প্রিয় বিয়োগ

প্রিয় বিয়োগ
আমার মেয়েটা ঠিক আমার মতোই হয়েছে। সারা বিছানায় হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুরো বিছানা চরকির মতো করে ঘুরে ঘুরে ঘুমায়। আপাতত ওর কচি পা দুটো আমার নাকের উপর। নীতুকে ডাকছি আস্তে আস্তে, “নীতু স্পর্শকে সোজা করো, পা’টা মচকাবে।”
নীতুর কোন রেসপন্স নাই। হাত দিয়ে নীতুকে ছোঁয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু নাগাল পাচ্ছি না। অবশেষে বাধ্য হলাম আই মাস্ক খুলে চোখ মেলে তাকাতে। তাকিয়ে দেখি নীতু বিছানায় নাই। কানে একটা অস্পষ্ট কান্নার শব্দ আসছে বারান্দা থেকে। মেয়েটাকে সোজা করে শুইয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে বারান্দার দিকে এগুলাম। নীতু বারান্দার গ্রিল ধরে আকাশের দিকে মুখ করে তাকিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। চাঁদনী রাত, চাঁদের আলোয় পরিস্কার ভাবেই নীতুর চেহারাটা দেখতে পাচ্ছি। গাল বেয়ে চোখের জল পড়ছে।
আমার উপস্থিতি টের পেয়ে মুখটা অন্য দিকে ফিরিয়ে আঁচল দিয়ে চোখটা তড়িঘড়ি করে মুছে দিয়ে বললো, “ঘুমাও নি তুমি?” আমি বললাম, “নীতু কাঁদছো কেনো?” নীতু কিছুই বলছে না। আমি জানি নীতু বিশেষ একটা দিনে এভাবে বারান্দায় নতুবা ছাদে গিয়ে একা একাই কাঁদে, কিন্তু সেই দিনটা আজকে না। তাও কেনো কাঁদছে বুঝতে পারছি না। আবার বললাম, “নীতু আমাকে বলো কেনো কাঁদছো।” নীতু একটু ভয়ে ভয়ে বললো, “রাফিকে খুব মনে পড়ছে রবিন। বিশ্বাস করো ইচ্ছে করে না, তাও। ঠিক আজকের দিনে এই অভাগাটা আমাকে প্রপোজ করেছিলো।” এটা বলেই কান্নাটাকে ভেতরে চেপে গিলে কাঁদছিলো নীতু।
গত বছর নীতুকে খুব বকাঝকা করেছিলাম আমি। এতোটা বছরেও আমি রাফিকে ভোলাতে পারিনি ওর মন থেকে, আমি পুরোপুরি ব্যার্থ। যদিও আমার এমন বিশেষ কোন অবদান ছিলনা নীতুর জীবনে। আমি যেচেই বিয়েটা করেছিলাম ওকে। মাঝে মাঝে আমি এটা নিয়ে ভাবি খুব। একটা মানুষ কিভাবে এতোটা ভালোবাসতে পারে! আমিও কি কাজটা ঠিক করেছিলাম? রাফিও তো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো। আজ রাফিকে আমি ভুলেই গিয়েছি। আরেকটা মানুষকে ফোর্স করছি ভুলে যেতে। আমি কি মানুষ? হ্যাঁ এটা সত্যি যে, আমিও রাফির চেয়ে কম ভালোবাসিনি নীতুকে। খুব করে চাইতাম। তাও রাফির প্রেমেই নীতু হাবুডুবু খাচ্ছিলো।
রাফিকে কলেজ লাইফ থেকেই সহ্য করতে পারতাম না আমি। সাংঘাতিক বাচাল টাইপ আর চঞ্চল প্রকৃতির ছিলো। সরাসরি একদিন ক্লাসে পিঠ চাপড়ে বলেছিলো, “কিরে তোর নাম কি?” প্রথম পরিচয়ে কেউ যদি তুই তুকারি করে আমি নিতে পারি না। তাও বলেছিলাম আমি রবিন। তারপর যেদিন শিওর হলাম আমি যাকে পছন্দ করি যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি তার সাথেই ওর রিলেশন চলছে সেদিন থেকে সবকিছুতেই ওরে অসহ্য লাগতো আমার। সবচে বেশি বাজে লাগতো রাফি আমাকেই কেন যেনো বেশি জ্বালাতো। আমার কাছেই বসতো, আমাকে নিয়েই ওর ক্যান্টিনে যাওয়া লাগবে, আমাকে নিয়েই ওর অমুক ক্লাব তমুক ক্লাব এটা সেটার সব প্ল্যানিং। ইভেন নীতুর সাথে ডেট করতে হলেও সালা আমাকে টেনে নিয়ে যেতো।
একটা জিনিস খুব ভালো পারতো রাফি। সেটা হলো খুব সহজেই মানুষকে কনভিন্স করে ফেলা। যে ম্যামকে দেখলে স্বয়ং জমদূতের কথা মনে পড়ে যেতো। সেই ম্যামেরও প্রিয় ছাত্র রাফি। পুরো কলেজের সবার পরিচিত। সবার প্রিয় মুখ রাফি। এসব কিভাবে এবং কেনো এটা আমি বুঝতাম না। বুঝার চেষ্টাও করিনি। ভাবতাম সবাই ওর তালে তালে সায় দিয়ে ওরে কোথায় পৌছাচ্ছে তা কেউ টের পাচ্ছে না হয়তো। একটা মানুষ এতো ফাতরামি করেও ভালো রেজাল্ট করতো। ভাবতাম স্যার’রাই দায়ী। সবকিছুতেই এক্সপার্ট নাকি সে! সেবার ওর কথার উপর কলেজ অথরিটি পিকনিক স্পট কনফার্ম করে ফেলেছিলো। শুধু এটাই না কলেজের অফিসিয়াল অনেক কিছুতেই স্যার’রা রাফিকে ডাকতেন। ততদিনেও রাফি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়নি।
রাফি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড সেদিনই হয়েছিল যেদিন আমার মায়ের অপারেশনের জন্য বৃষ্টিতে ভিজে পাগলের মতো হন্ন হয়ে একটা ব্যাগ রক্ত খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম। সেদিন কোত্থেকে এই পাগলটা আমাকে দেখে কাছে এসে বলেছিলো, “রবিন! কি হইছে দোস্ত? আমাকে বল।” আমি বলেছিলাম, “প্লিজ রাফি আমার সময় নাই কথা বলার। আম্মা হসপিটালে, রক্ত লাগবে। সারাটা শহর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও ‘ও নেগেটিভ’ যোগার করতে পারছি না। ঠিক তখনি বললো, “আন্টি হসপিটালে আর তুই আমাকে কিছু বলিস নি! কয় ব্যাগ লাগবে?” সেদিন ওর এমন অধিকার মার্কা কথাটা যেনো বেমানান ঠেকছিলো আমার কাছে।
আমি বলেছিলাম আপাতত এক ব্যাগ বলেছে ডক্টর। সেদিন কোন কথা না বাড়িয়েই চুপচাপ হসপিটালে নিজে গিয়ে আম্মাকে রক্ত দিলো। মুহূর্তেই ফোন করে আরো তিন ব্যাগ যোগার করে ফেলেছিলো। ডক্টরদের সাথে কথা বলে একদম সবকিছুই ঠিকঠাক করে ফেললো। পরিস্থিতিটা এতো সহজে নিয়ন্ত্রন করে ফেললো যা আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আম্মার কাছে বসে আম্মাকে তুলে খাবার খাওয়াচ্ছিলো। এ এক অন্য রাফিকে যেনো আবিস্কার করেছিলাম সেদিন। আম্মার সবচেয়ে প্রিয় একটা ছেলে হয়ে গেল রাফি। তারপর আমার দৃষ্টি ভঙ্গির আমুল পরিবর্তন দেখতে লাগলাম।
ওর একটা কাজকেও আমার কোনদিন ফাতরামি মনে হয়নি আর। মনে হতো হি ইজ দ্য পারফেক্ট হিউম্যান বিয়িং। এই পাগলটা পুরো শহরের প্রিয় একটা মানুষ ছিলো। যখন তখন সবার পাশে সবার প্রথম ওকেই দাঁড়াতে দেখতাম। এতো কিছুর পাশাপাশিও টেস্ট পরীক্ষায় সেরা রেজাল্টটাও কিন্তু ওর দখলে। একটা সময় আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুটাই হয়ে গিয়েছিলো রাফি। কোন এক ফ্রেন্ডশিপ ডে’তে ওকে জড়িয়ে ধরে পিঠ চাপড়ে মনে মনে বলেছিলাম নীতু শুধু তর-ই। তুই ডেজার্ভ করিস। তকে গিফট করে দিলাম বন্ধু। আজকের পর থেকে আর নীতু আমার মনে থাকবে না। অনেক ছোট ছোট স্বপ্ন আছে রাফির নীতুকে নিয়ে। আমাকে বলতো সবসময়। এটাও বলতো, “বোকা গাঁধীটা তকেও কি দেখে নাই? আমার কাছেই এসে মরলো!” বলেই হুহু করে হাসতো।
মাঝে মাঝে একটা জিনিস কলিজায় খুব লাগতো আমার, যখন নীতু মলিন একটা চেহারা করে আমার সামনে এসে বলতো, “রবিন রাফি কোথায়? আমার ফোন কল দু’দিন ধরে ধরছে না।” রাফি বড্ড উন্মাদ আর এলোমেলো ছিলো খুব। ওর চিন্তা ভাবনাই ছিলো অন্যরকম। বুঝিনা নীতু মেয়েটা কেনই বা রাফিকে এতো ভালোবাসে। তারও অনেক দিন পর আমাদের বিদায়ের দিনক্ষণ ঠিক হলো। আর মাত্র তিনদিন পর ‘রেগ ডে’। বিদায় অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের সমস্ত দায়িত্ব রাফি আর আমার উপর ছিলো। অডিটরিয়াম হলটা পুরোটা সাজানো থেকে শুরু করে কেক, টি শার্ট বানানো, আবির কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কাজ। দুইদিন দুজন মিলে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করেছিলাম।
রাফিদের বাসায় গিয়ে সেদিন রাতের খাবার খেয়ে বাড়ি ফিরি। পরের দিন বিভিন্ন বাহানা করে রাফি আর কলেজ আসেনি। আমিই একা একা কাজ করেছি। অবশেষে আজ অনুষ্ঠান। কয়েকটা ডিপার্টমেন্টে ইনভাইটেশান কার্ড দিতে হবে, আমি খুব ভোরে কলেজে চলে আসি। সবকিছু হালকা গুছিয়ে রাফিকে ফোন করে দেখি নাম্বার অফ। আস্তে আস্তে সবাই কলেজে চলে আসছে তখনো রাফির কোন খুঁজ নেই। সেদিন নীতু অনেক সুন্দর করে সেজে এসেছিলো। বারবার আমার কাছে এসে বলছিলো, “রবিন রাফি কোথায়, ওর ফোন অফ কেনো?” আমি নিজেই জানিনা, তাও বলেছিলাম, “আসতেছে একটু পরেই। ভেবনা” স্যাররা সবাই উপস্থিত, এখনো আসে নাই। আমি একা কিছুই করা সম্ভব না।
এক রকম রাগের মাথায় সব কিছু রেখেই একটা বাইক নিয়ে চলে গেলাম রাফিদের বাসায়। গিয়ে যা দেখলাম তা নিজেকেও বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না। রাফির প্রচন্ড জ্বর, স্বাভাবিক কোন সেন্সই নাই। আন্টি কান্নাকাটি করছিলো। আঙ্কেল দেশের বাইরে। ছেলে মানুষ বলতে রাফিই ছিলো। আমি আর কিছু না ভেবেই ওরে হসপিটালে নিয়ে আসলাম। নীতুকে ফোন করে বললাম হসপিটালে আসার জন্য। ব্লাড টেস্টের পর রক্তে মেলেরিয়া ধরা পড়ে। সেবার মেলেরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছিলো দেশে। কোন ভাবেই জ্বর কমার নামই নেই। আমার মনে আছে একে একে হসপিটালে সবাই চলে এসেছিলো। জমদূত ম্যামটা সহ। কারো ভেতর রেগ ডে পালনের আর কোন আভাস ছিলো না। সারাটাদিন সবাই বেঞ্চে বসে কাটিয়ে দিয়েছিলো। সবাই হয়তো ভেবেছিলো একটু সুস্থ্য হলেই কিছু ফটোগ্রাফি করে হলেও শেষ দিনটা রাফিকে নিয়েই কাটাবে। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে অনেকেই যার যার বাড়ি ফিরে যায়। হসপিটালে রাফির পাশে ছিলাম আমি, নীতু আর আন্টি।
মাঝ রাতে রাফির জ্বর অনেকটাই কমে ছিলো। ওঠে বসে বলেছিলো, “স্যরি দোস্ত রেগ-ডে টা মাটি করে দিলাম ” আমার ইচ্ছে করছিলো কষিয়ে একটা থাপ্পড় লাগাই। যাইহোক নীতু ও কিছুটা সঙ্কামুক্ত হলো। মেয়েটার চেহারাটা কিছুটা উজ্জ্বল হলো। ভাবলাম ওকে নিয়ে দু কাপ চা খেয়ে আসি। রাফিকে আন্টির কাছে রেখে বের হলাম নীতুকে নিয়ে। সোডিয়ামের আলোয় দুই কাপ আদা চা খেয়ে ছিলাম রোড সাইডে দাঁড়িয়ে। শুধু এতটুকু বলেছিলো নীতু, “তুমি না থাকলে পাগলটা মরতো। অনেক ধন্যবাদ রবিন।” সেদিন আমি বলেছিলাম, “ওটা আমার ভাই নীতু। আমি বেঁচে থাকতে অবহেলায় মরবে না আমার ভাই। তুমি থ্যাংকস দিয়ো না।” নীতুর বড় ভাই এসেছিলো ওকে নিয়ে যেতে কিন্তু সে যায়নি বাসায়। খুব একটা চাপাচাপিও কেউ করেনি। বিষয়টা ওর ফ্যামিলিও অবগত ছিলো।
একদম শেষ রাতে ফজরের ঠিক পনেরো মিনিট আগে আন্টির কান্নায় ঘুম ভেঙে যায়। ক্লান্তিতে ওয়ার্ডের বাইরের একটা বেঞ্চে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। রাফি অনবরত বমি করতেছিলো। মনে হচ্ছিলো যেন ওর ভেতরটা চুরমার হয়ে যাচ্ছে। বেড থেকে নেমে ফ্লোরে লেপ্টে বসেছিলো অশান্তিতে। আমি জড়িয়ে ধরে বলেছিলাম কি হয়েছে রাফি? ভাই আমার কিচ্ছু হবে না। এতো অশান্তি করিসনা, সব ঠিক হয়ে যাবে। শুধু দুটো কথা বলেছিলো রাফি। “আম্মু আর নীতুকে দেখে রাখিস বন্ধু। আমি বোধহয় মরে যাচ্ছি রে।” সত্যিই সত্যিই একটা থাপ্পড় দিয়ে বলেছিলাম, “খবরদার রাফী জানে মেরে ফেলবো উল্টো পাল্টা কথা বললে।” সালা সামান্য জ্বরে এতো ঢং করিস! সিনেমা হচ্ছে এখানে? একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললো, “গেলাম দোস্ত।”
আন্টি সেদিন এতোটাই নির্বাক হয়ে পড়েছিলো যে একটা শব্দও আর পরে বের হচ্ছিল না মুখ ফোটে। বোধকরি শেষ স্বপ্নটুকোও আর ঠেকবে না বলেই ধরে নিয়েছিলেন। রাফির মাথাটা কোলে নিয়ে নীতুর কান্নার চিৎকার আর ফজরের আজান যেনো মিশে একাকার হয়ে ভাসছিলো চারদিকে। এখনো কানে বাজে আমার। টুপ করে এভাবে নিভে যাবে রাফি কল্পনাও করিনি। রাফিরা এভাবেই দুনিয়াতে এসে সবার মন চুরি করে চুপটি করে চলে যায়। বিধাতারও কী অদ্ভুত আচরন। এসব মানুষগুলোকে নিয়ে নেন। ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে সেবার আমিই ফার্স্ট হয়েছিলাম জেলা শহরে। তারো অনেকদিন পর গ্রাজুয়েট হয়ে একটা জব কনফার্ম করে নীতুকে বিয়ে করে ফেললাম। নীতুর কোন সম্মতি ছিলো না। চারপাঁচ আর ভাবিনি। ভেবেছিলাম রাফী তো আমাকে পারমিশন দিয়েছে-ই।
এখন অবধিও ভালোবাসাটুকু আমার আর নীতুর মধ্যে নাই। সংসার আর সমাজ রক্ষার কিছু অনিচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা-ই চলে আসছে আমাদের মধ্যে। তবে ভালোবাসাটা কী এবং কাকে বলে তা আমি নীতুকে দেখেই শিখেছি। একটুও আফসোস নাই আমার জানেন? প্রতি মৃত্যু বার্ষিকীতে-ই নীতু আর ঘুমায়না রাতে। সত্যিকারের ভালোবাসাগুলো পৃথিবীর বুকে এভাবেই বেঁচে থাকে হয়তো।
নীতু আর আমি অন্যান্য বছরের ন্যায় রাফির মৃত্যু বার্ষিকীতে যেভাবে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে যেয়ারত করতে যেতাম ভাবছি আজ ফ্রেন্ডশিপ ডে’তেও ওর কবরের কাছে যাবো। অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। সালা সবাইকে কাঁদিয়ে নিশ্চয়ই খুব মজায় আছে। চোখটা মুছে রুমে চলে আসলাম। ফজরের আজান হচ্ছে। নীতুর ফুঁপিয়ে কান্নার আওয়াজটাও যেনো মিশে একাকার হয়ে ভাসছে চারদিকে।
গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত