কবেকার শঙ্খিনীমালা

রতন আমার মামাতো ভাই। আমার বছরখানেকের ছোট। ওর নামের সঙ্গে মিলিয়ে আমার নানি আমার নাম রেখেছিলেন যতন। মামার অনেক জমিজিরাত বলে রতন ম্যাট্রিক পাস করে আর পড়াশোনা করেনি। গ্রামে সেই প্রথম সাদাকালো টিভি এল আমার মামার বাড়ি। রতন ক্রিকেটের ভক্ত। বিটিভিতে ক্রিকেট খেলা থাকলে রতন বাড়ি থাকে, না হলে বাজারে হরিপদের দোকানে বসে দাবা খেলে। দাবায় ওকে হারানো খুব কঠিন। একবার ঢাকা থেকে আমার যুগ্ম সচিব সম্মন্ধিকে নিয়ে গিয়েছিলাম মামার বাড়ি। যুগ্ম সচিব অফিসার্স ক্লাবে প্রতিবছর দাবায় চ্যাম্পিয়ন হন। তিনবার খেলা হলো রতনের সঙ্গে। দুবারই রতন জিতল। সিরিজ জয়। আমার সম্মন্ধি স্বীকার করলেন, এমন প্রতিভা অত্র অঞ্চলে বিরল। মামি মুখ ঝামটা দিয়ে বললেন, ‘তুমি বাপু এক ছেলের বাপ হয়ে গেলে আর ওনার বিয়ের ফুলই ফুটছে না। এমন খেলাপাগল ছেলের হাতে কে মেয়ে দেবে?’

‘মামি, রতন তো জমিদারপুত্র। জমিদারদের স্বভাব যা ও তো তা-ই। এবার এক রাজকন্যা নিয়ে আসুন। দেখবেন ঠিক সংসারমুখো হবে। আপনার ছেলেটিও তো দেখতে দিব্যি।’

আমার কথা শুনে মামি আবারও মুখ ভেংচালেন। আসলে রতন এ মামির গর্ভজাত নয়। রতনের জন্মের সময় ওর মা ধনুষ্টংকারে মারা যান। নতুন মামির কোনো সন্তান না হলেও রতনকে তিনি তেমন আপন করেননি কোনো দিন।

‘সম্বন্ধ আসছে বাবা। তোমার ভাইটিকে রাজি করানো যাচ্ছে না। কিন্তু তোমার মামা এবার নাছোড়বান্দা।’

আমি জানতাম রতনের অনীহার কারণ। ও হয়তো চাইত না ওর সৎ মায়ের সংসারে এসে অন্য একটা মেয়ে কষ্ট পাক। ও নিজে মুখ বুজে থাকা ছেলে। ওর চোখে ক্রিকেট, হাতে দাবা। মামা যত দিন বেঁচে আছেন তত দিন এভাবেই থাকতে চায়।

আমার বিধবা মা আমার কাছে থাকেন—ঢাকায়। আপা বহুদিন হয় কানাডায় প্রবাসী। একদিন মাকে মামার চিঠি:

প্রিয় হেনা,

রতনের জন্য কনে পছন্দ হইয়াছে। মেয়েটি অতিশয় রূপবতী। তবে গরিব ঘরের বলিয়া রতনের ন্যায় নিষ্কর্মার হাতে মেয়ে তুলিয়া দিতে মেয়ের বাবা দ্বিধা করেননি। কিছু না করুক, জমাজমি দেখাশোনা না করিলে আমি গত হইলে নিজের সংসারটাও তো চালাইতে পারিবে না। তবে মেয়েটি নাকি খুবই সংসারী। এ রকম একটা মেয়েই উহার জন্য দরকার। তোমার ভাবির মেজাজ-মর্জি তো জানোই। পারিলে যতনকে লইয়া একবার আসিয়ো। শরীরটা ইদানীং আর ভালো যাইতেছে না। ভালো থেকো। ইতি।

তোমার মিরু ভাই।

মায়ের শরীরে বাতের ব্যথা। নড়তে-চড়তে পারেন না। তা ছাড়া আমার পিচ্চি পাখিটাকে রেখে মা কোথাও যেতে চান না। বউয়ের ছুটিছাটা কম। এনজিওর চাকরির এই এক হ্যাপা। বলেছিলাম তাসিন, সরকারি চাকরির চেষ্টা করো। কাজ কম, ছুটিছাটা পাবে। বাচ্চাটাকেও সময় দিতে পারবে। বলে যে সরকারি চাকরির ওইটুকু বেতনে নাকি ওর পোষাবে না। ভেবেছিলাম, সবাই মিলে যাব রতনের বিয়েতে। মামার চিঠি পাওয়ার পর রতনের সুন্দরী বউ দেখার ইচ্ছে যে একেবারে হয়নি তা নয়। বিয়েতে যাওয়ার কথা তাসিনকে বলতেই ও বলল, ‘বুঝছি তো। সুন্দরী দেখার জন্য লোল পড়ছে।’

‘এই এই একদম বাজে কথা বলবে না।’

‘আমার মাথা ছুঁয়ে বলো তো, এই গরমে মা আর তিতিরকে নিয়ে ওই অজগাঁয়ে যাওয়ার একমাত্র ইচ্ছে সুন্দরী বউটাকে দেখা নয়?’

‘আমি কি ইচ্ছে করলে একটা ফরসা মেয়ে বিয়ে করতে পারতাম না? আমার চোখে তুমিই সেরা।’

‘ফরসাই তোমাদের চোখে সৌন্দর্যের প্রতীক—ও তুমি যা-ই বলো। আহারে, তোমার কী আক্ষেপ! সারা জীবন এই কালো মেয়েটার দিকে তাকিয়ে জীবন পার করতে হবে!’

‘অমন মনোহারিণী চোখ যার, সে কেন নিজেকে ছোট করে?’

‘থাক। আর পামপট্টিতে কাজ নেই। গেলে যাও।’

যাওয়া হয়নি। রতনের বউ দেখতে যতটা না, তার চেয়ে বেশি কয়েক দিনের ব্রেক চাচ্ছিলাম। তাসিন যে একেবারে মিথ্যে বলেছে তা-ও নয়। ফরসা মেয়েদের ভালোই লাগে। ফরসার সঙ্গে সঙ্গে চেহারাটাও ভালো হতে হবে। কিন্তু তাই বলে আমার বন্ধু কুশলের সেই অভিজ্ঞতা, যা তাসিনকেও বলেছি, সে রকম চাই না। কুশল একবার ওর মামাতো ভাইয়ের বিয়েতে খুলনা গিয়েছিল। কনের বোন—যে কিনা প্রায় স্বর্গের অপ্সরা—তার পেছন পেছন সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত ঘুরে ছবি তুলে আশ মিটছিল না কুশলের। তবে অপ্সরা কথা বলে না, শুধু রূপের হিল্লোল তুলে এদিক থেকে ওদিক যায়। যখন বোনকে বিদায় দেওয়ার সময় এল, তখন সে বান্ধবীদের মাঝে গিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বলল, ‘এই, কী-ই-ই অরি ক দেহি, বাল্লাগতিছে না বাআআআআল।’ শুনে কুশলের জমে ওঠা প্রেম নিমেষেই গলে পান্তা। তো, সৌন্দর্যের ধারণা কেবল ফরসাতেই সীমাবদ্ধ নয়, তাসিন বিবি। সৌন্দর্য বোদ্ধাদের এত বোকা ভেবো না। এ দেশে শ্যামল রং রমণীর সুনাম শোনোনি মেয়ে?

যাব যাব করে শেষপর্যন্ত সাত বছর বাদে মামার মৃত্যুসংবাদে মায়ের কান্নাকাটি থামাতে একাই গেলাম মামাদের গ্রামে। মায়ের চলৎশক্তি তত দিনে আরও ভঙ্গুর। মামার কুলখানি। রেলওয়ে স্টেশন থেকে রিকশা নিয়ে মামার বাড়ির উদ্দেশে গ্রামের পথ ধরলাম। এ পথে ছোটবেলায় কতবার গিয়েছি। তখন বর্ষার দিনে কাঁচা রাস্তায় একহাঁটু কাদা। ছইআলা ঘোড়ার গাড়িতে করে মা যেত বাবার বাড়ি—নাইওরে। মাঝেমধ্যে গভীর কাদায় গাড়ির এক চাকার অর্ধেকটা যেত ডুবে। আমি খুব মজা পেতাম। কিন্তু আপা আর মা পেত ভয়। মামা সাইকেল চালিয়ে গাড়ির পাশে পাশে চলত। বেশির ভাগ সময়ই সাইকেলে না চড়ে ঠেলে নিয়ে যেতে হতো। অদূরে মুদিখানার ঝাঁপ তোলা ছোট্ট দোকান। সামনে বাঁশের বেঞ্চিতে কেউ বসে বিড়ি ফুঁকছে, কেউ কবেকার পুরোনো একটা পেপার খুলে জোরে জোরে পড়ছে। কেউ-বা গভীর মনোযোগে তা শুনছে। কাদায় চাকা দেবে গেলে গাড়োয়ান ঘোড়ার পিঠে সপাং সপাং চাবুক মারে। ঘোড়া গাড়ি তুলতে গিয়ে কাদার মধ্যে আরও বসে যায়। সাদা পায়জামা আর শার্ট পরা মামা সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। দোকান থেকে চিৎকার ভেসে আসে, ‘মিরু ভাই মিরু ভাই, আপনি লাববেন না, আমরা দেকচি।’

বিদ্যুৎগতিতে ছুটে এসে তিন যুবক লুঙ্গি মালকোঁচা দিয়ে নেমে পড়ে কাদায়। দুই চাকা ধরে দুজন আর গাড়ির পেছন একজন। পেছনের জন হাঁকে, মারো ঠেলা; অন্যরা বলে, হেইয়ো

শেখের বাড়ি, হেইয়ো

হেনা বুবু, হেইয়ো

লজেন দেবে, হেইয়ো

কাদার গুষ্টি, হেইয়ো

মারো গাদন, হেইয়ো

ডাঙায় উঠে পড়ে গাড়ি। মা পয়সা দিলে মামা দোকান থেকে তাদের জন্য লজেন্স কিনে দেয়।

সেই দুস্তর পারাবার এখন মসৃণ জনপদ। খুপরি দোকানগুলো শোভা পাচ্ছে পাকা ঘরে। সাইনবোর্ডে লেখা—‘মেসার্স ভাই ভাই স্টোর’।

দীর্ঘ সাত বছর পর মামার বাড়ির পুকুরপাড়ের কলাগাছের সারির পাশ দিয়ে হেঁটে সদর দরজার দিকে এগোচ্ছিলাম। এখনো শেখবাড়ি বললে সবাই একনামে চেনে। উঁচু প্রাচীরঘেরা সুনসান বাড়ি। আগে এ রকম ছিল না। ছেলেমেয়েদের গ্রীষ্মের বন্ধে মা-খালারা সবাই এখানে আসত। বাড়ির বাইরে বৈঠকখানার পেছনে সিমেন্ট-রড-সুরকি রাখার একটা ঘর ছিল। এখন সেটা নেই। একটা ইট-সুরকির ঢিবি হয়ে আছে। লুকোচুরি খেলাকে আমাদের ওই অঞ্চলের ভাষায় বলা হতো ‘পলাপোলি খেলা’। শব্দটা এসেছে পালিয়ে যাওয়া বা পলায়ে যাওয়া থেকে—‘এই ফাল্গুনি পূর্ণিমা রাতে চল পলায়ে যাই’। ওই লুপ্তপ্রায় চুন-সুরকির ঘরে এক জ্যোৎস্না রাতে মেজো খালার মেয়ে দোলার সঙ্গে পলাপোলি খেলেছিলাম। ও কাঁধ থেকে জামার হাতা নামিয়ে বুকের মাঝামাঝি ধরে রেখেছিল। আমাকে ইশারায় নিচের দিকে জামাটা টানতে বলেছিল। ততক্ষণে আমি দিশেহারা। কাঁপছিলাম থরথর করে। ও এগিয়ে এসে আমার হাত ধরে আমার হাত দিয়ে জামা টেনে দিয়েছিল। আমি জ্যোৎস্নার সঙ্গে চন্দনমাখা দুটি ঈষৎ অসম শঙ্খ দেখেছিলাম। কবেকার শঙ্খিনীমালার। পরক্ষণেই জামা তুলে সে পালিয়ে যায়। সেই থেকে সুন্দরী মানেই আমার কাছে শঙ্খমালা।

কখন যেন রতন এসে আমার হাত থেকে ব্যাগ কেড়ে নিল। ওর দিকে না তাকিয়েই জিজ্ঞাসা করলাম, ‘হ্যারে, দোলাকে বলেছিলি? ওর কি আসার অবস্থা আছে?’

‘নাহ। ভেলোরে এখন, কেমো চলছে। একটা কেটে বাদ দিতে হয়েছে।’

মনে মনে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কোন শঙ্খটা? ছোটটা না ঈষৎ বড়টা? মুখ দিয়ে দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে কেবল বেরোল ‘হুম’।

সেই রূপকথার রাজপুত্রের মতো রতনকে জমিদারবাড়ির বাজার-সরকারের মতো লাগছে দেখতে। মাথার পেছনে যে কটা চুল আছে তা সামনে এনে চাঁদির ওপর বিছিয়ে রেখেছে। তেল দিয়ে আটকানো। না হলে ফুরফুরে বাতাসে উড়ে যেতে পারে।

‘সেজো ফুম্মাকে আনতে পারলি না? তাসিনও তো কোনো দিন এল না।’

‘অফিস খোলা। সামনের বার আসবে।’

‘আব্বাই চলে গেলেন। কাকে আর দেখতে আসবে।’

‘কেন, তোর সুন্দরী বউকে।’

‘ওর বাবাও খুব অসুস্থ। নেই এখানে।’

সব উৎসাহে জল ঢেলে দিলেন টেকো বাবু। দূর! মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। যে যা-ই বলুক মূলত রতনের রাজকন্যার মতো বউকে দেখতে আসাই উদ্দেশ্য ছিল আমার। মামা তো দীর্ঘদিন রোগে ভুগে গত হয়েছেন। হাড়জ্বালানি মামিকে দেখার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই। এখন রতনের সঙ্গে কয়ের দান দাবা খেলা ছাড়া দেড়টা দিন কাটানোর আর কোনো পথ নেই। আত্মীয়-স্বজন যারা এসেছে, বেশির ভাগই বর্তমান মামির দিককার। বড় খালার বড় ছেলের সঙ্গে দেখা হলো। আমাদের সঙ্গে দু-দণ্ড কথা বলেই কেটে পড়ল সে। তারও বয়স হয়েছে। মোট কথা এই মামির উপস্থিতি কেউই পছন্দ করে না। কেন যেন আমাকে তিনি পছন্দ করেন। আমার সঙ্গে দেখা করলেন, কাঁদলেন। সবার খবরাখবর নিয়ে যাওয়ার পথে আমার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে কাকে যেন গলা ঝেড়ে হুকুম দিলেন।

অনেক কামরার পুরোনো আমলের বাড়ি। এ বাড়ির প্রতিটি ঘর আমার চেনা। রতন সাজানো-গোছানো পশ্চিমের একটা ঘরে নিয়ে গেল আমাকে। ঘরের চার দেয়ালে এক অপরূপা সুন্দরীর ছবি টাঙানো। শান্ত সম্মোহিত সৌন্দর্য ঠিকরে পড়ছে চোখ, চিবুক, ঠোঁট থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সাদাকালো হেলেন অব ট্রয় দেখেছিলাম। সেই হেলেনের খোলা কাঁধ থেকে নেমে আসা নিরাবরণ একটা হাত দেখে মনে হয়েছিল অন্য কিছু পরের কথা, এই একটা হাতের জন্যই ট্রয় ধ্বংস করা যায়। দেয়ালের ছবির ঘাড়ের ওপর পড়ে ছিল এলোখোঁপা। খোঁপা না ঘাড়—কে কার অলংকার, তা গবেষণার বিষয়। ওই স্কন্ধের অধিকারিণীর জন্য বিলিয়ে দেওয়া যায় সমরখন্দ থেকে সুদূর বোখারা।

‘সাকিনা, আমার স্ত্রী। এ দেয়ালের দুটো বিয়ের আগের, ওগুলো বিয়ের পরের।’—বলায় অহংকারের পরিবর্তে একধরনের ক্লান্তি ঝরে পড়ল রতনের গলা থেকে। এমন সুন্দরীকে সশরীরে না দেখতে পাওয়ার বেদনায় আমি তখন একপ্রকার দিশেহারা।

‘একবার বেড়াতেও তো যেতে পারতিস বউ নিয়ে ঢাকায়। মার কত শখ ছিল তোর বউ দেখার।’

‘আব্বা অসুস্থ হয়ে গেলেন। তা ছাড়া ওর দু-দুবার এবরসন…’

‘ঢাকায় নিয়ে আসতিস। ভালো চিকিৎসা হতো।’—মুখে বললাম বটে এই কথা; মনে মনে বললাম, ‘এক নজর দেখে জীবন সার্থক করতাম।’

‘নতুন মা চাননি। সংসারের কত কাজ। সাকিনা আসার পর কাজের মানুষদের বিদায় করেছেন।’

কী নিষ্ঠুর! কোন প্রাণে তিনি এমন প্রতিমার মতো মেয়েটিকে দিয়ে সারা দিন কাজ করান! রতনটাও সেই আগের মতোই বেকুব থেকে গেল। কেন মুখ ফুটে কিছু বলে না? মগের মুল্লুক নাকি? আমি হলে কবে অমন বউ নিয়ে পালিয়ে যেতাম যেদিক দু-চোখ যায়।

‘নাশতা আনছি।’ ঘরের বাইরে থেকে ঝাঁজালো কণ্ঠ।

‘কোনার টেবিলে রেখে যাও।’ মিনমিনে রতনের কোমল আহ্বান।

ঘোমটা টানা নারী সহস্র রগ জেগে ওঠা কাঠির মতো দু-হাতে ট্রে ধরে টেবিলের ওপর সন্তর্পণে রাখে। চৌকাঠ ডিঙিয়ে চলে যাওয়ার মুখে দেখতে পাই আমার দিকে একবার চাওয়া মুখটার দু-গাল বসা, কোটরাগত চোখ, ভেঙে পড়া চিবুক, কপালে পরিশ্রমের স্বেদ। তবে যে রতন বলছিল ওর নতুন মা সব কাজের মানুষ বিদায় করেছে?

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত