বেনারসি পল্লী

বেনারসি পল্লী

গিয়েছি শাড়ি কিনতে বউয়ের জন্মদিন উপলক্ষে। মিরপুর বেনারসি পল্লীতে। এর আগে ওখানে যে কয়বার গিয়েছি, প্রত্যেকবারই কীভাবে কীভাবে যেন কোনো ইয়াং মেয়ে বা মধ্যবয়স্ক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। না, ব্যাপারটা এমন না যে, আমি হ্যাংলো যুবকদের মতো মধ্যবয়স্ক মহিলা বা ইয়াং মেয়েদের সঙ্গে ভাব জমাতে আগ্রহী বা ওস্তাদ! আসলে ব্যাপারটা ঘটেছে কাকতালীয়ভাবে। যেহেতু কাকতালীয় তাই বলতে দ্বিধা নেই, বেনারসি পল্লীর প্রতি আমার গোপন একটা টান আছে। ফলে শাড়ি কেনার উপলক্ষ পেলে আমি ওখানে যাই। বন্ধুরা কেউ শাড়ি কেনার কথা বললে তাদেরও ওখানে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করি। এমনকি তাদের আমি সঙ্গ দেওয়ার কথাও বলি।

বউয়ের গত জন্মদিনে একটা হলুদ বেনারসি দিয়েছিলাম। এবার ইচ্ছা হয়েছে নীল দিতে। কিন্তু কোন ব্র্যান্ডের দেব সে ডিসিশন নিয়ে যাইনি। তবে মনে মনে ভেবে নিয়েছি, ব্র্যান্ড ইজ নট ফ্যাক্ট। কালারটাই আসল। দোকানে গিয়ে যেটা পছন্দ হবে সেটাই কিনব। ব্যাপার ঘটেছেও সে রকম। তিন-চারটা দোকান ঘুরে মাহমুদা শাড়ি বিতানের একটা শাড়ি পছন্দ হয়েছে। ঠিক নীল রঙের, কাতান। এই একটা শাড়ি পছন্দ হতে হতে সেলসম্যান আমাকে কমপক্ষে ৫০টা শাড়ি দেখিয়েছে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আমি শাড়িটার দাম জিজ্ঞেস করেছি। সেলসম্যান বলেছে, স্টিকারে দাম লেখা আছে আট হাজার টাকা। এক দাম।

মুলামুলি নেই। দাম শুনে আমার ভিরমি খাওয়ার দশা হয়েছে। মনে হয়েছে ভুল শুনেছি। তাই কনফার্ম হওয়ার জন্য পুনরায় জিজ্ঞেস করেছি- কত? সেলসম্যান আবারও বলেছে আট হাজার টাকা। আমি ফাইনালি ভিরমি খেলেও সেলসম্যানকে তা বুঝতে দিইনি। কিন্তু সেলসম্যান আমার মুখ দেখে ঠিকই বুঝে নিয়েছে। নিয়ে বলেছে, অসুবিধা নেই স্যার, আমাদের প্রচুর কালেকশন। আপনার বাজেট অনুযায়ীও দেওয়া যাবে। সব ধরনের মানুষের সামর্থ্যের কথা চিন্তা করেই আমরা কালেকশন সাজিয়ে থাকি। তা শাড়ির পেছনে আপনার বাজেট কত স্যার? ইচ্ছা হয়েছে থাবড়ানি দিয়ে সেলসম্যানের বকবকানি থামিয়ে দিই। কিন্তু উল্টো অপমানিত হওয়ার ভয়ে সে পর্যন্ত না গিয়ে ভদ্রভোঁদড়ের মতো চেউমেউ করেছি।

আমার বাজেট কত, তা প্রকাশ করব কেন? এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এর আগে বসুন্ধরা সিটির এক সেলসম্যান গাইগুই করতে করতে বাজেট প্রসঙ্গে কথা বলেছিল। আমি সঙ্গে সঙ্গে তাকে রামঝাড়ি মেরেছিলাম। মন চাইলে এখ লাখ টাকার শাড়ি কিনব। না চাইলে খালি হাতে বাসায় ফিরব। কিন্তু ভুলেও বাজেট বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। বসুন্ধরা সিটির সেলসম্যানরা যেহেতু তুলনামূলক মার্জিত ব্যবহার করে, সুতরাং সে দারুণভাবে আহত হয়েছিল। পরে সরি বলেছিল। সেই তুলনায় বেনারসি পল্লীর সেলসম্যানরা ব্যাকডেটেড। এদের মধ্যে গুলিস্তান হকার্স মার্কেট কিংবা ঢাকা কলেজের অপজিটের মার্কেটের সেলসম্যানদের স্বভাব আছে। একজন কাস্টমার পেলে তারা তাকে নানাভাবে উল্টেপাল্টে দেখে নিয়ে তবেই ছাড়ে।

দেখে নেওয়ার প্রথম ধাপ হলো, কাস্টমারের বাজেট জানতে চাওয়া। ত্যান্দ্রামি। এটা হলো স্রেফ ত্যান্দ্রামি। বেনারসি পল্লীর বেশিরভাগ দোকানে এসব ত্যান্দরে ভর্তি। যাই হোক, বাজেট প্রসঙ্গে বেশি না পেঁচিয়ে বলেছি- না, এটা আমার পছন্দ হয়েছে। আমি এটা নেব। আমার কনফিডেন্স দেখে ত্যান্দর সেলসম্যান নড়েচড়ে বসেছে। অর্থাৎ সে বুঝে নিয়েছে, আমি পাত্তিঅলা কাস্টমার। যেনতেন কেউ না। আমার কাছে শাড়ি বেচতে পারবে। এরই মধ্যে একজন মধ্যবয়স্ক মহিলা বিছানো শাড়িটার দিকে তাকিয়েছেন। তাকিয়ে অবাক হয়েছেন। শাড়ির কোনাটা ধরে কী যেন জরিপ করে মনের অজান্তে দাম জানতে চেয়ে ফেলেছেন। একজনের দেখারত শাড়িতে ভদ্রমহিলার নাক ডোবানোটা আমার কাছে যতটা না খারাপ লেগেছে, তার চেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে সেলসম্যানের। তবে সে ব্যাপারটা খুব দক্ষতার সঙ্গে ট্যাকেল দিয়ে সুন্দর করে বলেছে, ম্যাডাম, এটা উনি দেখছেন। সঙ্গে সঙ্গে ভদ্রমহিলা লজ্জা পেয়েছেন এবং আমার সঙ্গে চোখাচোখি হতেই তিনি সরি বলেছেন।

আমিও ভদ্রতাবশত তাকে আশ্বস্ত করে বলেছি, না না ঠিক আছে, আপনার যদি খুব বেশি পছন্দ হয়ে থাকে তো আপনি এটা নিতে পারেন। আমি অন্য আরেকটা নেব। অচেনা পুরুষের এ রকম ম্যাড়ম্যাড়া আচরণে মধ্যবয়স্ক ভদ্রমহিলা পার পেয়ে গিয়েছেন। গিয়ে হাস্যবদনে বলেছেন, না না না, নেওয়ার জন্য নয়, শাড়িটা খুব সুন্দর তো তাই দামটা জানতে চেয়েছি। যদিও জানতে চাওয়াটা ঠিক হয়নি। ভদ্রমহিলার সঙ্গে এখানেই কথা শেষ হতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। হয়নি কারণ তিনি একটি সম্পূরক প্রশ্ন করেছেন। মানে শাড়িটা আমি কার জন্য কিনছি। উত্তরে আমি আমার স্ত্রীর কথা বলেছি। প্রতিপ্রশ্নে তিনি জানতে চেয়েছেন, আমার স্ত্রী দেখতে কেমন? মানে তার গায়ের রঙ কেমন? নিজের স্ত্রী সম্পর্কে সাধারণত এ ধরনের প্রশ্ন পাওয়া যায় না। হঠাৎ পেয়ে আমি কিছুটা সত্যি এবং বাকিটা লোকদেখানো আনন্দে বিহ্বল হয়ে পড়েছি। ১০ বছর হলো আমাদের দাম্পত্য জীবনের। তার আগে পাঁচ বছর প্রেম। ১০+৫ = ১৫ বছর ধরে যাকে চিনি- কী আড়ালে কী সামনে, কোনোদিন, কোনো সময় তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করিনি বা করা হয়ে ওঠেনি। হঠাৎ বেনারসি পল্লীতে কাকতালীয়ভাবে স্ত্রীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করার সুযোগ পেয়ে অচেনা ভদ্রমহিলাকে বলেছি, আমার স্ত্রী সুন্দরী, বেশ সুন্দরী। শুনে ভদ্রমহিলা মুচকি হেসেছেন।

তার হাসির অর্থ বুঝতে না পেরে আমি দ্বন্দ্বে পড়ে গিয়ে পুনরায় বলেছি, ইয়ার্কি নয়, শি ইজ রিয়েলি বিউটিফুল। ভদ্রমহিলা বলেছেন, সে জন্যই তো হাসলাম। আপনার স্ত্রীটি সৌভাগ্যবতী। কেন? কারণ এমন পুরুষ খুব কমই পাওয়া যায় যারা অচেনা মেয়েদের কাছে নিজের স্ত্রীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করেন। আমি লজ্জামিশ্রিত হাসি হেসেছি। হাসতে হাসতে প্রায় অনুচ্চারিতভাবে বলেছি, না না, অত সিরিয়াস না ব্যাপারটা! ভদ্রমহিলার প্রশংসায় আমি ততক্ষণে ভেতরে ভেতরে ফুলে-ফেঁপে ঢোল হয়ে গিয়েছি। কিন্তু তারপরই তিনি যা করেছেন তা হৃদয়বিদারক! আসি, ভালো থাকবেন বলে চমৎকার একটা হাসি উপহার হিসেবে দিয়ে চলে গিয়েছেন। অগত্যা আমি কাতানের দিকে নজর দিতে বাধ্য হয়েছি। দেখেছি, ধৈর্যশীল সেলসম্যান এতটা সময় শাড়ির ওপর নজর ধরে রেখেছে। দেখে অবাক হয়েছি। কথা যেখানে শেষ হয়েছিল ঠিক সেখান থেকেই আবার শুরু করেছে। আমি বিশেষজ্ঞের মতো শাড়িতে হালকা ঘষা দিয়ে, সুতা পরখ করার ভঙ্গি করে বলেছি, না ভাই, আট হাজার টাকার মাল এটা নয়।

আমার এই কথার ভেতর দিয়ে আমি যে মনের অজান্তে সেলসম্যান ও কাস্টমারের মধ্যকার চিরায়ত বৈধ সংলাপের ব্যবস্থা করে দিয়েছি বুঝতে পারিনি। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবে সেলসম্যান জিজ্ঞেস করেছে, তাহলে কত? মানে আমি কত দিতে পারব। চলন্ত পথে মাছ যেমন হুট করে কারেন্ট জালে আটকা পড়ে যায় আমার দশাও তাই হয়েছে। ধরা খাওয়া মাছের মতো নিজের ধরাশায়ী অবস্থাটাও বুঝতে পেরেছি। দাম না বলে ছোটার উপায় নেই। কিন্তু আট হাজার টাকার মধ্যে আমি কমপক্ষে কত বলতে পারি? বেশি হোক কম হোক- দাম না বলে যাওয়া যাবে না। যদি যাইও, এই সেলসম্যান পেছন থেকে ফোড়ন কাটবে। কাস্টমার মাত্রই জানেন, এদের ফোড়ন কাটা মানে কাস্টমারের ঘাড়ে দু’ঘা দেওয়ার সমান। আমাকে নিয়ে সে রকম ঘটনা ঘটুক তা আমি চাই না।

অপ্রীতিকর ঘটনা যত এড়িয়ে চলা যায় ততই ভালো। কিন্তু এই কেচকিকল থেকে কীভাবে বের হই? ততক্ষণে চাতুরিপূর্ণ একটা বুদ্ধি এসেছে মনে। ভেবেছি বুদ্ধিটা প্রয়োগ করলে সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না। কী সেই বুদ্ধি? না, ওই অর্থে খুব ইনোভেটিভ বুদ্ধিটা না। কিন্তু কেটে পড়ার জন্য রীতিমতো টনিক।

অর্থাৎ আট হাজার টাকা দাম চাওয়ার এগেইনস্টে ২০০০-২২০০ টাকা বললে উদ্দেশ্য হাসিল হবে। যে কথা সেই কাজ। সাহস করে বলেছি দুই হাজার ২০০ টাকা। সেলসম্যান এমন একটা ভাব নিয়ে আমার দিকে তাকিয়েছে যেন সে কিছুই শুনতে পায়নি। ফলে আমাকে দ্বিতীয়বার একই কথা বলতে হয়েছে। এবার সে আমার দিকে এমনভাবে লুক দিয়েছে, যার অর্থ হলো- যান মিঞা ভাগেন! আপনার শাড়ি কেনা লাগবে না। একখান গামছা কিনা লয়া বাড়ি যানগা। আমি মনে মনে এমনটাই চেয়েছি। সেলসম্যান কটু কথা শোনালেও আমি প্রতিউত্তরে কিছু বলব না। সয়ে যাব। কারণ আমার কাজ হলো ত্যান্দর সেলসম্যানের দোকান থেকে কেটে পড়া। কিন্তু না। মানুষ যা চায় তা পায় না। হারামিটা আমাকে আটকে দিয়েছে। বলেছে, দুই হাজার ২০০ টাকা কম হয়ে যায় স্যার। আর একটু বাড়েন। সর্বনাশ! তার মানে দুই হাজার ২০০ টাকাতেই দিয়ে দিচ্ছে নাকি? আমি প্রচণ্ড ভড়কে গিয়েছি। সেলসম্যানের দিকে ছানাবড়া চোখে তাকিয়েছি। সে বলেছে, দুই হাজার ২০০ টাকায় লস হয় স্যার। আমি বলেছি, না ভাই, এই হলে দেন না হলে রাখেন।

সেলসম্যান বলেছে, আইচ্ছা লন, কী আর করা। বেচাবিক্রি ভালো না বইলা দিলাম। কাউরে বইলেন না কিন্তু! আজ আপনার কাছে লসে বেচলাম। কাল লাভে বেচব। এই তো বিজনেসের নিয়ম তাই না স্যার? আমার অবস্থা তথৈবচ। ঘামতে শুরু করেছি। পা কাঁপা শুরু হয়েছে। আত্মা কাঁপা শুরু হয়েছে। ততক্ষণে হারামিটা শাড়ি প্যাকেট করতে শুরু করেছে। আমার মনে হয়েছে, ওটা শাড়ি না। ঘর মোছার ত্যানা। ওটার দাম দুই হাজার ২০০ নয়। বড়জোর ২২ টাকা। ওটা নেওয়া তো দূরে থাক আমি ছোঁবও না। ওটা দূষিত। কর্দমাক্ত। পঙ্কিল। পচা। খবিস। ইবলিস। হে আল্লাহ! তুমি আমায় একটা বুদ্ধি বাতলে দাও!

বেশিরভাগ সময় আল্লাহ নেই মনে হলেও তখন উল্টা হয়েছে। দ্যাট মিনস আল্লাহ আছে। না হলে কি চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মারদাঙ্গা একটা বুদ্ধি দিয়েছে? কিন্তু বুদ্ধিটা ঝটপট কাজে লাগিয়ে ফল ঘরে তুলতে হবে। বিফল হওয়া মানে দুই হাজার ২০০ টাকা গচ্চা যাওয়া। বুদ্ধিটা কী? অ্যাক্টিং! হ্যাঁ, অ্যাক্টিং করতে হবে। ততক্ষণে সেলসম্যান শাড়ির প্যাকেটটা আমার দিকে ঠেলে দিয়েছে। আমার কাজ হলো দুই হাজার ২০০ টাকা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব মাহমুদা শাড়ি বিতান থেকে কেটে পড়া। কিন্তু আমি আছি অন্য ধান্ধায়। সেলসম্যানকে ইশারায় কিছু একটা বুঝিয়ে ফোনে কথা বলতে শুরু করেছি। অর্থাৎ ফোনের অপর প্রান্তে আমার স্ত্রী রয়েছে। তাকে বলেছি, অ্যাই শোনো, তোমার জন্য একটা শাড়ি কিনলাম। (বলো কী! হঠাৎ শাড়ি কেন?)- আরে কেন আবার? ২৫ তারিখে তোমার জন্মদিন না? ভুলে গেছ? সে জন্যই তো কিনলাম। (কত দিয়ে কিনলা?)- কত দিয়ে কিনলাম সেটা বড় কথা না জানু। গিফট ইজ গিফট। স্বামীর দেওয়া গিফট। গিফটের দাম জিজ্ঞেস করতে হয় না। (আচ্ছা। কী রঙের শাড়ি কিনলা?) নীল রঙের। (কী!)- কেন? সমস্যা? নীল রঙ সমস্যা? কী বলো! নীল রঙ তো ভালো রঙ। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রঙ।… আচ্ছা আচ্ছা, ঠিকাছে। এত রাগ করার দরকার নেই। তুমি শান্ত হও। আমি বদলায়া আনতেছি। তুমি সবুজের সঙ্গে লাল রঙের মিশেল চাচ্ছ তো? অসুবিধা নেই। দেখতেছি… ফোন রাখতেই দেখেছি সেলসম্যান আমার দিকে হুতুম পেঁচার মতো গোল গোল চোখ করে তাকিয়ে রয়েছে। তাকে বলতে গিয়েছি, ভাই, ছোট্ট একটা সমস্যা হয়ে গেছে… ইয়ে মানে শাড়িটা বদলে দিতে হবে… আমাকে থামিয়ে দিয়ে, শাড়িটা পেছনের তাকে রাখতে রাখতে পরাজিত ঘুঘুর মতো সে বলেছে- নেই, ওই রঙের শাড়ি এখানে পাবেন না। শুনে আমি কৃত্রিম আফসোসে মরেছি, ইস! আপনি কত কষ্ট করে শাড়িগুলো দেখালেন। একটা শাড়ি পছন্দও হলো। অথচ শুধু রঙের কারণে নেওয়া হচ্ছে না। ভাই কিছু মনে করবেন না। আসি। আবার দেখা হবে।

সেলসম্যান বিড়বিড় করে কী যেন বলেছে। আমি আর পেছন ফিরে তাকানোর প্রয়োজন বোধ করিনি। হয়তো সে বলেছে, ভবিষ্যতে আপনার মতো ফাজিল কাস্টমারের সঙ্গে আর দেখা না হওয়াই ভালো! বাইরে এসে সোজা চলে এসেছি। বাসায়। বউয়ের কাছে।

সূত্র: সমকাল

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত