শিহাব ভাইয়ের পাশে হাস্যোজ্জল নিশি আপাকে দেখে আমি বড্ড অবাক হলাম৷ নিশি আপা আমার নাক টিপে দিয়ে বলল, কিরে বলদ জুনিয়র! চিনেছিস? বিয়ে করেছিস শুনলাম৷ বৌকি আমার চেয়ে সুন্দর?” আমি জবাব না দিয়ে চেয়ে রইলাম৷ শিহাব ভাই ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢুকলেন আমার৷ পেছনে নিশি আপা৷” রান্নাঘর থেকে এগিয়ে আসে মিতু৷ নিশি আপাকে দেখে সেও অবাক৷” শিহাব ভাই মাসে নিয়ম করে দু’বার আসে আমাদের বাসায়৷ বিরিয়ানী পাগল মানুষ আমার মতো৷ এই বিরিয়ানী গেলার অভ্যাসটা আমার শিহাব ভাইয়ের সাথে থেকে হয়েছে৷
বিশ্বপ্রেমিক মানুষটা আবার ভীষণ ছন্নছাড়া৷ অদ্ভূত মানুষটাকে দেখে আমি জীবনের হিসাব মেলাতে পারিনা৷ রুমমেট থাকাকালে আমি উনাকে বিশ্লেষণ করে বলতাম, ভাই আপনার জীবনের হিসাব মিলবেনা বোধ হয়৷” শিহাব ভাইয়ের আপত্তি ছিলনা তাতে৷ ঠোঁট উল্টে বলতো,উমম! হতে পারে!” ভার্সিটি লাইফে আমি তখন৷ শিহাব ভাইয়ের হন্যে হয়ে চাকরি খোঁজার সময়৷ গ্রাজুয়েশন শেষ, তারউপর বিবাহযোগ্য প্রেমিকা৷ প্রেমিকার নাম নিশি৷” আমাদের তখনো ভাই-ব্রাদার টাইপ সম্পর্ক হয়ে উঠেনি৷ জানালার পাশে বসে সিগারেট টানছে৷ হাতে ফোন৷ প্রেমিকার সাথে প্রেমালাপ চলছে৷ আমি গুমড়ো মুখে পাশে দাঁড়ালাম৷ শিহাব ভাই ঈশারা করে সিগারেট দেখিয়ে বললেন, চলবে?” আমি “না” সূচক মাথা নাড়িয়ে চলে আসলাম৷” “ভাই ধোঁয়া সমস্যা করছে” বলার সাহস হলোনা আমার৷” সিগারেট শেষ হলো৷ স্বস্থির নিশ্বাস নিলাম৷ দু’মিনিট বাদে আবার জ্বালালো৷
আমি আবার গেলাম৷ শিহাব ভাই একটু বিরক্ত হলেন হয়তো৷ ভ্রু নাচালেন৷ ফোনে কথা চলছে৷ আমি অত্যাধিক সাহস দেখিয়ে ফোনটা কেড়ে নিলাম৷ ওপাশের মানুষ কি ভাববে না ভেবেই বলে বসলাম “আপা আপনার প্রেমিককে সিগারেট টানতে বারণ করবেন৷ আমার দমবন্ধ লাগে৷” তারপর ফোন পুনরায় সিহাব ভাইয়ের হাতে দিয়ে চলে আসি৷ মুখে বালিশচেপে ঘুমিয়ে যাওয়ার ভান করি৷” মিনিট তিনেক পর মনে হলো, কপালে শনি আছে!” উখি মারলাম কথা চলছে৷ সিগারেট নেই হাতে৷” “পরেরদিন” ক্লান্ত শরীরে রুমে ঢুকেছি৷ সিহাব ভাই খাটে জিম মেরে বসা৷ আমার গতরাতের কথা ভাবতেই শিউরে উঠি৷ কোন উপায়ে মাফ চাইবো ভাবছি৷ শিহাব ভাই চোখ তুলে বলল, তৈরী হ! কাজ আছে৷” আমার গলা শুকিয়ে গেল৷ ঢকঢক করে পানি গিললাম আড়াই গ্লাস৷” হাঁটু দু’টো মৃদ্যু কাঁপছে৷
শিহাব ভাই তাগাদা দিলেন তৈরী হতে৷” আমি আমতা আমতা করে বললাম, ভাই ক’দিন পর মাইর খাওয়ালে হয়না? টিউশনের বেতনটা পাইনি! ঔষধ কেনার টাকাও নেই!” শিহাব ভাই হো হো করে হেসে উঠলেন৷ কাঁধ চাপড়ে বললেন, ঔমধের খরচ আমি দিবো ব্যাপারনা৷” আমি হালকা নিশ্চিন্ত হলাম মাসের মাঝে টানাপোড়েন লাগবেনা বলে৷” মিনিট বিশেক পর পার্কের সামনে এসে দাঁড়ালাম৷ শিহাব ভাই এদিক ওদিক দেখছে৷ আমি কল্পণা করছি বডি বিল্ডার টাইপ কেউ আসবে৷ তারপর তুলোধুনো করবে আমাকে৷ সাংঘাতিক ব্যাপার৷” আমার কল্পনা ভুল হলো৷ যা ভাবছি তার উল্টোটা৷ মোলায়েম চেহারার এক রমণীকে দেখে শিহাব ভাই সামনে এগিয়ে গেল৷ আমি ঠাঁই দাঁড়িয়ে রইলাম৷ তাঁরা কি যেন বলছে৷ আমার সামনে এসে দাঁড়ালো৷ শিহাব ভাই আমার কাঁধে হাত রেখে বলল, নিশি এইতো তোমার ইন্টারেস্টিং বয়৷” আমি নিশ্চিত হলাম৷ কাল রাতে অকাজটা উনাকে জানিয়ে দিয়েছি৷”
আমি নিশি আপার গোয়েন্দা হয়ে গেলাম৷ শিহাব ভাইয়ের কার্যকলাপের সিন টু সিন আপডেট আমি পোঁছে দেই৷
নিশি আপা আমাকে বেশ পছন্দ করে৷ দেখা হলে নাক টিপে দেয়৷ মাঝে মধ্যে শিহাব ভাইয়ের দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলে, শিহাব তুমি নিশ্চিত বাচ্চাটা ভার্সিটিতে পড়ে?” তারপর আমরা তিনজন মিলে হো হো করে হাসি৷” সুখের দিন স্থায়ী রইলোনা৷ নিশি আপার বিয়ের চাপ৷ শিহাব ভাইয়ের ভয়ংকর দিন শুরু৷ তবুও মানুষটা কেয়ারলেস৷” নিশি আপা ভরদুপুরে বিরিয়ানীর বাটি নিয়ে আমাদের রুমে হাজির হতো৷ শিহাব ভাইকে বুঝাচ্ছে, চাকরি করো৷ যেমনে হোক৷” শিহাব ভাই নির্লিপ্ততা বজায় রেখে বিরিয়ানী গিলতো৷ এই নির্লিপ্ততা দেখে আমি বিরক্ত হতাম৷ নিশি আপা কিভাবে সহ্য করতো জানা নেই৷” হতাশ হয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসতো নিশি আপা৷ শিহাব ভাই মিনমিন করে বলতো, চা খাবে?” নিশি আপা প্রচন্ড রেগে গেল!
-চল রিক্সায় ঘুরি! ভালো লাগবে!” নিশি আপা আরো রেগে যেতো৷ শেষমেষ রিক্সায় ঘুরেছে ঠিকই৷” এক সন্ধ্যায় ঝুম বৃষ্টি শুরু হলো৷ বিদ্যুৎ নেই৷ আমার পড়ায় মন বসলোনা৷ খিচুড়ি চড়ালাম চুলায়৷ শিহাব ভাই খিচুড়ি পাগল৷ জানালার গ্রীল ধরে বৃষ্টি দেখা শিহাব ভাইকে বললাম, আজ জমিয়ে খানা হবে ভাই৷” শিহাব একটু চুপ থেকে বললেন, মন ভালো নেই৷ নিশি আজ ফোন দিলো না৷” আমি অভয় দিলাম,
-ফোনে চার্জ নেই হয়তো৷” শিহাব ভাই জবাব দেয়না৷ লম্বা শ্বাস ফেলে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়৷ আমি জানালার বাইরে বৃষ্টি দেখি৷ খিচুড়ির কথা দিব্যি ভুলে গেলাম৷ পোড়া গন্ধ বেরোলো৷ আমারো অনিহা আসলো হুট করে৷ ভাবলাম, আরেকটু পুড়ুক৷ খিচুড়ি পোড়া গন্ধটাকে একবার শিহাব ভাইয়ের মনপোড়ার সাথে মেলালাম৷ বড্ড বিষণ্ণ লাগে৷” আমিও খালি পেটে শুয়ে গেলাম৷ বৃষ্টির সাথে ঠান্ডা বাতাসের পরশে জমিয়ে ঘুম হলো৷ ঘুম ভাঙলো ফোনের শব্দে৷ শিহাব ভাই ফোন কানে চুপ হয়ে রইলেন৷ ফোন রাখলেন৷ আবার ঝিম মেরে রইলেন৷ আমি ধীরে বলি, কিছু হয়েছে?”
-অঘটন ঘটেছে বুঝলি৷ নিশিকে ছেলেপক্ষ পছন্দ করে৷ বাদল দিনেই এংগেজমেন্ট সমপন্ন৷ নিশি খুব কাঁদছে৷
মেয়েটার কান্না আমার ভালো লাগেনা৷” দিনকয়েক পরে শিহাব ভাই হাজার পাঁচেক টাকা চাইলেন৷ জিজ্ঞেস করতেই বলল, নিশিকে নিয়ে পালাবো! সাথে তোরে নিয়ে যাবো ভাবলাম! ভাবনা পাল্টালাম৷ তোর পড়ালেখা আছে৷ তোর এখানে ফিরতে হবে! তাই দু’চারটা চড় তাপ্পর হয়তো নিশির বড়ভাই দিতে পারে! হজম করতে পারবি?” আমি হেসে বললাম, আলবাৎ পারবো! ভবিষ্যতে আপনার শালী নিয়ে পালাবো৷ তখনের চড় থাপ্পর নাহয় এবার সয়ে নিবো৷” গভীর রাতে শিহাব ভাই শাল জড়িয়ে বেরিয়ে পড়লেন৷ আমি আলিঙ্গন করে শুভকামনা জানালাম৷ সেরাতে আমিও নিশ্চিন্ত হলাম৷ যাক মানুষটার হিসেব মিললো৷” কুয়াশা আচ্ছন্ন ভোরে ঘুম চোখে আমি দরজা খুলি৷ শিহাব ভাই রুমে ঢুকে খাটে বসে৷ আমি স্তব্ধ হলাম মূহূর্তেই৷” সেই রাতে নিশি আপা আসেনি৷ শিহাব ভাই পুরো রাত দাঁড়িয়ে ছিল নদীর পাড়ে৷ ফোন ধরেনি৷
আমার বিশ্বাস হলো না৷ নরম মনের মানুষ মেয়েটা৷ আমি অবিশ্বাস করলাম শিহাব ভাইকে৷ শিহাব ভাই মাথা নিচু করে বলে, এটাই সত্য৷” আমি আর ঘাটাইনি৷ তারপর কতবেলা কেটেছে৷ আমরা নিশি আপার বিয়েতে গিয়েছি৷ শিহাব ভাইকে “বেহায়া মানুষ” বলে গালি দিলাম৷ তবুও গেলাম৷ কি যেন উপহার দিয়েছে শেষ চিঠির সাথে৷ আমার পড়ার ইচ্ছে হয়নি৷” নিশি আপার সাথে আমাদের দেখা হতো৷ চোখ ভরা বিষন্নতা নিয়ে আমাদের দিকে তাকাতো৷ শিহাব ভাই হা করে চেয়ে থাকতো৷ আমি বেহায় বলতাম৷” শিহাব ভাই হেসে বলতো, এতো ত্যাড়ামী করিস কেন? প্রেম হলে বুঝবি৷” আমি তাচ্ছিল্য গলায় বলতাম, ওসব আমার হবেনা৷ ইচ্ছে নেই!” বিড়ি ফুকে বলতো, দেখবো৷” এক বসন্তে আমার প্রেম হলো মিতুর সাথে৷ ক’দিন লুকোলাম৷ শিহাব ভাইয়ের জহুরি চোখ ধরে ফেললো৷ মিনমিন করে বললাম, হই গেলো ভাই!” মুচকি হেসে বলল,
-বিয়ে কবে করছিস বল? জমিয়ে কাচ্চি খাবো!”
-বিয়ে করার মুরোদ হয়নি ভাই৷ জানিনা কি হবে!” শিহাব ভাই চাকরি পেয়েছে৷ আমরা তখনো রুমমেট৷ আমি বারকয়েক বলেছি, ভাই বিয়ে করে সংসার শুরু করে দেন৷ মেয়ে দেখবো? মিতুর বান্ধবী আছে সুন্দর!” শিহাব ভাই সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে বলতো, তোর নিশি আপা রাগ করবে৷ যদি কখনো ফিরে আসে! তখন কি জবাব দেবো আমি?” আমার কিছু বলার ইচ্ছে মরে যেতো৷” মিতুর অভ্যাসগুলোর একটা গল্প শোনা৷ আমি সুযোগ পেলেই আজগুবি গল্প শুনিয়ে বসতাম৷ মেয়েটা বাচ্চাসূলভ আর লক্ষী ছিল৷ সবকিছু কি সহজ ভাবে মেনে নিতো৷ এখনো নেয়৷” সেদিন আমি শিহাব ভাই-নিশি আপার গল্প শোনালাম৷ চোখ-নাক লাল করে কান্না শুরু করে দিয়েছি৷ আমি টিস্যু দিয়ে চোখ মুছে কুল পেলাম না৷” পরধদিন অবাক করে দিয়ে হাজির হলো মোটা ব্যাগ হাতে নিয়ে৷ আমি ভ্রু কুচকে বলি, ব্যাপার কি?”
-আব্বার ঠিক নাই৷ যেকোনো সময় বিয়ে দিয়ে বসবে৷ বড় আপাকে এভাবেই দিয়েছিল!” মিতুর আব্বা বেকার ছেলের সাথে মেয়ে দিবেনা৷ তাই সে নিজেই চলে এসেছিল৷ আমি ভুল করিনি৷ শিহাব হাজার বিশেক টাকা পকেটে গুজে দিয়েছিল৷ তা নিয়েই আমরা হাওয়া হয়ে গিয়েছি৷” মিতুর আব্বার দু’চারটা চড় নাকি হজম করেছিলেন৷ সেকথা গোপন ছিল বহুদিন৷ একদিন ফাঁস করে দিয়েছে৷”
পরিশিষ্ট: রান্নাঘরে উকি দিলাম৷ মিতুর সাথে রান্নায় ব্যস্ত নিশি আপা৷ আমাকে বার কয়েক ডেকেছে অবশ্য৷ আমি যাইনি৷ আমার প্রচন্ড অভিমন জমেছে৷ শিহাব ভাই পত্রিকা নড়াচড়া করছে৷ আমি পাশে গিয়ে বসলাম৷ খানিক চুপ রয়ে বললাম, শেষমেষ বেহায়াগিরী করে ফেললেন আবার? বিয়ের আগে ভাগাতে পারেন নাই৷ বিয়ের তিনবছর বাদে নিয়ে আসলেন কেন?” মুখে গম্ভীরতা টেনে আমার কাঁধে হাত রাখলেন শিহাব ভাই৷ লম্বা শ্বাস নিয়ে বললেন, তুই জানিস সে রাতে নিশি এসেছিল!” আমি প্রচন্ড রকমের অবাক হলাম৷ নড়েচড়ে বসলাম!”
-আমি তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি!
-কেন?
“তাঁর গম্ভীরমুখো বাবা একবিকেলে আমায় বলেছিল, চাইলে নিশিকে নিয়ে পালাতে পারো৷ আমি কিছু বলবোনা৷
নিশিকে একবার বলে নিও, পালানোর পরেরদিন সকালে যেন আমার মরা মুখটা দেখতে না আসে৷” আমার সাহস সেদিনই চুপষে গেছে৷”
-আচ্ছা তোর মনে আছে নিশির বিয়েতে আমি চিঠি লিখেছিলাম?
-আছে৷
-সে চিঠিতে লিখেছিলাম “ভালোবাসা হয়ে থাকবে চিরদিন৷ যদি কোনো অবেলায় অপূর্ণতা নিয়ে ফিরে আসো! আমি হাসিমুখে আমাদের ভালোবাসার পূর্ণতা দিতে প্রস্তুত৷”
আমি বিশ্বাস করতাম নিশির অপূর্ণতা তাকে একদিন ফিরিয়ে আনতেও পারে! তাইতো বেলাশেষে অপেক্ষা করেছি!
তোর মনে প্রশ্ন জাগছে? কী অপূর্ণতা জানতে?” আমি নিশব্দে মাথা নাড়ালাম৷ “নিশি কখনো মা হতে পারবেনা! দূর্ভাগ্য তাঁর৷ দূর্ভাগ্য তার স্বামীরও৷ যদিও সেটা প্রাপ্য শাস্তি৷ সে সব শুনেও নিশিকে অবিশ্বাস নিয়ে বিয়ে করেছে!” আমি সুখী বুঝলি৷ জীবনের এই মধ্য গগনে এসে ভালোবাসা ফিরে পেয়েছি৷ অপূর্ণতা তাকে ফিরিয়ে এনেছে৷ আমি সব মেনে নিয়ে তাকে ভালোবেসেছিলাম৷” আমি স্তব্ধ হয়ে রইলাম৷ আমার ভেতরটা আনন্দে ভরে উঠে৷ রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ালাম৷ নিশি আপার চেহারা ঘেমে একাকার৷ আমি পরম যত্নে তার ঘাম মুছে দেই৷ নিশি আপা আমার নাক টেনে ভ্রু কুচকে মিতুকে বলল,
-মিতু! সিরিয়াসলি এই বাচ্চাটা তোমাকে বিয়ে করেছে? সিরিয়াসতো?” আমি মিনমিন করে বললাম, সিরিয়াস মানে! ক’দিন বাদে তুমি ফুফী হবে৷ তোমাকে ফুফী বানাচ্ছি৷ বিরিয়ানীর ভাগটা বেশি দিও আমায়৷” ওপাশ থেকে শিহাব ভাই বলছে, বৌ এর হাতের বিরিয়ানীর ভাগ দেইনা আমি৷” আমরা অবশ্য কানে নিচ্ছিনা৷”
গল্পের বিষয়:
গল্প