সুরুভী ম্যামের শিক্ষা

সুরুভী ম্যামের শিক্ষা
মহিলা কলেজ এ ক্লাস নেওয়া সদ্য ভার্সিটি পাশ করা সুরুভী ম্যাম ইংলিশ ক্লাস নেওয়ার সময় খেয়াল করলেন একটা মেয়ে কাদছে আর বারবার ফোন টিপছে। তিনি ডেকে বললেন কি ব্যাপার কাদছো কেন তুৃমি?
মেয়েটা চোখমুখ মুছে বললো না ম্যাম কাদছিনাতো। সুরুভী ম্যাম বেশ চালাক মহিলা উনি ধরে ফেললেন বিষয়টা বললেন “বয়ফ্রেন্ড জনিত প্রোবলেম তাই না??” মেয়েটা হ্যা বা না কিছুই বললো না। বিরবির করে বললেন তোমরা যে কি বুঝিনা? তারপর মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললেন “তোমার বয়ফ্রেন্ড কয়টা”?? মেয়েটা লাজুক ভঙ্গিতে বললো “একটা ম্যাম।” “মাত্র একটা?? তাও সামলাতে পারছোনা” “কি বলো আমার তো ভার্সিটি লাইফে এগারোটা বি এফ ছিলো।” কথাটি শুনে হা হয়ে গেলো ক্লাসের মেয়েগুলো। তারপর নিজেই বললেন তোমাদের কে তোমাদের বাবা মা অনেক ভালোবাসেন তোমরা তাদের অমতে যেয়ে বিয়ে কি করে করতে পারো?? হ্যা প্রেম করবে বি এফ রাখবে বাট এটা তোমাদের সেইফটির জন্য। “সেইফটি মানে”??
সকল মেয়েরা জানতে চাইলো হেসে বললেন টাইপ বাই টাইপ বলি। টাইপ :১ “ধরো তুমি যখন ভার্সিটিতে উঠবে তখন খেয়াল করবে তোমাকে তোমার ব্যাচমেটরা তোমার সাথে কথা বলার জন্য লাইন ধরছে। অনেক কে সারাদিন তোমার পাশে ঘুর ঘুর করতে, কাউকে দেখবে হুদাই মেসেজ দেয়, কথা বলতে চায় আবার নতুন সিনিয়ার হওয়া ইমিডিয়েটরাও জালাতন করে। এই ডিস্টার্ব থেকে বাচার জন্য মাস্টার্স এর অথবা ফাইনাল ইয়ারের এক ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক রাখবে। বেশ ভালো সম্পর্ক। ভালো হয় মাস্টার্স এর ভাই ধরলেই কারন তারা একবছর পর চলে যাবে। দেখবে আর কেউ তোমাকে ঘাটাবেনা। টাইপ: ২ এরপর তোমার ব্যাচ থেকে একজন কে ঠিক করবে যাকে তুমি কামলা হিসাবে রাখবে, ধরো তোমার মেসের বাজার করা অথবা তোমার জন্য দোকান থেকে কিছু কিনে নিয়ে আসবে অথবা তোমার ফোনে ব্যালেন্স ভরে দেওয়ার জন্য রাত ১২ টায়ও শীতের রাতে বের হবে।
তুমি যখন বলবে তখনি বের হয়ে তোমাকে ঘুরিয়ে আনবে ইত্যাদী ইত্যাদী। টাইপ: ৩ এবং সেই ফার্স্ট ইয়ারে থাকা অবস্থায় ভালো একটা সম্পর্ক রাখবে ইমিডিয়েট ব্যাচের যে কোন একজন এর সাথে প্রয়জনের জন্য। সেটা কেমন?? সেটা হলো তাকে কল দিবে তার খোজ নিবে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলবে। তাকে বুঝাবে সে অনেক হ্যান্ডসাম। ইমিডিয়েট সিনিয়ার তো দেখবে পটে যাবে। দেন তার থেকে নোটস গুলো নিয়ে নিবে। আর হ্যা আরেকটা কথা প্রতি বছর যখন তুমি উপরের বর্ষে উঠবে তখন নোটস দেওয়া ইমিডিয়েট ভাইদের ও চেন্জ করবে। টাইপ :৪ চাইলে তুমি তোমার ব্যাচের প্রথম দিকের কোন এক স্টুডেন্ট এর থেকেও নিতে পারো। তবে সেটা নেওয়া ঠিক হবেনা প্রথম দিকের স্টুডেন্ট গুলোর থেকে তুমি জাস্ট পড়াটা বুঝে নিবে।
ওরা দেখবে তোমাকে পড়া বুঝানোর জন্য উঠে পড়ে লাগবে। টাইপ. ৫ এরপর সেকেন্ড ইয়ারে উঠে খুজবে বড়োলোক বা টাকাওয়ালা কোন কোন ভাই আছে এমন। না না প্রেম করার জন্য নয় ট্রিট এর জন্য। এর মধ্যে তোমার সেই মাস্টার্স এ বা ফাইনাল ইয়ারে পড়ুয়া ভাই বিদায় নিবে। টাকা ওয়ালা বা নতুন টিউশনি করিয়ে বেশ ভালই টাকা ইনকাম করা ভাই দেখে তাদেরকে রাতের বেলা মেসেজ দিবে। তবে মনে রাখতে হবে এটা একজনের সাথে করলে হবেনা এরকম টাকা ওয়ালা বড় ভাইদের প্রচুর ধরতে হবে। ট্রিট এর নাম করে প্রচুর খাবে। তবে মনে রাখবে কখনই এদের সাথে এত বেশি ঘনিষ্ট হবে না যাতে করে বুজা যায় তুমি রিলেশন এ আছো। জাস্ট হাসি মুখে কথা বলে এদের থেকে ট্রিট টা চেয়ে নিবে। মজার বিষয় হলো এরা কিন্তু মুখিয়েই থাকবে তোমাকে ট্রিট দেওয়ার জন্য। টাইপ. ০৬ এরপর চাইলে ডি এস এল আর অথবা বাইকওয়ালা তোমার কোন ব্যাচমেট বন্দুকে ম্যানেজ করতে পারো। তোমরা ছবি তুলবে অথবা একটু আধটু বাইকে ঘুরাবে তার জন্য এভাবেই তোমার থার্ড ইয়ার শেষ হবে।
এরপর ফোর্থ ইয়ারে তোমার বাবা মা ভালো একটা ছেলে ঠিক করলে আর কোন রিলেশনে না জড়িয়ে ঘোষনা করে দাও তুমি এনগেজড। দেখবে তোমার জাস্ট ফ্রেন্ড ওয়ালা বন্দুরা তোমার কাছ থেকে ছিটকে দুরে সরে যাবে। আবার নতুন ব্যাচ আসবে ওরা মনোযোগ দিবে তোমারি মত আবার কোন ফার্স্ট ইয়ারের মেয়ের দিকে। এই সব কথা বলে থামলেন সুরুভী ম্যাম বললেন লাইফটাকে ইনজয় করো। হুদাই কেন একজনের পিছনে দৌড়াবে?? ক্লাসের মেয়েরা সবাই বললো সত্যি ম্যাম ছেলেরা এমন হয়?? সুরুভী ম্যাম বললেন সবাই তো আর এমন না তবে কিছু আছে যারা তোমাকে পাত্তাও দিবেনা। ওদেরকে তোমার ও পাত্তা দেওয়ার প্রয়জন নেই।
এরা ছারা বাকি যারা আছে তাদের থেকে যাকে খুশি চয়েজ করে তার ঘাড়ে পাড়া দিয়ে ভার্সিটি নামক জীবনটা পার করে দিবে। এরপর বাবা মায়ের ঠিক করা ছেলে দেখে বিয়ে করো। তোমার বাবা মা ই আসল এইসব জাস্ট ফ্রেন্ড ট্রেন্ড ভোগাস সব। শেষ কথা: না না ভাই আমি আপুূদের কে টেকনিক শিখাচ্ছিনা সুরুভী ম্যাম এর গল্প বলে আমি তো জাস্ট ওই সকল ভাইদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি যাদেরকে সুরুভী ম্যাম ডাইরেক্টলি উল্লেখ করে দিয়ে গেলেন।
গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত