‘তুই তার সঙ্গে প্রেম কর’- আমার খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু আমাকে বলল। আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কে সে যার সঙ্গে আমাকে প্রেম করতে হবে আর কেনই বা করতে হবে?’
এই কথোপকথন সে সময়ের, যখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে পড়ি। রহমান আমার খুবই কাছের বন্ধু, আমরা আবার কলেজেও একসঙ্গে পড়তাম। একসঙ্গে ঘুরতাম, সিনেমা দেখতে যেতাম, পিকনিকে একসঙ্গে থাকতাম, ক্লাসে একসঙ্গে গণ্ডগোল করে শিক্ষকের আদেশে ক্লাসরুম থেকে বহিস্কৃত হতাম। তবুও আমরা শিক্ষকদের প্রিয় পাত্র ছিলাম, যেহেতু মোটামুটি ভালো ছাত্র ছিলাম, বলা যায় শীর্ষ ১০ ছাত্রের মধ্যে আমাদের স্থান ছিল।
রহমান তখন থেকেই একটু রোমান্টিক প্রকৃতির ছেলে, সে গানবাজনা পছন্দ করে, ভালো ড্রাম বাজায়, আবার ‘কারাতে’ শিখে, ভালো ইংরেজি বলে, সব গুণই তার মধ্যে ছিল। তার বিপরীতে আমি লম্বা টিংটিঙা, রঙ কালো, যদি আমি বলতাম যে আমি শ্যামলা বর্ণের, তা নিয়ে বেশ হাসাহাসি হতো। ইংরেজি তো দূরে থাকুক, বাংলা ভালো করে বলতে পারতাম না। মোটা চশমা পরতাম, তাই একটি বদ্ধ ধারণা ছিল যে আমি খুব পড়ুয়া ছেলে এবং প্রমাণ করার জন্য সব সময় একটি ইংরেজি উপন্যাস সঙ্গে রাখতাম। কোনো রকম মুখস্থ করে, মাঝেমধ্যে মেধাবী বন্ধুদের পেছনে বসে, ইন্টারমিডিয়েট পাস করে কলেজ থেকে বের হয়ে গেলাম আর ভাগ্যক্রমে একটি ‘ফার্স্ট ডিভিশন’ পেয়ে গেলাম। তারপর শুরু হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যুদ্ধ, কোনো রকম ওটাতে উত্তীর্ণ হলাম।
এদিকে, আমার বন্ধু রহমান আরেক কলেজে ভর্তি হলো। ভাগ্য তার ওপর প্রসন্ন ছিল, তাই সে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে একটি ভালো চাকরিও পেয়ে গেল, একদিকে পড়াশোনা আর অন্যদিকে চাকরি, বেশ সচ্ছল অবস্থাই ছিল। মাইনে ভালোই পেত আর বন্ধুদের আপ্যায়ন ও বিনোদনে কোনো কার্পণ্য করত না। আমাদের প্রায় প্রতিদিনই দেখা হতো, তার অফিসে, কোনো হোটলে অথবা সে আসত আমার বাসায়, না হয় আমি যেতাম তার বাসায়। সে তখনও আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
হঠাৎ আমাকে প্রেম করতে হবে, এটা আমি কোনোভাবে হজম করতে পারিনি। তবুও তার থেকে জানতে চাইলাম, ‘সব আমাকে খুলে বল, আমাকে কেন প্রেম করত হবে?’
সে তখন আমাকে জানাল, ‘আমি তোর বাসায় ঘন ঘন আসি, তার আর একটা কারণ হলো যে তোদের বাড়িওয়ালার মেয়েকে আমার কাছে খুব ভালো লাগে,’ সে একটি লম্বা ঠাণ্ডা নিঃশ্বাস টেনে বলল।
‘তাতে কী হলো, তাকে বল যে তুই তাকে পছন্দ করস বা তাকে ভালোবাসস।’
‘এই কথাটা কি তারে বলি নাই? তাকে বলেছি।’
‘সে কী উত্তর দিল?’ আমি একটু কৌতূহলের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করলাম।
সে মনমরাভাবে বলল, ‘সে তো আমার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। আমি তিন রাত ধরে ঘুমাতে পারিনি, আমার পুরা শরীর রাগে-ক্ষোভে পুড়ছে।’
‘আমি এখন তোকে সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া আর কী করতে পারি?’ আমি তাকে বিনয়ের সঙ্গে বললাম, ‘আর একটা কাজ কর, মন খারাপ করিস না, আর কোনো মেয়েকে পছন্দ করতে শুরু কর।’
‘দোস্ত, তুই আমার অবস্থা বুঝতে পারছস না, আমাকে প্রতিশোধ নিতেই হবে,’ সে দৃঢ়কণ্ঠে বলল। ‘আর এই ব্যপারে তুই আমাকে সাহায্য করবি।’
‘আরে, আমি তোকে কীভাবে সাহায্য করব?’
‘না, তুই পারবি, তোকে পারতে হবে; তুই তার সঙ্গে প্রেম করবি আর তাকে ছ্যাঁকা দিবি।’
আমি তো অবাক, আমি তো হতভম্ব, বলে কি এই ছেলে, তার মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে? প্রত্যাখ্যাত হয়ে সে কি পাগল হয়ে গেছে? আমি এসব কথা মনে মনে চিন্তা করছিলাম আর সে চেঁচিয়ে উঠল, ‘দোস্ত, তুই যদি আমার সত্যিকারের বন্ধু হস, তাহলে আমার এই কাজ তোকে করে দিতে হবে, তা না হলে তোর সঙ্গে আমার আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না।’
তার অবস্থা দেখে আমি ভাবলাম, এখন কথা বাড়িয়ে লাভ নেই, একটু তারে সময় দিই, সে নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যাবে। এই ভেবে তাকে বললাম, ‘দোস্ত, আমাকে একটু সময় দে চিন্তা করার জন্য।’
‘কালকের ভিতরেই আমাকে জানাবি,’ সে রাগি গলায় বলল।
এদিকে আমি চিন্তা করতে লাগলাম, একটা মেয়ে আমাকে কেন ভালোবাসবে? অথবা আমিও বা কেন ওকে ভালোবাসতে যাব, এটা কি কোনো খেলা? আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম, রহমানের সঙ্গে কয়েক দিন দেখাই করব না। এর মধ্যে তার মাথা থেকে এই প্রেমের ভূত নেমে যাবে।
কিন্তু পরদিন সকালেই আমার বাসায় এসে হাজির। ‘কী চিন্তা করলি তুই?’ সে গম্ভীর স্বরে আমাকে জিজ্ঞাসা করল।
আমি আমতা আমতা গলায় বললাম, ‘দোস্ত, এটা কোনো কথা হলো, তোর প্রেমিকার সঙ্গে আমি প্রেম করব? যতই হোক, তুই তারে ভালোবাসতি, আমি এখন তার সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কে জড়াই? আর একটা কথা হলো, জোর করে কি প্রেম হয়, প্রেম তো করা যায় না রে পাগল, প্রেম হয়ে যায়।’
সে আমার তাত্ত্বিক কথার কোনো গুরুত্ব না দিয়ে বলল, ‘তুই পারবি, তুই একটু লুচ্চা প্রকৃতির ছেলে, কথা রসিয়ে বলিস, তুই তাকে পটাতে পারবি।’ আমি তার থেকে আমার গুণাবলি শুনে মোটেও মুগ্ধ হলাম না।
সে বলতে থাকল, ‘তুই ওদের বাসায় থাকোস, তোর অবাধ প্রবেশাধিকার আছে, তুই তারে পটাতে পারবি; কিন্তু শর্ত একটাই, তাকে ছ্যাঁকা দিতে হবে, যেমন করে সে আমাকে দিয়েছে।’ সে আমাকে তার জানের কসম দিল, আমিও একটু দুর্বল হয়ে পড়লাম এবং তাকে কথা দিলাম, যা তোর জন্য প্রেমের নাটক করব।
আমার বাড়িওয়ালার মেয়েটির নাম ছিল চম্পা, ইডেন গার্লস কলেজে পড়ত। চম্পা নাম আমার পছন্দ নয়, মোটেও আধুনিক নাম নয়। তবুও কী করা। সে আইএতে পড়ত আর আমি অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। মাঝেমধ্যে সিঁড়িতে বা ছাদে দেখা, একটু কুশল বিনিময়, কয়েকবার একই বাসে নীলক্ষেত পর্যন্ত যাওয়া, সে নিজের কলেজে আর আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় চলে যেতাম, হালকা মুচকি হাসি, আড়চোখে একে অন্যকে দেখা, সাহস করে একদিন একটা চকলেট দেওয়া, যেটা সে ধন্যবাদ সহকারে গ্রহণ করে। এই ছোট ছোট কাজ যে একদিন গভীর সম্পর্কের ভিত্তি হবে, তা আঁচ করতে পেরেছিলাম।
এদিকে রহমান রোজ আমার থেকে ‘প্রোগ্রেস রিপোর্ট’ নিত এবং আমাকে আরও কীভাবে এগোতে হবে, তার পরামর্শ দিত। একদিন হঠাৎ দেখি, চম্পা আমাদের বাসায় এসে হাজির। আমি দরজা খুললাম, আমাকে দেখে হেসে জিজ্ঞাসা করল, ‘খালা আম্মা কই।’ বুঝলাম সে আমার মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করছে। মা যে রান্নাঘরে জানালাম এবং বসার ঘরে বসতে বললাম; কিন্তু সে বলল- না আমি রান্নাঘরেই চলে যাই। তার হাতে একটা ‘প্যাকেট’ দেখলাম। পরে আমার মা জানালেন, বাড়িওয়ালার বাসায় মিলাদ ছিল, তাই উনার মেয়ে মিষ্টি দিয়ে গেছে। এই তার প্রথম আগমন। তারপর সে প্রায়ই আমার উপস্থিতিতে কোনো অজুহাত খুঁজে আমার বাসায় চলে আসত। মাঝেমধ্যে তার ইংরেজির সমস্যা নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলত। বাসার লোকের এতে কোনো সন্দেহ হয়নি। একদিন সে আমাকে বলল যে আপনার কথা বলার ভঙ্গি খুবই আকর্ষণীয়। আমি কিছু খুঁজে না পেয়ে তার চোখের প্রশংসা করলাম। তারপর কিছুদিনের মধ্যে তাকে টিএসসিতে আসতে বললাম, একসঙ্গে বসে চা খাব আর গল্প-গুজব করব বলে। সে ওই দিন তার কলেজের ড্রেস না পরে অন্য সাধারণ পোশাক পরে এলো। আমরা কয়েক ঘণ্টা একসঙ্গে কাটালাম। এটাই শুরু, তারপর ব্রিটিশ কাউন্সিলের ঠাণ্ডা লাইব্রেরি, ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরির পেছনে, শাহবাগের মৌলিতে, আরও কত জায়গায় আমাদের দেখা-সাক্ষাৎ হতে থাকল।
এদিকে রহমান আমার কর্মকাণ্ডের ওপর উদ্বিগ্ন দৃষ্টি রাখছে, তার সন্দেহ আমি গভীরভাবে জড়িয়ে যাচ্ছি। সে আমাকে সাবধান করছে আর চাপ সৃষ্টি করছে যে এখন সময় ওর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করার। কিন্তু এটা কি এত সহজ? সম্পর্ক স্থাপন করা যত কঠিন, ভঙ্গ করা তার চেয়ে বেশি কঠিন। আমি তাকে আশ্বাস দিলাম, খুব শিগগির তাকে ছেড়ে দেব, যেন মনে হয় এটা কোনো ব্যপারই না। কিন্তু কেউ কি জানেন যে সিগারেট ছাড়া আর গার্লফ্রেন্ড ছাড়া দুটো খুবই কঠিন। মানুষ ভেতর থেকে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। বন্ধুর কথায় প্রেমের নাটক করলাম, কিন্তু মনে হচ্ছে এখন তো রীতিমতো নিজেই চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছি, যতই বের হতে চাই, আরও নিচের দিকে নেমে যাচ্ছি।
একদিন চম্পা দেখা করতে এসেছে পাবলিক লাইব্রেরির সিঁড়িতে। তাকে বেশ বিষণ্ণ লাগছিল। জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কী হয়েছে?’
কান্না কান্না স্বরে বলল, ‘জানো, কাল আমাকে দেখতে আসছে।’
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কে দেখতে আসছে?’
সে বলল, ‘জানি না, আমার মা-বাবা আমাকে বিয়ে দিতে চায়, তাই আমাকে ছেলেপক্ষ আগামীকাল দেখতে আসবে।’
আমি বুঝে উঠতে পারি না, কী বলব। এর মধ্যেই সে বলে উঠল, ‘তুমি তাড়াতাড়ি তোমার মা-বাবাকে আমাদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পাঠাও।’
তার কথা শুনে তো আমার মাথার ওপর বাজ পড়ল। চোখের সামনে আমার মা-বাবার চেহারা ভেসে উঠল, তারা কীভাবে এই কথাটা নেবেন? এখন ছেলে মাত্র ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে আর এখনই বিয়ের সাধ জেগেছে। বাপের তীক্ষষ্ট দৃষ্টি আর বেশি রেগে গেলে যে জুতার বাড়ি খাব না, তার নিশ্চয়তা দিতে পারলাম না। মায়ের কথা তো বাদই দিলাম, তিনি তো মহাকঠিন লোক, তাকে কীভাবে বলব। চোখের সামনে অন্ধকার আর মনে মনে রহমানকে তিরস্কার করা ছাড়া আমার আর কোনো কাজ রইল না। সে আরও কত কথা বলল কিছুই শুনিনি, কিছুই বুঝিনি।
এরপর চিন্তা করে উপায় বের করলাম যে তার সঙ্গে আর দেখা করা যাবে না, তাই তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করলাম। ভাগ্যিস, এরই কয়েক মাস আগে আমরা ওদের বাসা ছেড়ে অন্য মহল্লায় আর এক বাসা ভাড়া নিয়েছিলাম। তখন মনটা ভীষণ খারাপ হয়েছিল, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে যে এর চেয়ে ভালো কাজ আর কিছু হয়নি। যদি তার বাসায় থাকতাম, তা হলে তাকে পরিহার করা দুস্কর হতো। দেখা-সাক্ষাৎ একদম বন্ধ করে দিলাম, রাস্তায় বের হলে এদিক-ওদিক দেখতাম, সে আমার পিছু নিচ্ছে কি-না, কী যে বিপদে ছিলাম। একদিন দেখি সে আর্টস বিল্ডিংয়ের এক সিঁড়ি দিয়ে উঠছে। আমি ওপর থেকে তাকে দেখে অন্য সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে গেলাম। তার মুখোমুখি হওয়ার সৎ সাহস আমার মধ্যে ছিল না।
একদিন তার একখানা চিঠি পেলাম। যেখানে সে অনেক কথা লিখেছে, মূল কথা ছিল যে যদি সে আমাকে না পায় তা হলে সে আত্মহত্যা করবে। এই কথা পড়ে তো আমার হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে গেল। আমি ভাবলাম, সে মরার আগে নিশ্চয় একটা ‘সুসাইডাল নোট’ রেখে যাবে, যেখানে সে বিস্তারিত জানাবে যে এ ঘটনার জন্য আমি দায়ী। রহমানের ওখানে কোনো কথাই থাকবে না আর আমি তার জন্য ফাঁসির দড়ি গলায় দিয়ে ঝুলে পড়ব। সারারাত ঘুমাতে পারিনি, স্বপ্নের মধ্যেও জেল-হাজত, পুলিশ, ফাঁসি এইসব দেখি আর উঠে পড়ি।
অনেক চিন্তা করে দেখলাম যে তার চিঠির উত্তর দেওয়া উচিত। তাই তাকে উত্তর দিলাম। আমার চিঠির সারমর্ম ছিল, ‘প্রিয়তমা তোমার চিঠি পড়ে উৎফুল্ল হলাম। নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হলো যে তুমি আমাদের প্রেমের জন্য জানের বাজি রাখতে চেয়েছ। তুমি আমাদের প্রেমকে অমর করে দেওয়ার জন্য আত্মহত্যা করতে যাচ্ছ। আমার মধ্যে এমন সাহস নেই এবং আমি তোমাকে কোনো দিন ভালোবেসেছি বলে আমার মনে হয় না। কথা বলেছি ভালো লেগেছে, ভালো লাগা আর ভালোবাসা দুটি ভিন্ন ব্যাপার। যা হোক, তুমি তোমার সিদ্ধান্তে অটল থাকো, ইতিহাস তোমাকে লাইলি, শিরিনের মতো কালজয়ী প্রেমিকাদের স্থানে জায়গা করে দেবে। তোমার যদি ইচ্ছা করে মরে যাও।’
আমি এই চিঠি লিখে মোটামুটি নিজেকে ফাঁসিতে ঝোলানোর নিশ্চিত ব্যবস্থা করে নিয়েছিলাম; কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো আমি আজো বেঁচে আছি। আমি মনে মনে চিন্তা করি, সে কি এখনও তার প্রকৃত প্রেম খুঁজে বেড়াচ্ছে? কে কার সঙ্গে প্রতারণা করল? এটার জন্য কে দায়ী- আমি, না রহমান, না নিয়তি, না তখনকার আমাদের অবস্থান? এর উত্তর পাওয়া খুব কঠিন, কোনো দিন পাওয়াও যাবে না।
কয়েক দিন আগে রহমান আমাকে জানাল, চম্পা নাকি তার তৃতীয় স্বামীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করছে।