-কিরে কই যাইস?? বিলটা দিয়া যাহ!!(ঝিমি)
-মানে কি!??আমি দিমু কেন??(আমি)
-তুই দিবি না তোহ কে দিবে?
-ও খোদা খাওয়াইলি তুই আর বিল দিমু আমি!!! আযব ব্যাপার তোহ!! তুই দিয়া দিস আমি গেলাম।।
– অই কুত্তা অই বিল দিয়া যাহ।।
হিহিহিহি আমায় আর পায় কে।আমি আবির আর উনি হইলো আমার কলিজার দোস্ত।।আমরা ঢাকায় একসাথেই অনার্স করছি। কিন্তু সমস্যা হইলো আমি অরে একদম সজ্য করতে পারি নাহ। কারন তিনি আমার আম্মুর কাছে আমার থেকেও প্রিয়। তবে সজ্য করতে না পারলেও অরে ছাড়া কেম্মা যেন ফাকা ফাকা লাগে। একসাথেই ঘুরি সবসময়।।কিন্তু সুযোগ পাইলে বাশ দিবার ছারি নাহ যেমন আজ দিলাম। হোটেলে খাওয়াদাওয়া করে উটব। তখনি উপরের কথা গুলা বল্ল। কিন্তু এখন ওর কথা শোনার সময় নাই শুনতে গেলে পকেট খুলে যাবে শার্ট থেকে।। তাই পকেট বাঁচাইতে এক ছুটে বাড়ি চইলা আসলাম। । এসেই ফ্রেশ হয়ে একটা লম্বা ঘুম দিলাম।।ঘুম ছাড়া জ্বীবনে আর আছে কি বলুন?? ঘুম থেকে উটলাম। উইঠা দেখি অনেক গুলা মিস কল। হুম ঝিমির ফোন।। ব্যাক করলাম!!
-কিরে শয়তানের নানা এতক্ষন কি পাতালে উইড়া উইড়া হাডুডু খেলছিলেন??(ঝিমি)
-না জানু আমি তোহ তোমার নানির সাথে ভলিবল খেলছিলাম।।(আমি)
-চুপ থাক ফইন্নি।।তুই একটু আমাদের বাসাতে আয় তোহ। দরকার আছে!
-কি দরকার??
-কুত্তা তোরে দিয়া বাসন মাজাবো আমাদের কাজের বোয়া ছুটিতে গেছে ।।
-আচ্ছা তাইলে আসছি নাহ। থাক বাবুনি!
-তোকে এখনি আসতে বলছি আসবি ব্যাস। না আসলে পরে কি হইতে পারে আশা করি বুঝতেই পারবি??
-না সোনা আসছি।
-হুম
ছূটলাম আবার তাদের বাসায়। বিকাল হইয়া গেছে ।। একটু ভাব নিয়াই হাটছিলাম কানে ইয়ারফোন গুজে ।। হঠাত ওদের বাড়ির সামনে আসতে কে যেন আমার নাম ধইরা ডাক দিল!!
-আপনি আবির নাহ??(অচেনা মাইয়া)
-জ্বী। কিন্তু কেন?(আমি)
-না মানে আপনি তোহ ভারচুয়ালে কিছু লেখালেখি করেন তাই নাহ?
-অই একটু একটু।
-হুম আমি আপনার গল্পের বড় ফ্যান।। আর এখন আপনারো।।
-মানে?? (যদিও মনে মনে লুংগি ড্যান্স মারছি তবুও ভদ্র সাজছি একটু)
-মানে আপনাকে বুঝতে হবে নাহ!! আসলে আমি অনন্যা। এই বিল্ডিং এর নিচ তলায় থাকি। আর আপনাকেও মাঝে মাঝে দেখি এখানে আসতে। তবে আগে জানতাম না যে আপনিইই সে রাইটার!!!
-অহ আচ্ছা।
-হুম সো আমরা,,,,,,,
আর কিছু না বলতেই উপর থেকে কেও হুংকার দিয়ে উটলো,,
-অই তুই অখানে কি করিস?? তাড়াতাড়ি উপরে আয়।। ১সেকেন্ড সময়ও যেন না লাগে!!!(ঝিমির গলা)
উপরে তাকিয়ে একটু বিরক্তিইইই হইলাম।।এই ফইন্নি মাইয়া আমায় কখনই অন্য কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে দেয় নাহ।। কোথায় একটু ভাবেএ আছি যে অন্ততপক্ষে কেও তোহ এই পৃথিবীতে এখনো আছে যে আমার ফ্যান। বাহ ভাবলেই কেমন যেন গা শিউরিয়ে উটছে।। কিন্তু অই ফাযিল মাইয়া সব মুড মাটি কইরা দিল।।
-আচ্ছা এখন থাকো পরে দেখা করব।।( আমি)
-আচ্ছা বাই(অনন্যা)
বলেই ওর থেকে বিদায় নিয়ে চইলা আসলাম ঝিমির বাসাতে ।। আসতেই ঝাড়ি খাইতে হচ্ছে। কেন আমি ওর সাথে কথা বললাম কেন দারালাম ইত্যাদি ইত্যাদি,, আসলে মাইয়াদের মাঝে হিংসা বেশি। একজন আরেকজনের নামে বদনাম করে বেরায়।।
-অই তুই আমায় ঝাড়ি খাওয়ানোর জন্য ডাকছিস??(একটু রেগেই বললাম)
-কেন আমি তোকে ডাকতে পারি নাহ??(ঝিমি)
-দেখ তোর হুদাই প্যাচাল শোনার সময় নাই। আমি গেলাম। কোনো কাজ থাকলে বল!!(একটু ভাব লইলাম।)
-আমি হুদাই প্যাচাল পারছি!??আমার কথা তোর ভাল লাগে নাহ তাই নাহ??!
-অবশ্যই লাগে নাহ!তোর হুদাই প্যাচাল শুনতে আর ভাল লাগছে নাহ আমি গেলাম।।
– অহ আচ্ছা।আমিই তোকে সবসময় ড্রিস্টাব করি তাই নাহ?? তোর একবারো ইচ্ছে করে না আমার সাথে কথা বলতে!!!(চোখে পানি আসছে মনে হইলো)
-নাহ।।(যাক এখন তাও একটু কম জালালে বাইচা যামু)
-আচ্ছা।।
-হুম আমি আসি বাই।।
-হুম।
বলেই চইলা আসলাম বন্ধুদের কাছে।। দিনকাল এভাবেই যাচ্ছে। কলেজ টু বন্ধু আর বন্ধু টু বাড়ি ।। এই আমার ঘুড়াফেরা। কিন্তু ঝিমি কে ইদানিং কেমন যেন লাগছে।।!!!! আগের মতো কথা কয় নাহ।। ওর বাসাতেও যাইতে বলে নাহ আগে মাঝে মাঝে ওর বাসায় আড্ডা দিতাম।। আমাদের বাসাতেও ও আসতো।। খুব মিস করছি ওর পাগলামি গুলা।।। ফোনও তোহ দেয় নাহ আর।। যাই হোক এভাবে আর হচ্ছে নাহ!আমি ফোন লাগালাম,,
-হ্যালো জানু কি খবর?(আমি)
-হুম ভালই।(ঝিমি)
-আমায় জিজ্ঞেস করলি নাহ আমি কেমন আছি??
-নাহ। তুই তো ভালই থাকবি!!
-অহ। আমাদের বাসায় আয় আম্মু আসতে বল্লল তোকে!!
-সরি রে!!
-কেন কি হইছে??
-না মানে বাইরে যাওয়া যাবে নাহ আর!!
-কেন বডিগাড লাগলে আমি আসছি দাড়া!!
-না রে আসলে আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।,,
গল্পের বিষয়:
গল্প