেনা মানুষটি এতোটা বদলাতে পারে,যাকে সে ভালোবেসেছিলো।
রাতে ঘুম ভাঙ্গলেই সেই পরিচিত নামটি ধরে ডেকে উঠে। পরক্ষনেই মনে হয়, সে মানুষটি এখন তার নেই হয়ে গেছে অন্য কারো।
রাতে ঘুম আসে না। খুঁজে বেড়ায় নিজের দোষ গুলো।
পুরোনো ম্যাসেজ গুলো বার বার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখে।
গভীর রাতে কন্ট্রাক্ট লিস্টের সেই পরিচিত নাম্বারটি চোখে পড়লেই মনে হয়, এই নাম্বারটা থেকে কেউ একজনের ফোন আসার কথা ছিলো।
পরক্ষনেই মনে হয়, হয়তো বা আর কখনো আসবে না।
তবুও অপেক্ষা করে।
অপেক্ষা করে সে যায়গাটিতে, যেখানে বসে গভীর আবেগে সেই মানুষটির হাতটি ধরে বলেছিলোঃ “ভালোবাসি।”
কিছু মানুষ খুব সহজেই কাউকে বিশ্বাস করে নেয়। সেই মানুষটির হাতটা ধরে জীবনের বাকিটা পথ চলতে চায়।
তবে, যখন বিশ্বাস গুলো তাসের পাতার মতো ভেঙ্গে পড়তে থাকে, সেই চেনা মানুষটা অচেনা হয়ে যায়,তখন সেই মানুষটা সেই পাথের বাঁকেই দাঁড়িয়ে পড়ে।
খুঁজে বেড়াই সেই মানুষটিকে।
পথ হারা পথিকের মতো তাকিয়ে থাকে সেই পথের পানে।