ছাদ থেকে ফিরে এসে তখন

কখন ওর ঘুম ভেঙেছিল, আবার কখন ঘুমিয়ে পড়বে, এসব না জানার মধ্য দিয়ে ও জেগে থাকে। যতক্ষণ জেগে থাকে, ওর ঘুম ঘুম চোখ দেখে, অবিন্যস্ত চুল দেখে অনুভূতিসম্পন্ন যে কারও ব্যাখ্যাতীতভাবে মনে হতে পারে, ওর জন্মই হয়েছে রেলে কাটা পড়ে মরবার জন্য। থুঁতনিতে একটা তিল আছে ওর, আছে কিছু মেয়ে বন্ধুও। তবু পোতানো মুড়ির মতো হয়ে থাকে সে। ছাদের এক রুমের একটা চিলেকোঠায় ছেলেটা থাকে।

আম্মু আমাকে কঠিনভাবে নিষেধ করল ছাদে যেতে। সাধারণ নিষেধ হলে হয়তো এভাবে ভাবতাম না, কিন্তু কঠিন হওয়ার কারণে আমার সন্দেহ হলো, নিষেধাজ্ঞার পেছনের কারণ ওই ছেলেটি কি-না। যাচাই করতে গিয়ে দেখি, সত্যিই তাই। আম্মু বলেছে, ছেলেটাকে বাড়িওয়ালারাও নাকি তাড়াতে চাইছে অনেক দিন থেকে।

‘কিন্তু পারছে না কেন?’

‘সে এক অদ্ভুত ইতিহাস, রুম ছাড়তে বললেই নাকি কান্নাকাটি করে।’

‘আর তখন তাদের মায়া লাগে?’

‘হ্যাঁ! তুই জানলি কীভাবে?’

আমি নির্দিষ্ট কোনোভাবে জানি নাই, তবে এই কান্নাকাটি করার ব্যাপারটা আমাকে ছেলেটার ব্যাপারে আরও আগ্রহী করে তুলল। আমি ঠিক করলাম ওর সঙ্গে এক দিন গিয়ে কথা বলব।

‘আপনি নাকি এ চিলেকোঠা ছেড়ে যেতেই চান না? ছাড়তে বললে কান্নাকাটি করেন! সত্যি?’ পানির ট্যাঙ্কের ওপর বসে পায়ের তালু থেকে কী যেন একটা খোলার চেষ্টা করছিল। আমার প্রশ্নে একটুও বিচলিত না হয়ে আর ওই কী যেন একটা খুলতে থাকা থেকে একটুও বিচ্যুত না হয়ে বলল, ‘একমাত্র কান্নাকাটিটাকেই ওরা মানে। অন্যভাবেও চেষ্টা করে দেখছিলাম, কাজ হয় না।’

‘অন্য কোনোভাবে চেষ্টা করেছিলেন?’

‘ভয় দেখাইছি, হুমকি দিচ্ছি কোনো লাভ হয় নাই। পরে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করাতে কাজ হইল।’

হাসি পায়, বলি, ‘বাহ খুব ইন্টারেস্টিং ব্যাপার! হাসি পাচ্ছে!’

‘হাসি পেলে হেসে ফেলুন।’

আমি এত হুট করে কিছু করে ফেলতে পারি না। হাসি পেলেও গোমড়া থাকি, আর কান্না এলেও হাসি হাসি মুখ করে থাকি।’

‘আপনিও ইন্টারেস্টিং। তবে একটা সমস্যা আছে।’

‘কী?’

‘আরেক দিন বলব, আজকে অনেক কথা হইল। এখন যান।’

‘যাব মানে! এটা কি শুধু আপনার ছাদ নাকি?’

‘ছাদ থেকে তো যাইতে বলি নাই, সামনে থেকে সরেন।’

মানুষ আরেকজন মানুষকে এভাবে হার্ট করতে পারে বলে আমি কখনও জানতাম না। আমার কান্না পেয়ে গেল। মনে হচ্ছিল ধাক্কা মেরে ওকে নিচে ফেলে দিই। কিন্তু সেটা করতে না পারার অসহায়ত্বসহ আমি প্রকাশ্যে কাঁদতে শুরু করলাম।

‘কই, বললেন তো কান্না পাইলেও নাকি হাসি হাসি মুখ করে থাকেন। এখন তো হাতে-কলমেই কান্নাকাটি করতেছেন!’

কাঁদতে কাঁদতে ছাদ থেকে নেমে আসতে আসতে মনে হলো আবার ছাদে উঠতে মন চাচ্ছে। গিয়ে বললাম, ‘ট্যাঙ্কের ওপর ওঠার জন্য ছোট একটা মই রাখতে পারেন না?’

জবাব না দিয়ে পায়ের তালু থেকে একইভাবে সেই কী যেন একটা খোলার চেষ্টা চালিয়ে যায়। ‘হ্যালো শুনছেন?

‘বলে ফেলুন।’

‘বলে তো আগেই ফেলেছি, আপনি জবাব দিচ্ছেন না কেন?’

‘আর আপনি আমাকে পায়ের কাঁটাটা খুলতে দিচ্ছেন না কেন?।’

‘কাঁটা… মানে, আমি দিচ্ছি না কেন!’

‘আপনি দিচ্ছেন না কেন সেটা আমি কী করে বলি- ভালো বিপদ হইল তো!’

‘এই ছেলে, আপনি মানে কী, কী ভেবেছেন- নিজ থেকে কথা বলতে এসেছি এর জন্য খুব ভাব নিচ্ছেন, নাকি? এগুলো স্টান্টবাজি আমি বুঝি না ভাবছেন! আপনার মতো কত দেখলাম! সব একই।’

‘তবু আগ্রহ ফুরাইছে বইলা তো মনে হয় না! চইলাও গেলেন, আবার ফেরত আইসা জ্বালাইতেছেন। আপনে আসলে চান কী?’

মেজাজটা খারাপ হলো। মনে হচ্ছিল শরীরের ভেতরে রাগের চোটে কী যেন ঘটে যাচ্ছে। মনে হতে থাকে রগে রগে গিট্টু লেগে যাচ্ছে।

‘আমি আসলে আপনার সঙ্গে শুয়ে পড়তে চাই। হলো?’- বলেই এক দৌড়ে বাসায় চলে আসি। আমার সারা শরীর কাঁপতে থাকে। রাগে, আবার আনন্দেও, আবার অন্য একটা ব্যাপারেও। যেন যা আমি আসলে এমনি বলে দিয়ে এলাম, যেন তা আমি আসলে শুধু এমনিই বলে দিয়ে আসি নাই। একটু ফালতু ন্যাকা ন্যাকা লাগল নিজেকে, স্যাঁতসেঁতে লাগল- আরও কেমন কেমন যেন। মনে হলো, ঠিক হয় নাই, আবার মনে হলো, ঠিকই হয়েছে। আয়নায় নিজেকে দেখে আমার ভালোই লাগল। মনে হলো আমি বাড়তেছি। একটু ধীরে ধীরে হলেও বাড়তেছি তো বটেই।

দুই.

রাতে আমার ঘুম হলো না। সারারাত ধরেই আমি জেগে থাকলাম বিছানায় শুয়ে শুয়ে। যখন এপাশ-ওপাশ করছিলাম, নিজেকে আমার বাংলা সিনেমার শাবনাজ শাবনাজ লাগল। আমি বুকের নিচে বালিশ দিয়ে উপুড় হয়ে শুলাম, পা উপরে তুলে সাইকেল চালানোর মতো করতে থাকলাম। যেন আমি শাবনাজই যদি হই, পুরোপুরি তাই হতে চাই।

কিন্তু আমি ছাদের ছেলেটার নাম জানি না। ওর একটা মেয়ে বন্ধু আছে, সাইকেল চালায়। ছাদের রেলিং থেকে প্রথম এক দিন দেখলাম- নিচে, গেটের সামনে থেকে ছেলেটাকে সাইকেলে তুলে নিল আর ফুস করে সামনের রাস্তায় ভিড়ের মধ্যে মিলিয়ে গেল। মেয়েটার নামও আমি জানি না। তবে আমার দেখে কেন যেন মনে হয়েছিল ওই মেয়ের নাম হয়তো সিনথি। ওকে নিয়ে বাবার সঙ্গে কথা হলো।

‘তোর কেন মনে হচ্ছে মা, ওর নাম সিনথিই হবে?’

‘না বাবা তুমি জানো না, আমি জানি।’

‘কী জানিস, সেটাই তো জানতে চাইছি।’

‘আমি জানি, যারা সাইকেল চালায় আর গেটের সামনে থেকে বয়ফ্রেন্ডদের তুলে নেয়, তাদের নাম সিনথি হয়।’

‘সব ক্ষেত্রেই কি তাই হওয়া সম্ভব? হয়তো তুই এমন কাউকে চিনতি।’

‘কাউকে চিনতাম না বাবা, সিনথি নামে কারও সঙ্গেই আমার কখনও পরিচয় হয় নাই। তবু আমার মনে হয়।’

‘একদিন কোনোভাবে ঠিকই জেনে যাবি মেয়েটার নাম কী, তখন মিলিয়ে নিস।’

‘একদিন কীভাবে জেনে যাব বাবা, ছেলেটাই আমাকে বলে দেবে?’

‘অন্য কোনোভাবেও জানতে পারিস, ধর ছাদে দাঁড়িয়ে ছেলেটা যদি মেয়েটার নাম ধরে ডাক দেয়, তখন জানতে পারবি।’

আমি হতাশ হলাম। কবে ছেলেটা মেয়েটাকে নাম ধরে ডাক দেয়, সেই অপেক্ষায় আমার দিন যাবে নাকি!

আমি নানান এঙ্গেল থেকে আমার ও রকম জবাবে ছেলেটার কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল, বানিয়ে বানিয়ে তাই ভেবে যাচ্ছিলাম। আর মাঝে মাঝে গোপন সিম থেকে আম্মুকে মিসড কল দিচ্ছিলাম। নাম্বার বিজি। আগে ওয়েটিং দেখাত। সপ্তাহ দুয়েকের যন্ত্রণায় ওয়েটিং অপশন বন্ধ করে বিজি অপশন চালু করেছে আম্মু। কারও সঙ্গে আম্মুর প্রেম হয়েছে। কিন্তু কার সঙ্গে তা আমি জানতে পারলাম না এখনও। কোনো ধরনের গোয়েন্দাগিরিই কাজে লাগছে না। এ বিষয়েও কথা হলো বাবার সঙ্গে।

‘আম্মু তো তোমাকে ভুলে গেল বাবা। এখন কার সঙ্গে যেন প্রেম করে।’

‘সেটাই তো স্বাভাবিক রে মা।’

‘কেন স্বাভাবিক, এত না ভালোটালো বেসে পালিয়ে বিয়ে করলে তোমরা!’

‘মৃত মানুষকে দিনের পর দিন মনে রাখাটা কঠিন।’

‘কিন্তু কেন সেটা?’

‘মৃত মানুষ বলে আসলে কিছু হয় না রে মা। মানুষের জীবিত থাকা লাগে।’

‘কেন বাবা! আমার তো কান্না আসে তোমার জন্য। মায়াও লাগে।’

‘জীবিত মানুষের কত কী করার থাকে, মৃতদের সেই তুলনায় কিছুই করার নাই।’

‘ধুর। তুমি মহৎ হতে চাচ্ছো এসব বলে, আমি বুঝি। ঠিকই তোমারও খারাপ লাগে।’

‘হা হা, খারাপ লাগলেই আর কী করা যাবে বল!’

‘কেন, ভূত হয়ে ফিরে আসতে পার না? ওই প্রেমিক ব্যাটার ঘাড় মটকে দিতে পার না?’

প্রসঙ্গক্রমে বাবার মনে পড়ে।

‘ভালো কথা, কে তোর মা’র প্রেমিক, জানতে পারলি?’

‘না বাবা। ফেসবুক, টুইটার সব চেক করেছি। কোনো ক্লু পাওয়া যায় নাই। তবে একদিন বারান্দা থেকে আম্মুর চেঁচামেচি শুনছিলাম, গালাগাল করছিল আম্মু, আবার কাঁদতেছিল।’

‘বলিস কী! কেন?’

‘কী জানি! মনে হয় লোকটাকে কোনো ব্যাপারে সন্দেহ করছিল!’

‘হা হা, সন্দেহ করা তোর আম্মুর একটা পুরনো অভ্যাস।’

‘এঁহ, আসছে বদনাম করতে আমার আম্মুকে নিয়ে!’

‘আর কিছু জানতে পারলে আমাকে বলিস!’

‘হোপলেস! কোথায় ভূত হয়ে এসব গোপন তথ্য আমাকে এনে দেবে। উল্টো আমারই মুখাপেক্ষী হয়ে আছ!’

বাবা হাসতে হাসতে মিলিয়ে যায়। সামনের রাস্তায়, ভিড়ের মধ্যে।

তিন.

আরেকটা ঘুমাতে না পারা রাতের শেষে আমি গিয়ে ছাদে উঠলাম। ছাদে ওঠার পর থেকে ভোর হতে শুরু করল নাকি আগে থেকেই হচ্ছিল, আমি বুঝতে পারি না। দরজা বন্ধ, আর জানালার একটা অংশ খোলা। কিছুই প্রায় দেখা যাচ্ছিল না অন্ধকারে। শুধু ভোরের আবছা আলোয় ফুলস্পিডে ঘুরতে থাকা ফ্যানের বাতাসে কোনোভাবে স্থির হতে না পারা মশারির চাঞ্চল্য। কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই, ভেতর থেকে ভুরভুর করে পুরুষ মানুষের ঘুমের গন্ধ বের হয়ে আসে। অবিবাহিত পুরুষ মানুষের ঘুমের গন্ধ। অবিবাহিত কিন্তু কয়েকটা মেয়ে বন্ধু আছে, এমন পুরুষ মানুষের ঘুমের গন্ধ। অল্প পচে যাওয়া পুরনো কয়েলের গন্ধও সেই গন্ধে মিশে থাকে।

‘হ্যালো! ফার্স্ট ইয়ার?’

ভূত দেখবার মতো চমকে উঠি। জানালার খোলা এক অংশ দিয়ে ছেলেটার চেহারা দৃশ্যমান হয়।

‘কথা বলেন না কেন, ফার্স্ট ইয়ার নাকি?’

‘জি।’

‘শোনেন, কষ কষ জিনিসটা আমার ভালো লাগে না। আপনি চলে যান। আরও বড় হয়ে পরে যোগাযোগ করেন।’

‘মানে!’ কিছুই বুঝতে পারি না, মাথা ভনভন করে আমার।

‘মানে হলো আমি কারও প্রথম অভিজ্ঞতা হইতে চাই না। কারণ আমার জন্য সেটা বেশ বিচ্ছিরি এক অভিজ্ঞতা। বুঝতে পারলেন?’

হুট করে আমি বুঝতে পারলাম ছেলেটা কী বলতে চাইছে! কেন যে বুঝতে পারলাম! অথচ বুঝতে পারছিলাম না আমার চারপাশ কেন আমার চারপাশ হয়ে আমাকে একপাশে ফেলে দিচ্ছে। হঠাৎ ঘামে আমার সেমিজ স্যাঁতসেঁতে হয়ে উঠল, স্যান্ডেল থেকে পিছলে যেতে থাকল আমার পা, আমার কি বমিও পাচ্ছিল। আর এতসবের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল জানালার খোলা থাকা অংশটাও। শুধু বন্ধ হতে হতেও একবারের জন্য খুলে যাওয়া ওই জানালা থেকে উঁকি দিয়ে ছেলেটা বলল, ‘ট্যাংকির পাশে কল আছে, মাথায় পানি ঢাইলা নেন।’

মুখে পানির ঝাপটা দিতে দিতে আমি বুঝতে পারলাম, আমি ঠিক ছেলেটার ইচ্ছে অনুযায়ী আক্রান্ত হচ্ছি। সবই এত পরিকল্পিত, মাপা, আমি বুঝতে পারছিলাম। তবু আমি যে কোনো ব্যাখ্যাতীত একটা কিছুকে ঠেকাতে পারছিলাম না কোনোভাবে। একবার মনে হলো, কতটা ভেবে রেখেছে ছাদের এই দুই পয়সার ছেলে, আমি ওর ভাবনার থেকে একটু আগে বেড়ে কী করতে পারি এখন? আমি বুঝতে পারছিলাম না, লাফ দেওয়া ঠিক হবে কি-না। আর কিছুতেই নিশ্চিত হতে পারছিলাম না যে, এটুকুও ছেলেটা ভেবে রাখে নাই।

আমার হয়তো কোনো একটা সমস্যা হয়েছিল, আর তাই হঠাৎই শরীরের জোর ফিরে পেয়ে আমি ওর দরজায় আঘাত করতে থাকি। একবার-দুইবার অসংখ্যবার। কিন্তু সে দরজা খোলে না। আর রাগে কাঁপতে কাঁপতে আমি চিৎকার করতে থাকি, ‘ওই দরজা খোল! দরজা খোল। তোর সঙ্গে কথা বলব।’…

‘কী? এ রকম করতেছেন ক্যান আপনে!’

আবার সব জোর হারিয়ে ফেলি মুহূর্তেই। বোকার মতো জিজ্ঞেস করি, ‘আপনার নাম কী?’

‘আমার নাম দিয়ে আপনার দরকার কী?’

আমার তখন মাথা ঠিক নাই, জিজ্ঞেস করি, ‘সিনথির বয়স কত? ওরও কি আরও বড় হওয়ার পর্যায়ে চলছে? নাকি অলরেডিই সে বড় হয়ে গেছে?’

এবার ছেলেটা থমকায়। অন্তত কয়েক সেকেন্ডের জন্য। কিন্তু আরও হতাশায় বলে ওঠে, ‘আপনি সিনথির খবরও নিয়া ফেলছেন! অথচ কি-না আমার নাম না জানার ভান করেন।’

তারপর আমি ওকে খুব শান্ত হয়ে বললাম, ‘শোনো, তোমাকে দেখলেই মনে হয় তোমার জন্ম হয়েছে ট্রেনে কাটা পড়ে মরবার জন্য। আমার এ রকম কেন মনে হয় আমি জানি না। কিন্তু আমি চাই না তুমি সেভাবে মরো।’

ছেলেটা একটু কী যেন ভাবে। ভেতরে চলে যায়। ব্রাশে টুথপেস্ট লাগিয়ে ফিরে এসে ট্যাঙ্কের কলের পাশে রেলিংয়ে বসে দাঁত মাজতে শুরু করে। আমি ওর পেছন পেছন ঘুর ঘুর করি। জিজ্ঞেস করি, ‘তুমি সিনথিকে ভালোবাসো?’

‘সেটা আপনারে বলতে হবে?’

‘না। সাইকেলে ওঠো তো ওর।’

‘দয়া কইরা ‘তুমি’ করে বলবেন না। বিদায় হন তো!’

আমি বিদায় হই। আর ঘরে ঢোকার মুখে আম্মুর সঙ্গে দেখা হলে হুট করেই ব্যাখ্যাতীতভাবে আমার মনে হয়, আম্মু কার সঙ্গে প্রেম করছে, চাইলে এখন সেটা আমি জানি। আবার না চাইলে মোটেও জানি না।

সূত্র: সমকাল

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত