ইদানিং আম্মা আমার বিয়ের জন্য রোজ একটা করে মেয়ে দেখছেন। মেয়ে দেখে এসে প্রতিবারই আম্মার একই কথা, “আজকাল মেয়েগুলা আর মেয়ে নাইরে বাবা! সব পুরুষপুরুষ লাগে।” কিন্তু এই প্রথম কাউকে দেখে এসে আম্মা তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বললেন, “মেয়ে মাশাল্লা অনেক ভালো, তোর সাথে ভালো মানাবে। পর্দানশীন, ধর্মকর্ম করে। নম্র-ভদ্র। তোরে অনেক মান্য করবো দেখিস!”
আম্মার কথা শুনে আমিও আস্বস্ত হই। খুশির জোয়ার আসে আমার মনে, সবকিছুতেই একরকম অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করতে শুরু করে। এটাই মেবি বিয়ের বাতাস, আমার গায়ে বিয়ের বাতাস লেগেছে। মনেমনে হবু বউকে ঘিরে কতো কি কল্পনা করি, কতো কি স্বপ্ন দেখি! সপ্ন আর কল্পনায় একটা নতুন সংসার সাজাই বিয়ের পর নিশ্চই আমাকে নামাজের অভ্যাস করতে হবে, নয়তো বউ মাইন্ড করতে পারে। সেজন্য এখন থেকেই আমি নিয়মিত নামাজ পড়া শুরু করি। ধার্মিক বউয়ের সাথে সংসার করতে হলে নিজেরও তো কিছু ধর্মকর্ম করতে হবে। আশ্চর্যজনক ভাবে এক সপ্তাহের মধ্যেই আমি পাক্কা নামাজী হয়ে গেছি। অথচ এই আমিই কিনা আগে সপ্তাহে শুধু জুম্মার নামাজে হাজির হতাম, ফরজ দুই রাকাত পড়েই বাসায় এসে গান শুনতাম।
সন্ধায় আম্মা এসে বললেন, “বাবা! তুই একবার চল ওদের বাসায়। মায়িশা কে বরং দেখে আসবি নিজচোখে।” যার সাথে আমার বিয়ের কথা চলছে, মানে আমার হবু বউয়ের নাম হচ্ছে মায়িশা। আমি আম্মার কথায় রাজী না হয়ে বললাম, ” না মা, তুমি দেখছো তাতেই হবে। আমার দেখার কি দরকার?” আমার এমন ভক্তি দেখে আম্মা আবেগাপ্লুত হয়ে বললেন, “তারপরেও বাবা, তুই বিয়ে করবি তোর তো একবার দেখে আসা উচিৎ।” আমিও জানি আমার দেখে আসা উচিৎ, নিজের লাইফ পার্টনার বলে কথা। দেখতে আমি যাবোনা ব্যাপার টা সেরকমও না, আমি যাবো মায়িশাকে দেখতে। নিজের চোখে না দেখে একটা মেয়েকে বিয়ে করে ফেলার মতো ছেলে আমি নই। আসলে আমি অপেক্ষা করছি, আমার দাড়ি আরেকটু বড় হোক। গতসপ্তাহেও সেভ করিনি। সুন্নতি দাড়ি দেখলে মায়িশা হয়তো খুশি হবে। বিয়ের আগে বউকে খুশি করার ভাগ্য সবার হয়না।
প্রায় ২ সপ্তাহ পর মা আর বড় খালার সাথে আমি আমার হবু বউকে দেখতে যাই। এতোদিনে আমাদের বিয়ের কথা প্রায় পাকাপাকি হয়ে গেছে। আমার মনেও সংসার জীবনকে ঘিরে বিশাল এক স্বপ্নের জাল বোনা হয়ে গেছে, প্রতিনিয়ত সেই জাল বড় হচ্ছে। বিশাল সেই স্বপ্নের জালে আমি খুব সহজেই মায়িশাকে জড়িয়ে ফেলেছি। এই জাল ছিড়ে কখনও ওকে বের হতে দিবোনা। মনের ভেতরটা কিরকম স্যাতস্যাতে অনুভূত হচ্ছে। কখন যে মায়িশা আর তাকে ঘিরে থাকা কল্পনারা বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে আমার বুকের শুষ্ক মরুভূমিকে ভিজিয়ে দিয়ে গেছে কে জানে!
সেই মরুভূমির বুকে এখন ধীরেধীরে সবুজের চাষ করতে হবে, একসময় সবুজে ছেয়ে যাবে পুরো মরুভূমি। ভালোবাসার রং কখনও কখনও সবুজও হয় হয়তো। বিয়ের আগেই আমি নিজেকে একজন আদর্শ স্বামী হিসেবে আবিষ্কার করি। আমি ভাবি, “বিয়ের পর মায়িশাকে পাঁচ সেট বোরখা বানিয়ে দিবো, সেই সাথে পাঁচ টা হিজাব।” পাঁচ আমার প্রিয় সংখ্যা। নিজের জন্য পাঁচ পিস টুপি আর পাঁচ পিস পাঞ্জাবীও কেনা যেতে পারে!
আমি দ্বিধায় পরে যাই, পাঞ্জাবি নাকি জুব্বা কিনবো? কোনটাতে মায়িশা আমাকে বেশি পছন্দ করবে? এ এক মধুর দ্বিধাদ্বন্দ্ব। মায়িশাদের বাসার ঘরে আম্মা, বড়খালা আর আমি বসে আছি। মায়িশার মা আমাকে কিছুক্ষণ পর পর প্রশ্ন করছে, আমি হাসি হাসি মুখ করে উত্তর দিচ্ছি। খানিক বাদে একটা ট্রে হাতে মায়িশার আগমণ। মনেহলো কিছুক্ষণের জন্য ৩০ ওয়াটের এনার্জি লাইটের আলো নিভে গিয়ে মায়িশার আলোয় পুরো রুমটা আলোকিত হয়ে গেছে। এতো সুন্দর মেয়েও আছে দুনিয়ায়? ধার্মিক মেয়ে বলে কথা, ধর্মকর্ম যারা করে তাদের চেহারায় নাকি নূর থাকে। এটাই হয়তো সেই নূরানী চেহারা। আমি মনেমনে বললাম,
” মাশা-আল্লাহ, মাশা-আল্লাহ। আল্লাহর অশেষ রহমত।” পাশ থেকে বড়খালা আমাকে চিমটি কাটলেন। আমার কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিসিয়ে বললেন,
“গাধা! মেয়ে দেখতে এসে এতো জোরে কেউ মাশা-আল্লাহ বলে?”
লজ্জায় আমার মুখ লাল হয়ে যায়। আমি সবাইকে শোনানোর জন্য তো বলিনি, শব্দ কিভাবে হলো সেটা আমার মাথায় আসছেনা একেবারেই। মায়িশা আমাকে শরবতের গ্লাস এগিয়ে দিয়ে মুচকি হাসলো। সে কি হাসি! আমার মন চাচ্ছে, এ হাসি যেন শেষ না হয়। অনন্তকাল ধরে এই হাসি চলতে থাকুক, আমি অপার হয়ে চেয়ে থাকবো!
আমার সব কল্পনা থামিয়ে দিয়ে বড়খালা বললেন, “মায়িশা মা! সুরা ফাতেহা তিলাওয়াত করো তো মা!” মায়িশা তিলাওয়াত শুরু করলো। সেই সাথে আরেকবার আমার কল্পনার রাজ্যে গমন। আমি শপথ নিলাম, শ্রেয়া ঘোশালের গান আমি আর শুনবোনা। এখন থেকে মায়িশার তিলাওয়াত শুনবো। প্রতিদিন রাতে বলবো, “মায়িশা, আমাকে সুরা ফাতিহা তিলাওয়াত করে শোনাও তো!” আহা! কি সুন্দর সময় অপেক্ষা করছে আমার জন্য। কিন্তু সেই সময়ের জন্য আমার অপেক্ষার প্রহর যেন ফুরোয় না। ছাব্বিশ বছরের জীবনে একাকীত্বের প্রখর রোদ আমার বুকে যে বিশাল মরুভূমির সৃষ্টি করেছে এক পশলা বৃষ্টির জল তো সে এক নিমিষেই শুষে নিবে। এখন প্রতিদিন ভালোবাসার প্রবল বর্ষণ দরকার এই মরুভূমির বুকে। মায়িশা আর আমি ওদের বারান্দায় বসে আছি। এখানে বসার জন্য আগে থেকেই দুটো চেয়ার পাতা ছিলো। আমাদের দুজন কে আলাদা কথা বলার জন্য পাঠানো হয়েছে।
আমার লজ্জা লাগছে ভীষন। এমনিতে আমি মেয়েদের খুব একটা লজ্জা পাইনা, এককালে আমার বেশকিছু ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলো। তাদের একজনের সাথে প্রেম হবে হবে করেও হয়ে ওঠেনি। কিন্তু মায়িশার ব্যপারটা ভিন্ন, এরকম সুন্দর অথচ ধার্মিক মেয়ে আমি এর আগে দেখিনি। তাই হয়তো কিছুটা আনইজি লাগছে। এরকম ধার্মিক মেয়েদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় আমার সেটা জানা নেই। এদের সাথে কথা বলতে হয় ধর্মের ভাষায়, আর ধর্মের ব্যপারে আমার জ্ঞান একেবারেই অল্প। হয়তো মায়িশা আমার মনের অবস্থা বুঝতে পেরে নিজেই বললো, “আপনি দাড়ি রেখেছেন কতোদিন হলো? না মানে, আমাকে আপনার যে ছবি দেখানো হয়েছিলো সেটাতে আপনার দাড়ি নেই।” আমি আমতা আমতা করে বললাম, “এইতো, মাসখানেক হইছে।” “হঠাৎ দাড়ি রেখে দিলেন যে!” আমি কি বলবো ভেবে পাচ্ছিনা। আমি যে ওর জন্যই দাড়ি রেখেছি সেটা বলা কি উচিত হবে? একদমই না। এটা এখন বলা যাবেনা, বিয়ের পর বলতে হবে। অতিরিক্ত ভক্তি দেখানো ঠিক না, হিতে বিপরীত হতে পারে।
“এমনিই, ইচ্ছা হলো দাড়ি রাখার তাই রেখে দিলাম।”
“ওহ আচ্ছা, আমার আসলে দাড়িটুপি ওয়ালা ছেলে খুব একটা পছন্দ না।”
“কেনো?”
“এমনিই, কোন কারন নেই। একেবারে অপছন্দও না।” বলেই মায়িশা খিলখিল করে হেসে উঠলো।
আমার মাথায় একটা খটকা লাগলো। ধার্মিক মেয়ে হয়েও মায়িশা এরকম কথা কিভাবে বললো, দাড়িটুপি ওয়ালা ছেলে ওর পছন্দ না? আমার মাথার খটকা আমি নিজেই খোলার চেষ্টা করলাম, হয়তো মায়িশা চেয়েছিলো একটা খারাপ ছেলেকে বিয়ে করবে, যার দাড়িটুপি নেই, যে নামাজের ধারেকাছেও যায়না। তারপর সেই ছেলেকে নিজের ভালোবাসা আর আদর্শ দিয়ে ধর্মের পথে আনবে। বাহ! কি মহৎ উদ্দেশ্য। আমি মনেমনে বললাম, “সুবহানাল্লাহ”। ” কিছু বললেন?” “কই না তো!” মনেহয় এবারও সুবহানাল্লাহ শব্দটা মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। অপ্রীতিকর একটা ব্যপার। আগে এরকম হুটহাট আমার মুখ দিয়ে ‘জোসস’, ‘সেইইই’, ‘আগুন’ শব্দগুলা বেরিয়ে যেতো। এখন বের হয় মাশাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ। নিজের পরিবর্তন দেখে নিজেই অবাক হচ্ছি। কথায় আছে সৎসঙ্গে স্বর্গবাস। আমার হবু বউয়ের প্রভাব ইতিমধ্যেই আমার উপর পড়তে শুরু করেছে।
তারও প্রায় সপ্তাহখানেক পর আমাদের বিয়ে হলো। একদম সাদামাটা বিয়ে। বাড়ির ছেলেমেয়েরা চেয়েছিলো গানবাজনা করবে, আমি স্ট্রিক্টলি নিষেধ করে দিয়েছি। অনেকে মন খারাপ করে আমার বিয়েতেই আসেনি। আমার নিজের ছোটবোনও আফসোস করে বলে গেছে, ” ভাইয়া! তুই এমন করলি? ভেবেছিলাম তোর বিয়েতে উড়াধুরা ডান্স করবো, কিচ্ছু হইলো না ধ্যাত!” আমি তখন মায়িশার কথা কল্পনা করে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছি, আমার এমন উদ্যোগে নিশ্চই মায়িশা অনেক খুশি হয়েছে! এখন আমার অন্যকাউকে নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে হয়না, আমার ভাবনাজুড়ে শুধুই মায়িশা। ওকে খুশি করতে পারলেই নিজেকে জগতের সবথেকে সুখী মানুষ মনেহয়। রাত ন’টার দিকে বাসর ঘরে ঢুকি। আমার গায়ে সাদা ধবধবে একটা জুব্বা, আর মাথায় সাদা পাগড়ি। আমাকে এই ড্রেসে দেখে পাড়াতো ভাই মজিদ বলেছে, ” ভাই, আপনারে পুরাই সৌদি প্রিন্সের মতো লাগতেছে। একদম ফাসক্লাস” ওর কথাটা শুনে ইচ্ছে হচ্ছিলো ওর হাতে একটা পাঁচশো টাকার নোট গুজে দেই! কিন্তু ঠিক ঐ মুহুর্তে আমার জুব্বার পকেটে পাঁচশো টাকা ছিলোনা বিধায় দিতে পারিনি। বিষন্ন মনে বাসর ঘরের বারান্দায় দাড়িয়ে আছি।
মায়িশা গ্রুপ ভিডিও কলে কথা বলছে ওর ফ্রেন্ডদের সাথে। আমাকে বলেছে যেন আমি পাঁচ মিনিটের জন্য বারান্দায় গিয়ে দাড়াই। বিয়ের দিন কেউ এমনটা করতে পারে? আমিই মনেহয় একমাত্র ব্যক্তি যে বাসর ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে ভিডিও কলে আবিষ্কার করলাম। এটা সৌভাগ্য নাকি দুর্ভাগ্য সে হিসেব আমি মেলাতে পারছিনা। আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি মায়িশা বলছে, “আর বলিস না মামা! শেষমেশ এক হুজুরই ছিলো কপালে? আ’ম টোটালি ফাকড আপ ম্যান! কে জানে, এই হুজুরের বউ হতে গিয়ে কতো নিয়ম কানুন মানা লাগবো! আই কান্ট ইমাজিন!” আমি পাগড়ি আর টুপি খুলে রাখি, টুপি মাথায় এসব আজেবাজে কথা শোনা ঠিক হবেনা তাই। আধ ঘন্টা ধরে ওদের ভিডিও কনভারসেশন চললো। বাসর রাতেও কোন মেয়ে ভিডিও কলে কথা বলতে পারে সেটা আমার ধারনার বাইরে ছিলো। অবশ্য এযুগের মেয়ে বলতেই পারে! মনেমনে স্বান্তনা দেই নিজেকে।
সকালবেলা মায়িশা ঘুম থেকে উঠলো ঠিক দশটায়। আমি অবাক হয়ে খেয়াল করলাম, এজন্য সবাই আমাকে টিটকিরি মারতেছে। রেহানা ভাবী আমাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে গিয়ে বললেন, ” তুমি কেমন ছেলে ভাই? ঘুমানোর সুযোগ তো দিবা মেয়েটারে! জানো, এটা নিয়ে বাসার সবাই হাসাহাসি করছে?” আমি এখন কিভাবে বুঝাই এদের, আমি আসলে কিছুই করিনি। এই মেয়ে রাত তিনটা পর্যন্ত ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটিং করেছে। এখানে আমার কি দোষ? কান্না চলে আসছে আমার। কিন্তু আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়াও করিতে পারিনি চিৎকার । আমার বুঝাতে হলোনা কাউকে। মাস খানেক পর যখন সবাই দেখলো মায়িশা রোজ দশটার পর ঘুম থেকে উঠে তখন কারোরই বুঝতে বাকী রইলোনা, এই মেয়ের অভ্যাসই আসলে খারাপ।
আম্মা অলরেডি চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিয়েছে। রোজ এসে আমাকে বলে, “বাবা তোর বউটারে ঠিক করিস! ধর্মকর্ম কিছু করতে বলিস!” আমি বলতে চেয়েও বলিনা, “কি সমস্যা মা! এটাই তো তোমার পর্দানশীন বউমা। একেই তো তুমি ছেলের বউ হিসেবে পছন্দ করেছিলে।” অবশ্য এখানে আম্মার দোষ নেই খুব একটা। আম্মা সহজ সরল সেকেলে মানুষ, এযুগের মেয়েদের নাটকফাটক ধরার সাধ্যি আছে নাকি তার? শপিং করতে এসেছি মায়িশাকে নিয়ে। মায়িশা এক মনে জিন্স আর টপ দেখছে, আমি ক্রেডিট কার্ড হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছি। একবার বলেছিলাম, “মায়িশা! একটা বোরখা কিনে নাও সুন্দর দেখে।”
আমার কথা শুনে মায়িশা মুখ বাকিয়ে বলেছে, “বোরখা পড়বে কে, আমি? মাথা খারাপ হইছে তোমার?” আমি কথা বাড়াই না আর। কথা বাড়িয়ে লাভ নেই, সবকিছু মানিয়ে নিতে হবে এখন থেকে। মানিয়ে নেয়ার মধ্যেই সংসারের সুখ শান্তি নির্ভর করে। শ্রেয়া ঘোষালের গান শুনবোনা বলে শপথ করেছিলাম, আর এখন রোজ রাতে মায়িশা আমাকে নেহা কাক্কারের গান গেয়ে শোনায়। আমি শুনতে চাইনা, তাও শুনতে হয়। প্রতিবাদ করলেই যে বাবার বাড়ি চলে যাবে রাগ করে! বউকে ছাড়া থাকতে নিজেরও কেমন একা একা লাগে, ঘুম হয়না ঠিকমতো। তাই মানিয়ে নিচ্ছি সবকিছু, এছাড়া উপায় কি? কথায় আছে যে যেমন তার কপালে তেমন বউ-ই জোটে।
গল্পের বিষয়:
গল্প