টিফিন পিরিয়ড এখন। সবাই মিলে ক্লাসে আড্ডা দিচ্ছি। সিনিয়র সাদিক ভাই ব্যাকসাইড হাতাতে হাতাতে আমাদের সামনে এসেই হুংকার দিয়ে বলল…’শ্লা বাইঞ্চুত আস্ত একটা জানোয়ার৷ মান্দারের পোলারের একলা পাইলে দেখিস কি করি।’ আমরা সবাই হকচকিয়ে গেলাম। সবাই হো হো করে হেসে ফেললাম। বললাম….
–ভাই গালি দেন কারে?
-আজম স্যাররে, শ্লায় আমার পাছায় বারি দিয়ে ফুলিয়ে দিছে…!
–তাই বলে স্যাররে এমনে গালি দিবেন?
-আমি অত সাধুনা বুঝলি।
–মারছে কি জন্য?
-আরে ক্লাস চলাকালিন একটু কথা বলছিলাম, ধরা পড়তেই দাঁড় করাই রাখলো। বলে কান ধরে দাঁড়াতে, ধরিনি তাই দিছে বারি।
–তো কথা বলছো কেন?
-আরে হেডা কথা বললেই কি এভাবে বারি দিতে হবে?
বলেই সাদিক ভাই চলে গেলো। সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। সাদিক ভাইয়ের এই একটা বদঅভ্যাস সবাইরে ইচ্ছে মতন বকে। গালি দেয়, আমরা কিছু বলিনা। সেই বয়সে গালি শুনতে ভালোই লাগতো। আমরাও শিখতাম। তবে আজম স্যার আমাদের ক্লাস নেয়না। উনি শুধু ক্লাস ১০ এর ক্লাস নেয়৷ আমরা নাইনে। শুধু সাইন্সের ক্লাস গুলো বাদে আর সবগুলো ক্লাস আমাদের একসাথেই হয়। ক্লাসে টোটাল ছাত্রছাত্রী ৭৩ জন। সেখানে আমার রোল ১।
তো হঠাৎ একদিন আজম স্যার ক্লাসে হাজির, আমরা সবাই ভয়ে ভয়ে দাঁড়ালাম। স্যার এসেই পিছনের সারি থেকে একজনকে দাঁড় করালো। আমরা সবাই পিছন ফিরে তাকালাম। ছেলেটা গতকালই স্কুলে নতুন এসেছে। মাহুবর স্যার ছেলেটাকে গতকাল স্কুলে নিয়ে এসে আমাদের ক্লাসে বসিয়ে দিয়ে গেছে। পরিচয় তেমন হয়নি, নামও জানিনা, অদ্ভুত না! আজম স্যারের কথা মতন ছেলেটা দাঁড়ালো। স্যার বলল…
–নাম কি?
-মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
নাম শুনেই ক্লাসের সবাই হেসে ফেললো। একটা ছেলের নাম শাহাবুদ্দিন হয়? হা হা হা কেমন ক্ষ্যাত নাম। আজম স্যার ধমক দিয়ে সবাইকে চুপ করালেন। আবার বললেন….
–রোল কত?
-৭৪…(আগে ছিল ৭৩ জন, এখন নতুন করে ৭৪ জন)
–জেএসসি তে জিপিএ কত?
-২.৫৮
–এত কম কেন? পরীক্ষার আগে কি কামলা দিতি নাকি চুরি করতি।
ছেলেটা চুপচাপ। সবাই বিষয়টা উপভোগ করছে। শাহাবুদ্দিন মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। গায়ে পুরাতন একটা সাদা শার্ট। দেখেই বুঝলাম এটা ওর আগের স্কুলের ড্রেস ছিলো। পকেট একটা কাটা হয়েছে। সেখানে সাদা হয়েছে। স্যার আবার বলল….
–বল ICT এর পূর্ণরূপ কি?
ক্লাসে মোটামুটি গুঞ্জন শুরু হলো। সবাই বলাবলি করছে ICT এর পূর্ণরূপ কি। আমার দৃষ্টি শাহাবুদ্দিনের দিকে। ও মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। স্যার ধমক দিয়ে বলল….
-কিরে বল…!
–পারিনা।
-কান ধরে দাঁড়িয়ে থাক।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে শাহাবুদ্দিন সাথেসাথে কানে ধরলো। স্যারও খানিকটা অবাক হলো। তারপর আমাকে দাঁড় করিয়ে সেই প্রশ্নটাই করলো। আমি ঝরঝর করে বললাম….
— Information communication and technology
-গুড বসো।
ফার্স্ট বয় হিসেব সবাই আমাকে ভালো করেই চিনতো৷ বিশেষ করে স্যার ম্যাডামদের চোখের মনি। ক্লাস শেষ না হওয়া অব্দি শাহাবুদ্দিন কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকলো। ও মনে হয় এসবে অভ্যস্ত, নইলে হুট করে বলল আর কানে ধরলো? ব্যাপারটা অদ্ভুত তো বটেই তাছাড়া সে গতকালই এসেছে।
এই বয়সটায় সবকিছুর প্রতিই আলাদা একটা কৌতূহল থাকে। বিশেষ করে মেয়েদের প্রতি। আমারও যে ছিলনা তা না। সবাই আমাদের ফার্স্ট বেঞ্চে এসে বলাবলি করতো কাকে সুন্দর লাগে। আমি শাহাবুদ্দিন কে কখনো কারো সাথে কথা বলতে দেখতামনা। প্রত্যেকটা ক্লাসেই চুপচাপ বসে থাকতো। পড়া না পারলে দাঁড়িয়ে থাকতো। বাংলা রিডিং পড়তে থরথর করে কাঁপতো। শুদ্ধ হয়না পড়া ফলে স্যাররাও দাঁড় করিয়ে রাখতো। বিশেষ করে আজম স্যার, সবার আগে শাহাবুদ্দিন কে প্রশ্ন করবে ও না পারলে আমাকে। বলা বাহুল্য আজম স্যার আমাদের আইসিটি অর্থাৎ তথ্য প্রযুক্তি ক্লাস নেয়। শাহাবুদ্দিন নিয়মানুযায়ী কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। ব্যাপারটা বেশ খারাপ লাগে আমার কাছে। প্রত্যেকটা দিন একটা ছেলেকে এভাবে প্রশ্ন করার মানে আছে? আরও তো ছাত্রছাত্রী আছে।
আমি একটা বিষয় খেয়াল করেছি শাহাবুদ্দিন প্রতিদিনই একটা শার্ট পরে স্কুলে আসে। সাধারণ ব্যাকবেঞ্চার বা পড়াশোনায় দূর্বল ছেলেরা হয় বাউণ্ডুলেপনা, বখাটে, উচ্ছৃঙ্খল এরা রাস্তা ঘাটে আড্ডা দিবে। কিন্তু শাহাবুদ্দিন একদম চুপচাপ কারো সাথে কথা বলেনা। স্কুলে আসার সময় ডানহাতে বই আর বাম হাতে স্টিলের টিফিন বাটি। বাটিও ট্যাপ খাওয়া। আবার ছুটি হলেই চুপচাপ বাসার পথে রওনা। মাঝামাঝে দুঃখ হতো ছেলেটার জন্য। তেমন আমোলে নিলামনা। একদিন শাহাবুদ্দিনকে আজম স্যার কাছে ডাকলেন। শাহাবুদ্দিন আসলো। স্যার ইশারায় বলল আমার পাশে বসতে। সবাই বেশ অবাক হলো। আরো অবাক হলো যখন স্যার বলল..’আজকে আমরা গল্প করব।’ প্রথমেই বলল….
–শাহাবুদ্দিন দাঁড়া, একটা হাসির গল্প বল।
-স্যার হাসির গল্প পারিনা।
–পড়াশোনাও পারিসনা, গল্পও পারিসনা। ভবিষ্যতে করবি কি! চুরি? বোস…!
শাহাবুদ্দিন বসে পরলো। অন্যদিন হলে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখতো। ক্লাসে একটা সুন্দর আমেজ এসেছে। স্যার নিজেই গল্প শুরু করল। গল্পটা এতো হাসির যে সবারই হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার মতন অবস্থা। আমিও প্রচণ্ড হাসলাম। শুধু শাহাবুদ্দিন তেমন হাসলনা। ক্লাস শেষে স্যার বলে গেলো আজ থেকে শাহাবুদ্দিন প্রতিদিন এই বেঞ্চে বসবে। আমার কেমন যেন লাগলো। প্রতিদিনই বসবে কেন? এটা কেমন নিয়ম। শাহাবুদ্দিনকে আর আগের মতন আজম স্যার কান ধরায় না৷ মাঝেমাঝে একটা করে সহজ প্রশ্ন করে না পারলেও বসিয়ে দেয়। আমার সাথেও শাহাবুদ্দিনের তেমন কথা হয়না। আমিই বলিনা। সেবার শুক্র বার আমি মাহুবর স্যারের বাসায় গেলাম। স্যারের বাসায় একটা অনুষ্ঠান। উনার ছোট ছেলের সুন্নাতে খৎনা৷ আমার বাবা পুলিশ অফিসার বিধায় স্যারের দাওয়াত পেলো। আর বাবার সাথে আমিও গেলাম। গিয়ে স্যারের বাড়িতে শাহাবুদ্দিনকে দেখে বেশ অবাক হলাম। স্যারকে বলতেই স্যার বলল….
–ওর বাবা নেই, ওর মা আমাদের বাসায় কাজ করে। তাই আমাদের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলাম। ছেলেটাকে একটু সাহায্য করো রুবেল।
-আচ্ছা।
আমি আর কিছু বলিনি। আমার জীবনে এতটা চুপচাপ ছেলে দেখেনি। ক্লাসে যেখানে আমরা সবাই হৈ-হুল্লোড়ে মেতে থাকি সেখানে শাহাবুদ্দিন চুপচাপ। সেবার পিকনিকে গেলাম। শাহাবুদ্দিনও আমাদেরও সাথে। সবাই মিলে আনন্দ উল্লাস আর সেও চুপচাপ। আমি সাথে করে ক্যামেরাও নিয়ে ছিলাম সবার একটা ফ্রেম করছিলামও ছবির৷ সাদিক ভাইদের বিদায় অনুষ্ঠান হলো। সেদিন আজম স্যারের বক্তব্যে সবাই প্রায় কেঁদেছিলো। বক্তব্য শেষে সাদিক ভাই বলল….
–রুবেল শোন।
-হ্যা ভাই বলো..!
–আজম স্যার মানুষ টা খারাপ নারে। যতই গালি টালি দেই স্যার আমাদের ভালোর জন্যই মারে। তোদের মিস করব খুব।
সাদিক ভাই সেদিন আমাকে জড়িয়ে ধরে অনক কেঁদেছিল৷ কি অদ্ভুত বিদায় অনুষ্ঠানে কেউ কাঁদে। দুই বছর একটা স্কুলের প্রতি কতইনা তাদের মহব্বত। আমরাও ক্লাস টেনে উত্তির্ণ হলাম৷ শাহাবুদ্দিনের জায়গা আমার পাশেই। আজম স্যার বলে দিয়েছে আমি যেন ওকে সাহায্য করি। এখন একটা মানুষের সাথে প্রতিদিন বসলে এমনিই মায়া জন্মে যায়। শাহাবুদ্দিন এখন আমার সাথে কথা বলে৷ অংক না বুঝলে নিজ থেকেই বলে…
–এটা বুঝিয়ে দাও তো।
-কোন জায়গায় বুঝিসনি।
–প্রথম থেকেই।
আমি ওকে তুই করে বললেই শাহাবুদ্দিন আমায় তুমি করে বলে। তারসাথে এখন সবার মোটামুটি সক্ষতা গড়ে উঠেছে। সেও রিডিং পড়ায় মোটামুটি আগের চেয়ে ভালো। তবে কখনো হাসতে দেখিনি। আজম স্যার আগের মতই পড়া না পারলে কান ধরিয়ে রাখে সেই ভয়ে সবাই পরে আসে। মাঝেমাঝে হাসির গল্প বলে, সবাই হাসতে হাসতে কাহিল।
মাঝেমাঝে বিকেল বেলা বাজার দিয়ে ঘুরে বেড়াই। বাসায় কাজের লোক আছে তবুও নিজেই বাজার করি। শুক্রবার করে শাহাবুদ্দিনের সাথে বাজারে দেখা হয়। একেকদিন লাউ, পেঁপে, লাল শাক, সিম বাজারে নিয়ে আসে। হয়তো বাসায় গাছ আছে। ও যে আমায় দেখে লজ্জা পায় এটা বুঝি৷ ওর আত্মনির্ভরশীলতা দেখে ভালো লাগে৷ একদিন কয়েকজন বন্ধুরা মিলে ওদের গ্রামে বেড়াতে যাই। সেদিন শাহাবুদ্দিনকে দেখি মাথায় করে ধানের বোঝা নিচ্ছে। আমাদের দেখে সে মোটামুটি লজ্জা পেলো। বাসায় নিয়ে গেলো। একটা চার চালা টিনের ঘর, শোলার বেড়া। উঠোনে পেঁপে গাছ, সিম গাছ, লাউ গাছ। শাহাবুদ্দিন নিজেই ওদের গাছের পাকা পেঁপে কেটে দিয়েছিল। সবাই আয়েশ করেই খেলাম। খাওয়া শেষ হতেই লজ্জামাখা মুখ করে বলল….
–আমার কাজ আছে, তোমরা গ্রাম দেখো আমি কাজ শেষে আসছি।
-আরে সমস্যা নাই আসতে হবেনা কাজ করো।
সেদিন চলে এসেছিলাম। কিন্তু পড়াশোনায় শাহাবুদ্দিনের তেমন উন্নতি হয়নি। সেই আগের মতনই প্রায়। পরীক্ষা ঘনিয়ে আসলো। পরীক্ষা শুরু হলো। শাহাবুদ্দিনের সাথে টুকটাক কথা হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে শাহাবুদ্দিনের আর দেখা পাইনি।
রেজাল্টের দিন শাহাবুদ্দিনের রেজাল্ট আসলো ২.৭৮। সেদিন প্রথম তার মুখে হাসি দেখেছিলাম। এতটা খুশি এর আগে ওকে কখনো দেখিনি। স্কুলের পাশেই হোটেল ছিল সে নিজেই আমাকে পরোটা খাইয়েছিলো। ওর সরলতা দেখে সেদিন হেসেছিলাম। এত খারাপ রেজাল্ট করেও ছেলেটা হাসছে। হয়তো প্রত্যাশা করেছিলো সে ফেল করবে। কলেজে এডমিশন নিলাম সাইন্সে। শাহাবুদ্দিন ভর্তি হলো ভোকেশনালে। এরই মধ্যে বাবার ট্রান্সফার হয়। আমরা ঢাকায় চলে আসি। এখানে এসেই কলেজে ভর্তি হই আমি। একদিন পিসি তে সবার ছবি দেখি। মনে পরে যায় পিকনিকের কথা সবাই মিলে ছবি উঠেছিলাম। শাহাবুদ্দিনকে দেখলাম না ছবিতে।
তারপর প্রায় ৫ বছর পর রংপুরে যাই। বাবার সাথে মাহুবর স্যারের বেশ যোগাযোগ হয়। তাই বেড়াতে গেলাম। মাঝেমাঝে আজম স্যারের কথা মনে পরে। মনে পরে সাদিক ভাইর কথা যে কথার কথায় গালি দিত আজম স্যারকে। মনে পরে চুপচাপ স্বভাবের সেই শাহাবুদ্দিনের কথা। মাহুবর স্যারের বাসায় আসতেই স্যার জড়িয়ে ধরলেন। বেশ কথা বললাম। এক পর্যায়ে কৌতূহলের স্বরেই বললাম….
–স্যার শাহাবুদ্দিনের মা’তো এই বাড়িতে কাজ করতো। এখন ওরা কোথায়?
-ওর কথা মনে আছে তোমার?
–অনেক সহজসরল ছিল সে।
-হুম, সেতো বিয়ে করেছে।
–বলেন কি স্যার? কেমনে কি?
-হা হা, তুমি যাওয়ার ৩ বছর পরই বিয়ে করেছে। ওর মা ওর খালার মেয়ের সাথে বিয়ে দিছে। একটা বাচ্চাও আছে ওর। ও ভালো কথা শাহাবুদ্দিনের এখন দোকান আছে।
–কিসের দোকান?
-স্টুডিওর দোকান। কিভাবে ছেলেটা বদলে গেলো।
আমি কিছু বললামনা৷ স্যার আমাকে স্যারের ছোট ছেলে শাওনকে বললেন যেন শাহাবুদ্দিনের দোকানে নিয়ে যায়। আমি শাওনের সাথে বাজার মুখি হলাম। ‘শাহাবুদ্দিন স্টুডিও এন্ড ফটোকপি’ নামের দোকানের সামনে থামলাম। সাইনবোর্ডে লেখা, ‘শাহাবুদ্দিন স্টুডিও এন্ড ফটোকপি, এখানে ৫ মিনিটেই রঙ্গিন ছবি দেওয়া হয়৷ এবং ফটোকপি করা হয়৷’ আমি ভিতরে গিয়েই দেখলাম সবুজ টিশার্ট পরা শাহাবুদ্দিন কাগজ ফটোকপি করতেছে। আমাকে দেখেই সে খানিকটা ভরকে গেলো। আচমকা জড়িয়ে ধরলো। অনেক্ষণ পর বলল….
–কেমন আছো?
-ভালো। তুমি? দোকান করেছো দেখি। আগের চেয়ে কত পরিবর্তন।
সে কিছুটা লজ্জা পেলো। আমাকে চেয়ারে বসতে বলে নিজেই দৌঁড়ে গেলো চা আনতে। চা খেতে খেতে অনেক কথা বললাম। কম্পিউটারের মনিটরের স্ক্রীনে একটা ছোট বাচ্চা মেয়ের হাস্যজ্জল ছবি ভাসছে। শাহাবুদ্দিন নিজ থেকেই বলল….
–আমার মেয়ে, নাম তিথ।
-বাহ সুন্দর নাম। তাহলে বন্ধুদের মাঝেই তোমার উইকেট সবার আগে পরলো।
–হা হা হা…!
সে হাসছে। আমি সেই হাসির দিকে তাকিয়ে আছি। সেই মাধ্যমিক স্কুলের শাহাবুদ্দিন আর আজকের শাহাবুদ্দিনের মাঝে কত পার্থক্য। কতকিছুই বদলে গেছে। শাহাবুদ্দিন আগের চেয়ে ফর্সা হয়ে গেছে। আমি ঘুরে ঘুরে সবকিছু দেখলাম। দেয়ালে একটা বাচ্চা মেয়ের ছবি। টাঙ্গানো, তার নিচে লেখাঃ-
‘নাম~ মোছাঃ তামান্না আক্তার (তিথি)
জন্মঃ ১২ জানুয়ারী ২০১৯ ইং
মাতা~ মোছাঃ তানিয়া খাতুন
পিতা~ মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ।’
সেই ছবির পাশে পিকনিকের একটা ছবি বাধাই করা৷ যেখানে শাহাবুদ্দিন বাদে আমরা সবাই আছি৷ সবার মুখেই হাসি। ঐতো আজম স্যারও ছবিতে, আজম স্যার হাসছেন।
গল্পের বিষয়:
গল্প