অনেক গুলো ছেলে মেয়ে মিলে একটি পাগল মেয়েকে মারছে,কেউ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে আবার কেউ মাটির চাক ছুঁড়ে মারছে। কি একটা হ্ই হ্ই ভাব তাদের মধ্যে, উল্লাসে ফেটে পড়ছে ছেলেমেয়েগুলো। পাগল মেয়েটির আশেপাশে চিৎকার করে পাঁচ বছরের একটি মেয়ে বলছে_ আমার আপুকে মেরো না তোমারা, আমার আপুকে আর মেরো না। আমার আপু পাগল না, আর মেরো না।
কিন্তু ওরা কেউ ছোট্ট মেয়েটির কথা শুনছে না। নিজেদের মতো পাগল মেয়েটির সাথে পাগলামিতে মত্ত হয়ে উঠেছে ইটপাটকেল , লাঠি ইত্যাদি যে যা কাছে পাচ্ছে তা দিয়েই। পাগল মেয়েটির মাথা দিয়ে চিরিক করে রক্ত নেমে আসছে, তাজা তাজা লাল রক্ত গাল বেয়ে থুতনিতে নেমে এসেছে। মেয়েটির বয়স উনিশ হবে হয়তো, রূপ ও কম নয়, একটি যুবতী মেয়ে পাগল।কি আশ্চর্যের বিষয় তাই না? একটি ছেলে এই পথেই যাচ্ছে। চেঁচামেচির আওয়াজ শুনে এগিয়ে আসে। পাগল মেয়েটির এই অবস্থা দেখে অস্থির হয়ে তাড়া করে ছেলেমেয়েগুলোকে। তাড়া খেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় সবাই। তাড়াতাড়ি করে মেয়েটিকে ধরে এতে মেয়েটি বাঁধা দেয়, ছুটি ছুটি করে , ছেলেটিকে খামচি কাটে কিন্তু ছেলেটি অনড় অবস্থায় মেয়েটিকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। অতঃপর ডাক দেয়
_ ফুপি ফুপি? ওই রিধি দেখ তোর পাগল বান্ধবীর কি অবস্থা হয়েছে?
_ কিরে আসফী কি হয়েছে? ওমা একি রক্ত পড়ছে তো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে তো রিধি কোথায় তুই?
_ একে ভুলেও ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া যাবে না।দেখছো আমাকে আঁচড়ে কামড়ে কি করছে।আমি কিছু একটা করছি,ফাস্ট এইড বক্স থাকলে নিয়ে আসো। এমন সময় ঘর থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে আসে রিধি।জানলা দিয়ে বাইরের অবস্থা সে দেখেছে, রিধির বান্ধবী হলো পাগল মেয়েটি।রিধি অবাক হয়ে বলে
_ আরাধ্যা তোকে বলছিনা রাস্তায় রাস্তায় না ঘুরে বেড়াতে,দেখ তো কতো রক্ত ঝরছে। আমি কাল চলে যাচ্ছি এরপর তোকে কে দেখবে বলতো? পাগল মেয়েটি কোনো উত্তর দেয় না।আসফী নামের ছেলেটা আঘাত পাওয়ার জায়গাগুলোতে ঔষধ দিচ্ছে। ছেলেটি অবাক হয়ে যায় যে মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম , নখের আঁচড়, গলায় ও স্পষ্ট । পাগল পেয়ে কেউ কিছু করেনি তো? জখম হ্ওয়া জায়গায় হাত দিতেই আহ্ শব্দ করে উঠে আরাধ্যা নামের পাগল মেয়েটি।দেখে বুঝা যাচ্ছে কিছু খায়নি,রিধির মা জিজ্ঞেস করে
_ কিছু খেয়েছিস আরাধ্যা? মেয়েটি মাথা নেড়ে না বলে
_ কয়দিন খাসনি জানোস?
মেয়েটি আবার মাথা নাড়িয়ে না বললো। ভদ্রমহিলা দ্রুত খাবার আনতে গেলো। খাবার খেয়ে হাঁটা ধরলো আবার মেয়েটি। পেছন থেকে রিধি ডাকলেও ফিরে তাকায়নি,চলে যায় নিজের মতো। মেয়েটি হাঁটতে হাঁটতে তার বাড়ির সামনে দাঁড়ায়। তাকে দেখেই তার চাচি বলে উঠে
_ দেখ পাগলের নাম না নিতেই পাগল এসে হাজির, আমার হলো জ্বালা ওর ছোটটা সব সময় আপু আপু করে মরে আর উনি পাগল হয়ে সারা দেশ উড়ে বেরাচ্ছে। কখন যে ছোটটাই না পাগল হয়ে যায় এর মতো। পাশ থেকে আরাধ্যার চাচা বলে উঠে
_ আরে দেখছো না মাথায় ব্যান্ডেজ করে আসছে ,তা যাদু আজকে কে কেলিয়েছে তোমায় ? শুনলাম ঐ দিনের মতো আজ আবার ছেলেমেয়েরা কেলিয়েছে?
_ ছাড়ো তো ,তুমিও না পাগলকে জা তা জিজ্ঞেস করছো।ওর কি সেই বোধশক্তি আছে?
_ হ্যাঁ।একে খাবার দিয়ে বিদেয় কর তো এখান থেকে । যত্তসব আজাইরা ঝামেলা।
একটা ময়লা জমে থাকা থালায় গন্ধযুক্ত খাবার এনে আরাধ্যার সামনে রাখে। খাবার রাখা মাত্রই মাটিতে খাবারের সামনে বসে পরলো। মেয়েটির চাচি ভাবে যে মেয়েটি একসময় গরম ভাত আর ভালো খাবার ছাড়া খেতো না সে এখন একটু খাবারের আশায় দাঁড়িয়ে থাকে এখানে।কি ভেবে আবার খাবার গুলো নিয়ে ভালো খাবার দিয়ে চলে যায়।
আরাধ্যা খাবার গুলো খাচ্ছে না , একটু মুখে দিচ্ছে তো তার বেশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্লেটের আশেপাশে ফেলে দেয়। তখন ঐ রাস্তা দিয়ে আসফী যাচ্ছে আবার আরাধ্যাকে খেতে দেখে দাঁড়িয়ে যায়।দেখতে থাকে পাগল আরাধ্যার কাহিনী ,সে একটু ও খাচ্ছে না।
খাবে কি করে একটু আগে তো রিধির এখানে গাপুস গুপুস করে খেয়ে এলো। আচ্ছা মেয়েটা সত্যিই পাগল তো? নাকি অন্যকোন কিছু লুকিয়ে আছে? হঠাৎ দেখলো ঘর থেকে আরাধ্যার ছোট বোন বেরিয়ে আসছে। আরাধ্যা চারপাশে তাকিয়ে হাতের ইশারায় তাকে কাছে ডাকে, মেয়েটি দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে। বোনের গালে চুমু খেয়ে আদর করে।আসফী ভাবে পাগল ও আদর করতে পারে আশ্চর্য! মেয়েটিকে একবার পাই কড়া করে জিজ্ঞেস করতে হবে। তখন আবার দেখে আরাধ্যা তার বোনকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছে , খাবার গুলো মাটিতে ফেলে এসেছে। দুই বোন হেঁটে যাচ্ছে পিছনে আসফীও যাচ্ছে। পাগল আরাধ্যা ও তার বোন একটি বাড়িতে প্রবেশ করে যেখানে কোনো মানুষ কেন গরু ছাগল ও ভুতের ভয়ে যায় না।বাড়ির ভিতরে ঢুকে একটা মোটা গাছের শিকড়ের উপর বসে। ছোট মেয়েটি বলে
_ জানো আপু আজ রাতে ইয়া বড় পার্টি হবে বাড়িতে, তুমি তো ভিতরে যাওনি তাহলে বুঝতে কতো কিছু করছে।
_ আজ রাতে?
_ হুম। বলেই মেয়েটি হ্ইচ্ই করে লাফিয়ে উঠে গিয়ে ফড়িং এর পিছনে ছুটে। হঠাৎ আসফী আরাধ্যার পাশে বসে,এতে কিছুটা চমকে উঠলেও প্রকাশ করে না,সেতো পাগল আর পাগলরা কে আসলো কে বসলো তার খেয়াল রাখে না।আসফী বললো
_ কিরে পাগল আরাধ্যা এখানে কি করছিস?
_ কিছু বলছে না।
_ তুই কি জানিস তোকে সেই ছোট্ট থেকে ভালোবাসি । কিন্তু তুই তো পাত্তাই দিতি না।
_ তবুও চুপ করে আছে
_ জানিস পাগল তুই না,বড় পাগল তো আমি ।এই যে তুই এখন পাগল তাও তোকে ভালবাসি, আমি একটু ও ভুলতে পারি না।
_ আরাধ্যা অবাক চোখে তাকায়।আসফী বুঝে এটা সাধারণ মানুষের চাহনি কোনো পাগলের নয় কেননা সে একজন ডাক্তার। এবার সে হাত জোড় করে ধরে বলে
_ কি হয়েছে বল তুই আমাকে, কিচ্ছুটি লুকাবি না লক্ষ্মী।বল না কি হয়েছে? আমি জানি তোর গলার ওই ক্ষত গুলা স্বাভাবিক না, প্লিজ বল আমাকে।
_ এবার আরাধ্যা চুপ করে থাকতে পারে না। জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।আসফী তাকে শান্ত করতে চায় না কাঁদতে থাকুক, নিজেকে হালকা করা যে খুব প্রয়োজন। কাঁদতে কাঁদতে একসময় নিজেকে সামলে নিয়ে চুপ করে যায়।আসফীকে ছেড়ে দেয়।আসফী আবার ও জিজ্ঞেস করে সব বলতে। তখন আরাধ্যা বলতে শুরু করে
_ আমি আর রিধি যখন হোস্টেল থেকে বাড়ি ফিরি তখন রাত ছিলো। বাড়িতে পৌঁছে দেখি দরজা খোলা কিছু টা অবাক হয়ে যখন ভিতরে যাই তখন ( কথা শেষ না করেই মুখচেপে কাঁদতে থাকে আরাধ্যা)
_ আসফী জিজ্ঞেস করে তখন কি হয়েছে?
_ দেখি মা মেঝেতে পরে আছে আর বাবাকে ওই কুত্তাটা বড় একটা চাকু দিয়ে কোপাচ্ছে।আমি যখন চিৎকার দেই আমাকে মারতে আসে কয়েকটা লোক । আমাকে না মারতে ইশারা করে বলে আমার বাবার সব সম্পত্তি আমার আর আমার বোনের নামে লিখা আছে। আঠারো বছর বয়স পূর্ণ হলে তার উত্তরাধিকার আমাদের। আমার আঠারো হয়েছে তাই আমি নিজের ইচ্ছে সাইন করতে হবে, এগুলা জানার পর আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। আমাকে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করতে থাকে, সাতদিন ধরে আমাকে খাবার দেয়নি তখন শুনেছি ওই জানোয়ারটা সবার কাছে বলেছে আমাকে আনতে গিয়ে মা বাবা এক্সিডেন্ট করে মারা গেছে আর আমি নাকি পাগল। সাতদিন ধরে তাঁরা ধর্ষণ করে আমাকে তবুও আমি সাইন না করাতে শুনি একটা ইনজেকশন পুশ করে আমার থেকে সব সম্পত্তি নিয়ে পাচার করে দিবে আমায় নিজেকে বাঁচাতে পাগল হয়ে যাই। পাগলের মত আচরণ করি। শেষ পর্যন্ত ওরা আমাকে পাগল ভেবে ছেড়ে দেয়।
_ ওরা কে? তোর চাচা?
_ হুম।সাথে ভাড়া করা অনেক মানুষ ছিলো,ওরা আমাকে শেষ করে দিয়েছে। অনেক বার নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু না এর শেষ পরিণতি আমি দেখবো, ভালো থাকতে দিবো না কাউকে। আবার ও কেঁদে উঠে আরাধ্যা তার পাশে চুপ করে বসে আছে আরিত্রা( ছোট বোন) । আকাশটা কালো অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে ক্রমশই।
আসফীর মাথা ফেটে যাচ্ছে রাগে। শুধুমাত্র সম্পত্তির জন্য নিজের রক্তকে অন্যজনের হাতে তুলে দিতে পারে কি করে মানুষ। এদের মতো মানুষ বেঁচে থাকার যোগ্যতা নেই,এর একটা কিছু করতেই হবে বলে আসফী উঠে পরে । আরাধ্যা আসফীর হাত টান দিয়ে ধরে বলে
_ আমার একটা কথা রাখবেন?
_ বল?
_ আমি একটু বাড়িতে যাব, ততক্ষণ আপনি আমার বোনটাকে একটু দেখবেন?
_ এখন তো রাত নেমে এসেছে, তুই কেন ঐ বাড়িতে যাবে?
_ একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়ে গেছে এটা না করে যে মরেও শান্তি পাবো না। করবেন একটু সাহায্য?
_ ঠিক আছে।আমরা এখানেই আছি দেরি হলে কিন্তু চলে যাব বাড়িতে।
_ বাড়িতে যাবেন না। বেশি দেরি হলে পিছনের দিকটায় অপেক্ষা করবেন।এই বলে চলে যায় আরাধ্যা তার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে।
পার্টিতে কি একটা দরকারি কাগজের জন্য ইমতিয়াজ মাহমুদ ঘরে যায়।ঘরে গিয়ে খুঁজতে থাকে,ঘরে আসতে না আসতেই আরাধ্যা দরজা লক করে দেয়। তারপর বলে
_ ইমতিয়াজ মাহমুদ আপনি কি এই কাগজটা খুঁজতে ছিলেন। ইমতিয়াজের শব্দ টা পরিচিত মনে হতেই পিছনে
তাকিয়ে দেখে অবাক হয়। তার মোটেও মেয়েটিকে পাগল মনে হচ্ছে না।
_ নিজের মা বাবার মতো মরতে না চাইলে কাগজ টা দিয়ে দে আরাধ্যা।
_ আরাধ্যা? পাগল বলেছেন না যে আজ?
_ আমার সাথে নাটক করার ফল কিন্তু ভালো হবে না? তুই
আর কথা বলার সুযোগ না দিয়েই রামদা দিয়ে দিলো এক কোপ।এক কোপে একটা হাত ফেলে কেটে ফেলে । ইমতিয়াজ অনেক চেষ্টা করে প্রতিরোধ করে উল্টো আঘাত করতে কিন্তু আরাধ্যা তাকে সুযোগ টা দিচ্ছে না। পরপর তিন চারটা কোপ দেওয়ার পর যখন আরেকটা দিবে তখন ইমতিয়াজ মাহমুদ আরাধ্যার পায়ের কাছে বসে এক হাতে পা ধরে বলতেছে
_ মারে আমার প্রান ভিক্ষা দে। ক্ষমা করে দে আমাকে,আমি তো তোর চাচা তোর বাবার মতো।
_ তুই দিয়েছিলি আমাকে ছাড়ে? আবার বাবা বেঁচে ছিলো তোর পায়ে ধরে কতো আকুতি মিনতি করেছিলাম যেন জানে না মারিস তাকে, বাঁচতে দিয়েছিলি কি তাকে? দিন রাত যখন লোক পাঠাতি আমাকে ছিঁড়ে খাওয়ার জন্য পাগলের মতো ছুটে তোর পায়ে পরেছি ছেড়ে দিতে, দিয়েছিলি কি আমাকে? প্রতিদিন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতাম একটু খাবারের জন্য,দিয়েছিলি আমাকে? কি দোষ করেছিলো আমার মা ? বল? একের পর এক অস্ত্রঘাত করেই যাচ্ছে থামছে না। রক্তের স্রোত বয়ে যাচ্ছে পুরো ঘরে,নাক দিয়ে তাজা রক্তের ঘ্রান নিচ্ছে আরাধ্যা।আহ কি শান্তি লাগছে,দুইমাস কষ্ট করার ফল আজ অনুভব করছে। টুকরো টুকরো করে ফেলেছে ইমতিয়াজ মাহমুদ নামের এক লোভীকে।সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে, দরজায় কে যেন নক করছে, আরাধ্যা তাড়াতাড়ি জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। বাড়ির পিছনে তাকিয়ে দেখে আসফী তার বোনকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, আরাধ্যার গা থেকে তাজা রক্তের ঘ্রান ওরাও পেলো,আসফী ভয়ে জিজ্ঞেস করে
_ কি করেছিস তুই আরাধ্যা?
_ অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করে এসেছি। আরাধ্যার চোখে মুখে বিজয়ের হাসি,সেই হাসিতে আছে একরাশ হতাশা, কষ্ট, প্রিয় মানুষগুলো হারানোর বেদনা , অবশেষে রহস্যময় একচিলতে সুখ।
_আপনাকে ধন্যবাদ আসফী, আপনার উপকার ভুলবো না। এখন আমরা আসছি।
_ কোথায় যাবি তোরা?
_ জানা নেই।
_ আমাকে নিয়ে যাবি?
_ কেন যেতে চান আপনি আমার উদ্দেশ্যহীন জীবনে সঙ্গে?
_ ভালোবাসি তাই,যদি যেতে যেতে সারাজীবন ও চলে যায় তবুও আমি ক্লান্ত হবো না।
_ কেন?
ভালোবাসি সেই ছোট্ট থেকে,এতোটুকুর বিনিময়ে যদি ভালোবাসাটা সার্থক হয়। আরাধ্যা মুচকি হাসে যেই হাসির অর্থ আসফী জানে। অন্ধকারে হেঁটে চলছে তিনটি অবয়ব, এগিয়ে যাচ্ছে উদ্দেশ্যহীন লক্ষ্যযাত্রায়, সাথে মুছে যাচ্ছে ভয়ানক এক অতীতকে।
গল্পের বিষয়:
গল্প