দংশন

পিয়ারু মৃধা ঘর থেকে বেরোতেই ছোট বউ সশব্দে দরজার খিল এঁটে দিল। বুরচান বসেছিল অন্ধকার বারান্দার এক কোণে- জলচৌকিতে। আসন ছেড়ে উঠে এসে সে মানুষটার হাত থেকে টর্চটা নিল নিজের মুঠোয়।

তার পর পথে নেমে বুরচানের পেছন পেছন হাঁটতে থাকা পিয়ারু মৃধা বলল, যাইতাছি যে, মোনডায় ক্যান জানি জোর পাইতাছি না।

এই কথায় অন্যপক্ষের কোনো জবাব মিলল না। দিনমানে চৈত্রের রোদ পেয়ে তেতে উঠেছে মাটি। সেই তাপে গাছগাছালি আর ফসলাদি কেমন যেন মিইয়ে পড়েছে। এমন গরমে গর্ত ছেড়ে যত্রতত্র গা ছাড়ে সাপ। অসতর্ক হলেই সেগুলোর কোনো একটা যে কারও পায়ে ছোবল হানতেই পারে। এমন ভয়ে থেকে সে পথের দু’দিকটা হাতের লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে এগোয়। সেইসঙ্গে বিড়বিড় স্বরে বলে ওঠে- হাপেরে বিশ্বাস কী রে বাহে! যাইতাসছ যে, সাবধানে আজ্ঞগ্দা।

সেই কথা কানে গেলেও কোনো জবাব এবারেও তার আলাপে টুঁ শব্দটি করল না বুরচান। চলতি পথের দু’দিকের জমিতে আমন ধান গেরা নিয়ে আঙুল পরিমাণ বেড়ে উঠেছে। সেসবের আল ধরে তারা এগোয়। পিয়ারু মৃধা হাঁটতে হাঁটতে ঘামে। পা ফেলে সাবধানে। ডান দিকের কাইচার বিলের চারদিকেই ঘের দিয়ে থাকে ব্যাঙ। সেইসঙ্গে বৃষ্টির জন্য ‘মেঘ দেও’, ‘মেঘ দেও’ ডেকেই চলে। ওই ডাক শুনতে শুনতে ধানি জমিগুলো পার হয়ে টেঙ্গির টেকে উঠে এলো তারা।

এখানে এককালে মেছোবাঘের আস্তানা ছিল। এখন সেসব নেই হয়ে গেলেও শিয়াল, খাটাস, সজারু, খরগোশ আর সাপের চলাচল নজরে আসে। অতীতের এক ভরদুপুরে টেঙ্গির টেকে মরা মানুষ পাওয়া গিয়েছিল। তা ছাড়া পিয়ারু মৃধা ওখানকার একটা গাছের গুঁড়িতে কয়েকটা হামুইড্ডা সাপের গড়াগড়ি খাওয়া নজর করতে পেরেছিল। তা মনে পড়তেই সে প্রশ্ন তোলে, বুরচাইনা রে, হাপেরে তুই ডরাসনি?

বুরচান হঠাৎ টানটান হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। বলে, হাপেরে কেডা না ডরায়! তয় সাবধানে চললেই হইল।

কিন্তু নিজের অজান্তে সাপের প্রসঙ্গ মুখে উঠে এলেও পিয়ারু মৃধা আসলে যে মেয়ের লোভে পথে নেমেছে, বুরচানের মুখ থেকে তার ধরন-ধারণ জানতে চেয়েছিল। তা আর হলো কই!

শ্বাস নেয় সে কয়েকবার। শরীরে যেন জ্বর-তাপের উত্তাপ লেগেছে। কানের পর্দায় বইছে পোকা-টোকার একটানা ঝিঁঝি ডাক। ঘাড়ের গামছা টেনে নিয়ে মুখ-হাতের ঘাম মোছে সে। গাছগাছালিতে ঠাঁই নেওয়া হরেক পাখি কস্ফচিৎ জেগে উঠে পাখা ঝাপটায়। নিশাপাখি উড়ে যায় হঠাৎ হঠাৎ। চলতে চলতে পিয়ারু মৃধা বলল, এফি হাপের হামুইড্ডা জবর চলাচলতি রে। হেইতে চিন্তা লাগে।

বুরচান টর্চের আলোটা জ্বালায়-নেভায় বারকয়েক। দক্ষিণ থেকে একটা জোর বাতাস উঠে এসেই উত্তরে মিলিয়ে যায়। নক্ষত্র আছে আকাশে, দ্বিতীয় পক্ষের চাঁদ উঠবে আরও রাতের দিকে। সে জিজ্ঞেস করে, টেঙ্গির টেকে হামুইড্ডা থাকেনি কাকা?

পিয়ারু মৃধা সিগারেটে আগুন জ্বালতে যাচ্ছিল। তক্ষুনি মনে হলো, আলো চোখে পড়লেই হামুড্ডা সাপ লেজ-মুখ একত্র করে প্রথমে। পরমুহূর্তে তীব্র বেগে ছিটকে আসে আলো-বরাবর। ব্যাপারটা মনে পড়তেই তার দু’চোখের মাঝখানে যেখানটায় নাকের শুরু, সেখানে একটা চিনচিন কামড় ওঠে। বারকয় ঠুকেও ম্যাচটা সে জ্বালতে পারে না।

কয়েক পা সামনে এগিয়েই বুরচান টর্চটা ঊর্ধ্বমুখী করে। বাঁ দিকের রহিনা গাছের আগডাল পর্যন্ত আলোটা ওঠে। ঘুরপাক খায়। পিয়ারু মৃধা জিজ্ঞেস করে, হেফি টর্চ মাইরা কী খোঁজস রে?

কাকা, কিয়ে যেমুন গাছের ডাইল ধইরা ঝাঁকি দিল।

পিয়ারু মৃধা রেগে গিয়ে টর্চটা বুরচানের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে রাগত গলায় বলল, কী আবার, ভূত হইব। ওই, তুই কি আমার লগে বিডলামি লইলি?

এবার টর্চের আলো ফেলে আগে আগে পথ চলে পিয়ারু মৃধা। বুরচানের শয়তানিটুকু ভেবে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে সে। গালাগাল গলা অবধি উঠে আসে। কিন্তু চেপে গিয়ে ভারি গলায় নিজের অজান্তেই একটা প্রশ্ন উঠে আসে, হামুইড্ডার কিচ্ছাডা তুই জানছনি?

কী কিচ্ছা?

জবাব দিতে গেলে বড়ই শীতলতা পিয়ারু মৃধাকে ঘিরে নেয়। ব্যাপারটা ঠিক ঠিক মনেও আসে না। তবে কিচ্ছাটা সে শুনেছিল কারও মুখ থেকে। সেই মানুষ জানিয়েছিল, কোনো এক নবীর হাতের লাঠি যেন ছিল হামুইড্ডা সাপটা! হামুইড্ডাই কি নবীর হাতের লাঠি ছিল, না অন্য সাপ? নিজেকে নিজে শোধানো এমন জিজ্ঞাসার সামনে তার পদক্ষেপ শ্নথ হয়ে আসে। আর ও রকম বিপর্যস্ত স্বরেই সে ডাকল, বাহে রে।

আবার কী হইল?

নিতাছস আমারে যেইহানে, ওইহানকার মাইয়াডা সুন্দরেরনি?

হ কাকা, জুইতেরই গো মাইয়াডা।

তয় যাইতাছি যে, গতরডা মোডে জুইতের পাইতাছি না।

সেই মুহূর্তে আকাশে মেঘ ডেকে উঠতেই বুরচান বলল, হে তো কবে ধইরাই। বুঝল আপনে এফি-হেফি ছাড়েন নাই।

আকাশের অনেকাংশে টলটলায়মান মেঘ খেলছে। শীতের সকালে আগুনে ভুসি চাপালে যে রকম চাপ চাপ ধোঁয়া ওঠে- আকাশের কোথাও কোথাও মেঘের ওই রকম ছাপ পড়ছে। তাতে ঝড়-বাদলা নেমে এলে সঙ্গে আনা ছাতায় কী-বা সামাল চলবে! মনে পড়ে ঘর থেকে বেরোবার মুখে ছোট বউ জানতে চেয়েছিল কই যাচ্ছে স্বামী। সে বলেছে, বালুচড়ায় যাইতাছি একটা বিচারে।

ছোট বউ কি জানে না, বোঝে না এসব? পান চিবিয়ে ঠোঁট লাল করে রাখে সারাক্ষণ। হাতভরা কাচের চুড়ি বাজিয়েও চলে। স্বামীর জবাব শুনে বউ প্রশ্ন তুলেছিল, ফিরবা কোন রাইতে?

ফিরবে তো সে অনেকখানি রাতে। টেঙ্গির টেকের বড় বাঁশঝাড়টা পেরোতে পেরোতে পিয়ারু মৃধা মুখ খোলে, তর ছোট কাকি খালি পোলা চায়। আমি রা পাড়ি না। রা কইরা কী হইব! যেইডা হওনের না, হেইডা আমি হওয়ামু কেমনে?

খুব নিচ ধরে দু-তিনটে নিশাপাখি ঘুরতে থাকে। শূন্যে ডানা এমনভাবেই ছড়িয়ে দেয় যে তাতে ফাৎ ফাৎ আওয়াজ ওঠে। যেন কেউ নিঝুম বেলায় কাপড় ফাড়ে হঠাৎ হঠাৎ।

পিয়ারু মৃধার কপাল থেকে ঘামের ফোঁটা গড়ায়। রোদে পাওয়া কুকুরের মতো হাঁ জিভ হয়। তারই মাঝে ছোট বউয়ের মুখখানা তার চোখে ছাপ তোলে। মেয়েমানুষটার বয়স সতেরো-আঠারোর কোঠায়। তার ভরা বুক। অথচ তাকে ধরতেই পারে না স্বামী। ধরতে গেলেই ছোট বউ পিছলে চলে যায় নাগালের বাইরে। বলে, আগে কও, তুমি মরলে আমার দেখশোন করব কেডা? পেডে পোলা আইলেও তো বিপদে মনডারে বুঝ দেওন যাইত।

সেসব সময়ে পিয়ারু মৃধা রোদ-পাওয়া কুমড়োর ডগার মতো নেতিয়ে আসে। ওই অবস্থায় তার নাকের ডগা লাফায়। শুস্কতা জমে তার ঠোঁটে, দাঁতের মাড়িতে, জিহ্বায়। এক্ষণে সে তিরিক্ষি মেজাজের হয়ে ওঠে, হগল দোষ কি আমার? তরা খালি আমারেই চাপবি? ওই, পোলা দেওনের মালিক আল্লায়। হেইতে আমার কী করনের আছে?

সেই কথা ফুরোতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে যেতে যেতেও নিজেকে সামাল দেয় বুরচান। তা খেয়াল করে পিয়ারু মৃধা অধিকতর তিরিক্ষি মেজাজে প্রশ্ন করে, ওই, তুই কি আমার লগে আবার বিডলামি লাগাইলি?

না গো কাকা, না। আমি তো উষডা খাইয়া উইলডা পড়তে পড়তেও কপালে খাড়া হইলাম।

কী কস তুই?

হ কাকা, হাচা। খাড়াও এট্টু, দোমডা তো লইয়া লই।

অন্ধকার বাড়তে থাকে। পোকা-টোকা আরও জাঁকিয়ে বসে। দূরে কুকুর ও শিয়ালের ডাক শোনা যায়। মৃধার এবার মন্দ্র গলা, রা থুইয়া আজ্ঞগ্দা রে বাহে।

বুরচান জবাব দেয় না। তার শরীরে বিরক্তি চলাচল জুড়ে দেয়। তিন দিন আগের এক রাতে তারা গিয়েছিল বারুই বাড়ি। ফেরার পথে পিয়ারু মৃধা পটকা মাছের মতো দাঁত কিটকিট করে ফুলছিল। বকছিল, গেল দফায় কলাগাছের মতোন ভুইত্তা মাগির ঘরে নিয়া তুললি আমারে। ওইডায়র ছাওয়ালডা মায়ের দুধ খাইতে কী যে চিহুর লাগাইছিল। মাগি ছাওয়াল সামলাইব, না আমারে?

কী কমু কাকা, বউডা যে বিয়াইছে, হেই খবর আগে তারা জানান দেয় নাই আমারে। তয় এইবারে জানছি, যেইহানে যাইতাছেন, হেই বাড়ির নূরার ঝিডা চম্পা কলার মতো। এক্কেরে আহড় মাইয়া গো কাকা।

আরও একটু এগোতেই ডানহাতি শেষ বাঁকটা। সেই বাঁক ঘুরে ঘুরে ঢালু হয়ে নেমে গেছে ধান জমির দিকে। সেসবের আল ধরে এগোয় তারা। মেঘ আছে আকাশে। বাতাস উঠছে একটু একটু। সিগারেট জ্বালিয়ে লম্বা টান দিয়ে টর্চ ফেলে পা চালিয়ে নিতে নিতে পিয়ারু মৃধা বলে, তুই বাইত্থে দুজ্ঞগ্দা খাইয়া মেলা করছিলিনি?

না গো কাকা, হেই ফাঁক পাই নাই। আওনের সোময় দেইখা আইছি মায় হগলে চুলাত আগুন দিছে।

সময় থাকতে মুখ ফুইডা হেইডা কইলে তরে দুজ্ঞগ্দা খাওয়াইতারতাম আমি। তর ছোড কাকিরে কইলেও দিত খাওন। এলা ভুখের ঠেলা সামলা।

তবে ব্যাপার হলো, বুরচান বিকেলে নূরার বাড়ি থেকে ফিরে অনেকটুকু জাউ খেয়েছিল। তাতে পেট ভরা ভরাই আছে। দুটো শিয়াল দেখা গেল কাছেই। নতুন পানিতে কাঁকড়া ওঠে। কাঁকড়া খোঁজে শিয়াল।

নূরার বাড়ির আঙিনায় পৌঁছে সিগারেটের আগুন নেভায় পিয়ারু মৃধা। ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে কুপির আলো চোখে পড়ে। বুরচান কাশ দেয়। তারপর নিম্নস্বরে ডাকে, নূরায় বাইত নিহি?

সাড়াশব্দ আসে না কোনো। ঘুমুচ্ছে বোধ হয় মানুষজন। বুরচান গলা চড়ায়, নূরায় হজাগনি? ও নূরা!

তারপর জবাব পাওয়ার আশায় দু’জনেই উৎকর্ণ দাঁড়িয়ে থাকে। তারই মাঝে তাদের কানে বাজে জবাই দেওয়া গরুর মতো গুঙিয়ে ওঠা কোনো মেয়েমানুষের কণ্ঠ। ব্যাপার কী বুঝতে বুরচান সন্তর্পণে এগিয়ে গিয়ে ঘরের বেড়ার ফাঁকে চোখ রাখে। পরমুহূর্তে সে ভীত গলায় চিৎকার করে ওঠে, এইডা কী হইল গো কাকা?

সঙ্গে সঙ্গে পিয়ারু মৃধা চমকে জানতে চাইল, চিহুর মারলি যে, কী হইছে রে?

তাদের গলা শুনে ঘরের ঝাঁপ খুলে নূরা বেরিয়ে আসে। তাকে দেখায় বান-তুফানে পাওয়া মানুষের মতো। উদোম শরীর, লুঙ্গির কাছা বারবার খুলে যায়, সামলাতে গিয়েও পারে না। একবার বসে পড়ে মাটিতে, আবার উঠে দাঁড়ায়। হাত-পা ছড়িয়ে কিছু বলতে চাইলেও বলতে পারে না সে।

বুরচান জানতে চায়, কী হইছে নূরা?

হু হু বৃষ্টি-বাতাসের মতো নূরা কেঁদে ওঠে, তোমরা দেরি কইরা আইলা ক্যান? ওই ফাঁকে দুইডা পোলা আইয়া কী সর্বনাশ যে কইরা গেল গো আমার মাইয়াডার…।- বলেই উঠানের মাটিতে গড়াগড়ি যায় মানুষটা।

বিপদ আঁচ করতে পেরে তারা ফিরতি পথ ধরে। চলতে গিয়ে পিয়ারু মৃধার দু’পা নড়বড়ে ঠেকে। টর্চের আলো ফেলে সে সামনে এগোতে চাইলেও হাত কেঁপে যাওয়ায় সেই আলো শুধুই ইতিউতি ঘুরপাক খায়। আর তার পেছন পেছন চলতে থাকা বুরচান রেগে গিয়ে গজগজ করে, কত্ত কইরা কইলাম, এইতান ছাড়েন। হুনলেন না কথা। পোলা না হওনের দায়ে আপনের পইল্লা বউ থুইয়া আরও দুইখান বিয়া করলেন। ঘরে তিনখান বউ থাকতেও ক্যান দৌড়ান এফি-হেফি?

পিয়ারু মৃধা বোঝে, বুরচান জো পেয়েছে। কিন্তু এতে সে প্রতিবাদ করার বদলে অস্ম্ফুট স্বরে বলে ওঠে, তুই বকলেও কিছু কওনের নাই আমার। খালি কি ছোট বউডায়, বড় দুইডায়ও পেডে পোলা পাইতে আমারে পেরেশান করে। হেতেই এফি-হেফি ছুডি আমি। তয় আবার জিগাই, কী হইছে রে নূরার মাইয়াডার?

কাকা গো, বেড়ার ফাঁক দিয়া চাইয়া দেখছি মাইয়াডায় বিছনায় পইড়া গুডিমুডি হইয়া খালি দাপাইতাছে।

আত্মপক্ষ সমর্থন করার মতো করে পিয়ারু মৃধা জবাব দেয়, এইতে আমগো কী দোষ রে? দোষ যা করনের, কইরা গেছে হেই দুইডা পোলায়।

সেই কথার পর বুরচান ওপরওলার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়, আল্লা গো, আল্লা, দুইন্নাইত কি এই পাপের বিচার পাওনের না?

বুরচানের ওই জিজ্ঞাসায় পিয়ারু মৃধার নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস ছোট হয়ে আসে। সেইসঙ্গে সে বুকে প্রবল চাপ অনুভব করে। হ্যাঁ, এ জীবনে তার অনেক পাপই সঞ্চয় হলো। ফলে খোদার বিচারে দোজখই যেতে হবে তাকে। আর টর্চের আলো জ্বেলে পা ফেলতে গিয়ে চোখে পড়ে তার দিকে তাক করে আছে একখানা হামুইড্ডা সাপ। সেই সাপের শরীরজুড়ে রুপোর চুড়ির মতো প্যাঁচ টর্চের আলোয় চিকচিক করে ওঠে। ভয়ে সে পিছু নেবে কী, তারও আগে হামুইড্ডা সাপটা এক লাফে পিয়ারু মৃধার ডান পায়ের ওপরে এসে আছড়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার দিতে গেলেও অদৃশ্যের কোনো হাত এসে তার গলা চেপে ধরে। তারই মাঝে সে অনুভব করে, পা থেকে শুরু হওয়া শিরশির বিষ ক্রমান্বয়ে মাথার দিকে উঠে আসছে তো আসছেই।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত