লজ্জা করছেনা আপনার নিজের থেকে চৌদ্দ / পনেরো বছরের ছোট একটা মেয়েকে ঘরে বউ করে আনতে? এই প্রথম কথা ওনার সাথে আমার।
কিন্তু উত্তর পেলাম না, লোকটা ফ্যালফ্যাল করে আমার দিকে তাকিয়েই আছে। ওনার হ্যাবলার মতো তাকানোর ভঙ্গি দেখে আমার রাগ শুধু বেড়েই যাচ্ছে।
কি হলো কিছু বলছেন না যে কেনো বিয়ে করলেন আমায়? আমার জীবনটাকে বিষিয়ে দেওয়ার জন্য!
আমি নাহয় মেয়ে মানুষ আমাকে জোরপূর্বক বিয়ে দিছে পরিবার থেকে, কিন্তু আপনি তো পুরুষ মানুষ। কেমন পুরুষ আপনি যে নিজের থেকে এতো ছোট একটা মেয়ে কে বউ করে নিয়ে আসলেন , কেনো পুতুল খেলার জন্য নাকি বলেন?
একটা কথারো উত্তর না দিয়ে লোকটা ওয়াশরুমে চলে গেলেন। এদিকে আমার রাগের মাত্রাও অধিক হারে বাড়ছে। আমি আবার অতিরিক্ত রাগ উঠলে রাগের প্রভাবে কেঁদেই ফেলি।
আধা ঘণ্টা পার হয়ে গেলো লোকটা ওয়াশরুম থেকে এখনো বাইরে আসছে না। তাতে আমার কি, আমি তো এই অর্ধবয়স্ক লোকটাকে বিয়ে করতেই চাইনি।
বাবা মা কে এতো করে বললাম এই লোকটাকে বিয়ে করতে পারবো না আমি, শুনলোনা আমার কথা কেউ।
পালিয়েও আসতাম রবির সাথে (আমার বয়ফ্রেন্ড) পরিকল্পনা করছিলাম ওর সাথে কিন্তু পরদিন রাতেই বিয়ে দিয়ে দিলো। কাছের আত্নীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশী দিয়ে বাড়ি ভর্তি ছিলো তাই আর পালাতে পারলাম না।
কবুল, কবুল, কবুল তিনবার বলেই দিলাম শুধু মুখদিয়ে মনথেকে নয়।
রাগে দুঃখে কিছুক্ষণ নিরবে কান্না করে রবির কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম, যে কাল রবির সাথে কথা বলতে হবে আমি এই লোকটার সাথে থাকতে পারবোনা ও যেনো এখান থেকে নিয়ে যায় আমাকে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম লোকটা ফজরের নামাজ পড়ছেন। পাশে আর একটা জায়নামাজ বিছিয়ে রেখেছেন হয়তো আমার জন্য, অন্য দিন নামাজ পড়লেও আজ ওনার জন্য নামাজ পড়লাম না আমি (চলে যাওয়ার পর একা পড়ে নিলাম) । নামাজ পড়ে বাইরে বেড়িয়ে গেলেন উনি। আমি নামাজ শেষ করে
ঘরেই বসে আছি।
একটু পর দরজায় কড়া নাড়লেন ওনার মা – বউমা উঠছো তোমরা এই বলে, আমি জ্বী মা বলে দরজার কাছে গিয়ে শ্বাশুড়ি কে ভিতরে নিয়ে আসলাম ।
একটা ছোট মেয়ে বয়স নয়-দশ হবে হয়তো, সে ট্রেতে সকালের নাস্তা নিয়ে আসছে।
শ্বাশুড়িমা – জুলি তুই খাবারের ট্রেটা টেবিলে রেখে রান্নাঘরে তোর ছোট ভাবি কে কাজে সাহায্য কর যা।
শ্বাশুড়ি মা – কাল তোমাদের খোঁজ ঠিকভাবে নিতে পারিনি, কোনো অসুবিধা হয়নি তো মা তোমাদের ?
আমি- না মা, কোনো সমস্যা হয় নি।
শ্বাশুড়িমা – আচ্ছা ঠিক আছে নাস্তা করে বিশ্রাম নেও তোমরা।
আমি ঠিক আছে মা। তখন বিছানায় বসা অবস্হায় শ্বাশুড়িমা আমাকে জড়িয়ে কাঁদতে লাগলেন আমার কেনো জানি ওনার এই সময় আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাটা স্বাভাবিক লাগলো না। কান্না থামিয়ে শ্বাশুড়িমা আমার মাথায় হাত দিয়ে বলছে আমার ছেলেটা অনেক সহজসরল ওকে দেখে রেখো মা।
তখনি রুমে লোকটা প্রবেশ করেন। মা কথা থামিয়ে বলেন বাবা তোরা নাস্তা করে নে আমি যাচ্ছি, লোকটা মুচকি হেসে মাথা নাড়িয়ে হ্যা সূচক সম্মতি জানায়।
লোকটা রুমে সোফায় বসে হাতে করে আনা খবরের কাগজ এ মুখ ডুবাই আছে।
এদিকে আমার পেটে ক্ষুধাতে ইঁদুর দৌড়াচ্ছিল। খাবার টেবিলে, কিন্তু আমার খেতে কেমন একটা দ্বিধা লাগছে নিজে থেকে।
আমি – শুনেন মা তো নাস্তা করতে বলে গেলো খেয়ে নিন।লোকটা একটু মাথা উঠায় আবার খবরের কাগজ পড়তে লাগলেন।
আমি আর অপেক্ষা না করে একাই কিছু খেয়ে নিলাম। একটুপর লোকটা ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলেন না খেয়েই।
আমিও এই সুযোগে রবি কে কল দিলাম রিং হচ্ছে কিন্তু রিসিভ করছে না। পাঁচবার বার কল দেয়ার পর ষষ্ঠ বার কল রিসিভ করলো।
রবি – দেখো জান্নাত (আমি) তুমি এখন অন্যের বিবাহিত স্ত্রী, এভাবে আর আমাকে কল দিবা না।
আমি – এই অর্ধবয়স্ক লোকটার সাথে আমি থাকতে পারবো না, তুমি আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও।
রবি – পাগলামি করোনা জান্নাত, আমার পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। তুমি এখন একজন এর বউ, আমার কেউ নও। আর কখনোই কল দিওনা, ভালো থেকো। এই বলে ফোনটা কেটে দিলো রবি।
আমি হতাশ হয়ে, আবার কল দিচ্ছি রবিকে কিন্তু নাম্বার ব্যস্ত একবার রিং হয়ে ব্যস্ত বলে কেটে যাচ্ছে । তার মানে রবি আমার মোবাইল নাম্বার টা ব্লাকলিস্টে রেখে দিলো!
এমনি মনটা খারাপ আরো খারাপ হয়ে গেলো রবির আচরণে। জানালার পাশে এসে দাড়িয়ে প্রকৃতি দেখছি আর চোখ থেকে পানি ঝড়ছে।
এমন সময় আমার ছোট জা রুমে এসেই, কি ভাবি বাসর রাত কেমন কাটলো বলেন শুনি ?
আমি – জ্বি ভালো।
জা – আমাদের ভাইয়া কিন্তু অনেক ভালো মানুষ ভাবি। এ বাড়ির সবাই ওনাকে অনেক পছন্দ করে, আমিও ওনাকে ভাসুর নয় নিজের ভাই আর উনিও আমাকে নিজের ছোট বোনের মতোই স্নেহ করেন।
আমি – চুপ করে আছি।
জা – আরে ভাবি আপনার চোখ দেখছি লাল হয়ে আছে! বাবা মার জন্য মন খারাপ লাগছে বুঝি? প্রথম প্রথম আমারো অনেক খারাপ লাগতো কিন্তু এ বাড়ির সবার সাথে থেকে এখন বাবা মার কথা খুব কম মনে পড়ে।
আসেন তো আমার সাথে নিচে যাই, একা একা থেকে বেশি নিঃসঙ্গ বোধ করছেন, ভাইয়াটাও যে কোথায় নতুন বৌ কে একলা রেখে উধাও।
আমি কিছু বলতে যাবো ওমনি ছোট জা আমার হাত ধরে নিচে নিয়ে যাচ্ছে, আমিও আর কিছু না বলে ওনাকে অনুসরণ করে চলছি আর দেখছি বাড়িটা বেশ বড়ো আর সুসজ্জিত দুইতলা বিশিষ্ট । লোকটার ছোট ভাইয়ের বউ হলেও আমার থেকে আমার ছোট জা বয়সে অনেক বড় হবে।
ছোট জা একটা রুমের সামনে এসে পিউ বলে ডাকতেই ছোট্ট একটা পরীর মতো সুন্দর মেয়ে দৌড়ে আসলো।
জা – ভাবি আমার ছোট মেয়ে পিউ, আর বড় ছেলেকে ওর বাবা স্কুলে নিয়ে গেছে। পিউ মা এইযে তোমার বড়আম্মু এই কথা বলতেই পিউ আমার কোলে আসার জন্য হাত উঠালো।
আমিও খুশি মনে পিউকে কোলে নিয়ে গালে একটা আদর দিলাম, পিউও আমার গালে আদর দিলো তখন জড়িয়ে নিলাম বুকে পিউ কে।
পিউ এর সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে রান্না ঘরে গেলাম।
ছোট জা কে আপু সম্মোধন করে বল্লাম আপু আমিও হেল্প করবো আপনাকে? ওমা সেকি কথা মা জানতে পারলে আমাকে অনেক বকবেন, ভাবি আপনি তারচেয়ে বিশ্রাম নিন রুমে গিয়ে । আর আমার নাম আশা আপনি আমাকে আশা বলেই ডাকেন।
আমি – না তা হয়না আমার কোনো বোন নেই আমি আপনাকে আপু বলেই ডাকবো।
জা – খুশি হয়ে ঠিক আছে ভাবি।
আমি টুকটাক সাহায্য করছি আশা আপু কে। রান্নাঘরে আরো দুজন মহিলা অন্যান্য কাজ করছে, কিন্তু রান্না আশা আপুই করছে একা।
শ্বাশুড়ি মা রান্নাঘরে প্রবেশ করেই, একি আশা তুমি প্রথম দিনেই নতুন বউমা কে রান্না ঘরে নিয়ে আসছো?
আশা আপু কিছু বলতে যাবার আগেই আমি বললাম,
না মা আমি নিজে থেকেই আসলাম আর আপু তো আমাকে রান্নাঘরে ঢুকতেই দিচ্ছিলো না।
শ্বাশুড়িমা ঠিক আছে বউমা, আর আশা তোমার ভাইয়ার ভাতের সাথে খাওয়ার জন্য মিষ্টি চাটনি টা করছো?
আশা আপু – না মা এখনো করিনি সবকিছু রেড়ি, করে ফেলবো একটু পর।
শ্বাশুড়িমা – ঠিক আছে, আমার দিকে তাকিয়ে বড় বউমা আমার ছেলেটা খাওয়ার শুরুতে কোনোকিছুর টক মিষ্টি চাটনি ছাড়া খেতে পারে না, বলে রান্নাঘর থেকে বেড়িয়ে গেলেন।
আশা আপু বেগুন তেঁতুল এর টক দিয়ে চাটনি করছে, আমি পাশে দাড়িয়ে দেখছি, আর আপুর বিয়ে কিভাবে হলো সেই গল্প শুনছি।
মহিলা দুজন যেনো কোথায় বেড়িয়ে গেলেন, এমন সময় পিউ মা মা বলে চিৎকার করছে আপু দৌড়ে রান্নাঘর থেকে বের হয়ে পিউ এর খোঁজে গেলেন।
আমিও এই সুযোগে চাটনিতে ইচ্ছে মতো মরিচের গুঁড়ো, লবন আর পাশে রাখা করলার জুস এর কিছু মিশিয়ে দিলাম। আমার শ্বশুর এর ডায়াবেটিস তাই তিনি করলার জুস খান করলার মৌসুমে ।
একটু পর আশা আপু ফিরে এসে, চাটনি হয়ে গেছে বলে নামায় ফেললো।
আমিও রুমে চলে আসলাম মন অনেক খারাপ থাকলেও চাটনিতে ওসব মিশিয়ে এখন বেশ ফুরফুরে লাগছে এটা ভেবে যে লোকটা ওই চাটনি খাবে কিভাবে!
জোহরের নামাজের পর মসজিদ থেকে বাড়ির পুরুষেরা ফিরলে সবাই একসাথে দুপুরের খাবার খেতে বসলাম।
দুপুরে খেতে বসে দেখলাম আমার আরো একটা ছোট দেবর আছে আর বড় ননদ ও ছোট ননদ দুপুরে খেয়েই তাদের নিজের স্বামীর বাড়িতে চলে যাবে দুলাভাইরাও সঙ্গে আছেন।
সবাই কে খেতে বসায় দিয়ে আশা আপু আর শ্বাশুড়িমা পরিবেশন করছেন, সবমানুষের মুখে এতো কথা কিন্তু ওই লোকটা কোনো কথাই বলেনা। এ কেমন মানুষ ( আমি মনে মনে) !
সবাই খেতে শুরু করেছে, আমি অপেক্ষা করছি লোকটা ওই চাটনি টা খেলে তার প্রতিক্রিয়া কি হবে তা দেখার জন্য । ছোট মেয়ে কে বিয়ে করার শখ কতো তা বুঝানোর জন্য ।
এমন সময় লোকটা বসা অবস্থায় আআ””’আআআআ বলে চিৎকার করতে করতে দাড়িয়ে মুখে হাত দিয়ে বাতাস করছে, সবাই খাওয়া বাদ দিয়ে উত্তেজিত হয়ে ওনাকে জিঙ্গেস করছে কি হইলো কিন্তু উনি শুধুই চিৎকার আর ছটফট করছেন। এতো ঝাল, লবন, তিতা সহ্য করতে পারেন নাই বেচারা।
শ্বাশুড়িমা কান্নার কণ্ঠে বললেন আমার ছেলেটা কথা বলতে পারেনা, কিভাবে বুঝবো ওর কি সমস্যা হচ্ছে।
এই কথা শোনামাত্র কারেন্ট এর শক্ খেলাম পুরো শরীরে আর বজ্রপাত হলো মাথায়। নিজেকে সামলিয়ে পানি এগিয়ে দিলাম লোকটাকে, একনিমিশে সব পানি খেয়ে গ্লাস নাড়িয়ে আরো পানি চাইলেন আশা আপু পানি দিলেন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগলো। ভাগ্যিস বেগুনে সবার এলার্জি জন্য চাটনি কেউ খায়নি।
সবাই হালকা ভাবে দুপুরের খাবার খেয়ে যার যার স্থানে ফিরে গেলেন। আমি রুমে এসে ওয়াশরুমের দরজা আটকালাম, আর কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম শেষ পর্যন্ত এই ছিলো আমার কপালে বোবা, বুড়া স্বামী। কি পাপ করছিলাম আমি আল্লাহ বলে, আয়নায় নিজেকে দেখে আরো ভিতর থেকে কষ্টে কাঁদতে লাগলাম। বেশকিছু সময় পর রুমে এসে শুয়ে পড়লাম, এতো কান্নার পরো ভিতর থেকে আবার কান্না আসছে দূর্ভাগ্যের জন্য।
এভাবে শুয়ে বিকেলটা কাটালাম, সন্ধায় আব্বু আম্মু আর ছোট ভাই আমাকে আর লোকটাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ বাড়িতে আসলো।
আমি ওদের কারো সাথেই ভালো ভাবে কথা বললাম না। তাড়াতাড়ি রাতের খাওয়া শেষ করে আমাদের বাড়িতে গেলাম। গিয়ে ক্লান্ত লাগছিল বলে শুয়ে পড়লাম, খুব কষ্ট পেয়ে কান্না করলে আমার আবার ঘুম পায়।
বিছানায় শুয়ে আছি, লোকটা আমার বিছানার এক পাশে শুয়ে পড়লো দেখে আমি নিজে তার মাথা থেকে বালিশ নামিয়ে মেঝেতে ফেলে দিয়ে সেখানে শুতে বললাম। লোকটা বাধ্য ছেলের মতো মেঝেই শুয়ে পড়লো। কিন্তু কিছু বললে আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকানোটা ত্যাগ করতে পারলো না যা আমার কাছে খুব অসহ্য লাগে।
আমাদের বাড়িটা একটু গ্রামের পাশে তাই নতুন বিয়ে হলে গ্রামের অনেক মানুষ নতুন বর / বউ দেখতে আসেন। আজ সকালে উঠেই অনেক মানুষের কোলাহল দেখছি আমার বর দেখার জন্য।
লোকটা দরজার কাছে চেয়ার এ বসে আছে আর লোকজন বারান্দার নিচে দাড়িয়ে দেখছে নতুন বর কেমন তা।
আমি চলে আসার সময় শুনতে পেলাম কেউ কেউ বলছে এতো কথা বলছি নতুন বর এর এতো অহংকার একটা কথাও বলছে না বড়োলোক জন্য এমন হয় মানুষ , আমাদের জান্নাত কতো সুন্দরী, পরীর মতোন তার কপালে এমন একটা বুইড়া জামাই জুটলো, বরটা লম্বা আর সুন্দর আছে তয় বয়সটা একটু বেশি। এসব কথা শুনে আমার মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গেলো।
রান্না ঘরে গিয়ে রাগে আম্মু কে বললাম, আম্মু আমি আর ওই বাড়িতে যাবো না কিছুতেই না, ওই লোকটার এতো বয়স আর উনি কথাও বলতে পারে না বোবা। তোমরা কিভাবে এমন একটা লোকের সাথে আমার বিয়ে দিলে বলো?
আম্মু চুপ করে আছে, আব্বু রান্নাঘরে এসে আমার সব কথা শুনে আমাকে বললো মা কোনো পিতামাতা তার সন্তান এর খারাপ চায় না।
জামাই বাবা কিছুদিন আগে গ্রামে এসে তোকে দেখে খুব পছন্দ করে, আর তোর শ্বাশুড়ি সম্পর্কে আমার বড় বোন হন ছোটবেলা আমি একবার পুকুরে পড়ে গেছিলাম তখন তিনি আমায় বাঁচান, ওই ঋণ একটু হলেও শোধ করতে চাই আমি। আব্বু আমার মাথায় হাত রেখে বলছে তুই অনেক সুখী হবি রে মা দেখে নিস, হাতটা সরায় দিলাম আমি আর বললাম বোবা জামাই নিয়ে কি সুখী হবো আমি বলো তুমি?
আব্বু — জামাই আগে স্বাভাবিক মানুষ ছিলেন, একটা দুর্ঘটনার পর থেকে কথা বলতে পারে না। একটা কথা মনে রাখবি মা মানুষের সবথেকে বড় পরিচয় সে মানুষ।
আমি — কি দুর্ঘটনায়?
আব্বু কিছু বলার আগেই শ্বাশুড়ি মা মেবাইলে কল দিয়ে কান্না করতে করতে বললেন আমার শ্বশুর বাবা অনেক অসুস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন, আমরা যেন দ্রুত সেখানে যাই।
তখনই তাড়াতাড়ি বের হয়ে আব্বু, আম্মু, লোকটা, ছোট ভাই সহ রওনা দিলাম,,,,,,