বেশ কয়েকদিন ধরেই লক্ষ করছি মেয়ের টিচার আমার দিকে কেমন করে যেনো তাকায়। ছেলেটার নাম সিয়াম। বয়স ২৪/২৫ এমন হবে। নাহ এই সিয়াম পোরা মন টু করেনি। আমার বয়স ২৫ চলছে সেইক্ষেত্রে সে আর আমি প্রায় সমবয়সী। অবশ্য আমি দেখতে ও সুন্দর সেটা আর নাইবা বললাম আপনাদের। তাই হয়তো ছেলেটা ওভাবে তাকায়। কোনো পুরুষ কোনো মহিলার দিকে অন্যভাবে তাকানোটা আমরা সোজা বাংলায় লুচ্চা বলে থাকি। তবে কি আমার মেয়ের টিচার কোনো লুচ্চা? নাহ নাহ এ আমি কি ভাবছি ছিঃ। হতে পারে আমি তার বোনের মত দেখতে, বা তার কোনো বান্ধুবীর মত।
পরের দিন,,, মেয়ের টিচার এলো, আমি তাকে নাস্তা দিতে গেলাম। সে আমার দিকে একটু চেয়ে বলল আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো। আমার বুকের মধ্যে ঠাডা পরার মতন একটা ব্যাপার টুপ করে এসে ঘপ,করে নেমে গেলো। আমি ওনার দিকে চেয়ে ভান করে বললাম আপনার টাকা লাগবে? কিন্তু মাস তো এখনও শেষ হয়নি। আচ্ছা ব্যাপার না আমি দিচ্ছি। ছেলেটি বলল আহা টাকা না অন্য কিছু। আমার বুকের ভিতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেলো। না জানি কি বলবে। আমি ওনাকে বললাম ঠিক আছে বলুন কি বলবেন আপনি। আপনার মেয়ের সামনে বলবো..! এইরে যা ভেবেছি ছেলেটি নির্ঘাত প্রেপোজ করবে কিন্তু ওর হাঁটু কাঁপছে কেনো? আর কাঁপারি কথা একজন সুন্দরী বিবাহিতা কে জেনে শুনে প্রোপোজ করা ভাল কিছুনা। আমি ওনার দিকে চেয়ে বললাম আসুন। বলেই আমি পাশের রুমের দিকে পা বাড়ালাম। ছেলেটিও আমার পেছন পেছন চলে এলো। আমি এই ফাঁকে দৌড়ে গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একনজর নিজেকে দেখে নিলাম। বাহ কত্তো কিউট আমি ঠিক যেনো বলিউড অভিনেত্রী নার্গিস ফখরী।
ও মাই গড ছেলেটি আমার সামনে এসে কাঁচুমাচু করে বলল। যদি আপনাকে আজ বলি আপনি মাইন্ড করবেন নাতো? আরে নাহ মাইন্ড এর কি আছে আপনি নির্ভয়ে’ই বলুন। ছেলেটি এদিক ওদিক তাকাচ্ছে, আর বলল একটু পানি দিবেন। আমি তার কাণ্ড – কারখানা দেখে কিচেনে পানি নিতে এসে খুব হাসলাম। এই ছেলেতো মনে হয় প্রোপোজ করতে গিয়ে আজ কাপড় নষ্ট করে ফেলবে এটা ভেবে হাসতে হাসতে একটু নেচেও নিলাম ছাম্মা ছাম্মা পানি নিয়ে এসে ছেলেটিকে দিলাম। ছেলেটি কাঁপা কাঁপা হাতে পানির গ্লাসটি নিচ্ছিলো। যেনো গ্লাসটি তাকে বলেছে হে সয়তান আমায় টাচ করবিতো গুলি খাবি। যাক সে অবশেষে গ্লাস হাতে নিয়ে পানিটা পান করে আমায় উদ্ধার করলো। এবার, আবারো বলল,,, আপনি সত্যি মাইন্ড করবেন নাতো?
আরে না, না বলেন। ( আমিতো জানি চান্দু তুমি কি বলবা। কিন্তু তোমাকে আমি,ঝুলিয়ে রাখবো আমারতো স্বামী আছে। হিহি) মনে মনে এগুলা চিন্তা করে আরেক ধফা হেসে নিলাম। ছেলেটি এবার বলতে আরম্ব করলো,, আমি যেদিন প্রথম আপনার মেয়েকে পড়াতে এলাম সেদিন থেকেই পছন্দ করে ফেলেছি। কিন্তু ভয়ে বলতে পারিনি। তাই আজ বলতে চাই আপনার ননদের নম্বরটা প্লিজ দিন তাকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি। প্লিজ এটা আপনার স্বামীকে বলবেননা। আপনি আমার বড় বোনের মতন।
গল্পের বিষয়:
গল্প