১.গুরু যিনি সত্য জানেন তিনি। সত্যি গুরুর সত্য আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে হুবহু মিলে গেলো। আমার একরোখা জেদি স্বভাবটা অবশেষে হার মেনে নিলো বাস্তব সূত্রের কাছে। বিনিময়ে পেলো এমন এক আনন্দ যা বদলে দিলো আমার জীবন যাত্রা।
বারান্দায় বসে সিগারেটটা টানছি ,সেই সাথে মাথায় খুলছে সত্য সুপ্ত সমাধান। গুরু তুমি আসলেই গুরু বলে শেষ টানটা দিলাম আমার পছন্দের ব্রান্ডের সিগারেটটাতে। গুরুর সাথে দেখা করা দরকার। সেই শেষ দেখা হয়েছিল কবে জানি !!ও হা মনে পড়েছে ,প্রায় সাত মাস হতে চললো।আজকেই দেখা করবো আমার গুরুর সাথে। বেশি তো দূরে নয় আমার গুরুর বাড়ি। আমার বাড়ি থেকে মাত্র আধঘন্টার পথ পায়ে হেঁটে। এখন কেবল সন্ধে হলো। যাই দেখা টা করেই আসি। তার আগে আমার মনটাকে প্রশ্ন করে নেই ,সে কি সত্যি মেনে নিতে পেরেছে বাস্তব সত্য টাকে। আমি তো মেনে নিয়েছি কিন্তু মনের খবর টা সেটা তো জানি না।
আমি। মন মেনে নিয়েছিস সত্যতা ?
মন। ঐসব সত্য আমি মানি না। আমার পথ বাস্তব মানে না। আমাকে আমার সাধ পূরণ করতেই হবে।
আমি। পারবি না রে।!!মাঝখানে শুধু আমার আত্মা আর আমাকে কষ্ট দিবি। তোর তো বাস্তব অবয়ব নেই। তুই কি বুঝবি কষ্ট।
মন। এত কিছু বুঝি না। আমার সাধ পূরণ হওয়াটাই আগে ,পরে সবকিছু।
এবার আমার আত্মা যোগ দিলো আমাদের সাথে –
আত্মা। মনের কথা শুনো না। ও জন্মের পর থেকেই পাগল। ওর কথা যত শুনবে তত জটিল হবে সবকিছু।
আমি আর আমার আত্মার জিত হলো। আমি গুরুর কাছে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। গুরু অনেক খুশি হবেন আজ।
২.গুরু আমার ধ্যানে বসে আছেন। সংসারী হয়েও তিনি কেমন করে সংসার ত্যাগী হতে পেরেছেন এটা আজ আমার কাছে আর রহস্য নেই। তিনি নিজেই আমার মাথার স্তবকে ঢুকিয়ে দিয়েছেন বাস্তব নিত্যতার সত্য কথা।
গুরু। কিরে ,বুঝেসিস কাকে বলে বাস্তব সত্য।
আমি। সে আর বলতে। আমি এখন যেন একদম বাতাসে ভাসছি।
গুরু। জীবন অনেক সুন্দর তাই না ?
আমি। অনেক অনেক অনেক।
গুরু। তোকে যে সূত্র তা বলসিলাম ঐটা শোনা তো একবার আমায়।
গুরু আয়েস করে তার গঞ্জিকার চিলাম টায় খুব জোশে একটা টান দিলেন।
আমি বলতে শুরু করলাম সত্য টা –
“আমাকে ঐটাই পেতে হবে ঐটা ছাড়া আমার চলবে না এমন চিন্তা কষ্ট বাড়ায়,দরকার কি এমন চিন্তার যা মিলবে কাজ চালিয়ে যাও তা দিয়ে ,প্রয়োনজোন যদি না মিটে তাহলে ভেবে নিও তোমার ঐটার দরকার নেই তাই মিটছে না ,এভাবে চললে তুমি জিতবে ,তোমার আত্মা জিতবে ,মন কষ্ট পায় পাক ,মন তো জন্ম থেকেই পাগল !!”