ভালো কাউকে বাসবো এটাই তো ভা্বতাম না।
কিভাবে তাকে এতটা ভালো লাগলো সেটাও ভাবনার বাইরে চলে গিয়েছিলো।
আমার জীবন জুরেই শুধু ছিলে তুমি আর তুমি।
পড়াশুনা বেশ চলছিল।ভদ্রতার জামা গায়ে দিয়ে ঘুরতাম আর বলতাম প্রেম ভালো লাগে না কোনদিন প্রেম করবো না।বন্ধুরা সারাক্ষন বলতো তুই কোনদিন প্রেমটেম করতে পারবি না কারণ তুইতো কোন মেয়ের সাথে কথাই বলতে পারিস না।তারপর থেকে মনে মনে ভালো সুন্দর একটা মেয়েকে খুজতাম।
যার চোখে চোখ রাখলে সব কিছু ভুলে যাব।
যার হাসিতে আমি মরে গিয়েও জীবন ফিরে পাব।
যার চুলের ঝাপটায় প্রজাপতি হার মানাবে। যার কথা শুনলে আমি হব পাগল।
এত কল্পনা জল্পনা কেবল কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পা দিয়েছি।
পকেট ফাকা নেই কোন টাকা।
তাই অসময়েই হয়ে গেলো সপ্নের রাজকন্যার সাথে দেখা।
প্রথম দিনেই করেছিলো দুষ্টুমি আর সে কি হাসি।
সামনে দিয়ে গেলো আর আসতে করে শুনিয়ে দিলো এতো তাকিয়ে থাকা ভালো নয় নজর লেগে যাবে।
ওরে বাবারে মেয়ে না আগুন প্রথম দিনেই বুঝে ফেলেছে তার দিকেই তাকিয়ে ছিলাম।
যখন বুঝেই ফেললো ভাবলাম আর লুকোচুরি করে তাকিয়ে লাভ কি ধরেই তো ফেললো আবার দেখা হলে ভালোবাসার দৃষ্টি দিয়ে তাকাবো। সেদিন কি আর ঘুমাতে পারলাম নাকি সারা রাত আয়নার সামনে থাকলাম।কেমন করে তার দিকে তাকালে আমাকে ভালো লাগবে।
পরের দিনেই বাজেট বেশি প্রেম হোক না হোক বন্ধুরা মিষ্টি খাওয়ার বেলায় আগেই থাকে।
কারন নিউজ যা দেবার নিশ্বার্থভাবে কলেজের বন্ধুরাই দেয়।
পরদিন সেন্ট বেগে করে নিয়ে মেয়েটাকে দেখে সেন্ট মেখে সামনে গিয়ে বললাম শোন তোমার নাম কি। প্রতিউত্তরে বললো পালকি।
আমি বললাম এজুগে আবার পালকি কারও নাম হয় নাকি।
বলার সাথে চোক রাঙালো প্রথম দিনেই।আমি ঢোকোর খেয়ে বললাম না মানে আমি সেটা বলতে চাইনি।
এজুগে এত সুন্দর নাম এখনও চলছে এটাই তো আনন্দের ব্যাপার তাই না।
এমন নামের কদর কজোন বুঝবে। ওরা ছিলো দুজোন তাই অনেক হাসছিলো।
আর আমি একা তাই একবার হাসি আর একবার কাশি।
অমনি আমি হয়ে গেলাম বোকা। মানে ওটা ওর আসল নাম না।
পরেরদিন ডাকলাম ্এই পালকি! বোকা একটা আমার নাম বিউটি।
হে সত্তিই তো তুমি বিউটি। আমাদের কলেজে একটাই বিউটি মেয়ে এসেছে সেটা তুমি।
এটাও ভুয়া নাম বন্ধুদের কাছে যানতে পারলাম তিনার নাম নাকি ছামান্তা খান।আমি বললাম ওর প্রেমে আমি হয়েছি খান খান।ওমনি আরেক বন্ধু তার বান্ধবি এর কাছে থেকে ছামান্তার নম্বর এনেছে আমাকে দিয়ে বললো তোর পকেট হবে এবার পুবে ছারখার।অনেক ভয়ে করলাম ফোন কিছু বললো না কারন সেও আমাকে পছন্দ করে ফেলেছে।
শুরু হলো আমার জীবনে প্রেমের অধ্যায়।
কথনও শ্বাসন, কখনও বারোন, কখনো রোমান্স, কখনও অভিমান আবার কথনও লুকোচুরি।আমার জীবনে এত সুখ প্রেমে ডুব না দিলে বুঝতাম না।
এক বছর রোমান্সে কেটে গেলো হঠাৎ একদিন শুনলাম তিন বছর আগেই একটা প্রেম করেছিলো তাও আবার দীর্ঘ দুই বছর।
ওদের ব্রেকাপ হওয়ার পর আবার এডযাষ্ট হয়েছে ওরা।
ওকে ওয়েটিং পেলে আমাকে হয়তো দুলাভাই, বোন, ভাইয়া ইত্যাদি ওযুহাত।
আগের মত মন খুলে কথাও বলে না।
ঘটনা সত্যতা প্রমান করে ফেললাম কিন্তু প্রেম করছে অন্য ছেলের সাথে।
সে অনেক ধনি, প্রতাব শালী, ব্যাবসায়ী।
তার সাথে ছামান্তার বিয়ে ঠিক হয়েছে কিন্তু আমাকে না করতে পারেনি আবার বলতেও পারেনি সব খুলে আমি কষ্ট পাব বলে।
আমি সরাসরি বড়লোক ছেলেটির কাছে গিয়ে বললাম কি্ন্তু সে তাতেও রাজি।
অবশেষে জানতে পারলাম ছামান্তা সব বলেছে ্ এমনকি ছেলেটির সাছে ছামান্তার প্রেম হয়ে গেছে।
আমি রাগারাগি করলাম কিন্তু হিটে বিপরিত হল সে বললো সবিইতো জানলেন এখন আর আমাকে ডিস্ট্রাব করবেন না।
আমি বললাম ঠিক আছে আমি অার তোমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবো না।
তবে তোমার জন্য আমার দোয়ার সারা জীবন খোলা।
ও বললো তার আর প্রয়োজন নেই। তার পর আমি মাঝে মাঝেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু ও ফোন কেটে দেয় কোন আননোন নম্বর ধরে না যানতো আমিই ফোন করবো।
কেটে গেছে একটা বছর একবার দেখেছিলাম শুধু বলেছিলাম কেমন আছো।
প্রতিউত্তরে ভালো আপনি আমি আর কোন কথা বলতে পারিনি কষ্টে দুরে গিয়ে কাদতে হয়েছে কেনো যানেন।
দুজনে একই রিকসায়। ভাবলাম কেন এসেছিলে আমার জীবনে।
আরও ছয় মাস কেটে গেছে শুনলাম ওদের বিয়ে হতেও পারে নাও হতে পারে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। আপনারাই বলুন আমি মেয়েদের কি স্বার্থপর বলবো না কি সব মেয়েই এক রকম না।
পারলে কমেন্ট করে আমাকে সান্তনা দিবেন।
আর যদি আপনার কোন গল্প দিতে চান তাহলে প্রথম দেয়া পোষ্টি অপেন করে একদম নিচে গিয়ে দেখুন কিভাবে দিবেন।