নীল ও নীলাশা

প্রতিক্ষার প্রহর গুনতে থাকা একটি ছেলে । ছেলেটির নাম নীল । নাম টি নীল হলেও জীবন টা আধারে পরিপূর্ণ ।

কারণ টি হল ছেলে বেলায় তার মা কে সে চিরতরে না ফেরার দেশে হারিয়ে ফেলে। আর সে জন্য সে প্রতিক্ষা করে যে ।প্রতি দিন তার স্বপনের মাঝে সে যেন তার মা কে দেখতে পাই । এ দিকে নিল ও ধীরে বড় হতে থাকে । একটা সময় সে স্কলে ভর্তি হয় । স্কলে জীবনে কখনো কোন বন্ধুদের সাথে মেলামেশা হয়নি ।নীলের জীবন টা আধারে জরজরীত ছিল বলে চার দেওয়ালের বাইরের কাউকেই ভাল লাগতো না ।

ও হা নীলের বাবার কথা বলে রাখা ভাল । তার বাবা শহরের এক জন বিশিষ্ট্র ব্যাবসাহী । টাকার কোন অভাব নাই কিন্তু এক মাত্র ছেলেকে নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় থাকেন । এ ভাবে একটা সময় নীলের স্কুল জীবন শেষ হয় ,এর পর তার বাবা তাকে একটি কলজে ভর্তি করায় । নীলের বাবা সব সময় আশায় বুক বেঁধে থাকে এই বুঝি আমার ছেলেটা তার সঠিক জীবনে ফিরে আসে। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ও নীলের জীবনে তেমন কোন পরিবর্তন দেখা যায় না । তবে কলেজে যাওয়ার কিছু দিন পর নীল তার বাসার ছাদের উঠা শুরু করে এবং ছাদের রেলিং এ হেলান দিয়ে দূর ঐ নিল আকাশের দিকে অধীর আগ্রহে তার মা কে দেখার চেষ্টা করে ।

এ ভাবে দেখতে দেখতে রাত পেরিয়ে ভোর হয়ে যায় এ ভাবেই নীলের দিন কাটতে থাকে । এর পর নীলের কলেজের বন্ধু বান্ধব এবং স্যার রাও হতবাক । একটি মানুষ কি ভাবে এমন একাকিত্ত জীবন জাপন করতে পারে ।একটা সময় নীলের কলেজ জীবন ও শেষ হয়ে যায় এর পর নীল কিছু দিন সময় পায় এবং তার বাবা সেই সময়ে নীল কে বিভিন্ন স্থানে ঘুরায় নিয়ে বেড়ায় , এবং নীলের বাবা ভাবে প্রকৃতির সাথে মিশলে নীলের কিছুটা একাকিত্ত দুর হতে পারে । নীলের বাবার ভাবনা টি বেশি ফলশ্রুত হয় না ,

এর পর আর কি নীলের আবার একটি প্রাইভেট র্ভারসিটিতে ভর্তি করায় । নীল সেখানেই পড়াশোনা করতে থাকে এবং সেই আগের মতই একাকিত্ত কে বেশি ভালবাসে । হঠাৎই কোন এক দিন নীল ক্লাস রুম থেকে বের হওয়ার সময় একটি রমণীর সাথে ধাক্কা খায় ।নীল তার উদ্দেশ্যে ক্ষমা চেয়ে স্থান ত্যাগ করে,পর দিন । নীল ক্যানটিনে বসে যখন কিছু খাওয়ার চেষ্টা করছিলো তখন মেনু কার্ড টি বার বার দেখছে ,কন্তু কোন খাবার পছন্দ করতে পারছিলো না ।

হঠাৎই একটি মেয়ের কন্ঠরস্বর I will help for you নীল তাকালো এবং অনেক খন যাবত তাকিয়েই রইলো । এবার মেয়েটির গলার শব্দে নড়েচড়ে বসলো ,এবং নীল বললো No No আমি পারবো ।মেয়েটি নীল কে জিজ্ঞাস করলো আমি এখানে বসতে পারি ।নীল কথা না বলে মাথা নাড়িয়ে হা সূচক জবাব দিলো মেয়েটি হা সূচক জবাব পেয়ে আর দেরি করলো না ।এবার কথপোকথন শুরু করলো ।

নীল কে প্রশ্ন মেয়েটির তোমার নাম কি ? নীলের সহজ তর জবাব আমার নাম নীল ! নীলের নাম নাম টি শুনে অবাক চোখে তাকিয়ে বললো আপনি কি আমার সাথে মজা করছেন ? নীল মুচকি একটা হাঁসি দিলো ! আমি আপনার সাথে মজা করবো কেন ?আমার নাম সত্তিই নীল । মেয়েটি বললো বুঝতে পারলাম । এবার নীলের জিজ্ঞাসা আপনার নাম কি ?মেয়েটার সহজ তর উত্তর আমার নাম নীলাশা ।

ছোট একটা হাসি দিয়ে অন্য দিকে তাকালো ,ততখনে নীল ও বুঝতে পারলো তার নাম টি শুনে মেয়েটি কেন অবাক হয়েছিলো ।এর পর থেকে আস্তে আস্তে নীলের সাথে নীলাশার বন্ধত্ব হয় , নীলাশা নীলের জীবনে এসে নীলকে এতটা বদলায় যে নীল এখন আর চার দেওয়াল ভাললাগে না এখন মুক্ত হাওয়া ও প্রকৃতি এ সবই ভাল লাগে ।

এভাবেই নীলাশার সাথে চলতে চলতে নীলের জীনব টা পূর্ণতা পায়। একটা সময় নীল এবং নীলাশা র্ভারসিটির শেষের দিকে । নীলাশাকে ছেড়ে চলে যেতে হবে এটা ভেবেই কয়েক দিন ধরে নীলর মনটা খারাপ ,তবে নীলাশাকে এটা বুঝতে দেয় না। এ দিকে নীলের বাবা নীলর বিয়ের জন্য একটা মেয়ে ঠিক করলো ।

নীল কি করবে বুঝতে পারছিলো না । হঠাৎই এক দিন নীল তার বাবার পছন্দ করা মেয়েটির ছবি দেখলো ,এবং নীল রাজি হয়ে গেল । সামনের মাসের 2 তারিখ নীলে ও নীলাশার বিয়ে ঠিক হলো ।আজানা বিষয় হল কি ভাবে নীল এবং নীলাশার বিয়ে টা হচ্ছে কি ভাবে?

আজানা বিষয় টি হলো নীলের বাবা নীলের একাকিত্ত দূর করার জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী তার বন্ধুর মেয়েকে নীলের কাছে পাঠায় এবং নীলের র্ভারসিটিতে ভর্তি করে । এবং নীলের একাকিত্ত দুর করার জন্য নীলের সাথে বন্ধুত্ত ও ভালবাসার শেখরে আবদ্ধ করে.এবং নীলের একাকিত্ত জীবন দূর করে

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত