বিয়ের রাতে বর্ষা সিমান্ত কে বলছে আপনি আমার মেয়েকে স্পর্শ করবেন না। ওর কাছে কখনো যাবেন না। “তুলি” শুধু আমার মেয়ে আর কারও না তাই দয়া করে ওকে কাছে নেওয়ার চেষ্টা
করবেন না।
— সিমান্ত দেখো বর্ষা তুমি এসব কি বলছো??
তুলি আমারও মেয়ে। আমি ওর কাছে না যেয়ে কিভাবে থাকবো??? তুমি আমাকে যত কষ্ট দাও দাও কিন্তু এটুকু বাচ্চার থেকে দূরে দিওনা।
–না ওর বাবা লাগবে না আমি ওর মা আমি ওর বাবা। আমি আপনাকে সেকেন্ড বারের মত বিয়ে করতাম না শুধু বাবা মার মুখের দিকে তাকিয়ে বিয়ে করছি।
— সিমান্ত সরি তোমাকে অনেক কষ্ট দিছি |
আমাকে কি কোন ভাবেই হ্মমা করা যায়না??
— কিসের হ্মমা? আপনি তো কোন ভুল ই করেন নাই। আপনার জায়গা থেকে আপনি ঠিক কাজ ই
করছেন।
—–আর হ্যাঁ অনেক রাত হয়েছে আপনি ঘুমিয়ে যান।
—– বর্ষা মাঝে একটা বালিশ দিয়ে তুলিকে নিয়ে ঘুমিয়ে গেল।
—-সিমান্ত শুয়ে শুয়ে আগের কথা ভাবছে।
বর্ষাকে যখন ফাস্ট ভার্সিটিতে প্রোপজ করে সেদিনই বর্ষা হাসি দিয়ে বলে ছিল প্রেম ট্রেম করতে পারবো না আগে বিয়ে কর তার পর লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করবো।
— সিমান্ত যেহেতু বর্ষা কে খুব ভালবাসতো তাই রাজি হয়ে বলেছিল হ্যাঁ তাতেই রাজি।
—বর্ষার আগেই চেনা ছিল সিমান্ত কে তাই বর্ষাও রাজি। যেই কথা সেই কাজ কিছু বন্ধু বান্ধব মিলে
কাজী অফিসে যেয়ে বিয়ে করলো দুজন।
—- এরপর যার যার মত বাসায় চলে যায়। রেগুলার ফোনে কথা হয়। ভার্সিটিতে এসে গল্প। কখনো
একসঙ্গে সময় কাটানো। কখনো কোন ফ্রেন্ডর বাসায় থাকা হোস্টেলের নাম করে।
— এভাবে ভালই কাটছিল। সিমান্ত এক ইয়ার জুনিয়র ছিল।
সিমান্ত অনার্স কম্পিলিট করার পর মাস্টার্সে ভর্তি হয়।
আর বর্ষা অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী।
— ভালই দিন যাচ্ছিল দুজনের খুব একটা রাগারাগি হতো না। বর্ষার থেকে সিমান্ত বেশি কেয়ার করতো।
—একদিন বর্ষা আর সিমান্ত বাইরে ঘুরতে গেল আর হটাৎ বর্ষা অসুস্থ হয়ে যায়। পাশে একটা ক্লিনিক এ নিয়ে যায় ওখান থেকে বলে মা হতে চলছে আপনার স্ত্রী।
— বর্ষা খুব টেনশনে পরে এখন কি করবে??
কিভাবে বাসায় জানাবে?? বর্ষারা এখানে বাসা ভাড়া থাকতো। বাবা সরকারি কর্মকর্তা থাকে। আর সিমান্ত স্হানীয় এখানকার।
—বর্ষা খুব কান্না পাচ্ছে। বাবা মা কে কিভাবে বলবে? সিমান্ত বলে তুমি টেনশন করনা। আমি
বাসায় জানাবো। তোমার বাসায় বাবা কে পাঠাবো।
— চলো এখন তোমাকে বাসায় পৌঁছে দেই। ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করবা। এখন তো তোমার নিজের
প্রতি বেশি কেয়ার করতে হবে। আমাদের অনাগত সন্তানের জন্য। আমার বাবা দেশের বাইরে গেছে সাত দিন পরে আসবে। আসলে জানাবো।
এখন আম্মু কে জানাবো। আমার কথা ফেলতে পারবে না আমি একমাত্র ছেলে তো। তুমি মন খারাপ
করে থাকবা না।
—সিমান্ত বর্ষার খুব কেয়ার করতো খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে। ভার্সিটিতে আসলে যত সময় থাকতো
ফলমূল খাওয়ানোর তালেই থাকতো। ফোন দিয়ে এটা ওটা খেতে বলতো। না খাইলে রাগ করতো।
বর্ষা সব কিছু শুনতে চেষ্টা করতো।
— সিমান্ত বলতো আমাদের একটা তোমার মত কিউট মেয়ে বাবু হবে। আর বর্ষা বলতো না তোমার
মত দেখতে হবে। মেয়ে হলে নাম রাখবে “তুলি“ আর ছেলে হলে নাম রাখবে “তিসান“।
—সিমান্ত তার আম্মু কে বললো সব কথা। আম্মু তো রেগে গেছে খুব কারণ সিমান্ত মা তার বোনের মেয়ের সাথে বিয়ে দিতে চাই। তাই খুব রিয়াক্ট করলো।
—- সিমান্ত বললো মা ওকে ছাড়া আমি কাউকে বউ হিসেবে মানতে পারবো না। তাছাড়া আমি
বাবা হতে চলছি। তোমরা যদি মেনে নাও ভাল কথা না নিলে আমি ওকে নিয়ে আলাদা থাকবো।
-মা তখন দেখলো ছেলে তো জেদী যা বলবে তাই করবে তাই বললো তোর বাবা আসুক তখন যা করার তাই করবে।
—- সিমান্ত বললো আম্মু তুমি ওদের বাসায় এখুনি যাও।
ওদের বাসায় জানাও বর্ষা খুব টেনশন করে। এই সময় টেনশন করা ঠিক না।
— আম্মু বলে না তোর বাবা আসবে যেতে হয় এক সাথে যাব। এখন আমার সামনে থেকে চলে যা।
—কি আর করবে চলে আসে বর্ষাকে ফোন দেয়। বলে আম্মু রাজি হয়ছে আব্বু আসলে তোমাদের বাসায় যাবে তুমি চিন্তা করবে না।
— এভাবে সাতদিন চলে গেল। সিমান্তর বাবা দেশে আসলো। মা বাবাকে সব কিছু জানায়। বাবা
প্রথমে রাগ করলেও কিছু বলতে পারে না।
—এদিকে বাসায় বর্ষা সেনসলেস হয়ে যায় বাবা ডাক্তার নিয়ে আসে। বাসার পাশের বাসায় কিছু লোক
থাকে সবার সামনে ডাক্তার বলে মা হবে। তাই এরকম চিন্তার কোন কারন নাই।
— বর্ষার বাবা মা খুব কষ্ট পায় আর পাশের বাসার লোকজন ছি ছি করে। বর্ষা মা কে যখন মা বলে
ডাকে তখন মা বলে খবরদার আমাকে মা বলে ডাকবি না। তোর মত মেয়ের আমি মা না।
—মা বিশ্বাস কর এটা আমার বৈধ সন্তান। কাল সবাই আমাদের বাসায় আসবে তুমি চিন্তা করনা।
–মা বলে চুপ কর। দেখিস কোনদিন ও তোকে নিতে আসবে না। সেদিন রাতে বর্ষার বাসার কেউ
খায়না। কেউ কারও সাথে কথা বলে না।
— বর্ষা সিমান্ত কে ফোন দিয়ে খুব কান্নাকাটি করে সব কিছু জানায়। সিমান্ত শান্তনা দেয়। বলে
আমি কালই বাবা মাকে পাঠাচ্ছি তুমি চিন্তা করনা। এখন কিছু খেয়ে ঘুমাবে।
—বর্ষা না এখন কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না।
সিমান্ত প্লিজ আমাদের বাবু কে ভাল রাখার জন্য কিছু খেয়ে ঘুমাও।
— পরের দিন বর্ষার বাবা যখন অফিসে যাচ্ছে আশেপাশের লোক জন বর্ষা কে নিয়ে হাসাহাসি করছে বিয়ের আগেই বাচ্চা। ছি ছি। এসব কথা শুনেও না শুনার ভান করে অফিসে চলে যায়।
অফিসে যেয়ে চিন্তা করতে থাকে। আসলে বর্ষাকে বিশ্বাস করে যে ওটা ওর বৈধ সন্তান।
কিন্তু আশেপাশের লোকজন তো বুঝবে না। যদি ওই ছেলের বাবা মা না আসে তাহলে এখন থেকে
চলে যাবে তাই আজই বদলি হওয়ার জন্য দরখাস্ত কর।
এদিকে সিমান্ত বাবা মা কে রাজি করাই। যে আজই তোমাদের যেতে হবে। আব্বু বলে হ্যাঁ আজই
যাব এখন আমার সাথে চল তোকে নিয়ে একটা মিটিং এ যাব। সিমান্ত বলে আচ্ছা আমি রেডি হয়ে
আসছি।
— সিমান্ত বর্ষাকে ফোন দিয়ে বলে আজ যাবে বিকেলে আব্বু আম্মু রেডি থেকো। আমি এখন
একটু কাজে যাচ্ছি ঠিক মত খেয়েও। বাই বাবুর আম্মু।
— বর্ষা তার মা কে জানায় যে তারা আসছে রান্না বান্না কর। ওর আম্মু সারাদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
এদিকে সিমান্ত আর সিমান্তর বাবা রোড এক্সিডেন্ট করে। বাবার একটু কম হ্মতি হলেও সিমান্তর
অবস্থা খারাপ আইসিইউতে থাকে। প্রায় বিশ দিন।
—- আর বর্ষা সিমান্তর জন্য ওয়েট করে যায় কিন্তু সিমান্তর বাবা মা কেউ আসে না। বর্ষাকে নতুন
করে সবাই বকা ঝকা করে সবাই ইচ্ছা মত।বর্ষার কিছু বলার থাকে না কারন বড় মুখ করে বলছে সিমান্তর বাবা মা আসবে কিন্তু আসে না। সিমান্তর ফোন বন্ধ থাকে। সেদিন যায় পরের দিন যায় কিন্তু
সিমান্ত ফোন খোলা পায় না। ভার্সিটিতে যেতে পারে না।
বাইরে থ বের হতে পারে না। বর্ষার মা বলে আমি বলেছিলাম আসবে না। দেখছিস ঠিক আসলো না।
বর্ষার বাবা সব কিছু গোছাতে বললো।
চিটাগাং বদলি হয়েছে ওখানে আজই চলে যাবে। বর্ষা যখন সিমান্তর কোন খোঁজ না পেয়ে ওর বেস্ট
ফ্রেন্ড কে ফোন দেয় কিন্তু সেটাও বন্ধ। তখন বর্ষার সত্যি মনে হয় যে সিমান্ত ওকে সত্যি ঠাকাছে।
বর্ষা চলে যাওয়ার সময় অনেক কান্নাকাটি করে। বাবা তখন বুঝায় আসলে কষ্ট টা উপলব্ধি করতে পারে আর বুঝায় তোকে যদি সত্যি ভালবাসে তাহলে একদিন ঠিক খুজে পাবে তোর কাছে যাবে। এখন
এখানে থাকলে আরও মানসিকচাপে থাকতে হবে।
তাই চলে যেতে হবে। তার পর চলে যায় কিন্তু কাউকে কিছু বলে যায়না। অফিসে বলে যায় কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে বলবে চাকরি ছেরে দিছে কই গেছে জানি না।
প্রায় তিন বছর পর…সিমান্তর ফ্যামেলী বেড়াতে যায় চিটাগং সেখানে দেখতে পায় বর্ষাকে।
যখন কথা বলতে যায়। বর্ষা চলে যায় কোন কথা বলে না।
এইটা সিমান্তর বাবা মা খেয়াল করে। কারন এই তিন বছরে সিমান্ত কারও সাথে ঠিক মত কথা বলতো
না।
চুপচাপ থাকতো। হটাৎ এই মেয়ের সাথে কথা
বলা
দেখে। বাবা মা বর্ষার কাছে যেয়ে বলে
তোমার নাম কি মা?
— বর্ষা নাম বলে আমার নাম বর্ষা।
— বাবা মা জানতো যে মেয়েকে বিয়ে
করছিল
তার নাম বর্ষা।তখন বলে কই থাকো।?
—এখানে থাকি। ওই বাসাতে। আচ্ছা ঠিক আছে
তুমি
যাও।
— সিমান্তর বাবা মা যেয়ে জানে সব কিছু
আর
ছোট্ট পিচ্চি নানুমনি নানুমনি বলে ডাকে।
সিমান্তর বাবা
কলে তুলে নিয়ে আদর করে। একদম দেখতে
সিমান্তর মত হয়েছে।
— সিমান্তর বাবা মা সেদিনের ঘটনা টা বলে
যে ওর
এক্সিডেন্টের কথা। পরে যখন সুস্থ হয়ছে
অনেক খুজছে কিন্তু পায়নি। কত দিন খুঁজেছে
এখনো খুজে বেড়ায়।
ছেলেটা আমার নিরবে সব সময় কাঁদে।
.এখন যদি আপনারা রাজি থাকেন ওদের বিয়ে
দিয়ে
আমার বাসায় নিয়ে যেতে চাই।
বর্ষার বাবা মা না করতে পারে না। কারণ
বর্ষা নিরবে
কান্নাকাটি করতো।
বর্ষা মেয়েকে কত কষ্ট করে
মানুষ করছে যখন বাবা বলে ডাকে তখন বর্ষা খুব
মন খারাপ করতো।
— বর্ষা রাজি হয়না বলে না আমি আর ওর
কাছে যাব না।
আমি আমার মেয়েকে নিয়ে একাই থাকবো।
সিমান্তর বাবা মা হাত জোর করে বলে মা
অমত করনা।
সিমান্ত বাচ্চাদের দেখলে কত আদর করে। আর
ওর নিজের বাচ্চা আদর থেকে বঞ্চিত হবে?
প্লিজ
মা না করনা। আর বর্ষার মা বাবা বর্ষা কে
বুঝায় বর্ষা।
এতো মানুষকে না করতে পারে না তাই বলে
তোমরা যা
ভাল মনে কর তাই কর।
দিন ঠিক হয় তাদের বিয়ে হয়। আর বিয়ের রাতে
বর্ষা সিমান্ত কে তুলির কাছে আসতে নিষেধ
করলো। এসব কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে সকাল
হয়ে গেল বুঝতেই পারলোনা সিমান্ত।
— বর্ষা আর তুলি ঘুমিয়ে আছে কি সুন্দর লাগছে
দুজন কে। বর্ষা জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে তুলি কে
তাদের
ছোট্ট বাবু টা।সিমান্তর খুব কোলে নিতে ইচ্ছে
করছে। কিন্ত নিতে নিষেধ করছে। সিমান্ত
ভাবে
বললেই হলো নাকি??? আমার বাচ্চা
কে আমি আদর করতে পারবো না???
— বর্ষা উঠে মা এর সাথে কাজ করছে এই
সুযোগে তুলি কে সিমান্ত কোলে নিয়ে আদর
করে। তুলি বাব বাবা বলে কি সুন্দর করে
ডাকে।
– কিছু সময় পর বর্ষা তুলি কে খাওয়ানোর জন্য
ঘরে এসে দেখে সিমান্তর কোলে নিয়ে
আছে।
সিমান্তর কাছ থেকে তুলি নিয়ে ঠাস ঠাস করে
দুইটা
পিটা দেয়। তুলি খুব
কাঁদছে। সিমান্তর খুব খারাপ লাগে।
— সিমান্ত বলে দেখো তুমি আমাকে যতো কষ্ট
দাও আমি মেনে নিবো। কিন্তু এই টুকু বাচ্চা কে
তুমি
মাইর দিওনা প্লিজ!
চোখে পানি ঝরবেই sad love story
— বর্ষা বলে আমার মেয়েকে মাইর দিবো আমি
আবার আদর করবো। তাতে আপনার কি?? আর
আপনি
যতো ওকে আদর কোলে নিবেন ততো পিটা
দিবো। আর আপনি ওর কাছে না আসলে কখনো
পিটা দিবোনা। মনে রাখবেন।
বর্ষা তুলি নিয়ে অনেক কষ্ট করছে। তাই এভাবে
সিমান্ত কে কষ্ট দিচ্ছে। যদিও সিমান্ত ইচ্ছা
করে
কিছু করে নাই।
— এটা শুনার পর সিমান্ত ঘর থেকে চলে যায়।
তখন
বর্ষা তুলিকে জড়িয়ে কান্না করে। সিমান্ত
কে কষ্ট
দেওয়ার জন্য তুলি কে পিটা দিচ্ছে। আগে
কখনো তুলির গায়ে হাত দেয়নি।
— এদিকে তুলি কে পেয়ে সিমান্তর বাবা মা
খুব খুশি।
সিমান্তর বাবা মা তুলিকে ছাড়া কিছু বুঝে
না। তুলিও দাদুভাই
দাদুমনির খুব ভক্ত।
সিমান্ত মন খারাপ করে ছাদে থাকে অনেক
সময়।
রুমে আসতে চাই না বেশি কারণ তুলি শুধু
সিমান্তর
কাছে আসতে চাই। কিন্তু সিমান্ত কোলে নিতে
পারে
না। কারন যদি কোলে নেয় বর্ষা তুলিকে
পিটায়।
চোখের সামনে তুলিকে কান্না অবস্থায়
দেখতে
পারে না।
— একদিন অফিস থেকে আসার পর তুলি দৌড়ে
বাবা বাবা
বলে আসে কোলে নিতে বলে। তখন
কোলে না নিয়ে পারা যায়?? তাই সিমান্ত
নিয়ে আদর
করে। বর্ষা
রুমে এসে দেখে তুলি কে আদর করছে। বর্ষা
তুলিকে নেয় তখন সিমান্ত বলে প্লিজ ওকে
কিছু
বল না। আমি আর নিবো না।
বর্ষা যখন তবু তুলিকে ঠাস করে একটা দিল।
তখন
সিমান্ত সয্য না করতে পেরে টেবিল থেকে
চাকু
নিয়ে হাত কাটে। যখন আহ! বলে উঠে। তখন বর্ষা
তাকিয়ে দেখে সিমান্তর হাত দিয়ে রক্ত
পরছে।
— বর্ষা দৌড়ে এসে চাকু নিয়ে নেই। আর দুই হাত
দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে। তুলি মা এর কাছ থেকে
ছারা
পেয়ে দাদুর কাছে চলে যায়।
— বর্ষা কাঁদছে সিমান্তর হাত ধরে। সিমান্ত কে
বসিয়ে বক্স নিয়ে এসে হাত ওষুধে লাগিয়ে
বেধে দেয়। আর কাঁদো কাঁদো গলায় তুমি হাত
কাটলে কেন??
.– বর্ষার এইরকম ব্যবহার পেয়ে খুশি হয়। বলে
তুমি
আমার মেয়েকে কষ্ট দিবা আর আমি সেটা সয্য
করবো?? তুমি ভাবলে কেমন করে? তুমি চাও
আমি
কষ্ট পায় তাই নিজেকে কষ্ট দিচ্ছি।
—বর্ষা কাঁদছে। সিমান্ত বর্ষার চোখের পানি
মুছে
দিয়ে সরি বলে যে আমি কষ্ট পাইলে যে তুমি
কষ্ট
পাবা জানতাম না জানলে হাত কাটতাম না।
সিমান্ত কে বর্ষা জড়িয়ে ধরে বলে আমি আর
তোমাকে কষ্ট দিবো না। তোমার মেয়েকে
তুমি যখন ইচ্ছা আদর করতে পারো। পিটা দিতে
পারো। শাসন
করতে পার আমি কিছু বলবো না। সিমান্ত খুব
খুশি।
তুলিকে নিয়ে ঘরে আসলো সিমান্তর মা।তুলি
দৌড়ে
সিমান্তর কাছে যেয়ে বাবা বাবা করছে।
তুলিকে
কলে নিয়ে আদর করছে এ যেন সব থেকে
সুখের সময় …
বেচে থাকুক এই ভালবাসা,
সুখে থাকুক তারা…..।
(সমাপ্ত)