অন্ধকার

‘আমি কি পাগল, যে পাগলের ডাক্তারের কাছে যাবো!’

সাব্বিরকে মনোচিকিৎসকের কাছে নিতে হবে বলে কোনদিনই মনে হয়নি রুমানার। নানা বিষয়ে কত না আশঙ্কা দিনেরাতে রুমানাকে বিদ্ধ করে, কিন্তু সাব্বির মানসিকভাবে অসুস্থ হবে- এ রকম আশঙ্কা কখনোই রুমানার মনের ত্রিসীমানায় আসেনি। বিশ বছরের দাম্পত্যে রুমানা দেখেছে তার পাশে হাসিখুশি, বুদ্ধিদীপ্ত সাব্বিরকে; সংসারের নানা বিপর্যয় যে সব সময় ঠাণ্ডা মাথায় মোকাবেলা করে। বিষয়বুদ্ধি সাব্বিরের কম না হলেও এ ব্যাপারে সে উদাসীন; তবে তার মানসিক জোর আর সামর্থ্য নিয়ে রুমানার কোন সন্দেহই ছিল না কোনদিন।

মধ্যবয়সী সাব্বির- মানে সাব্বির আহসান পরিচিতজনদের কাছে দায়িত্বশীল হিসেবে সুপরিচিত, মন্ত্রণালয়ে উপসহকারী সচিব হিসেবে নিজের কাজের পরিসরে তার যথেষ্ট সুনাম- রুমানা বেসরকারি সাহায্য সংস্থায় মাঝারি গোছের চাকুরে- বেশ চলছিল তাদের সংসার; কন্যা ঘুড্ডি আর পুত্র নাটাই- স্কুলে যার যার মতো ভালো করছে; সাব্বির অতোটা না হলেও রুমানা হিসেবি- গাজীপুরে কিস্তিতে প্লট পর্যন্ত বুকিং দিয়েছে, তাও তিন বছর হতে চললো- একটা গাড়িও কিনে নিয়েছে তারা; সব চলছিলো সর্পিল-এর মধ্যে বলা নেই কওয়া নেই, সাব্বির ঘুমাতে পারে না আজ কয়েক দিন! টানা অনিদ্রাজনিত ক্লান্তিতে বিধ্বস্ত চেহারার সাব্বিরকে নিয়ে স্ত্রী রুমানা আসে মনোচিকিৎসক ডাক্তার ফিরোজের চেম্বারে। তারা ল্যাবএইডে অপেক্ষমাণদের সারিতে বসে।

এই ডাক্তারের কাছে আসা নিয়ে রুমানাকে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে!

‘আমি কি পাগল, যে পাগলের ডাক্তারের কাছে যাবো!’

‘ডাক্তার ফিরোজ নামকরা সাইকিয়াট্রিস্ট। তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহজে পাওয়া যায় না। কত কষ্ট করে, এরে-তারে ধরে নামটা লিখাইছি। একটু কথা বলে আসি, চলো..প্লিজ।’

‘তোমার দরকার, তুমি যাও। আমি ভালো আছি।’ সাব্বিরের কথায় আর নিজেকে শান্ত রাখতে পারে না রুমানা- ‘ এই ভালো থাকার ছিরি! কয় রাত তুমি ঘুমাও না?..’

কথার উত্তর না দিয়ে অন্যদিকে সরে যায় সাব্বির; আর কাঁদতে শুরু করে রুমানা-কিছু সমস্যা আছে, যা আগে থেকে কোনভাবে ধারণা করতে না পারলে, আকস্মিক তার মুখোমুখি হলে অসহায় বোধ হয়- রুমানার হয়েছে তাই-সাব্বিরের মানসিক সমস্যা তাকে দিশেহারা করে তোলে।

সমস্যার শুরু দিন পনের আগে এক রাতে। পাশাপাশি ঘুমোচ্ছিল সাব্বির-রুমানা; শেষ রাত তখন-রুমানা গভীর ঘুমের মধ্যে শুনতে পায় সাব্বির গোঙানির মতো শব্দ করছে; রুমানা চমকে তাকিয়ে দেখে সাব্বিরের মুখ দিয়ে রীতিমতো ফেনা বেরুচ্ছে; আর সে জবাই করা পশুর মতো গলায় অদ্ভুত এক পাশবিক শব্দ করছে।

রুমানা তীব্র ভয় পায় সে সময়, এতো দিনের চেনা দাম্পত্যে এ’রকম ঘটনার মুখোমুখি আর সে হয়নি। কী হলো সাব্বিরের? সে ধাক্কা দিয়ে জাগাতে চেষ্টা করে সাব্বিরকে- ‘অ্যাই, অ্যাই-ওঠো..ওঠো…অ্যাই…স্বপ্ন দেখছো…স্বপ্ন?’

বরকে সহজে জাগাতে পারে না রুমানা: রীতিমতো জবরদস্তি ধাক্কাধাক্কি শুরু করে সে সাব্বিরকে: মিনিট দুই-তিনের চেষ্টায় সাব্বির ঘুম থেকে ধড়ফড় করে জেগে রুমানার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে; মুখ থেকে বেরুনো ফেনা হাতের চেটোতে সরাতে সরাতে লজ্জিত কণ্ঠে সাব্বির বলে, ‘ কিছু হয় নাই…স্বপ্ন দেখছি মনে হয়, তুমি ঘুমাও!’

রুমানার বিস্ময়ের অন্ত থাকে না-এমন কী স্বপ্ন দেখলো সাব্বির যে, তাকে এভাবে নাস্তানাবুদ হতে হলো! তারপর ঘুম ভাঙার পর সে লজ্জাই বা পাচ্ছে কেন? স্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে তার কিসের লজ্জা?

জোর করে না রুমানা; সে জানে, মানুষের মন বিচিত্র। নিশ্চয়ই কোথাও কোন সমস্যা হয়েছে সাব্বিরের, সময় দিতে হবে; একটু ধাতস্থ হোক-নিজেই বলবে, যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে!

ধাতস্থ হওয়া দূরে থাক, সাব্বিরের সমস্যা বাড়তেই থাকে; পরপর তিন/চার দিন…একই ঘটনা-গলাকাটা পশুর মতো আর্তনাদ করতে করতে মুখভর্তি হয়ে ওঠে তার থুতু-ফেনায়; এক বিবমিষা জাগানো দৃশ্য- রুমানা ধাক্কাতে ধাক্কাতে সাব্বিরকে ঘুম থেকে জাগিয়ে ভয়ে জড়িয়ে ধরে রাখে; সেই একই ভয়-মেশানো অদ্ভুত কণ্ঠ সাব্বিরের- ‘ইয়ে… তুমি ঘুমাও! ব্যাপার না, ঠিক হয়ে যাবে।’

তাকে ছাড়ে না রুমানা-তার ধারণা হয়, সাব্বিরের শরীরে কোন অসুখ হানা দিয়েছে, স্কয়ার হাসপাতালে বরকে নিয়ে পুরো চেকআপ করিয়ে বন্ধু চিকিৎসক আরিফ হোসেনের সাথে পরামর্শ করে- ইতিমধ্যে সাব্বিরও চেষ্টা করতে থাকে, যাতে এই ঘটনা তার আর না ঘটে; ফলাফল দাঁড়ায়-তার ঘুম কমতে থাকে, ধীরে ধীরে এমন অবস্থা হয়, রাতের পর রাত তার না ঘুমিয়েই কাটতে থাকে।

রুমানার ধারণাতে আসে না, সাব্বিরের মানসিক রোগ হতে পারে; চেকআপ রিপোর্ট নিয়ে সে স্কয়ার হাসপাতালে ডাক্তার বন্ধু আরিফের কাছে পরামর্শের জন্য যায়, আরিফ বলে, ‘ফুল চেকআপ করছো ভালো করছো…এই বয়সে এইটা দরকার আছে। তবে সমস্যা সাইকোলজিক্যাল। সাইকিয়াট্রিস্ট দেখাও।’

শুনে রেগে ওঠে সাব্বির। ‘দূর! কী সব কথা! আমাকে একটু নিজের মতো থাকতে দাও। আমি রিডিং রুমে ঘুমাবো আজকে থেকে….’

ঘুড্ডি সপ্তম আর নাটাই পঞ্চম শ্রেণিতে- দু’জনই বুঝতে পারে বাবা-মায়ের সমস্যা চলছে কিছু, তারা নিজেদের মতো গুটিয়ে থাকে; রুমানা তারস্বরে চেঁচায়- ‘তুমি কিছু বুঝতে পারতেছো- তুমি কী বলতেছো!’

‘এমন কী আজব কথা বললাম! পড়ার ঘরে ঘুমালে কি আমি মরে যাবো? নাকি তুমি মরবা?’

‘কী চাষাদের মতো কথা বলতেছো? তোমার আসলেই তো মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে! তুমি তো এভাবে কথা বলো না!’

‘আমি চাষা…চাষা..হলো তো ….আমি আস্ত চাষা…’ বলতে বলতে রাগে গজগজ সাব্বির তার রিডিং রুমে চলে যায়…

‘এই যে ভাই ১৭ নম্বর…মিস্টার শাহীনুর রহমান …আসেন…’ ডাক্তার ফিরোজের অ্যাটেনডেন্টের চিৎকারে রুমানা ভাবে, সাব্বিরের সিরিয়াল ২৪; আরও ৭/৮ জন- আল্লাই জানে, সাব্বির এতোক্ষণ ধৈর্য ধরে বসে থাকবে কিনা, নাকি চলে যাবার জন্য তোড়জোর শুরু করবে!- রুমানা সারাটা জীবন নিজেকে অধৈর্য হিসেবে জেনে নিশ্চিন্তে সাব্বিরের হাতে সব সমর্পণ করে বসে আছে; আর এখন একি বিপদ হলো! রুমানা বিড়বিড় করে দোয়া-দরুদ পড়বার চেষ্টা করে; অনেক দিনের অনভ্যাসে কোন দোয়াই পুরো মুখস্থ নাই তার; এখান থেকে ওখান থেকে যা মনে পড়ে..তাই বিড়বিড় করে সে- ‘ইয়া মাবুদ, বাঁচাও।’

‘ভয় পাচ্ছো?’ সাব্বিরের মুখে মৃদু হাসি দেখে অবাক হয়ে তাকায় রুমানা।

‘কেন! ভয় পাবো কেন?’

‘তুমি তো ভাবো, আমি পাগল হয়ে গেছি! একটু পর উঠে এখান থেকে দৌড় দেব!’

রুমানা কী বলবে ভেবে পায় না; আজ কতদিন পরে সেই আগের মতো নরম গলায় কথা বলে সাব্বির; গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে মাত্র দুইদিন সে আপিস গেছে; তাও লাঞ্চের পর আর থাকেনি; পরপর কয়েক রাত গোঙানি ঘটনার পর দিনদশেক হলো রাতে ঘুমায়ই না সাব্বির।

প্রথম কয়েক রাত ঘুমের ওষুধ খেয়ে চেষ্টা করেছে ঘুমানোর, ঘুমও এসেছে-তবে শেষ রাতে ওই একই কাণ্ড- জবাই করা পশুর কণ্ঠে আর্তনাদ আর মুখভর্তি ফেনায় মাখামাখি হয়ে যমে-মানুষে টানাটানি অবস্থা! এর পর থেকে রাতে ঘুম বাদ দিয়ে আপাতত দিনের বেলায় ঘুমানোর চেষ্টা করছে সাব্বির, দিনে অবশ্য টানা ঘুম হয় না; এদিকে আপিসেও তার সহকর্মীরা সাব্বিরের প্রতি আন্তরিক-ঊধ্বর্তন সচিব সাহেব নিজে টেলিফোন করে রুমানাকে বলেছেন, ‘সাব্বির সাহেবের অনেক ছুটি পাওনা। তাকে এক মাসের ছুটি দিলাম। আপনি ডাক্তার দেখান। তার সাহায্য প্রয়োজন! আমরা সবাই তার পাশে আছি!’

আপিসের যখন এই অবস্থা, তখন বোঝাই যায় সাব্বির স্বাভাবিক নেই আর; কিন্তু রুমানার এখনও বিশ্বাস হয় না- তার বরের কোনরকম মানসিক রোগ হতে পারে:সাব্বির যদি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়, তবে পৃথিবীতে সুস্থ থাকে কে আর!

সেই কবে- দু’দশক আগে তাদের বিয়ে হয়, পারিবারিক উদ্যোগেই; দু’জনেরই পৈতৃক বাড়ি ময়মনসিংহের বাদিহাটিতে-বাপ/চাচারা মিলে বিয়ের উদ্যোগ নেন; সাব্বির পড়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, আর রুমানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে- একই এলাকার তারা; পরস্পর খানিকটা মুখচেনা ছিল বৈকি; কিন্তু বিয়ের ব্যাপার ঘটে সম্পূর্ণ পারিবারিক পর্যায়ে। অবশ্য এ’নিয়ে রুমানার বিন্দুমাত্র খেদ ছিল না, এখনও নেই- মনের গহীনে ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গীর যে আবছা আদল থাকে- সাব্বিরের সাথে তার কোন মিল না থাকলেও রুমানার মনে হয়, এই রকম একজন মানুষই সে চেয়ে এসেছে- বুদ্ধিমান, শান্ত, বিবেচক।

ল্যাবএইড হাসপাতালে অপেক্ষমাণদের সারিতে রুমানার পাশে বসে সত্যিই বিব্রত বোধ করে সাব্বির। সে নিজেও পরিস্কার বুঝতে পারে, কোথাও একটা বড় ধরনের গণ্ডগোল হয়ে গেছে! কিন্তু সে নিজে তা কোনভাবে বুঝে উঠতে পারছে না। শুরুতে অবশ্য এটাকে সে সমস্যা হিসেবে মানতেই রাজি ছিল না; ভেবেছে- স্বপ্ন দেখেছে; কোন ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন; ঠিক হয়ে যাবে! এ’নিয়ে সে বহু, বহুবার ভেবেছে, অতলান্ত ভাবনা যাকে বলে- ঘুমের মধ্যে তার সমস্যাটা হয় শেষ রাতের দিকে; দিনের বেলা কখনোই হয়নি। শেষ রাতে ফজরের নামাজের আগে আগে সাব্বির নিজের কণ্ঠনালীর দু’পাশে সাঁড়াশি হাতের চাপ অনুভব করে। প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরপর কয়েক দিন একই ঘটনা ঘটায় সে মনঃসংযোগের চূড়ান্ত করে অনুভব করে-হাত দুটি কালো, পুরুষালি, শক্ত হাত- বড় বড় নোংরা লোমভর্তি সেই দুই হাত…

কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সাব্বিরের অনুভব করবার কথা-তার দম বন্ধ হয়ে আসবে; তা নয়- সে অনুভব করে কীভাবে যেন তার গলা জবাই হয়ে যায়, ফিনকি দিয়ে রক্ত ছোটে আর সে আর্ত ধ্বনি করে ওঠে- কোরবানির পশুর মতো সেই আর্ত ধ্বনি; তবে কণ্ঠনালী চেপে ধরা অবস্থায় কীভাবে গলা দু’ভাগ হয়ে জবাই হলো- অসংখ্যবার মনঃসংযোগ করেও সে তা বুঝে উঠতে পারে না; তার আগেই সে বারবার লক্ষ্য করে-এ ব্যাপারে বেশি চিন্তা করলে তার মুখ দিয়ে গরুর জাবর কাটার ফেনার মতো ফেনা বেরুচ্ছে!

কবে শুরু হয়েছে এই ব্যাপারটি? মনে করবার চেষ্টা করে সাব্বির। সে অতি সাহসী না হলেও ভীতু মানুষ নয়; ফুলবাড়িয়া কলেজ শেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ করেছে মসৃণভাবে-কোথাও কোন বিঘ্ন করেনি- সাব্বিরের বাবা পাকিস্তান আমল থেকেই মুসলিম লীগ করেছেন; সাব্বিরের জন্ম মুক্তিযুদ্ধের ঠিক আড়াই বছর আগে; এলাকার কুখ্যাত রাজাকার ফ্যামিলি হিসেবে তার পরিবারের পরিচিতি-অবশ্য মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কথা সাব্বিরের কিছুই মনে নাই।

১৯৭৪-৭৫ থেকে তার মনে থাকবার শুরু- মুক্তিযুদ্ধের পর চার বছর জেল খাটেন রাজাকার বাবা আহসান মোহাম্মদ গফুর; ছিয়াত্তরে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হন; সাব্বিরের বাবা একা নন, তার চাচারা তো বটেই, রুমানার বাবা/চাচাও একই ঘরানা বা বলয়ের মানুষ-এ কারণে দুই পরিবার মিলে সোৎসাহে তাদের বিয়ে দিয়েছেন। সাব্বির জীবনে সুখী; বাবা-চাচাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কোনদিনই তার সমর্থন পায়নি, বরং তাদের নানা তৎপরতায় রাজনীতির ব্যাপারেই সে বীতশ্রদ্ধ হয়ে ওঠে, পুরো ছাত্রজীবনে কখনই কোন ধরনের রাজনীতির সাথে নিজের সংশ্রব সে রাখেনি। এর পর সরকারি চাকরি- সাব্বিরের জীবন নিরেট সরল একরৈখিক। চাকরির কাজে দেশে-বিদেশে বহুবার অপরিচিত জায়গায় তাকে যেতে হয়েছে; কত বিচিত্র মানুষের সাথে পরিচিত হতে হয়েছে-কখনই এক মুহূর্তের জন্য ‘ভয়’ শব্দটি তার মধ্যে বিন্দুমাত্র স্থান পায়নি।

এখন কি ভয় পাচ্ছে সাব্বির?

ধানমণ্ডির ল্যাবএইডে অপেক্ষমাণদের ঘরে বসে ভাবতে থাকে সাব্বির; মগবাজার চৌরাস্তা থেকে একটু ভেতরের দিকে গলিতে তার ভাড়া বাসা; ডায়াবেটিসের রোগী সে -রোজ সকালে হাঁটা তাই বাধ্যতামূলক- ডাক্তারের কথায় যত না; তার চেয়ে বেশি রুমানার তাগাদায় রোজ ভোরে উঠে মগবাজার থেকে রমনা পার্কের দিকে জোর হাঁটা দেয়- তাও প্রায় আজ চার/পাঁচ বছর। সম্ভবত নিয়মিত হাঁটার কারণেই সাব্বিরের চেহারা-স্বাস্থ্যে তারুণ্যের ছাপ অটুুট; তার বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই, বোঝা যায় না।

অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও সাব্বির হাঁটতেই বেরিয়েছিল।

ল্যাবএইডের অপেক্ষমাণদের ঘরে নিজের স্ত্রীর পাশে বসে ঘামতে থাকে সাব্বির।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত