প্রায় সারাদিন মাটিতে পড়ে থাকায় দেহটা একটু ফেঁপে উঠেছে। প্রবীর পাল কুলসুমের ছ’বছরের মেয়ে নার্গিসকে তার কোল ঘেঁষে বসিয়ে কিছুটা দূরে একটি মহুয়া গাছের নিচে অপেক্ষা করছে কখন বিচার শেষ হয়। প্রবীর কান পেতে আছে বিচারকাজে, আর অতি-স্থির নয়নে তাকিয়ে আছে কুলসুমের দিকে। দিব্যি দেখতে পাচ্ছে বিন্দু বিন্দু করে ফুলে উঠছে কুলসুম। কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকলেও প্রবীর ঠিকই দেখতে পাচ্ছে। ইচ্ছে থাকলেও কাছে যেতে পারছে না। বিচারের রায় না হওয়া পর্যন্ত কিছুই করা যাবে না। সে চায়ও না। এই বিচারকদের সে অত্যন্ত মান্য করে চলে। সে কারণেই সব সময় তাদের খুব কাছে যায় না। সকাল ১০টায় গ্রামের কয়েকজন মাথা মিলে বিচার করতে বসেছিলেন। জোহরের নামাজের সময় এগিয়ে আসছে, এখনও তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। প্রবীর অপেক্ষাই করছে। বিচারকরাও দেখেছেন, সে দূরে বসে আছে।
মুসলিমপুর জামে মসজিদের বারান্দার পূর্বদিকে একটি উঠোনের মতো আছে। সেখানেই বিচার কাজ চলছে। কুলসুম শুয়ে আছে তারও বেশ খানিকটা দূরে; বিচারকদের চোখের আড়ালে একটি গাছের পেছনে যেন তারা তাকে দেখতে না পান। যেন মসজিদের আশপাশে ঘোরাঘুরি করা ফেরেশতারাও তাকে দেখতে না পান। যারা বিচার করছেন তাদের সবারই ঘর মুসলিমপুরে। হিন্দুপাড়ার কাউকেই এ তল্লাটে ঢুকতে দেন না তারা অনেক বছর ধরে। তারাও কেউ সে পাড়ায় যান না, সেই ‘৪৭-এর পর থেকে। তবে প্রবীর এ সীমানা জীবনে বহুবার অতিক্রম করেছে; রাতের আঁধারে, যখন কেউ দেখবে না। অনেকবার মুসলিমপুরের ময়মুরুব্বিদের সাথে দেখা করতে এসেছে। তাদেরই কাজ করে দিতে। আজ কুলসমের জন্য দিনের বেলাই চলে এসেছে। দিনের বেলা এ পাড়ায় তার চেহারা দেখাতেই হয়েছে। তবে যা দেখবে দূর থেকেই। প্রবীরের নিজের কোনো জাত আছে বলে সে মনে করে না- সে হিন্দুও নয়, মুসলমানও নয়। তবে বসবাস হিন্দুপাড়ায়। যারা এ অঞ্চলে ‘হিন্দু-মুসলমান’ করে, তাদের সাথে সে মেশেও না। সে আসলে কারও সাথেই মেশে না। অনেক বছর ধরেই একা। অনেক আগে সে কুলসুমের সাথে মিশত, এক সাথে খেলা করত; ২০/২২ বছর আগের কথা হবে। তখন হিন্দু-মুসলমান একই স্কুলে পড়ত। দু’জনেই তখন ছোট্ট শিশু ছিল; শিশুরা হিন্দুও হয় না, মুসলমানও হয় না; ওরা শিশুই হয়, মানবশিশু।
প্রবীরের বাবা বলতেন, মুসলিমপুর ও হিন্দুপাড়া এক সময় এক গ্রাম ছিল। নাম ছিল ময়ূরাক্ষী। তার বাবা কী করে যেন পাল’দের পেশা ছেড়ে শিক্ষকতায় আসতে পেরেছিলেন; স্কুলে অঙ্ক শেখাতেন বলে সবাই তাকে পণ্ডিত স্যার বলে ডাকত। গ্রাম ভাগের পর তখনও স্কুল ভাগ হয়নি। ‘৫১ সালে স্কুল ভাগ হয়ে গেলে ময়ূরাক্ষি প্রাইমারি স্কুল ছেড়ে হিন্দুরা চলে যায়। স্কুলটির নাম বদলে রাখা হয় মুসলিমপুর প্রাইমারি স্কুল। পণ্ডিত স্যার হিন্দু ছেলেমেয়েদের নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। হিন্দুপাড়ায় আরেকটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন বটে, তবে দু’বছর পর তার মৃত্যু হলে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত সে গ্রামে কেউ লেখাপড়া করে না। ধনী ব্যক্তিদের ছেলেদের শহরে পাঠিয়ে লজিং রেখে স্কুলে পড়িয়ে আনা হয়। তা ছাড়া গ্রামের আর কেউ পড়ে না। সবাই কাজ করে; ছোটরাও করে। ছোটবেলায় প্রবীরের পড়াশোনা করার আগ্রহ ছিল। বাবা চলে যাওয়ার পর হয়নি। তা নিয়ে অবশ্য তার কোনো অন্তর্জ্বালা নেই। সে তার কাজ নিয়ে ভালোই আছে। দু’গ্রামের কেউ তাকে তেমন ঘাঁটায় না। তার কাজটা একটু অন্যরকম। মানুষ গুম করে দেওয়ার কাজ। নিজের জন্য নয়; কাজ তাকে দেওয়া হয়। করে দিলে অর্থ পায়, অনেক অর্থ। কাজ আসে সেই দূর-দূরান্ত থেকে। আশপাশের প্রায় সব গ্রামেরই মুরুব্বিদের কাজে লাগে সে। এ মুলুকে গ্রামের মাথা সবাই তাকে চেনেন, যোগাযোগ রাখেন। তাদের জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্বে সাহায্য করে প্রবীর। জমিজমা নিয়েই তার কাজ। সাধারণ মানুষ জানে না, সে কী করে। কেউ জানে না- কিছু মানুষ কোথায় যেন উধাও হয়ে যায়! শুধু ধারণা করতে পারে তার রহস্যাবৃত চলাফেরা দেখে। একা বসবাস, একা-একাই গৃহস্থালি। গ্রামের মন্দিরেও কেউ তাকে কখনও দেখেনি। এলাকার গ্রামপতিদের সাথেও তার ওঠাবসা আছে। এখান থেকে ছ’ক্রোশ দূরে আরেকটি হিন্দুগ্রাম হাড়িয়াকান্দিতে কিছু জমি কিনেছে সে। সেখানকার কিছু গরিব মানুষের কাছে দিয়ে রেখেছে চাষাবাদ করার জন্য।
নার্গিস নড়েচড়ে বসতেই, সে জানতে চায়, ‘কিরে, ক্ষিদে পেয়েছে? এই নে। কিছু গুড় আর মুড়ি এনেছিলাম সাথে করে, খেয়ে নে। আবার জল চাসনে যেন, তা সাথে নেই।’
নার্গিস মুড়ি চিবুতে থাকে। তাকে নিয়ে সারাবেলা এখানে বসে প্রবীরের মনে হয়েছে, ছোট্ট মেয়েটি ঠিক বুঝছে না- কী ঘটছে? কেনই বা তার মা ওই দূরে শুয়ে রয়েছে? কেন সে নড়ছে না? কেনই বা এক অপরিচিত মানুষ তাকে কাছে নিয়ে বসিয়ে রেখেছে। শুধু প্রবীর জানে, কেন শিশুটিকে সে কাছে বসিয়ে রেখেছে। গ্রাম ভাগ না হলে হয় তো কুলসুমকে নিয়ে সে অন্যভাবে ভাবত।
গ্রাম আলাদা হলেও এদিক-ওদিক তথ্য আদান-প্রদান সেই আগের মতোই রয়ে গেছে। হিন্দুপাড়ায় একটি পিন পড়লেও মুসলিমপুরের সবাই জেনে যায়। আবার সেখানে কোন ঘরে কে নেমন্তন্ন খেতে গেছে, তা হিন্দুপাড়ায় কারও অজানা থাকে না। আজ সকালে প্রবীরের ঘুম ভাঙিয়েছে তার পাশের ঘরের এক ছেলে। ন’টার দিকে দরজা চাপড়ানো শুনেই মাথার কাছে রাখা কুড়ালটা নিয়ে উঠে বসে। খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ‘কাকা, কাকা; মা তোমায় বলতে বলেছে, ও’পাড়ার কুলসুম নাকি আর নেই; সে নাকি আত্মহত্যা করেছে। এখন সবাই বলছে, তার বিচার হবে! মা তোমায় জানাতে বলল।’
আত্মহত্যাকারীর বিচার হবে! প্রবীরের ভেতরের অস্থিরতা ছেলেটি টের পায় না। সে বরাবরই স্থির। তাকে নিশ্চুপ দেখে ছেলেটি চলে যায়। প্রথমেই প্রবীরের মনে নার্গিসের চিন্তা আসে। ছোট্ট মেয়েটি এখন কী করছে কে জানে! কার কাছে আছে? মনে মনে ঠিক করল, আজ দিনের বেলায়ই মুসলিমপুরে যাবে। ধুতি পরাই ছিল; শুধু হাত-মুখ ধুয়ে গায়ে একটি হাতাকাটা জামা গলিয়ে, বিছানার পাশের টিন থেকে কিছু গুড়-মুড়ি একটি থলেয় ভরে বেরিয়ে পড়ে। আজ মুসলিমপুর যাওয়ার সময় কোনো অস্ত্র সাথে নেয় না।
সে যখন পৌঁছুল, বিচারকরা ততক্ষণে মসজিদের উঠোনে বসে পড়েছেন। হিন্দুপাড়া থেকে মসজিদ খুব দূরে নয়। এক গ্রাম থাকাকালীন মাঝামাঝি স্থান দেখেই তৈরি হয়েছিল। ইমাম সাহেবও আছেন বিচারকাজে। এমন একটি বিষয় তাকে বাদ দিয়ে হবে না। আলিবর্দী মিঞা বিচারের নেতা। প্রবীর জানে, এ বিচারের বেশিরভাগ কথাই তিনি বলবেন। গ্রামে পঞ্চায়েত আছে, তবে তাদের ডাকা হয়নি। এ অঞ্চলে সেই ‘৪৭-এর পর থেকেই কোনো পুলিশ আসে না, এখানে তাদের ঘেঁষতে দেওয়া হয় না; এই বিচারকরাই তাদের দূরে রাখেন। আজও পুলিশকে খবর দেয়া হয়নি। পুলিশের সাথে তার নিজেরও যোগাযোগ আছে। একটি কাজ হাতে এলেই তাদের সাথে যোগাযোগ হয়; অর্থের যোগ।
সে যখন পৌঁছুল, উৎসুক জনতাকে কুলসুমের কাছ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি চাটাই পেতে শুইয়ে রাখা হয়েছে; পরনের শাড়ি দিয়ে সারা শরীর ঢাকা। কাছে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে মুখের কাপড় তুলে সে কুলসুমের দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকে। আবারও ঢেকে দিয়ে চারপাশে তাকায় নার্গিসের খোঁজে। সে কাছেই দাঁড়িয়ে। মায়ের কাছে আসতে চাইছে, কিন্তু তাকে ধরে রেখেছে মিঞাবাড়ির এক চৌকিদার। গিয়ে মেয়েটিকে চায়। চৌকিদার কোনো কথা না বাড়িয়েই প্রবীরের কাছে ছেড়ে দেয়। বিচারকরা দৃশ্যটি তাকিয়ে দেখেন, কিছু বলেন না। তাদের নিজদের কথায় মন দেন।
নার্গিসের হাত ধরে সে বলে, ‘আয়, আমার সাথে আয়; তোর মাকে তোর কাছে এনে দেব; অপেক্ষা করতে হবে কিছুক্ষণ।’
নার্গিস প্রবীরকে দেখেনি কখনও, তারপরও তার হাত ধরে অস্থিরতা থামিয়ে চলে আসে। তারা গিয়ে মহুয়া গাছের নিচে বসে। ওদিকে বিচার চলতে থাকে।
কুলসুমের গল্প এ অঞ্চলের সবাই জানে। খুব সাধারণ গল্প। ১৩ বছর বয়সে বাবা-মা তাকে বিয়ে দেন উত্তরপাড়ার আজীজ মল্লিকের ছেলে রাজীব মল্লিকের সাথে। রাজীব শহরে দোকানদারি করত। সারাদিন পর রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে কুলসুমকে মেরে রক্তাক্ত করত। বাড়ির আর কেউ তার অত্যাচারে নাক গলাতে আসেনি। একবার পালিয়ে গিয়েছিল কুলসুম। রাজীব তার বাবার বাড়ি গিয়ে মারতে মারতে আবার নিয়ে এসেছে। গ্রামের কেউ কিছু বলেনি। সে-বছর গ্রামে ওলাবিবি এলে কুলসুমের বাবা-মা দু’জনেই মারা যান। তারপর রাজীবের অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। একবার লাথি মেরে পেটের সন্তান নষ্ট করে দিয়েছিল সে। কুলসুমের দিকে আবার আলিবর্দী মিঞার বড় ছেলে সম্রাট মিঞার নজর ছিল। গত্যন্তর না দেখে কুলসুম একদিন রাতের আঁধারে তার কাছে এসে সাহায্য চায়। সম্রাট মিঞাও মওকা পেয়ে যায়। রাজীবকে বলে, কুলসুমকে তালাক দিতে। রাজীবকে সম্রাটের কথা মানতেই হয়। সম্রাট কুলসুমকে বিয়ে দেয় তাদের বাড়ির চৌকিদার আবদুল গনির সাথে। আবদুল গনির সাথে বিয়ে হলেও কুলসুমকে যথেচ্ছ ব্যবহার করে সম্রাট। সেটিও গ্রামের সবাই জানত। নার্গিসের বাবা কে তা কেউ এখন পর্যন্ত জানে না। সবাই ধারণা করে সম্রাট। আবদুল গনি দাবি করে- তার। এভাবেই জীবন চলছিল কুলসুমের।
প্রবীর পুরো ঘটনাই জানত। অনেক ভেবেছে কুলসুমকে নিয়ে, কিন্তু বলেনি কিছু কোনোদিন। প্রায়ই মাঝরাতে সে বাড়ি গেলে কুলসুমের সাথে তার দেখা হতো। মনে মনে আশা করত, মেয়েটিকে সে একদিন এখান থেকে বের করে নিয়ে যাবে। কুলসুম তাকে চোখ দিয়ে অনেক কথা বলেছে। রাখতে পারেনি তার কোনো কথাই। যা করতে মন চায় তা করলে আবার রায়ট হয়ে যাবে এই দু’গ্রামের মানুষদের মধ্যে। মনে পড়ে, সে যখন অনেক ছোট, একবার আলিবর্দী মিঞা পুলিশ নিয়ে এসে হিন্দুগ্রামের সবাইকে বলল উর্দু শিখতে। সারা দেশের মানুষ নাকি উর্দু শিখছে। উর্দু এখন জাতীয় ভাষা হবে। তখন অনেক রক্তারক্তি হয়েছিল। প্রবীর তার মাকেও হারিয়েছিল। সে পালিয়ে গিয়েছিল দূরে। গ্রামে ফিরেছে যুবা হয়ে। ততদিনে সে তার পেশায় ঢুকে গেছে। এ পেশায় থেকে কুলসুমকে নিয়ে কোনো ভাবনা সম্ভব ছিল না।
আজ সেই কুলসুম নিজেকে হত্যা করেছে।
অনেক সময় পেরিয়ে গেল বিচারকাজে। জোহরের আজান দিয়েছে। বিচারকরা নামাজে যাচ্ছেন। নামাজ সেরে শেষ কথা বলবেন। সর্বসম্মতিতে একটি সার্বিক রায় হয়েছে। সবাই মিলে একমত হয়েছেন- ‘কুলসুমকে কবর দেওয়া যাবে না। এমন নষ্টা মেয়ে, তারপর আবার আত্মহত্যা করেছে। ইসলামে আত্মহত্যা একটি কুফরি কাজ। অন্তত এ গ্রামের কবরস্থানে কুলসুমের স্থান হবে না।’
প্রবীর ঠায় বসে আছে। বসন্ত ঋতু আর অনুকূলে নেই; কোকিলের গলার আওয়াজ নিম্নে। গরমে ঘামছে সে; মনে মনে বৃষ্টি চাইছে সে। সিদ্ধান্ত নিয়েছে- সে কী করবে এখন। আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে পারবে। নামাজিরা মসজিদ থেকে বেরুলেই তাদেরকে তার সিদ্ধান্তের কথা জানাবে। প্রায় ২৫ মিনিট লেগে গেল নামাজ শেষ হতে। কুলসুম নিশ্চয় এখন গলতে শুরু করেছে।
বিচারকরা সবাই বেরিয়ে এলে প্রবীর তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। সবাই চুপ- একদৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে। কেউ আশা করেননি প্রবীর তাদের এত কাছে চলে আসবে।
‘আমি কুলসুমের দেহটি নিয়ে যাচ্ছি হিন্দুপাড়ার শ্মশানে; সেখানে তার সৎকার্য হবে।’ তার গলায় অনুমতি প্রার্থনার কোনো সুর নেই। সে আর তাদের সম্মান করে কথা বলছে না।
সবাই নিশ্চুপ।
‘আর হ্যাঁ, আমি নার্গিসকেও সাথে নিয়ে যাচ্ছি। ওর বাবাকে বলে দেবেন ওকে নিয়ে কোনো চিন্তা না করতে, আজ থেকে নার্গিস আমার আমার কাছে থাকবে’।
বিচারকদের মুখে রা নেই। প্রবীর যখন বুঝে গেল, তারা কেউ কথা বলবেন না, সে নার্গিসের হাত ধরে বলে, ‘আয়, তোকে আর তোর মাকে আমি নিয়ে যাচ্ছি; আজ থেকে তোর নাম হবে অভয়া; অভয়া পাল’।
এ কথাগুলো বলতে পেরে টের পেল এক অপার্থিব আলো এসে তার জগৎ ভরিয়ে দিল।
সূত্র: সমকাল