হয়ত একটা রহস্য কাহিনী

বেজান শীত পড়েছে এইবার। মাঘের শীতে বাঘ পালায় বলে, এইবার বাঘ পৌষের শীতেই পালাবে। পৌষের কত যাচ্ছে আজ? পনেরো। তেরো থেকে তাহলে দেশে বিপর্যয়কর শৈত্যপ্রবাহ চলছে। তাদের শহরের তাপমাত্রা এর মধ্যে এগারো ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে। মানুষজন ঘরের বার হয় না। এটা হলো নাকি? দুটো সোয়েটার, একটা চাদর, বানরটুপি, জিন্সের প্যান্ট, গ্লাভস, মোজা, কেডস, সন্ধ্যার পর শীতকে ফাইট দিয়ে একবার বের হয়েছিল অমিয়শঙ্কর। স্টেশন রোডে গেছে এবং ফরিদের ফার্মেসিতে কিছুক্ষণ বসেছে। সিটি ফার্মেসি। মান্না, মসরু, শামীম ছিল। খোকন ছিল না। খোকনকে নিয়ে কিছু আদি রসাত্মক হাস্য-পরিহাস হয়েছে। অমিয়শঙ্কর সব সময় যা বলে, ‘বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা।’ মান্নাও বরাবরের মতো তাতে কিঞ্চিৎ ক্ষিপ্ত হয়েছে এবং নিজস্ব রোষ প্রকাশ করেছে, ‘তুই আর একথা বলিস না। তোর বউও তো তোর থেকে আঠার উনিশ বছরের ছোট। তোর কী? তরুণস্য তরুণী ভার্যা?’

‘আঠার-উনিশ! শালা পাগল!’

‘তা তো অবশ্যই। আমি তো পাগলই। তোরা তো আবার এরমধ্যে ভাইবোন হয়ে গেছিস।’

‘ঠাকুর রামকৃষ্ণ বলে গেছেন, ব্যাটা। বিয়ের পাঁচ বছর পর থেকে ভাইবোনের মতো থাকবি।’

‘তোরা থাকিস!’

জমে উঠছিল, জমে গেল। সেটা ঠাণ্ডায়। শামীম গুগল সার্চ দিয়ে বলল, ‘শহরের তাপমাত্রা এখন দশ দশমিক শূন্য তিন ডিগ্রি।’

মসরু বলল, ‘শামীম ভাই, গুগল সার্চ দিয়া একটু দেখেন তো, আমাদের শহরে এখন কয়টা বাজল?’

সাতটা এগার। ফার্মেসি বন্ধ করে রেকর্ড করল ফরিদ। ‘সিটি ফার্মেসি’ এত সাততাড়াতাড়ি কোনো জন্মে বন্ধ হয় নি। মসরু বলল, ‘ফরিদ ভাই লঞ্চঘাট চলেন।’

ফরিদ বলল, ‘লঞ্চঘাটে কী?’

‘আরে। এত বড় একটা রেকর্ড করলেন, আপনাকে তো স্পেশাল ডিম পরোটা খাওয়ানো দরকার।’

‘বিল কে দেবে?’

‘কেন? অমিয়শঙ্করদা।’

অমিয়শঙ্কর বলল, ‘মাথা খারাপ নাকি? আমার পকেটে দশ টাকাও নাই।’

মান্না বলল, ‘কোনদিন থাকেরে, শালা। এই চল। বিল আমি দেবো।’

লঞ্চঘাটের হোটেলে ডিম পরোটা, স্ট্রং চা আর সিগারেট টেনেটুনে তারা যে যার ঘরমুখো হলো।

মান্না, অমিয়শঙ্কর থাকে এক পাড়ায়। তারা এক সঙ্গে ফিরেছে এবং শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে চরম মতানৈক্যে গেছে। ফয়সালা হয়নি বিতর্কের। আবু লেইস ডাক্তার সাহেবের বাসার সামনে থেকে মান্নার বাসা একটু সামনে। অমিয়শঙ্করের বাসা ডানদিকের গলিতে। মান্না সোজা হাঁটা দিয়েছে, অমিয়শঙ্কর গলিতে ঢুকে পড়েছে। গলির লোকাল নাম মড়ার টিলা রোড। এই রোডের মাথায় শহরের বারোয়ারি গোরস্তান। বিশ-বাইশ বছর আগেও ঘরদোর ছাড়া ছিল এলাকা। এখন ঘরদোরের গায়ে ঘরদোর।

মড়ার টিলা রোডের ডান ধারের প্রথম বাসাটা সত্যশিব বাবুর। দ্বিতীয় বাসাটা তুষারকান্তি বাবুর, এরপর পুকুর, পুকুরের পর সাধনদাদের বাসা, পরের বাসাটা অমিয়শঙ্করদের।

জনমনিষ্যিহীন মড়ার টিলা রোডে কিছু কুয়াশা জমে নেমেছে। শহরের কবি ইকবাল কাগাজীর কবিতায় এই কুয়াশার কথা আছে। ‘মড়ার টিলা রোডের খণ্ড কুয়াশায় আমরা দেখি মানব কল্ক্কিগণ হাঁটে।’-শহরের হিট কবিতা। জনবিরান মড়ার টিলা রোডে সে সময় কয়েকজনের আনাগোনা ছিল। তারা শহরের মার্কামারা কয়েকজন। সাধক শ্রেণীর প্রাণী। গোরস্তানের টিলার আওড়ে বসে তারা সংবিদামঞ্জরীর সাধনা করত। ছিল তাদের সার্কেলের দুই তিনজনও। বর্তমানে তাদের একজন আছে অস্ট্রেলিয়ায়, একজন ঢাকায়, একজন শহরেই। জামাইপাড়ার কমরেড আলী কবিরের ছেলে গাউসুল। তিন এলাকায় থাকলেও তিন জনই চর্চা বজায় রেখেছে, খবর আছে। গাউসুল আর আনালে বিনালে হাঁটে না অবশ্য, ঘরেই সাধনার ব্যবস্থা করে নিয়েছে।

অমিয়শঙ্কর যখন তাদের বাসার গেট দিয়ে ঢুকল, গোরস্থান থেকে একটা শেয়াল ডাক দিল। সঙ্গে সঙ্গে আরো কয়েকটা। শীতে কাবু শেয়ালমামারাও। ষোলঘরেও এমন কিছু শেয়াল আছে। শীতের রাতে ডেকে সারা হয়।

গেট আটকে দিয়ে অমিয়শঙ্কর ভাবল ঢাকাবাসী সাধককে কল দিতে হবে একটা। শৈত্যপ্রবাহে নাকাল ঢাকাও। সাধক কী করছে? ‘গুঁড়া’ না ‘তরল’ সাধনা করছে। ঘরে ঢুকে তবে কল করা যাবে। অরনো, পারো কি ঘুমিয়ে পড়েছে? অরনোটার ঠাণ্ডা লেগে গেছে। সকালে হরিশঙ্করকে বলছিল, ‘আমি তুমি হয়ে গেশি, ভাই। তোমার মতো কাসি। খুক! খুক! খুক!’

অমিয়শঙ্করের বাবা হরিশঙ্কর। রিটায়ার্ড স্কুল শিক্ষক। বয়স চুয়াত্তর-পঁচাত্তর হয়েছে। যথেষ্ট শক্তপোক্ত আছেন এখনো। শৈত্যপ্রবাহ ধরেছে তাকেও। হলিউড সিগারেট টানেন আর কাশেন। এই নিয়ে স্ত্রী করুণাময়ীর সঙ্গে দিনমান কিছু না কিছু খটমট তার চলতেই আছে বা তারা চালিয়েই যাচ্ছেন। বুড়োবুড়িকে আদতে বেজায় সুখী মনে হয় অমিয়শঙ্করের। ঠাকুরদা না, হরিশঙ্করকে ‘ভাই’ ডাকে অরনো, পারো। করুণাময়ীকে ডাকে ঠাম্মা। অরনোটা ঠাম্মার ন্যাওটা, পারো ভাইয়ের। বলেছে, বড় হয়ে ভাইকে বিয়ে করবে।

বারান্দায় উঠে নিচুগলায় একটা শিস দিল অমিয়শঙ্কর। সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে দিল স্মৃতিকণা। অরনো, পারোর মা। এই শীতেও সন্ধ্যায় ঠিক ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্নান করেছে সে। সবুজ রঙের শাড়ি এবং ধূসর রঙের চাদর পরেছে। অমিয়শঙ্কর বলল, বাহ। মনে মনে বলল। তার বউটা দিন দিন এরকম রূপবতী কী করে হচ্ছে? শ্যামলা স্মৃতিকণা। মাঝারি গড়নের। নাকটা অল্প বোঁচা। পৃথিবীর সব মায়া চোখ দুটোতে। চিবুকে টোল পড়ে হাসলে। সিঁদুর পরে শীতের দেবী হয়ে আছে।

স্মৃতিকণা বলল, ‘কী হলো? ঘরে ঢোকেন। সব শীত তো ঘরে ঢুকে পড়ল।’

অমিয়শঙ্কর ঘরে ঢুকে বলল, ‘তুমি-!’

‘কী?’

স্মৃতিকণা দরজা আটকাল।

‘এই ঠায়ও আড্ডা না দিলে হয় না! আর কেউ ছিল ফরিদ দাদার ওখানে?’

স্মৃতিকণা ফরিদকে ডাকে ফরিদ দাদা, মান্নাকে মান্না ভাই, খোকনকে খোকন মামা এবং শামীমকে দুলাভাই। শামীমের বউ শাম্মী স্মৃতিকণার দিদি প্রীতিকণার বন্ধু।

অরনো, পারো খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। বাবা মাকেও এইমাত্র খাইয়ে দিয়েছে স্মৃতিকণা। বুড়ো বুড়ি জেগে আছেন এখনো। কথা শোনা যাচ্ছে।

অমিয়শঙ্কর বলল, ‘তোমার মামা ছাড়া সকলেই ছিল।’

‘মামা তো আর তোমাদের মতো না।’

‘তা তো অবশ্যই। তোমার মামা হলো ঝাপটা মামা।’

ইতিহাস আছে। বন্ধু সার্কেলে খোকনের পরিচিতিমূলক নাম হলো ‘ঝাপটা খোকন।’ নানাদিকে ‘ঝাপটা’ মেরে সে এই উপাধিসহ নাম অর্জন করেছে। বিয়ে করে ঘোর সংসারী এখন। দুই মেয়ে, এক ছেলে। মেয়েরা যমজ। লঞ্চ ব্যবসা ছিল পৈতৃক, সে মৎস্য প্রকল্প করে লঞ্চ ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে।

ঝাপটা হাসির পর স্মৃতিকণা বলল, ‘চা খাবেন?’

‘তুমি খাবে?’

‘বারে! আমি খাবো না? আমি তো আমার জন্যই বানাচ্ছি, আপনি যদি খান তবে আপনাকে দিতে পারি।’

‘মধু আছে ঘরে?’

‘আছে, পণ্ডিত মশাই।’

গোরস্তানের শেয়ালরা ডাকছেই। ঘরের দরজা জানালা আটকানো বলে মনে হচ্ছে বহু দূরে কোথাও ডাকছে।

মধু দিয়ে চা করে নিয়ে এল স্মৃতিকণা।

শনি-রবিবারে রাত দশটা থেকে টিভিতে কুইজ শো ‘দাদাগিরি’ দেখায়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সঞ্চালনা করেন। আজ রবিবার। দশটা থেকে তারা দাদাগিরি দেখল, ভাতও খেয়ে নিল। ‘দাদাগিরি’র পর অমিয়শঙ্কর কল দিল ঢাকায়। ঢাকাবাসী বদমায়েশ নিশাচর। তিনটা-সাড়ে তিনটার আগে ঘুমায় না। কল ধরল, ‘কী রে শিয়াল?’

‘আর কি! তোর খবর কী? শীত কেমন?’

‘শীত মানে? শীত কোথায় পেলি?’

‘শীত কোথায় পেলাম মানে? ঢাকায় কি শীত পড়ে নাই?’

‘শীত! কোত্থেকে? আমি তো সব জানালা খুলে ফ্যান চালিয়ে বসে আছি। ফ্যানের শব্দ শুনতে পাচ্ছিস না?’

‘দূর শালা মাতাল!’

শালা মাতাল গান শুরু করে দিল,

‘আমি তো বন্ধু মাতাল নই

মানুষ যদি মোরে নাই বলো

বেঈমান বলো বেঈমান…।

হা! হা! হা! শোন তোকে একটা গুড নিউজ দেই। আমি মাতাল না, ঝিমও না। আর কখনো হতেও পারবো না।’

‘মানে কী? ছেড়ে দিয়েছিস?’

‘নাহ্‌! তবে আর ধরতে পারব না।’

‘মানে কী?’

‘আমি মরে গেছি।’

‘কবে? কখন?’

‘সন্ধ্যায়। আমাকে খুন করে রেখে গেছে।’

‘কে? স্কুল মিস্ট্রেস না ভার্সিটির ম্যাডাম?’

‘তারা না। আমি মজা করছি নারে, বন্ধু।’

‘শুয়োরের বাচ্চা! রাখ!’

‘টিভিতে দেখ তুই।’

‘টিভিতে? কী দেখব?’

‘বাংলা ২১ নিউজ চ্য্যানেল দেখ।’

বাংলা ২১ কত নাম্বারে?

স্মৃতিকণা বলল, ‘ঊনত্রিশ।’

অমিয়শঙ্কর বলল, ‘তুই আছিস? ফোন ধরে থাক।’

‘আছি।’

বাংলা ২১ নিউজ চ্যানেল দিতেই বিজ্ঞাপন দেখল তারা। গ্লিসারিনের বিজ্ঞাপন। গ্লিসারিনের পর কাচের বিজ্ঞাপন। ফ্রুট জুস, পাইপ, সিমেন্টের বিজ্ঞাপন। এবং ফোন কোম্পানির বিজ্ঞাপন।

বিরক্ত অমিয়শঙ্কর বলল, ‘বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে।’

‘নিউজে ফিরুক।’

‘ফিরুক। তুই ধরে থাক।’

আরো তিনটা বিজ্ঞাপন প্রচার করে সংবাদ পাঠক মেয়েটা সংবাদ নিয়ে ফিরল। কী সংবাদ? শুনে প্রথম বিশ্বাস হলো না, দেখে বিশ্বাস হলো অমিয়শঙ্করের। সত্যি তাকে খুন করা হয়েছে। মানে কী এর? মানে কী এর?

স্মৃতিকণাও দেখছে। মূক হয়ে গেছে।

অমিয়শঙ্কর ফিসফিস করে বলল, ‘কে? কারা?’

হাসল। বলল, ‘তুই। তোকে পুলিশ ধরবে। তুই পালা।’

অমিয়শঙ্করের মনে হলো জমে যাচ্ছে সে। এসব কী ঘটছে? কী দেখছে, কী শুনছে সে? কিভাবে?

সংবাদ পাঠক মেয়েটা বলছে, ‘নির্মম এই হত্যাকা সম্ভবত সন্ধ্যার পর ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান গণমাধ্যমকে…।’

স্ট্ক্রিনে তার স্টিল ছবি দেখাচ্ছে। খোঁচা-খোঁচা গোঁফ দাড়ি, খোঁচা খোঁচা চুল। সবসময় একরকম সে।

অমিয়শঙ্কর বলল, ‘তুই!’

স্মৃতিকণা বলল, ‘কী? কী হয়েছে?’

বলতেই থাকল।

‘কী? কী হয়েছে? কী? কী হয়েছে? কী? কী হয়েছে? কী? কী হয়েছে…?’

ওহ! এতক্ষণে ঘুম ভাঙল অমিয়শঙ্করের। স্বপ্ন দেখছিল। কী একটা স্বপ্ন।

ঘরে মৃদু নীল আলো জ্বলছে।

অমিয়শঙ্কর মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে রেখে ঘুমায়। বালিশের নিচ থেকে নিয়ে সময় দেখল। ৩টা ১৩ না ১৮ বাজে? ৩টা ১৮। স্মৃতিকণা ঘুমিয়ে আছে গুটিয়ে সুটিয়ে।

অদ্ভুত! এত রাতে ফরিদ মিয়ার কল। অমিয়শঙ্কর ধরল, ‘কিরে হারামজাদা?’

ফরিদ বলল, ‘ঘুমাস নাই তুই?’

‘ঘুমিয়ে ছিলাম। বাজে একটা স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে গেল।’

ফরিদ বলল, ‘মন শক্ত কর।’

অমিয়শঙ্কর বলল, ‘কী?’

‘মন শক্ত কর। খারাপ খবর আছে।’

‘কী খারাপ খবর? কেউ মারা গেছে? কে মারা গেছে? আমি শুনব না।’

‘তুই শুনেছিস?’

‘না আমি কিছু শুনিনি। কিছু শুনব না।’

বলে মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দিয়ে ফোন অফ করে দিল অমিয়শঙ্কর। ঝিম ধরে থাকল। স্মৃতিকণাকে দেখল। অরনো পারো তাদের ভাই ঠাম্মার সঙ্গে ঘুমিয়েছে। স্মৃতিকণার ঘুম ভাঙানো ঠিক হবে এখন? কী খারাপ খবর দিতে ফোন করেছিল ফরিদ? নিশ্চয়ই অমিয়শঙ্করের স্বপ্ন সত্যি হয়ে গেছে এরকম কিছু বলত না। ঘুম ভেঙে মাথা এলোমেলো ছিল, বোকামি হয়ে গেছে। অমিয়শঙ্কর আবার ফোন খুলল এবং কল দিল ফরিদকে। যা শোনার শুনল এবং মস্তিস্ক শূন্য হয়ে গেল তার। তাদের শহরের তাপমাত্রা কি আরো দুই তিন ডিগ্রি নিচে নেমে গেল?

খুন হয়নি সে, আত্মহত্যা করেছে।

এরই বা মানে কী?

ঘটনা তো দুই বছর আগের এক শীতবিহীন শীতকালের। ঢাকা থেকে কে একজন ফোন করে খবর দিয়েছিল ফরিদকে, আত্মহত্যা করেছে বোকা গাধাটা।

তাহলে?

ফরিদ কল করেছিল এবং ফরিদকে কল করেছিল অমিয়শঙ্কর। স্বপ্ন না তারা কথা বলেছে। রেকর্ড আছে ফোনে। আবার কি ফরিদকে কল দিয়ে দেখবে?

অমিয়শঙ্কর কল দিল।

ফরিদের ফোন বন্ধ।

অমিয়শঙ্কর স্মৃতিকণাকে দেখল। মৃদু নীল আলোয় একটা স্বপ্ন দৃশ্যের মতো মনে হলো। স্মৃতিকণার নাকের ডগা সিঁদুর পড়ে লাল হয়ে আছে। রক্ত উষ্ণ হলো অমিয়শঙ্করের। উষ্ণতর হলো।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত