৭১ এ আমার নানা চিটাগং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলেন। শহরে যখন গণহারে হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়, তখন আর অন্যান্যদের মতো স্বাভাবিকভাবেই আমার নানী এবং মা, মামা-খালাদের দেশের বাড়ি কুমিল্লায় পাঠিয়ে দেন। মিলিটারিরা তখনও গ্রামের দিকে এতটা একটিভ হয়নি। শহরের তুলনায় গ্রাম তখনও তুলনামূলক নিরাপদ।
তিনি চাকরি ছেড়ে যেতে সাহস করলেন না। মিলিটারিরা তখন ছুতো পেলেই বাঙালি মারছে। “চাকরি ছেড়ে গেল কেন? তার মানে ‘মুক্তি'”….. বলে খুঁজে পেতে গুলি চালিয়ে দিতে পারে।
নানীরা কিভাবে গ্রামে পৌঁছুলো সেটা লিখতে গেলে এখন উপন্যাস লিখতে হবে। সে কথায় না যাই। বরং আজ নানার ঘটনা বলি।
ঈদুল ফিতরের জন্য নানা গ্রামে আসতে চাইলেন। খবর পাঠালেন তিনি অমুক ট্রেনে করে আসবেন। শেষ মুহূর্তে ব্যাটে বলে মিলল না। তিনি ট্রেনে উঠতে পারলেন না। খুব সম্ভব ছুটি পাননি। কিংবা অন্য কোন সমস্যা ছিল। তাঁকে চিটাগং থেকে যেতে হয়েছিল।
এদিকে ট্রেন চিটাগং স্টেশন ত্যাগ করে পাহাড়তলী পর্যন্ত আসতেই থামতে বাধ্য হলো। বিহারিরা ট্রেন থামিয়েছে। ট্রেনের সব কটা যাত্রীকে জোর করে নিচে নামানো হলো। এবং প্রায় সবাইকেই জবাই করে হত্যা করা হলো।
একটা ট্রেনে কতজন মানুষ ধরে? সব কজনকে জবাই করে হত্যা! কতটা নৃশংস হতে পারে বুঝতে পারছেন?
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে বিহারিরা এবং রাজাকাররা পাল্লা দিয়ে নৃশংসতা চালিয়েছে। তাদের সেসব কাহিনী বর্ণনা করার ক্ষমতা আমার নেই। মানুষ কতটা অমানুষ হতে পারে সেটা সেই সময়ে নিজের চোখে যে দেখেনি, তাঁর বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে। লেখার ভাষায় বাস্তবের কতটাই বা প্রকাশ করা যায়?
এদিকে নানুর বাসার পাশের বাসাতেই আরেক বিহারীর বাস ছিল। ভদ্রলোক সরকারি চাকরি করতেন, শহরে জমি কিনে একটা ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বৌ বাচ্চা সহ উঠেছিলেন। তারপর অনেক পরিশ্রমের টাকায় পাকা বাড়ি তুলেছিলেন। ভদ্রলোকের আয় যেহেতু কম ছিল, তাই তিনি সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে নিজে বাড়ির জন্য ইট ভাঙতেন। এ কাজে তাঁকে সাহায্য করতো তাঁর স্ত্রী এবং ফুটফুটে পরীর মতন রূপসী তাঁর দুইটি কন্যা সন্তান। গভীর রাত পর্যন্ত তাঁদের বাড়ি থেকে ইট ভাঙ্গার শব্দ আসতো। দিনের বেলা মিস্ত্রিরা সেই বাড়ি নির্মাণের কাজ করতো।
একেই বুঝিবা বলে “পাই পাই পয়সা জমিয়ে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বসত নির্মাণ।”
তো একাত্তরে দেশজুড়ে প্রলয়কান্ড শুরু হয়ে যাওয়ায় নানা নিজের বাড়িতে একা থাকা নিরাপদ মনে করলেন না। বিহারি লোকটার বাড়িতেই আশ্রয় নিলেন। বিহারিরা এক ট্রেন যাত্রীদের মেরে ফেলেছে জানার পরেও।
সেই রাতেই নানুর বাড়িতে বিহারীদের হামলা হলো। কেউ নেই, বাড়িতে কিছু নেইও। তখন দামি জিনিস বলতে নানীর পালা দুইটা ছাগল এবং একটি সেলাই মেশিন সম্বল। ছাগল জোড়াকে একটি বাঙালি পরিবার এবং সেলাই মেশিনটি সেই বিহারি পরিবারের কাছে গচ্ছিত রেখে নানী গ্রামে চলে গিয়েছিলেন।
কাজেই বাড়িতে লুট করার মতন কেউই কিছু পেল না। তারপরেও সবকিছু তছনছ করতে তারা ভুললো না।
এইবার বিহারিরা এলো সেই বিহারি লোকটির বাসায়। এসেই নানাকে দেখিয়ে বলল, “ইয়ে কৌন হ্যায়?”
বিহারি ভদ্রলোক সাথে সাথে জবাব দিলেন, “আমার মেয়ের জামাই।”
(মেরা দামান্দ বা এই জাতীয় কিছু বলেছিল। আমার উর্দূ ভয়াবহ, তাই বাংলায় বললাম।)
তারা সন্দেহের চোখে তাকালো। কারন আমার নানা ছিলেন খাঁটি বাঙ্গাল সমাজের প্রতিনিধি। গায়ের চামড়া, দৈহিক আকৃতি, স্বাস্থ ও বেশভূষা – তাঁকে বিহারি বা অন্য কোন জাতের মানুষ মনে হবার প্রশ্নই উঠেনা। কিন্তু তবুও তারা নিজেদের জাতি ভাইকে বিশ্বাস করলো। নানাকে কিছু করলো না।
এদিকে গ্রামে খবর পৌঁছে গেছে যে যেই ট্রেনে করে নানার আসার কথা, সেই ট্রেনের সব যাত্রী নিহত হয়েছেন। এবং তখন অতি নিকটাত্মীয়রাই তাঁদের আসল রূপ বের করে আনলেন। নানার বিধবা স্ত্রী এবং তাঁর এতগুলো সন্তানদের ঘাড়ে বসিয়ে পালতে হবে – এ দায়িত্ব নিতে কেউই রাজি নয়। আচার ব্যবহারে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছিল ওরা যেন ওদের রাস্তা মাপে। যুদ্ধের বাজারে আত্মীয়তার ভাত নাই।
আজ সেই সময়ের মোটামুটি সবাই মারা গেছেন। এবং ঘটনার প্রায় অর্ধশতাব্দীও হতে চলল, তাই ওসব অপ্রিয় প্রসঙ্গ টেনে আনতে চাচ্ছি না। তবে শুধু এইটা বলি যে নানী আমাকে গল্প শোনাতে শোনাতে বলেছিলেন, “যুদ্ধ বড় খারাপ সময়রে রাজিব্বা, মাইনষের খারাপ চেহারাটা বাইর কইরা আনে।”
পাঠকদের বলে রাখি, আমার ডাকনাম রাজীব। চিটাগং এবং তার আশেপাশের অঞ্চলের লোকেরা নামের পিছনে কিছু একটা যোগ করে সেই নামের বারোটা বাজাতে ওস্তাদ। এক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।
মা এবং বড় মামা তখন কি হচ্ছে না হচ্ছে সেই বুদ্ধি মোটামুটি রাখেন। বাকিরা সবাই অতি ছোট। তাঁদের কাউকেই কিছুই জানানো হলো না। তাঁরা ঈদ নিয়ে ব্যস্ত। চাচা চাচিদের হঠাৎ অমন বদলে যাওয়া আচরণের কারনটা বুঝতে পারছে না।
নানীকে কে যেন এসে বলেছিল যে নানার কিছু হয়নি। তিনি ছুটি পায়নি বলে ট্রেনে উঠতে পারেননি। তাই নানী কোন রিয়্যাক্ট করলো না। তাছাড়া যুদ্ধের সময় সুসংবাদ হোক, কী দুঃসংবাদ, কোনটাই চাক্ষুষ না দেখে বিশ্বাস করা যায়না। চারিদিকে গুজব রটছে।
এদিকে আম্মুর দুই মামা মুক্তিযুদ্ধে চলে গেছেন। যাতে যেতে না পারেন, সেজন্য তাঁদের বাবা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। জোয়ান ছেলেদের বন্দি করে রেখেছিলেন। তখন যুদ্ধে যাওয়া মানেই মৃত্যু। এইজন্য তিনি চেয়েছিলেন ঘরের ছেলেরা ঘরেই থাকুক।
তাঁরা ঠিকই মাটির বাড়ির মেঝে ফুটো করে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
আবার অন্য কোথাও থেকে শুনেছি, তাঁরা নাকি পায়খানার নালা দিয়ে পালিয়েছিলেন।
যুদ্ধে যাওয়ার উন্মাদনা তখন বাংলাদেশের হাওয়ায় হাওয়ায় বইছে। সাধ্য কার তাঁদের ঠেকিয়ে রাখে? এই ছোট্ট ঘটনাই প্রমান করে বাঙালিকে তখন দাবিয়ে রাখা কারোর পক্ষেই সম্ভব ছিল না। না জন্মদাতা পিতা, না সামরিক জান্তা।
বাড়ির অথবা টাট্টিখানার যে রাস্তা দিয়েই পালান না কেন, তাঁরা যুদ্ধে গিয়েছিলেন এই ছিল সংবাদ এবং পরিবারে কান্নার রোল উঠে গেল।
গ্রামে এইবার মিলিটারি এলো। চূর্ণবিচূর্ণ করে দিল সবকিছু। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে সবকিছু একদম ভস্ম করে দিল। গ্রামের সব মেয়েরা পাশের জঙ্গলে গিয়ে লুকালো।
মিলিটারি যখন জঙ্গলের পাশ দিয়ে মার্চ করে যাচ্ছিল, তখন কিছু মহিলা মিলিটারি দেখার জন্য জঙ্গলের ফাঁক দিয়ে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছিল। আম্মুর চাচী ধমক দিয়ে তাঁদের মাথা নামাতে বলে।
“বেকুবের বাচ্চারা, তোগোরে মিলিটারি দেখলে কী করবো বুঝস না? (মাঝে কিছু কথা বললেন যা অশ্লীল। গ্রামের মহিলারা অবলীলায় অমন ভাষা বলে ফেলতে পারেন। তবে পরিস্থিতি বিচারে ঐ মহিলারা অমন গালিই ডিজার্ভ করে।) তোগো লগে আমরাও মরুম!”
বাঙালি সমাজে উৎসুক জনতার অভাব কোন কালেই ছিল না।
পুরো গ্রামের প্রতিটা নারী, একদম শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধা পর্যন্ত সবাই গিয়ে আশ্রয় নিলেন জঙ্গলে। কেবল আম্মুর দাদি নিজের ভিটা ছেড়ে যেতে চাইলেন না। তিনি বললেন, “মারলে আমারে আমার বাড়িতেই মারুক।”
একটা সময়ে বাঙালি নারীদের একটা সংস্কার ছিল যে দুনিয়া উল্টেপাল্টে গেলেও স্বামীর ভিটে ছাড়া যাবেনা। আমার নানিকেও আমি দেখেছি। কখনই বাড্ডার বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে চাইতেন না। বলতেন, “তোর নানা আমার লাইগ্যা যা থুয়া গ্যাছে, আমি সেটাতেই থাকুম।”
মিলিটারি কোন এক অজানা কারনে সেই বাড়িতেই পা রাখলো না। সম্ভাব্য কারন, আম্মুর দাদা বা কোন এক পূর্বপুরুষ “পীর” ছিলেন, তাঁর “মাজার” ছিল বাড়ির আশেপাশেই, এবং পীর সাহেবের বাড়ির প্রতি সম্মান দিয়েই ওরা এলো না।
মিলিটারিরা অর্ধশিক্ষিত ছিল। কুসংস্কারাচ্ছন্নতো বটেই।
আমার বড় মামা ছিলেন ভীষণ ডানপিটে। ঘরে ধরে রাখা যেত না। আমার সহজ সরল নানী একদম শেষ দিন পর্যন্ত বলতেন, “তোর বড় মামা আমারে চালাক বানাইছেরে। আমি কিন্তু অত চালাক আছিলাম না।”
যুদ্ধের সময়ে তাঁর বয়স খুবই কম। পাঁচ সাত হবে।
একদিন তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। চারিদিকে খোঁজ খোঁজ রব উঠলো। হায় হায় চিৎকারও শুরু হয়ে গিয়েছিল। পরে তাঁকে পাওয়া গেল স্কুল ঘরের মিলিটারি ক্যাম্পে। হেঁটে মিলিটারি দেখতে চলে গেছেন। মেজর সাহেব তাঁকে একটা লজেন্স দিয়েছেন। মামা বুঝতে পারছেন না, সবাই মিলিটারিকে এত ভয় পাচ্ছে কেন।
চিটাগং মুক্ত হবার পরে নানীরা বাড়িতে ফেরত এলেন। সব লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। আবার নতুন করে সবকিছু শুরু করতে হবে।
নানী তাঁর ছাগলজোড়া পেলেন না। যুদ্ধের সময়ে মানুষেরই জান নিয়ে টানাটানি, আর ছাগল!
তবে বিহারি পরিবারের কাছ থেকে ঠিকই সেলাই মেশিনটি পেলেন। তাঁরা নানী সহ আরও যাদের আমানত তাঁদের কাছে রক্ষিত ছিল সেসব ফেরত দেয়ার জন্য থেকে গিয়েছিলেন।
সেই রাতেই নানুর বাসার দরজায় তীব্র কড়াঘাত হলো। দরজা ভেঙে ফেলে এমন অবস্থা।
নানা দরজা খুলে দেখেন বিহারি পরিবারটির দুই মেয়ে। তাঁরা এমনিতেও ফর্সা ছিলেন, ভয়ে সেই চেহারা একদম কাগজের মতন হয়ে গেছে। তাঁরা ভীতু স্বরে কোন রকমে বলতে পারলো যে তাঁদের বাড়িতে বাঙালিরা হামলা করেছে। তাঁদের বাবা তাঁদেরকে পেছনের দরজা দিয়ে এ বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের যেন বাঁচানো হয়।
নানা ভয় পেয়ে গেলেন। বুঝতে পারলেন কারা কোন উদ্দেশ্যে তাঁদের বাড়িতে এত রাতে হামলা করেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারে রূপবতী মেয়ে হয়ে জন্মানো ভয়াবহ ব্যাপার! চিল শকুনের দৃষ্টি সবসময়ে তাঁদের উপরই থাকে। সুযোগ পেলেই ছোঁ মারে।
নানা তাঁদের বাড়িতে ঢুকিয়ে সেই মুহূর্তেই পেছনের দরজা দিয়ে বের করে এনে মোটামুটি দায়িত্ববান এক ভদ্রলোকের বাড়িতে দিয়ে এলেন। যার ক্ষমতা আছে তাঁদের রক্ষা করার। এবং যিনি পরে তাঁদেরকে নিরাপদে জেনেভা ক্যাম্পে ছেড়ে এসেছিলেন।
বিহারি ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলাও খুব সম্ভব সেই ক্যাম্পে গিয়েই তাঁদের মেয়েদের দেখা পেয়েছিলেন। তাঁদের সাথে আর কখনই কারোর যোগাযোগ হয়নি। ফেসবুক, টেলিফোন মোবাইলের যুগ ছিল না কিনা।
স্থানীয় এক নেতা সেই বাড়িটির দখল নিয়ে নিল। এরাই রাতের অন্ধকারে তাঁদের বাড়িতে হামলা করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল বিহারি মেয়েগুলোর সাথে ফূর্তি ফার্তা করা। কোন যুগেই বাংলাদেশে ধান্ধাবাজ নেতাদের অভাব ছিল না।
নানীর সেই কথাটি এখনও মনে পরে যায়। “যুদ্ধ বড় খারাপ সময়রে রাজিব্বা, মাইনষের খারাপ চেহারাটা বাইর কইরা আনে।”
তবে সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপারটি হচ্ছে সেই বাড়িটিতে অনেকদিন পর্যন্ত কেউ থাকতে পারতো না। বাড়িতে কেউ থাকা শুরু করার কয়েক মাসের মধ্যেই তড়িঘড়ি করে সেটা ছেড়ে রীতিমতন পালাতো। কেন? তাঁর কোন কারন জানা নেই।
এই সেই বাড়ি, এককালে যা নির্মাণের সময়ে গভীর রাত পর্যন্ত ইট ভাঙার শব্দ আসতো। যে বাড়ির প্রতিটা ইটের গাঁথুনিতে তাঁদের রক্ত পানি হয়ে মিশে আছে। এক সত্যিকার ভদ্রলোকের সমস্ত জীবনের সঞ্চয়, স্বপ্ন মিশে আছে। সেই বাড়ির বাতাসে কান পাতলে কী তাঁদের দীর্ঘশ্বাস ধ্বনি শোনা যাবেনা?
স্বাধীনতার অনেক অনেক অনেএএএক বছর পর নানীকে নিয়ে গিয়েছিলাম চিটাগং। ২০০৩-৪ এর দিকে হবে হয়তো, বা আরও পরে। তিনি আবারও ফেরত গিয়েছিলেন লাভ লেনের সেই পাড়ায়। প্রতিবেশী যারা তখনও ছিলেন তাঁরা তাঁকে দেখে যে করেছিল তা যদি ভিডিও করে রাখতে পারতাম!
তখনও এই গল্পটি আমার শোনা হয়নি। তাহলে অবশ্যই সেই বাড়িটি দেখে আসতাম।
এই বাড়ির ভদ্রলোক এক সংকটময় মুহূর্তে নিজের জাতভাইদের বিরুদ্ধে গিয়েও মানবতার খাতিরে আমার নানার জীবন বাঁচিয়েছিলেন, সেজন্য একটা ধন্যবাদতো তাঁর প্রাপ্য।
গল্পের বিষয়:
ইতিহাস · গল্প