মিথ্যে ভালোবাসা

মিথ্যে ভালোবাসা
– সাহেদ তুমি বিয়ের আগে কয়টা মেয়ের সাথে প্রেম করেছো?
– প্রেম করার সময়ই হয়ে ওঠেনি।
– ও।
– তুমি কয়জনের সাথে করেছো?
– তোমার মতো আমারও।
– সময় হয়ে ওঠেনি?
– হ্যাঁ।
– কেন?
– জানি না।
– আমার কেন সময় হয়ে ওঠেনি জিজ্ঞেস করবে না?
– কেন?
– ছোটকালে বাবা মারা যায়। সংসারের দেখাশোনা, নিজের পড়ালেখা সাথে ছোট ভাইটার পড়ালেখার খরচ জোগাড় করতেই দিন পেরিয়ে যেতো।
– ও।
– সুজানা একটা কথা বলি?
– বলো।
– তুমি আমার সাথে সুখী তো?
– হ্যাঁ। হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন?
– না, মনে হলো তাই বললাম।
সাহেদ সকালে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। সন্ধ্যায় ফেরে। সেদিন অফিসে তেমন কোনো কাজ না থাকায় সে দুপুরবেলা বাসায় ফিরলো। বাসায় ফিরে কলিংবেল চেপে দাঁড়িয়ে রইলো। কিন্তু সুজানার দরজা খোলার কোনো নামগন্ধও নেই। সে বারবার কলিংবেলে চাপ দিতে লাগলো। খানিকপর সুজানা দরজা খুলে দিলো। সাহেদ জিজ্ঞেস করলো, কোথায় ছিলে? এত দেরি হলো যে! সুজানা কাঁপা কাঁপা স্বরে বললো, ও.. ও… ঐ বাথরুমে ছিলাম।
– ও। যাও এক গ্লাস পানি নিয়ে এসো।
সুজানা পানি আনতে গেল। সাহেদ তার রুমে যেতেই দেখলো একটা ছেলে কাঁচুমাচু হয়ে দরজার এককোণে দাঁড়িয়ে আছে। সুজানা পানি নিয়ে ফিরলে সে জিজ্ঞেস করলো, ছেলেটা কে? সুজানা কাঁপতে কাঁপতে বললো, আ.. আ…. আমার বন্ধু।
– ও। তা ও ওখানে দাঁড়িয়ে আছে কেন? বসতে বলো। সুজানা চুপ করে আছে।
– তোমরা বসে গল্প করো। আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।
সাহেদ বাইরে এসে রান্নাঘর থেকে ফল কাটা ছুঁড়ি হাতে নিয়ে রুমে ঢুকলো। তারপর সোজা ছেলেটার গলায় চালিয়ে দিলো। ভয়ে সুজানার কাঁপাকাঁপি আরও বেড়ে গেল। সাহেদ বললো, বিয়ের আগে তোমার প্রেম ছিল না?
– হ্যাঁ… হ্যাঁ… ছিলো।
– সেদিন মিথ্যে বললে কেন? সুজানা চুপ করে আছে।
– আমাকে দিয়ে তোমার শারীরিক চাহিদা মিটতো না? আজ তোমাকে খুব করে মিটিয়ে দেবো।
টানা তিন ঘণ্টা সুজানার সাথে সংস্রবের পর চেয়ারের সাথে তাকে বাঁধলো। তারপর এক এক করে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ কাঁটতে থাকলো। সে যেন চিৎকার দিতে না পারে সেজন্য টেপ দিয়ে মুখ বেঁধে নিয়েছে। সুজানার ছটফটানি সাহেদের কাছে ভীষণ ভালো লাগছে। সাহেদ আর ধৈর্য নিয়ে তাকে কষ্ট দিতে না পেরে সোজা তার গলায় ছুঁড়ি চালিয়ে দিলো।
গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত