বুকের উপর কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে মাঝরাতে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। লাফিয়ে উঠে ওরনা দিয়ে ভালভাবে বুকটা ঢাকার চেস্টা করলাম কিন্তু তাঁর লালসার দৃষ্টি এখনো আমার শরীরে দিকে। ব্যক্তিটি আর কেউ না আমার দাদু। আমার পাশে ফুফু ঘুমিয়ে ছিলো আমি ফুফুকে ডেকে তুলি হাত দিয়ে দাদাকে দেখাই। তখনি দাদা ফুফুকে বলে মাথা ব্যাথায় ঘুম আসছিলনা তোর কাছে ঔষধ আছে কিনা এই জন্য এসেছি। ছোটবেলা থেকেই আদর করারা নাম করে দাদু আমার সমস্ত শরীরে স্পর্শ করত তখন বুঝতাম না। জড়িয়ে ধরার নামকরে তার বুকের সাথে আমার বুক শক্ত করে চেপে ধরে রাখতো।
যখন চুমু খেত দাদুর মুখ থেকে গোংরানির শব্দ বের হত। এত কিছু বোঝার বয়স না হলেও এটুকু বুঝতাম কোন প্রবীত্র ভালবাসা ছিল না ছিল নোংরামি। যখন একটু বড় হয়েছি অল্পকিছু হলেও বুঝতাম। আমি তাকে এরিয়ে চলা শুরু করলাম কিন্তু সে আমার পিছে আঠার মত লেগে থাকতো। লজ্জায় কার সাথে শেয়ার করতে পারিনি। একদিন বাসায় তেমন কেউ ছিল না। ভাইয়ার এস এস সি পরীক্ষা ছিল আব্বু আম্মু ভাইয়ে সাথে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে ছিল। আর ফুপু ছিল কলেজে। দাদু এতদিন এই সুজোগটাই খুঁজছিল।তখন আমার পিরিয়ড হয়নি দাদু এসে আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে জোড় করে সেক্স করতে চায়। দাদুকে ছাড়ানো চেস্টা করি তার শক্তির সাথে আমি পেরে উঠটে পারছিলাম না শেষে না পেরে দাদুর চোখের উপর আঙুল দিয়ে গুত দেই।
সমস্ত শরীরে শক্তি দিয়ে ধাক্কা মেরে দৌড় দিয়ে অন্য রুমে চলে আসি। দরজা আটকিয়ে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকি দাদু এসে দরজা খোলার অনেক চেস্টা করেছিল পারিনি। ফুফির এসেছে টের পেয়ে বাসা থেকে বাহিরে চলে যায়।
ওই দিনের পড় থেকে আমি ওনার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেই। একা আর ঘুমাই না ফুফুর সাথে ঘুমাই। লোকটার মুখ দেখলেও ঘৃণা লাগে। সবাই দাদুর প্রশংসা করে লোকটার মত ভাল মানুষ হয় না। আমি চুপ করে শুনি কত ভাল লোক ছিল শুধু আমি জানি। ইসলামে ১৪ জন পুরুষের সাথে হাহাল সম্পর্ক, দেখা দেয়া জায়েজ তার মধ্যে দাদা একজন যাদের সাথে বিয়ে হারাম। আর এই হারাম কাজগুলো দাদা আমার সাথে করতে চেয়েছিল। এই ঘটনা ভয়ে, লজ্জায় কার কাছে বলতে পারিনি যদি কেউ বিশ্বাস না করে। পাঁচ বছর হয়েছে দাদা নামক জানোয়ারটা মারা গিয়েছে কিন্তু আমার বুকের ভিতরে এক রাশ ঘৃণা আজ রয়ে গেছে আমৃত্যু কাল পর্যন্ত থাকবে।
যমুনার জল দেখতে কাল স্নান করিতে লাগে ভাল যৌবনও মিশিয়া গেল জলেতে আমার বন্ধুরা সবাই আমায় নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে কেউ সামনাসামনি কেউ পিছনে বসে। স্যার একদিন ক্লাসে বসে সবার কাছে প্রিয় মুভি নাম জানতে চেয়েছিল। স্যার যখন জিঙ্গেস করেছিল তোমার প্রিয় মুভির নাম বল। আমি বলেছিলাম আমার প্রিয় মুভির হচ্ছে হুমায়ূন আহমেহ এর ঘেটুপুত্র কমলা। ক্লাসের সবাই হাসিতে ফেটে পড়েছিল। ঘেটুপুত্র কমলা আবার মানুষের প্রিয় মুভি হয়। হুম হবেনা কেন জহিরের মত যারা নির্যতনের শিকার হয় তারাই এই সব মুভি পছন্দ করবে।
আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি আমার খালাত ভাই ঢাকাতে আসে মেডিকেল কোচিং করার জন্য। ভাইয়াকে দেখে কিজে খুসি হয়ে ছিলাম বোঝাতে পারবোনা কিন্তু বুঝতে পারিনি সেই খুসির মানুষটা আমার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়াবে। খুসি হবার কারনটা ছিল সারাদিন বাসায় একা থাকতাম। আব্বু আম্মু সকালে যেত অফিস করে বিকালে বাসায় ফিরত। ভাইয়া আছে এখন আর একা থাকা লাগবে না। প্রথম প্রথম ভাইয়া শুধু চুমু খেত ভাবতাম আমাকে অনেক ভালবাসে এই জন্য এত আদর করে। আগে শুধু মুখে, ঠোঁটে চুমু দিত এখন দেয় সমস্ত শরীরে। কাজের বুয়া আরাইটার পরে যখন চলে যেত আমিন ভাইয়ের নির্যাতন শুরু হয়ে যেত। আগে দিনের বেলা আমাকে নগ্ন করত এখন রাতেও নগ্ন করে রাখে। সারারাত তার মনে যা চাইতো তাই করতো চুমু দিতে দিতে কামড় বসিয়ে দিত। ব্যাথায় শরীরে নাড়াতে পারতাম না।
বাবা মা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতো আমার প্রতি তাদের কোন খেয়াল ছিল না। ভাইয়ার প্রতি ছিল তাদের অগাধ বিশ্বাস। ভাইয়া এত ভদ্র হয়ে থাকতো কেউ বুঝতে পারতোনা ওর ভিতরটা নোংরামিতে ভরা। একটা ছেলে হয়ে কিভাবে ছোট একটা বাচ্চা ছেলেকে ইউস করে। ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখাত কাউকে কিছু না বলি। আমি থাকতে না চাইলে মারত। মাঝে মাঝে ছুরি ধরে বলতো তোর ঐটা কেঁটে দেব। আমি ভয়ে কাচু মাচু হয়ে থাকতাম। দিনের বেলা কষ্ট সইতে না পেরে চিৎকার দিলে, কান্না করলে বিশ্রী করে হাসতো। রাতের বেলা মুখ চেপে ধরে সেক্স করতো। কুকুরটা কাছে দিনের পর দিন নির্যতনের শিকার হয়েছি ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। মেঝ চাচা ফ্যামিলি নিয়ে ইটালী থাকে চার দিন হল দেশে এসেছে। চাচার ছোট ছেলে আমার থেকে আট মাসের বড়। চাচা আমিন ভাইয়ের ভাব গতি দেখে বুঝতে পেরেছিল ছেলেটা সুবিধার না। ঘুমের মধ্যে ভয়ে আঁৎকে উঠতাম আর বিরবির করে বলতাম ভাইয়া ব্যাথা পাচ্ছি। চাচা কান পেতে শুনতো আমি কি বলছি।
মেঝ চাচা যখন আমার প্যান্ট খুলেছিল আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম তাহলে কি চাচাও..??? চাচার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। আমাকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে আছে। আমার শরীরে, রানের উপরে বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট বাঁধা, কালো কালো হয়ে আছে। চাচার বুঝতে বাকি রইল না এত দিন কি ঘটেছে আমার সাথে। আমাকে বলেছিল শুভ্র বাসায় দড়ি আছে যা নিয়ে আয়। আমিনের হাত বাঁধা উলঙ্গ হয়ে আছে। চাচা আমার কানে ইয়ারফোন গুজে দিয়ে বলেছিল তুই চোখ বন্ধ করে গান শোন আমি না বলা পর্যন্ত চোখ খুলবিনা। আমার রুমের টাইলস করা মেঝেতে বিভিন্ন স্তানে ছিঁটান রক্তে ভরা। আমিন যেদিন প্রথম আমাকে বলাৎকার করে ঐ দিন রুমটা এরকম ছিল। চাচা কুত্তার সাথে কুত্তার মত আচারন করেছিলো।
আব্বু আম্মু জনার পরে লজ্জিত ভঙিতে শুধু বলেছিল ভাইজান আমরা বুঝতে পারিনি। শুভ্র তো মেয়ে বাচ্চা না।
চাচা ছিলো আমার জীবনে সোনালি রোদের আলো। আমাকে সাথে করে ইটালি নিয়ে আসে। এরপর সাত বছর পর ফ্যামিলিসহ দেশে চলে আসে। আমি এখন ঢাবিতে আইন নিয়ে পড়াশুনা করছি পাশাপাশি একটা মহিলা ও শিশু নির্যাতন সংস্থার সাথে কাজ করছি। শুভ্ররোর মতো হাজারো শিশু নিরবে নিভৃতে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে পরিবারের অজান্তে। আমার বাবা মায়ের মতো অনেক বাবা মায়ের ধারনা থাকে মেয়ে শিশুরাই শুধু যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ছেলেরা হয় না। যারা নির্যতনের শিকার হয়েছে তারাই বুঝবে মনের ভিতরের কষ্টটা।
গল্পের বিষয়:
গল্প