‘অনেক হয়েছে এবার ছাড়ো’ রিমির শরীর থেকে হাত সরিয়ে জানালা খুলতেই মৃদু হাওয়া লাগলো আসিফের কপালে।কনকনে শীতের ছোয়ায় চামড়া বরফে পরিণত হতে আর খুব বেশি সময় নিবে না।ঢাকা শহরে হঠাৎ তাপমাত্রা চার ডিগ্রি তে নেমে এসেছে কেন আবহাওয়া বিশারদদের তা বের করতে মাথার ঘাম পায়ে পড়ছে।এই একশো বছরে ঢাকা শহরের গঠনগত পরিবর্তন হলেও পরিবেশগত পরিবর্তন মোটেও হয়নি।
বায়ু দূষণের ঐতিহ্য আজও ধরে রেখেছে এই নগরী।দূষিত নগরীতে এ বছর ও চ্যাম্পিয়ন ঢাকা।মেট্রোরেল, বাইপাস,ফ্লাইওভারে ঢাকা শহর ছেয়ে গেলেও যানজট একদম থেমে যায়নি।বড়লোক সাহেবেরা এখন আর পথে ঘাটে গাড়ি নিয়ে বের হয় না।তাদের চলাচলের যানবাহন এখন আকাশে উড়ে।রকেট লাগানো চেয়ারের মতো দেখতে ছোট ছোট আকাশ-গাড়িতে মানুষ চলাফেরা করছে।আসিফের অফিস বেলা দশটায়।রিমি হাত পা ছড়িয়ে ঘুমোচ্ছে।গোসল নিয়ে আসিফ বসলো খাবার টেবিলে।রোবট ট্রক্সি এসে খাবার পরিবেশন করলো।বমানুষের ঘরে ঘরে এখন রোবট।সবখানেই রোবটের আধিপত্য । শুনা যাচ্ছে দশ বছর পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবে একটি রোবট।এই রোবট গুলোর একটিই সমস্যা কথা বেশি বলা।প্রয়োজনের চেয়ে অধিক কথা বলার ট্রেনিং এদের দেওয়া হয়েছে।টেবিলে খাবার রাখতে রাখতে ট্রক্সি বললো,
‘চায়ে কয় চামচ চিনি দিবো স্যার?’
‘তুমি জানো না?’
‘জানি স্যার’
‘তবে জিজ্ঞেস করছো কেন?’
‘সরি স্যার’
‘বেশি কথা বলবে না’
‘ওকে স্যার কিন্তু কেন স্যার?’
‘বেশি কথা বললে আয়ু কমে যায়’
‘আমার আয়ু তো মানুষের হাতে স্যার।সুইচ টিপ দিলেই আয়ু শেষ স্যার’
‘ডোন্ট টক।আর প্রতি বাক্যের সাথে স্যার স্যার করবে না’
‘কেন স্যার?’
‘আমি নিষেধ করেছি তাই’
‘আপনি কেন নিষেধ করেছেন স্যার?’ আসিফ জবাব দিল না।এইসব রোবটদের সঙ্গে কথা বলা মানে হচ্ছে নিজেকে অপমান করা।চা শেষ করে গুটি পায়ে পঞ্চাশ তলা বিল্ডিং থেকে বের হয়ে গেলো আসিফ।
শাহেদুল আলম চোখ খুলতেই দেখলেন তিনি শুয়ে আছেন একটি কাচের বাক্সে।এর ভেতরটা ভীষণ ঠান্ডা।সবকিছু ধোঁয়াটে দেখছেন।মাথা ভনভন করছে। কিছু মনে করতে পারছে না।আবারো চোখ বন্ধ করে সোজা লম্বা হয়ে শুয়ে রইলেন।ধীরে ধীরে শরীর গরম হলো,মাথা ধরা কমলো।সবকিছু মনে পড়তে লাগলো।মনে পড়তেই শাহেদুল আলম আঁতকে উঠলেন।উঠেই কৌতুহলী চোখে চারপাশে তাকালেন।২০২০ সালে তাকে এই কাচের যন্ত্রটিতে রাখা হয়েছিল।এটি একটি টাইম ট্রাভেল মেশিন।একশো বছর আগে শাহেদুল আলম কে এই মেশিনে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিলো।কাচের বাক্সের দরজা খুলে শাহেদুল আলম বের হয়ে গেলেন খালি পায়ে।সিগারেট খেতে ইচ্ছে করছে। সিগারেটের দাম কতো এখন?২০২০ সালে যে হারে সিগারেটের দাম বাড়ছিলো ২১৩০ সাল পর্যন্ত সে হারে বাড়লে সিগারেটের দাম এখন সোনাকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা।মানুষ সিগারেট কিনতে হলে এখন জায়গা-সম্পত্তি বিক্রি করতে হবে।শাহেদুল আলম সিদ্ধান্ত নিলেন কোনো দোকানে গিয়ে প্রথমে সিগারেটের দাম জিজ্ঞেস করবেন।আচ্ছা এতো শীত লাগছে কেন?সময়ের বিবর্তনে ঢাকা শহরে তুষারপাত শুরু হয়েছে নাকি?
জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসতেই শাহেদুল আলমের মাথা ঘুরে উঠলো।এসব তিনি কি দেখছেন?মাথার উপর একটি নয় তিনটি সূর্য জ্বলজ্বল করছে।তবুও প্রচন্ড শীত পড়ছে।চারদিকে পঞ্চাশ -একশোতলা বাড়ি গিজগিজ করছে আকাশেও বিস্তর উড়ন্ত গাড়ি ভেসে যেতে দেখলেন।সেই গাড়িতে কোর্ট-টাই পড়া মানুষ যাতায়াত করছে।সামনের ফুটপাতটি নদীর চলমান স্রোতের মতো ভেসে চলছে।চলমান ফুটপাতে পা রেখে শাহেদুল আলম এগিয়ে চলছে।এ জায়গাটির নাম কি?শাহেদুল চারপাশ তাকিয়ে প্ল্যাকার্ডে জায়গাটির নাম দেখলেন মতিলেক।এ নামে একশো বছর আগে ঢাকা শহরে কোনো জায়গা ছিল না।ঢাকা শহরের কি সবকিছুই পরিবর্তন হয়ে গেলো?শাহেদুল আলমের নামটির দিকে আবারো খেয়াল করলেন।মতিলেক।লেক মানে ঝিল।তার মানে মতিঝিল। নামের কি বিবর্তন ।সংস্কৃতির বিবর্তন ও চোখে পড়ার মতো।মানুষ হাটছে আন্ডারওয়ারের চেয়েও ছোট ছোট পেন্ট পড়ে। মেয়েরাও হাটছে অর্ধনগ্ন অবস্থায়।শাহেদুল আলমের ভীষণ অস্বস্থি হচ্ছে।অস্বস্থি হওয়ার দুটি কারণ।প্রথমটি হচ্ছে চোখের সামনে অর্ধনগ্ন মেয়েছেলের চলাফেরা।
এটি দেখতে মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়।দ্বিতীয় টি হলো সবাই তার দিকে কৌতুহলী চোখে তাকিয়ে আছে।তাকিয়ে থাকবে না কেন?সকলের পরনে ছোট ছোট কাপড় আর তিনি পড়ে আছেন একশো বছর আগের পাঞ্জাবি আর পায়জামা।আচ্ছা তার বয়স কতো এখন?২০২০ সালে পয়তাল্লিশ হলে এখন হওয়ার কথা একশত পয়তাল্লিশ বছর।কিন্তু তার শারীরিক কোনো পরিবর্তন নেই।দেখতে পয়তাল্লিশ বয়সী পুরুষের মতোই লাগছে।শাহেদুল আলমের মনে পড়লো নিজ বংশধরের কথা।তার সন্তান-সন্ততি বেচে নেই হয়তো কিন্তু নাতি-নাতনী বেচে থাকার কথা।তাদের কোথায় পাওয়া যাবে?তাকে দেখে কি খুশি হবে নাকি দুঃখ পাবে?শাহেদুল আলমের বাড়ি ছিল খিলক্ষেতে।আচ্ছা খিলক্ষেতের নাম এখন কি হবে?খিলকর্নফিল্ড?
শাহেদুল আলমের মনে পড়লো কেন তাকে ২১৩০ সালে পাঠানো হয়েছে।চলন্ত ফুটপাতে সমবয়সী একজন তার পাশ দিয়ে চলছে।ভদ্রলোক আড়চোখে কৌতহুলী দৃষ্টিতে শাহেদুল আলমের দিকে তাকাচ্ছে।দেখতে সমবয়সী হলেও বয়সে একশো বছরের ছোট।শাহেদুল আলম আপনি বলবেন না তুমি বলবেন সেই দ্বিধায় পড়ে গেলেন।গলা খাঁকারি দিয়ে বললো, ‘ এখন ক’টা বাজে?’ বিরক্তি কন্ঠে ভদ্রলোক বললো, ‘রাত আটটা বেজে সতের মিনিট’ শাহেদুল আলম অবাক হলেন।এতোক্ষণে বুঝতে পারলেন মাথার উপর ওগুলো সূর্য নয়।ওগুলো কৃত্রিম আলো যার ফলে চারদিক দিনের আলোয় আলোকিত হয়েছে।সম্ভবত পৃথিবীর অন্যপাশের সূর্যের আলো থেকে এপাশে আলো প্রতিফলিত করেছে।
‘আজ তারিখ টা কতো?’
‘১ মার্চ,২১২০’
‘আপনার নাম?’
‘আসিফ আলম’
‘আমি শাহেদুল আলম।পেশায় বিজ্ঞানী। আমি এসেছি ২০২০ সাল থেকে’ আসিফ হতভম্ব কন্ঠে বললো,
‘মানে?’
‘টাইম ট্রাভেল করেছি।২০২০ সাল থেকে ২১২০ সালে।ট্রাভেলিং এ এতো আগ্রহ যে পৃথিবীর সব দেশ ঘুরে শেষ করে সিদ্ধান্ত নিলাম টাইম ট্রাভেল করবো।’ আসিফ সংশয় ভরা চোখে শাহেদুল আলমেরর দিকে তাকিয়ে আছে।এ কোন পাগলের পাল্লায় পড়লো? শাহেদ আলম নীরব থেকে বললো, ‘তবে এই ট্রাভেলের একটি উদ্দেশ্য আছে’ ‘কি উদ্দেশ্য? ‘ ‘একটি তথ্য জানতে এসেছি’ ‘কি তথ্য?’ ‘বিশ্বে এই মূহুর্তে কি কোনো মহামারী চলছে?’ ‘না ‘ ‘কোনো রোগ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো পৃথিবীতে?’ আসিফ কন্ঠে বিরক্তি নিয়ে বললো, ‘না ‘ ‘শিউর?’ ‘হু তবে চীনের ওহান রাজ্যে একটি ভাইরাস এর উৎপত্তি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।মানুষ মারা গিয়েছে কয়েকজন।’ শাহেদুল আগ্রহী কন্ঠে বললো, ‘এক্সেক্টলি।এটা জানতেই আমি এসেছি।কি নাম এই ভাইরাসের? ‘ ‘জানি না’
‘সে যাইহোক। শুনুন মি.আসিফ, এই ভাইরাস শীগ্রই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।বাংলাদেশেও প্রবেশ করবে।গবেষণা বলছে প্রতি একশো বছরে একটি মহামারী দেখা দেয়।সেই গবেষণার এক্সপেরিমেন্টের জন্য আমাকে ২১২০ সালে পাঠানো হয়েছে।২০২০ সালে চীনের ওহান থেকে করোনা নামক ভাইরাসে সারাবিশ্ব থমকে গিয়েছে।মানুষ মারা গিয়েছে পাখির মতোন।আপনি সাবধানে থাকবেন।সকলকে সাবধান করবেন।মনে রাখবেন সাবধান না হলে এই ভাইরাস ঢাকা শহর কে পরিণত করবে মৃত্যুপুরী তে;যেমনটা হয়েছিলো আজ থেকে একশো বছর আগে।বাড়িতে থাকবেন,সুস্থ থাকবেন’ কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলে শাহেদুল আলম চলমান ফুটপাত থেকে নেমে পড়লেন।আসিফ মনে মনে লোকটিকে পাগল-উন্মাদ বলে গালাগাল দিয়ে সামনে এগোতে থাকলেন। শাহেদুল আলম সিগারেট কিনতে দাড়ালো একটি দোকানের সামনে।আশেপাশে সকলে তার দিকে তাকিয়ে আছে বিস্ময় নিয়ে।তা অগ্রাহ্য করে শাহেদুল আলম দোকানদার কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বেনসনের দাম কতো করে?’ দোকানদার ও অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে। মুখে হাত দিয়ে বললো,
‘বেনসন কি?’
‘সিগারেট’
‘এ নামে কোনো সিগারেট আছে বলে তো জানতাম না’ শাহেদুল আলম পড়লেন ভারী বিপদে।বিরক্তি নিয়ে বললো, ‘যেকোনো একটি সিগারেট দিন’ দোকানদার নীল রঙের একটি প্যাকেট থেকে সিগারেট বের করে দিলো।শাহেদুল আলম জিজ্ঞেস করলো, ‘দাম কতো?’ ‘একশো পাঁচ টাকা’ মানিব্যাগ থেকে একশ টাকার দুটো নোট এগিয়ে দিতেই দোকানদার হকচকিয়ে উঠলেন। ‘এটা কিসের নোট?কোন জামানার নোট?’
আশেপাশে লোক জড় হতে থাকলো।শাহেদুল আলম বুঝতে পারলো তিনি বিরাট বড় একটি ভুল করে ফেলেছেন।তার কাছে যে নোটটি রয়েছে তা একশো বছর আগের।আশেপাশে লোক সমাগম ক্রমশ বেড়ে চলছে।সবার মুখ ভর্তি কৌতুহল আর জিজ্ঞাসা।শাহেদুল আলম সিদ্ধান্ত নিলেন এখানে আর এক মূহুর্ত ও থাকা যাবে না।লোক ভীড় থেকে শাহেদুল আলম পাশ কেটে দৌড়াতে লাগলেন।তার পিছে দৌড়াচ্ছে কিছু উৎসুক জনতা।একটু সামনে যেতেই শাহেদুল আলম ঢুকে পড়লেন একটি গাছ-গাছালিতে ঘেরা জঙ্গলের ভেতর।সেখানে ঢুকেই হাওয়ায় যেন মিলিয়ে গেল শাহেদুল আলম।শত শত মানুষ সারা জঙ্গল খুজেও শাহেদুল আলমকে খুঁজে পেলো না।শাহেদুল আলম টাইম ট্রাভেল মেশিনে উড়াল দিয়েছে ২০২০ এর উদ্দেশ্যে।
আজকের তারিখটা হলো ৩০ মার্চ, ২১২০।আসিফ বসে আছে তার রুমে।বড় একা আর নিঃসঙ্গ লাগছে। তার স্ত্রী নীলা একটি ভয়ানক ভাইরাসে আক্রান্ত।শুয়ে আছে আইসিউ বেডে।আসিফ তাকে একবারের জন্য দেখতে পর্যন্ত পারছে না। এই ভাইরাসে নিস্তব্ধ সারাদেশ, সারাবিশ্ব।বাড়ি ছেড়ে বের হওয়া নিষিদ্ধ।এক সপ্তাহ আগে নিষেধাজ্ঞা না মেনে আসিফ তার স্ত্রী নীলা কে নিয়ে বের হয়েছিল শপিং করতে।আজ এই বদ্ধ ঘরে বসে তা নিয়ে হতাশার সুর বাজানো ছাড়া কোনো উপায় নেই।হঠাৎ আসিফের মনে পড়লো এক মাস আগে একজন আগন্তুক তাকে এই নিয়ে সাবধান করেছিলো।আসিফ তা হাস্যকর ভাবে উড়িয়ে দিয়েছে।কিন্তু কে এই আগন্তুক? তার সব কথা কি আদৌ সত্যি?আসিফ আগন্তুকের নাম মনে করতে চাইলো।তার নামের সাথে মিল রয়েছে।হ্যা মনে পড়েছে। আগন্তুকের নাম শাহেদুল আলম।আলম?এই ভদ্রলোক কি আলম বংশের কেউ?কে জানতে পারে?তার বাবা? আসিফ ফোন তুলে সোহান আলমকে কল দিলো।
‘হ্যালো বাবা’
‘বল’
‘তোমার বাবার নাম জানি কি?’
‘হঠাৎ এই প্রশ্ন?’
‘আহা তুমি বলো ‘
‘মঞ্জুর আলম”
‘তার বাবার নাম কি?’ ফোনের ওপাশে রফিকুল আলম বেশ কিছুক্ষণ মনে করতে চেয়েও ব্যর্থ হলো।
‘তার নাম তো ঠিক মনে করতে পারছি না।পেটে আসছে মুখে আসছে না’
‘বাবা উনার নাম কি শাহেদুল আলম?’
‘হ্যা হ্যা তুই কিভাবে জানলি?’
‘পরে বলছি তোমাকে।আচ্ছা উনি কি করতো?’
‘সে তো বিজ্ঞানী ছিল’
‘বাবা তুমি কি আমাকে তার একটি ছবি মেনেজ করে দিতে পারবে?’
‘পারবো’
‘পাঠিয়ে দাও তাহলে’ আধ-ঘন্টা পর আসিফের ফোন ভাইব্রেশনে কাপতে থাকলো।
রফিকুল আলম ছবি পাঠিয়েছে। ছবিটি দেখে আসিফ মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলো।নিজেকে সামলে নিয়ে ফ্লোরে বসে পড়লো।রোবট ট্রক্সি রুমে প্রবেশ করে বললো, ‘আপনার কি শরীর খারাপ স্যার?’ ‘না’ ‘আপনাকে কি ভাইরাস এটাক করেছে স্যার?’ ‘না’ ‘আপনি সব কথায় না না করেন কেন স্যার?আপনার কি ব্রেইন ডিফেক্ট হয়েছে স্যার?’ আসিফ প্রচন্ড ক্ষেপে গিয়ে চিৎকার করে বললো, ‘শাট আপ। গেট আউট ব্লাডি বাস্টার্ড। ‘ ট্রক্সি স্বয়ংক্রিয় কন্ঠে জবাব দিলো, ‘বাস্টার্ড কি স্যার?’
আসিফ আবারো নিজেকে সামলে নিয়ে চুপ মেরে গেলো।রোবটের সাথে রাগারাগি করা আর ধাক্কা মেরে দেয়াল ভাঙতে চাওয়া দুটোই এক।লব্ধি শূন্য। অর্ধ নিস্ক্রিয় মাথা নিয়ে আসিফ ফোন তুলে কল দিলো রফিকুল আলমকে।
‘হ্যালো বাবা’ ‘ছবি দেখেছিস?’ ‘হু’ ‘এবার বল হঠাৎ এসব প্রশ্ন কেন?’ ‘বাবা আমার সাথে তোমার দাদা শাহেদুল আলমের দেখা হয়েছিল’ ‘মানে?কি বলছিস এসব? ইদানিং কি নেশাপানি বেশি হচ্ছে?’ আসিফ ফোন রেখে দিলো।ঝুম বৃষ্টি নেমেছে।বৃষ্টির চোখে চোখ রেখে আনমনা হয়ে আসিফ পৃথিবীর কাছেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলো, ‘সময়ের পর সময় কাটে।কিছু সময় বারেবার ফিরে কেন আসে?
গল্পের বিষয়:
গল্প