ভয়ংকর কবর

লাশটি কবরে শুয়ে আছে?

এক পাল পিঁপড়া নাকের ও কানের ফুটো দিয়ে সারি বেঁধে ঢুকছে।
একদল ব্রেনের মধ্যে ঢুকে কুটকুট-কুটকুট করে মগজকাটতে লাগল।
আরেকদল নাড়িভুঁড়ি
ফুটো করতে শুরু করল।
আহ্ কী কষ্ট! কী যন্ত্রনা!

একটা গোখরা সাপ ঢুকে পড়েছে কবরে।
বিশাল এক ফণা তুলে এক ছোবলে একটা চোখ তুলে মুহূর্তেই গিলে ফেলল, পরক্ষণেই আরেকটা চোখে ছোবল বসাল।
চোখবিহীন, লাশটাকে কী ভয়ংকরই না দেখাচ্ছে।
আহ্ কী কষ্ট! কী যন্ত্রনা!

কোত্থেকে চারটা দুষ্টু শেয়াল এসে, খামচে খামচে কবরের মাটি আঁচড়াতে লাগল।
এক সময় তারা তাদের খাবারের সন্ধান পেল। ক্ষুদার্থ, তৃষ্ণার্ত শেয়াল গুলো শরীরের পচা গলা
অংশ গুলো ধারালো দাঁত দিয়ে টেনে টেনে ছিড়তে লাগল।
এক পর্যায়ে, পেটের নাড়ি ভুঁড়ি নিয়ে
মারা মারি লেগে
গেল।
এক জনের মুখ থেকে
আরেক জন ছিনিয়ে নিচ্ছে
মাংসের টুকরা।
আহ্ কী কষ্ট!
কী যন্ত্রনা!

বর্ষার পানিতে কবর ডুবে গেল।
লাশটি কবরের মধ্যে ভাসতে শুরু
করল।
ভাসতে ভাসতে একবার উপরে
উঠে আবার নিচে ডুবে যায়।
এভাবে চলতে থাকে লাশের লীলা-খেলা।
আহ্ কী কষ্ট!
কী যন্ত্রনা!

গ্রীষ্মকালে, শরীরের মাংস পচতে
শুরু করে।
গরমে, তাপে শরীর থেকে রশ বের হয়ে পিঠের নিচে পানি
জমে যায়।
সেখান থেকে পোকার সৃষ্টি হয় এবং এসব পোকা কিলবিল-কিলবিল করতে থাকে লাশের শরীরে।
আহ্ কী কষ্ট!
কী যন্ত্রনা!

এক সময় শরীরের মাংস বিলীন হয়ে
যায়। অবশিষ্ট থাকে শুধু হাড়।
হিংসুটে, পাষাণ, নির্দয় মাটি
সেই হাড় টুকু তাঁর পাওনা অংশ হিসেবে
কুটরে কুটরে খেতে থাকে।
আহ্ কী কষ্ট!
কী যন্ত্রনা!

এভাবেই বিলীন হয়ে যায়,
একেকটি মানব শরীর। কতই না রহস্য লুকিয়ে
আছে ঐ কবরে।
আহারে!
আহারে!
চিৎকার কেউ শুনবেনা। এখন ও সময় আছে সাবধান হওয়ার।
আল্লাহ আমাদের মাফ করো।
আমাদের ঐ ভয়ংকর আজাব থেকে
মাফ করে দাও।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত