ভাবি! বল এবার আমার কী হবে?
দুটো দিনও কি স্থির থাকতে পারিস না? এই তো সেদিন বাবলির সঙ্গে কত কী না হলো! কিন্তু কই, কিছুই তো হলো না। এভাবে না বুঝে-শুনে পাগলের মতো যার তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার কোনো মানে হয় না। একটার রেশ না কাটতেই আবার ঝাঁপিয়ে পড়লি?
ভাবি, শুধু তোমাকেই জানিয়ে রাখলাম। সবাইকে তো আর সব কথা বলা যায় না। আর প্রতারিত হতে চাই না। ভাবি, তুমি ওকে দেখলে খুব পছন্দ করবে। সত্যি বলছি- শ্রাবণ দিনের মতোই মেয়েটি। শ্রাবণ দিনের অবিরাম ঝরঝর বৃষ্টির মতো তার ঠোঁটের কোণে হাসি লেগেই থাকে। তার মুখাবয়বজুড়ে শরৎ মেঘের শুভ্রতা। তার মুখের ওপর দৃষ্টি পড়লেই বুকের ভিতর গুড়গুড় শব্দ হতে থাকে। তার চোখের শানিত দৃষ্টি সমস্ত বুক চিরে ফালা ফালা করে দেয়। একদম মরে যাব ভাবি!
কিসে যে তোর বাঁচা আর কিসে মরা- এসব বোঝার ক্ষমতা নেই বাপু। এসব বাদ দিয়ে ছবি আঁকায় মন দে।
ভাবি এই জ্ঞান দান করে উঠে চলে গেলেন। রান্নাঘরে তার অনেক কাজ পড়ে আছে। ভাবি চলে যাওয়ার পর সৈকত বাইরের প্রকৃতিকে দেখার জন্য জানালার কাছে এসে দাঁড়ায়। সমস্ত প্রকৃতি যেন চঞ্চল হয়ে রয়েছে। এই আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামল বলে। মেঘে মেঘে কী অদ্ভুত আয়োজন! তবু কী এক গুমোট আবহাওয়া ঘরের ভিতরের পরিবেশকে অস্বস্তিকর করে রেখেছে! এমন সময় টেলিফোন বেজে উঠল। হ্যাঁ, ও প্রান্তে তারই কণ্ঠ। মনের ভিতর এক প্রচণ্ড ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সমস্ত তন্ত্রীতে রিমিঝিমি কম্পন। দমকা হাওয়ায় বৃষ্টির ছাঁট বিছানা ভিজিয়ে দিচ্ছে। বৃষ্টির প্রবল তোড়ে সমস্ত শহর পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই, ওরা দু’জনে গল্প মাতোয়ারা। এক সময় শ্রাবণী ফোন রেখে দিতে চাইল। বলল, মা বাড়িতে নেই। রান্না কিছু হয়নি। বাড়িতে মা নেই বলে কিছু খাওয়াও হয়নি।
শ্রাবণী ফোন ছেড়ে দিলে সৈকতের মনের ভিতরে ঝড়ের তাণ্ডব তাকে আরও এলোমেলো করে দিল। একা একা সময় কাটতে চায় না। সৈকতের বুকের ভিতরটা কি বৃষ্টির জলে ভেসে যাচ্ছে? সে কি তবে বানের জলে ভাসছে? অস্থির সৈকত মনকে স্থির করার জন্য সিডিতে গান বাজায়- ‘ভালোবেসে দুটি চোখ শ্রাবণ আকাশ হলো, তবু সে আমার হলো না।’
শ্রাবণী নিজের বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকে দিতে বলেছে সৈকতকে। এই আব্দার নিয়ে শ্রাবণী সৈকতকে প্রায়ই ফোন করে। সৈকত কথা দিয়েছে- প্রচ্ছদ এঁকে দেবে, এখনও দেয়নি। ওর ভিতর এক অজানা ভয় কাজ করছে। প্রচ্ছদ করে দেওয়ার পর শ্রাবণী যদি আর ফোন না করে!
শ্রাবণী ভালো লেখে। মূলত গল্প লেখে, সেই সাথে কবিতা আর গানও। সৈকত তার লেখা গল্প পড়েছে। ভারি মিষ্টি ভাষার সৌকর্য! প্রচ্ছদ করার জন্য হাতে লেখা পা ুলিপি তাকে দিয়েছিল। ঝকঝকে হাতের লেখা পা ুলিপি পড়তে সৈকতের একটুও বেগ পেতে হয়নি। তার হাতে কলম যেন নাচের মুদ্রার মতো নাচে।
সেদিনের কথা মনে পড়ে সৈকতের। হঠাৎ অকল্পনীয়ভাবে শ্রাবণীর ফোন পায় সে। হ্যালো, সৈকত সাহেব আছেন?
জি, বলছি।
আমার নাম শ্রাবণী। লেখালেখি করি।
জি, আমি আপনাকে চিনি। আপনার বেশ কয়েকটা গল্প আমি পড়েছি।
সৈকতের পুলকিত কণ্ঠ শ্রাবণীর বেশ ভালো লাগে। আমিও আপনার আঁকা ছবি দেখেছি কয়েকটা। বেশ ভালো লেগেছে।
আমি লেখা পড়েছি। সাবলীল, কোনো জটিলতা নেই।
তাই? কিন্তু আমি তো বিখ্যাত নই। আপনি কি আমার বইয়ের প্রচ্ছদ করে দেবেন?
সে তো আমার সৌভাগ্য।
সৈকত শ্রাবণীর বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকে দিয়েছে। শ্রাবণীর খুব পছন্দ হয়েছে। মাত্র মাসখানেক হলো। এরই মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। বেশ ক’দিন দেখাও হয়েছে, প্রোগ্রাম করে। তারপর থেকে ইথারে কথা হয় নিয়মিত। এমন কি একা বিছানায় শুয়ে মনে মনেও। কামনা জাগে। শ্রাবণীরও কি তাই!
প্রচুর বর্ষণে পৃথিবী স্নাত হয়ে ওঠে। উদ্দাম শারীরিক প্রেম যেমন দেহকে ক্লান্ত করে তোলে, তেমনি সৈকতের কামনাসক্ত মন শ্রান্ত হয়ে পড়ে। তার ঘুম আসতে চায় না। শ্রাবণী ওকে টানে। সে নিজের সাথে যুদ্ধ করে হেরে গিয়ে বাধ্য হয়েৎ শ্রাবণীকে ফোন করে। হ্যালো, আজ কি বাসায় মা নেই?
শ্রাবণী খিলখিল করে হাসে। হাসির শব্দে মন ভরে যায় সৈকতের।
মা? প্রতিদিন কি আর মা আমাকে ফেলে চলে যাবে?
আপনার সঙ্গে গল্প করলে কোনো কথা মনে থাকে না।
খাওয়া-দাওয়া করেছেন?
গল্প করতে যেয়ে ভুলে গেছি।
সে কী! এখন খেয়ে নিন।
একটু পরে পাউরুটি দিয়ে এক কাপ চা খেয়ে নেব।
এমন বেখেয়ালি হলে কি চলে?
অকস্মাৎ শ্রাবণীর গলার স্বর খাদে নেমে গেল। সৈকতের সমস্ত শরীর ঝিমঝিম করতে লাগল।
একদিন বাসায় আসেন। শ্রাবণী আবার স্বাভাবিক কণ্ঠে বলল।
লেখিকার কণ্ঠস্বরের মুহুর্মুহু পরিবর্তন সৈকতের ভিতরে উথাল-পাথাল ঢেউ তোলে। কণ্ঠস্বরের মাদকতায় সৈকতের মনে নেশা ধরে। সৈকত নেশার ঘোরে বলতে থাকে, সেই দিনই তো কবির ভাইয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দেখা হলো।
সে তো বেশ কয়েক দিন আগে। একদিন সময় করে এদিকটায় আসুন। সৈকতের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। কোনো রকমে উত্তর দেয়, কবে?
আগামী পরশু। একটু থেমে বলে, এ কাজ আপনাকে ছাড়া হবে না।
কী… কী কাজ?
দেখা হলেই জানতে পারবেন।
শ্রাবণীর রিনরিনে হাসির শব্দ। সৈকতের বুকে ঢেউ আছড়ে পড়ছে। ফোন রেখে দিয়ে বালিশ কোলে নিয়ে উপুড় হয় শুয়ে পড়ল। ইস্, মাঘ মাসের এমন শীতে কান গরম হয়ে উঠল কেন?
সৈকত পরের দিন কেবল ক্ষণ গণনা করে সময় কাটিয়ে দিল। মনের অবস্থা ভীষণ অস্থির থাকায় রাতে ভালো ঘুম হয়নি। সে সকালে উঠে জামা-কাপড় পরে তৈরি হয়ে নিল। ভাবি তার প্রস্তুতি দেখে বললেন, কিরে, এই সাত সকালে কোথায় চললি?
সৈকত কোনো উত্তর দিল না। এত সকালে শ্রাবণীর বাসায় যাওয়া কি ঠিক হবে? তবু সৈকত রঙ-তুলি ব্যাগে ভরে নিল। শ্রাবণীর কাছে যেতে হবে। সৈকতকে ওর দরকার পড়েছে।
ভাবি বলে চলেছেন, এমন পাগলামি করিসনে সৈকত। কোথায় আবার জড়িয়ে পড়লি? একদিন ঠিক মুখ থুবড়ে পড়বি, দেখিস।
সৈকত ভাবির হাত ধরে গেয়ে ওঠে, ‘তুমি কোন্ কাননের ফুল, কোন্ গগনের তারা।/ তোমায় কোথায় দেখেছি যেন কোন্ স্বপনের পারা।’
ভাবি হাত ছাড়িয়ে নিলেন। সৈকতকে নিয়ে তার বড্ড চিন্তা।
এক কাপ গরম গরম চা দাও। সৈকত মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য একটু সময় নিল।
ভাবি ১০ মিনিট সময় ব্যয় করে চা পরিবেশন করলেন। এর মধ্যে সৈকত তিনবার ভাবিকে তাড়া দিয়েছে। ভাবি তার কথা কানে তোলেননি। কোনো তাড়াহুড়োও করেননি। তিনি জানেন সৈকতকে। মায়ের স্নেহে বড় করে তুলেছেন তাকে। সৈকতের এই তাড়া অহেতুক।
চা খেয়ে সৈকত ঝুলি নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ল। একটা রিকশায় শ্রাবণীদের বাড়ির গেটের সামনে গিয়ে নামল। ঝড় বইছে বুকে। ভিতরে ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে সব। বিশাল অট্টালিকার নিচে গেটকিপারের কাছে তার পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে গেটকিপার তাকে ফ্ল্যাটের নাম্বার দিয়ে লিফ্ট পর্যন্ত এগিয়ে দিল। সৈকতের বুঝতে বাকি রইল না যে, শ্রাবণীও মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তার আগমনের। কলিং বেল চাপ দেওয়ার ১০ সেকেন্ডের মধ্যে শ্রাবণী দরজা খুলে দাঁড়াল। সাথে স্নিগ্ধ হাসি। ভিতরে আহ্বান করল। ওর কণ্ঠে কেমন এক মাদকতা আছে। সৈকতের ভালো লাগা ছলকে উঠল। সে ভালো লাগা অপার্থিব।
সুন্দর সাজানো গোছানো বড় ড্রইং রুম। রুমের এক কোণে ছোট্ট একটি টেবিল। টেবিলে বই-খাতা পড়ে আছে। শ্রাবণী সৈকতকে বসতে বলে আনমনে গুনগুনিয়ে উঠল- তুমি যে সুরের আগুন লাগিয়ে দিলে মোর প্রাণে..।
সৈকত অবাক চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কোথায় যেন হারিয়ে গেল! বিস্টম্ফারিত চোখ ছলছল করে উঠল। মন পাগল করা কণ্ঠ। কণ্ঠের জাদু ওকে বিহ্বল করে তুলল।
আপনাকে কেন ডেকেছি, জানতে চান?
সৈকত শ্রাবণীর চোখে চোখ রাখল। মানুষ এত সুন্দর হয় কী করে! সে চোখ সরাতে পারছিল না।
আমাকে একটু সাহায্য করবেন? আপনি এত সুন্দর ছবি আঁকেন। আমি চাই আমার কাজটা আপনিই করেন।
কী কাজ? বইয়ের প্রচ্ছদ?
না, একটা কার্ডে সুন্দর করে কারুকার্য করবেন।
কিসের কার্ড?
আমার বিয়ের কার্ড। ভাবলাম, আপনার হাতের কারুকাজ এত সুন্দর! মনে হচ্ছে, আপনি ছাড়া অন্য কেউ করলে পছন্দ হবে না। এটা কিন্তু আপনাকে করে দিতেই হবে।
সৈকত আকাশ থেকে যেন হঠাৎ মাটিতে পড়ল। তবু মুখে হাসি টেনে বলল, আপনার বিয়েতে কি আমার রঙ-তুলি চুপ করে বসে থাকবে? শুধু কার্ড কেন, আপনার বাসর ঘরের নক্শাও আমি করে দেব।
শ্রাবণী ঝলমল করে উঠল। গুরুগম্ভীর মুখের আবরণ সরে গেছে। কী স্বচ্ছ, সুন্দর মুখশ্রী! শ্রাবণী বলল, আমি জানতাম আপনাকে দিয়েই হবে। আমার আর সুজনের বিয়েতে হয়তো তেমন ধুমধাম হবে না। কিন্তু কিছু কাজ ব্যতিক্রম হোক। এটাই আমি চাই। আমাদের নতুন জীবনের কিছু রীতির ব্যতিক্রম ঘটাতে চাই।
শ্রাবণী চলে যাচ্ছিল। সৈকতের কানে কিছুই ঢুকছে না। সৈকত ভাবল, ছেলেটির নাম সুজন। সুজন শ্রাবণীর হবে। বেশ ভালোই হবে। শ্রাবণী খুব সুন্দর কবিতা লেখে। সুজনকে নিয়ে নতুন কবিতা লিখবে। সৈকত উঠি উঠি করেও উঠতে পারছিল না। শ্রাবণী বলল, আরেকটু বসুন। নতুন কয়েকটি কবিতা লিখেছি। শুনবেন না?
কী করে এত লেখেন? আপনার কবিতা পড়লে নিজেকে হারিয়ে ফেলি।
আপনিও তো খুব সুন্দর ছবি আঁকেন।
আপনি আজ আমার বাসায় বেড়ান। মা বাসায় আছেন। রান্না করে আমাদের খাওয়াবেন।
না, বাড়িতে ভাবি অপেক্ষা করে আছেন।
ফোন করে দিন।
শ্রাবণীর কণ্ঠে আন্তরিক মিনতি। কেন সে সৈকতকে এতটা অনুরোধ করছে? সৈকতের যেতে ইচ্ছে করছে না। কিন্তু না, তাকে ফিরতে হবে।
সৈকত উঠে পড়ল। আপনার কার্ডটা তৈরি করতে হবে। পছন্দ না হলে বলবেন।
শ্রাবণী এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। ওর মুখে শ্রাবণের মেঘ ঘনিয়ে উঠেছে। এতক্ষণ ওর চোখে ছিল আগুনের স্টম্ফুলিঙ্গ, যা সৈকতের ভিতরটাকে পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছিল। এখন কালো মেঘের ঘন ছায়া সৈকতকে বিষণ্ণ করে তুলল। সৈকত পালিয়ে যেতে চাচ্ছে।
সৈকতের হৃদয় ভেঙে খান খান হচ্ছে। যেন এতটুকু স্পর্শেই তা গুঁড়িয়ে যাবে। শ্রাবণী সৈকতের খুব কাছ ঘেঁষে দাঁড়াল। সৈকতের সমস্ত অস্তিত্বের অনুভবে শ্রাবণী মিশে যাচ্ছে। কী এক মধুর অদৃশ্য স্পর্শ ওকে মাতাল করে তুলল। মনের অতল কেন্দ্রে কে যেন বলে উঠল, পালাও সৈকত। ভেঙে পড়ার আগে পালাও। সৈকত বেরিয়ে যেতে চাইল।
একটু দাঁড়াবেন?
কী ছিল ওর কণ্ঠে! সৈকত দাঁড়িয়ে পড়ল। দরজাটা একটু ফাঁক হলো বৈকি! শ্রাবণী কাছে সরে এলো। সৈকত নিজেকে চিনতে পারছে না। শ্রাবণীর দীঘল কালো চুল দেখা যাচ্ছে। সৈকতের হাত চেপে ধরল। আপনি কি আমায় আশীর্বাদ দেবেন? যেন আপনার মতো বিখ্যাত হতে পারি। সৈকতের বুকে ঢেউ আছড়ে পড়ছে। সৈকত ম্লান হাসল।
দিন না একটু আশীর্বাদ করে।
সৈকতের চোখের সামনে মেঘ ভেসে যাচ্ছে। এ কেমন চাওয়া? শ্রাবণীর চোখে মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। বড্ড মনের মতো। ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে। ছুঁলেই কি জল ঝরে পড়বে? হয়তো বা। কিন্তু একে ছোঁয়ার অধিকার তার নেই। সৈকত আস্তে করে হাত ছাড়িয়ে নিল। মনে মনে বলল, কী করে আশীর্বাদ করব? আমি যে আশীর্বাদ করতে জানি না।
সৈকত লিফ্টের অপেক্ষা না করে দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে লাগল। কয়েক ধাপ নেমে পিছনে ফিরে চাইল। দরজায় শ্রাবণী দাঁড়িয়ে তার দিকে চেয়ে আছে। শ্রাবণী তো তারই হতে পারত। এ তো তারই মনের তুলিতে আঁকা জলজ্যান্ত প্রাণ। কিন্তু তাকে তো রেখেই ফিরে যেতে হচ্ছে। সৈকত চাইলেই কি শ্রাবণীর নতুন দিনের সূচনা হতে পারে! বোধ হয় না। শ্রাবণী তার নয়; অন্য কারও।
তার শুধু মনে থাকবে শ্রাবণী তার জন্য এক ফোঁটা জল হয়ে তৃষ্ণা মিটিয়েছিল কিছু সময়ের জন্য।