দুপুরে গোসল করে বের হয়ে আজহারউদ্দীন যোহরের নামাজের জন্য পাঞ্জাবী গায়ে চড়ালেন। জায়নামাজে দাঁড়াবেন, এমন সময় কলিংবেল বেজে উঠলো। রাশিদা সম্ভবত গোসল করছে। আজহারউদ্দীন নিজেই দরজা খুললেন। নীচতলার ছেলে দুইটা দাঁড়িয়ে আছে। এদের নাম তিনি জানেন না, সিঁড়িতে উঠানামার সময় কয়েকবার দেখেছেন। দেখতে ভদ্র কিন্তু ভয়ানক দুষ্ট। একজন সম্ভবত বারো বছরের আরেকজনের বয়স সাত। বড় ছেলেটার হাতে একটা ঢাকনা দেওয়া বাটি। ছোটটার চোখেমুখে উত্তেজনা। দুইজনই একজন আরেকজনকে পিছন দিয়ে খোঁচাখুঁচি করছে আর হাসছে। আজহারউদ্দীন জিজ্ঞাসার দৃষ্টিতে তাকালেন।
— আসসালামু আলাইকুম আংকেল।
— ওয়ালাইকুমুস সালাম?
— আম্মু দিয়েছে।
বড় ছেলেটা বাটি বাড়িয়ে দিলো। আজহারউদ্দীন ঢাকনা উল্টিয়ে দেখলেন বাটির মধ্যে গরুর মাংস। বেশী না, চার পিস মাত্র। সাথে আলু আর ঝোল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন,
— কি ব্যাপার?
— আম্মু আন্টিকে দিতে বলেছে।
আজহারউদ্দীন সাহেব বাটি রান্নাঘরে রেখে দরজা লাগাতে এসে দেখেন ছেলে দুইটা তখনো দাঁড়িয়ে আছে। তখনই তার খেয়াল হলো সম্ভবত বাটি ফেরত নিতে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি দ্রুত বাটি খালি করে দিলেন। ছেলে দুইটা সিঁড়ি দিয়ে লাফাতে লাফাতে চলে গেলো। রাশিদা গোসল থেকে বের হয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
— কে আসছে?
— মাংস কি শেষ? গত শুক্রবারেই না আনলাম তিন কেজি?
— কে বলছে শেষ? প্রায় সবটাই তো রয়ে গেছে।
— তাহলে তুমি নীচতলার ওদের কাছে মাংস চেয়েছো যে?
— আমি চাইনি তো!
— নীচতলার ছেলে দুইটা মাংস দিয়ে গেলো। বুঝলাম না কিছু। জিজ্ঞেস করে আসো তো কি ব্যাপার? ভুলে দিলো নাকি আবার? বাচ্চা দুইটা হয়তো ভুল বাসায় দিয়ে গেছে!
— ও আচ্ছা। নাহ, ভুলে দিবে কেন? আমার জন্যই পাঠিয়েছে। তুমি কি দিলা?
— কি দিলাম মানে?
— খালি বাটি ফেরত দিয়ে দিছো? হায় রে! তোমার কি আর আক্কেল হবে না? ফ্রিজে তো মিষ্টি ছিল। মিষ্টি দিয়ে দিতে পারতা। খালি বাটি ফেরত দেয় কেউ?
— দিলো কেনো সেটাই তো বুঝলাম না। আমাদের তো আছেই।
— ওরা প্রায়ই দেয়। প্রথম প্রথম আমিও বুঝতাম না। মাঝে মাঝেই তরমুজের টুকরা, কাঠাঁলের কোষ, চিংড়ি ভর্তা, শিম ভর্তা এইসব দিয়ে যাইতো। পরিমাণে খুব অল্প কিন্তু তাও দিতো। পরে আমি একদিন শাহানার সাথে কথা বললাম। বলে এটা ইসলামের নিয়ম। বাসায় ভালো কিছু রান্না হলে প্রতিবেশীদের বাড়িতে পাঠানো উচিৎ।
— সেটা তো গরীব প্রতিবেশীদের জন্য।
— না, সবার জন্য। এক বাসায় পোলাও রান্না হলে অন্য বাসায় ঘ্রাণ যায় না? হয়তো সেদিন অন্য বাসায় নরমাল কিছু রান্না হয়েছে, ঘ্রাণ পেয়ে খাওয়ার ইচ্ছে জাগতে পারে। সেজন্য অল্প কিছু হলেও পাঠানো উচিৎ।
– তুমি পাঠাও?
— নিজে থেকে পাঠাই না। ওরা কিছু পাঠালে পরে বাটিতে ভরে ফেরত দেই।
— কেনো? আমরাই তো দিতে পারি। কালকে মাংস রেঁধে পাঠিয়ে দাও।
— নাহ, ওদের আর্থিক অবস্থা অতো ভালো না।
আমি কিছু পাঠালে খালি বাটি ফেরত দিবে না। বাসায় দেওয়ার মতো কিছু না থাকলে লজ্জায় পড়ে যাবে। সেজন্য ওরা কিছু দিলে আমি ফেরত দেওয়ার সময় বেশী করে দিয়ে দেই। আজহারউদ্দীন স্ত্রীর চিন্তা ভাবনায় চমৎকৃত হলেন। এমনটা তো তার মাথায় আসে নি! তিনি অবাক হয়ে বললেন,
— আমি তো এতো কিছু জানি না!
— জানবা কিভাবে? সারাদিন তো বাইরে বাইরে ঘুরো। শুধু মসজিদে বসে থাকলে আর নামাজ পড়লেই হয়? ওরা আমাদের বাসায় ভাড়া আসছে তিন মাস হলো। এই প্রথম মাংস পাঠিয়েছে। তারমানে এই তিন মাসে কোনদিন মাংস রান্না হয়নি, রান্না হলে নিশ্চিত পাঠাতো। এই যে ছেলে দুইটা, কি যেনো নাম? নাহিয়ান আর নাহিদ। এরা আগে ওদের মা কিছু দিতে পাঠালে কাঁদতে কাঁদতে আসতো। আমি জিজ্ঞেস করেছি, কাঁদো কেন? বলে না। পরে একদিন শাহানাকে জিজ্ঞেস করেছি। বেচারী লজ্জায় এতটুকু হয়ে বলে, ‘ওরা ছোট মানুষ, বুঝে না। অন্য বাসায় দিলে ওদের ভাগে কম পড়ে যাবে এই চিন্তা করে কাঁদে।’
— আজকে তো দেখলাম উত্তেজনায় লাফাচ্ছে।
— এখন তো বুঝে। গতবার জিজ্ঞেস করেছিলাম এতো খুশি কেন? ওদের বাবা নাকি বলেছে যে, প্রতিবেশীদের দিলে সওয়াব হয়। পরে আল্লাহ্ আরো অনেক বেশী দিবেন। সেইজন্য এখন খুশিতে লাফাতে লাফাতে আসে।
— আজকে যে দিলাম না?
— সেজন্যই তো বলি তোমার জ্ঞানবুদ্ধি হয় নাই।
আজহারউদ্দীন নীরবে খোঁচাটা হজম করে নিলেন। তার কিছুটা অবাক লাগছে। এসব নিয়ে কোনদিন চিন্তাও করেন নি। প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে নিজে খাওয়াদাওয়া করলে মুমিন হওয়া যায় না এটা তিনি জানেন। কিন্তু স্বচ্ছল প্রতিবেশীর ক্ষেত্রে কোন কিছু শোনেননি। বাসায় তো প্রায়ই মাংস রান্না হয়। ফ্রিজে ফল-মিষ্টি পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যায়। মাঝে মাঝে বুয়াকে দিয়ে দেন। মেহমান বা ছেলেমেয়েরা আসলে নানা রকমের আইটেম রান্না হয়। ঘ্রাণ কি নীচতলায় যায় না? অবশ্যই যায়।
দুপুরের খাওয়ার পর আজহারউদ্দীন অন্যদিনের মতো ঘুমাতে গেলেন না। চাকরী থেকে রিটায়ার্ডের পর দুপুরে ঘুমানো তার নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। একজন আদর্শ রিটায়ার্ড পার্সনের মতোই দিন কাটে সকালে পত্রিকা পড়ে, দুপুরে ঘুমিয়ে আর বিকালে মসজিদের সামনে চা খেতে খেতে আড্ডা দিয়ে। আজকে ঘুমানো বাদ দিয়ে বারান্দায় ঝিম মেরে বসে রইলেন। মাথায় নানা চিন্তা ঘুরছে। কারো সাথে আলাপ করতে পারলে ভালো হতো। জুবাইদাকে ফোন দিবেন? জুবাইদা আজহারউদ্দীনের বড় মেয়ে। তার দুই মেয়ে এক ছেলে। সবার বিয়ে হয়ে গেছে, আলাদা সংসার। দোতলা এই বাড়িতে তিনি আর তার স্ত্রী রাশিদা থাকেন শুধু। নীচতলা ভাড়া দিয়েছেন। এক ফ্ল্যাটে এই ফ্যামিলি থাকে। অন্য ফ্ল্যাটটা মাসখানেক ধরে খালি। আরো কিছুক্ষণ ঝিম মেরে বসে থাকার পর আজহারউদ্দীন বড় মেয়ে জুবাইদাকে ফোন করলেন। টুকটাক কুশল বিনিময়ের পর আসল কথায় আসলেন,
— তুই তো অনেক পড়িস, আমাকে একটু এটা বল তো যে বাসায় ভালো রান্না হলে পাশের বাসায় পাঠানো কি নিয়ম? তারা গরীব না হলেও?
— হ্যাঁ বাবা। গরীব, ধনী ব্যাপার না। এটা প্রতিবেশীর হক। আর গরীব প্রতিবেশী হলে তো তার দুইটা হক থাকে। গরীবের হক আবার প্রতিবেশীর হক।
— হাদিসে আছে? তোরা তো মোবাইল-টোবাইল চালাস। আমাকে খুঁজে বের করে দে। আমি লাইনে আছি।
জুবাইদা কিছুক্ষণ নেট ঘাঁটাঘাঁটি করে বললো-
— হ্যাঁ, হাদীসে আছে। অনেক হাদীস আছে। নবীজি বলেছেন যখন তরকারী রান্না করবে তখন তাতে পানি দিয়ে ঝোল বাড়িয়ে দাও যাতে প্রতিবেশীকে শরীক করা যায়।
— কিন্তু আমরা তো কোনদিন দিলাম না। তুই দিস?
— না। আমারও দেওয়া হয় না।
আজহারউদ্দীন আজকের ঘটনা মেয়েকে খুলে বললেন। জুবাইদা সব শুনে কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললো,
— তুমি এক কাজ করো বাবা। উনাদের খাবার না পাঠিয়ে বাসায় দাওয়াত দিয়ে খাওয়াও। তাহলে আর তাদের উপর প্রেসার পড়বে না।
— এটা ভালো বলেছিস। কালকে তো শুক্রবার, তাহলে কালই আসতে বলি।
— আমিও আসি বাবা? আমারও থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে।
— আসবি না কেন? সবাইকে নিয়ে আয়। মাহমুদা আর উবাইদকে বলে দেখ। ওরা আসতে পারলে সবাই চলে আয়।
সন্ধ্যায় আজহারউদ্দীন নীচতলার ফ্ল্যাটে নক করলেন। নীচতলাটা কিছুটা অন্ধকার। অনেক আগে এই বাড়ি করেছেন। এখন দিন দিন রাস্তা থেকে নীচে নেমে যাচ্ছে। ভিতরে অন্ধকার দেখে সহজে কেউ ভাড়া নিতে আসে না। গত মাসে অন্য ফ্ল্যাটটা খালি হয়ে গেছে কিন্তু এখনো ভাড়া হয়নি। অবশ্য আজহারউদ্দীনের ভাড়া হওয়া নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই। পেনশনের টাকা আছে, আবার ছেলে উবাইদও মাসে মাসে টাকা দেয়। দুই বুড়োবুড়ির সংসার বেশ ভালোভাবেই কেটে যায়। নক করতেই নাহিয়ান দরজা খুলে দিলো।
— আসসালামু আলাইকুম।
— ওয়ালাইকুমুস সালাম। তোমার আব্বু আছে?
— জ্বী। আসেন।
আজহারউদ্দীন ভিতরে ঢুকে চেয়ারে বসলেন। বেশ পরিপাটি গুছানো বাসা কিন্তু তবুও নীচতলার স্যাঁতস্যাঁতে ভাবটা বেশ ভালোভাবেই রয়ে গেছে। দেয়ালে নতুন রঙ করা দরকার। নাহিয়ানের বাবা আফজাল হোসেন আসলেন একটু পরেই। কুশল বিনিময়ের পর আজহারউদ্দীন বললেন,
— ভাই, কালকে আমাদের বাসায় দুপুরের খাবার খাবেন।
— সে কি, কেনো?
— আমার ছেলেমেয়েরা আসবে সবাই অনেকদিন পর। আপনারাও আসুন, সবাই মিলেই খাওয়াদাওয়া করি। সবাইকে নিয়ে আসবেন, ওদের আম্মুকেও আসতে বলবেন।
আফজাল হোসেনের কপালে একটা সুক্ষ্ম চিন্তার ভাঁজ পড়লো। এটা কি বড় কোন দাওয়াত কিনা বুঝতে পারছেন না। ফল-মিষ্টি নিতে হবে সাথে? বাড়তি খরচের মতো অবস্থা নেই এখন। যেনো আজহারউদ্দীন তার মনের কথা বুঝতে পেরেই বললেন,
— ওইভাবে দাওয়াত-টাওয়াত না। জাস্ট একসাথে খাবেন, এই তো। এক বিল্ডিংয়ে থাকি আমরা, এক বাসার মতোই তো।
ঘুম থেকে উঠেই আজহারউদ্দীন বাজারে চলে এসেছেন। আজকে তার কেমন যেনো লাগছে। নীচতলার সাত বছরের ছেলেটার চোখেমুখে যেরকম উত্তেজনা ছিল ঠিক সেরকম। আবার একটু লজ্জা লজ্জাও লাগছে। যদিও লজ্জা লাগার কারণ তিনি বুঝতে পারছেন না। আজহারউদ্দীন অনেক সময় নিয়ে বাজার করলেন। বাজার থেকে এসে দেখলেন তার ছোট মেয়ে মাহমুদা চলে এসেছে। জুবাইদা সাত সকালেই চলে এসেছে ছেলেমেয়েদের নিয়ে। ছেলে উবাইদেরও আসার কথা। দুই বোন রান্নাঘরে ব্যস্ত মায়ের সাথে রান্না নিয়ে। আজহার সাহেব স্থির বসে থাকতে পারছেন না। রান্নাঘর থেকে ড্রয়িংরুমে ক্রমাগত পায়চারী করছেন। মাঝে মাঝেই জুবাইদা দোকান এটা ওটা নিয়ে আসার ফরমান নিয়ে আসছে, আজহারউদ্দীন বাচ্চা ছেলের মতো লাফাতে লাফাতে দোকানে যাচ্ছেন। আবার আগ বাড়িয়ে কোন কাজ করতে গিয়ে রাশিদার বকা খাচ্ছেন। জুবাইদা বাবার অস্থিরতা দেখে মুখ টিপে হাসলো। আজহারউদ্দীনের নির্জন বাসা আজ সরগরম। নাহিয়ান আর নাহিদের মা শাহানা, জুবাইদা আর মাহমুদা সাথে টেবিল গুছাচ্ছে। শাহানা এসেই লেবু কাটতে নেমে গিয়েছে। জুবাইদা আর মাহমুদা প্রথমে বাঁধা দিয়েছিলো।
— আরে আরে, করেন কি?
— কেটে দেই। কাজ তাড়াতাড়ি হবে।
— আপনি হলেন গেস্ট। আপনার করা লাগবে না।
— ধুর, কিসের গেস্ট? আমরা আমরাই তো। আমার কাজ করতে ভালো লাগে। আমার সামনে কেউ কাজ করলে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। গল্প আর হাসাহাসির মাঝে কাজ করতে করতে কিছুক্ষণের মাঝে তিনজন এমনভাবে মিশে গেলো যে হোস্ট আর গেস্টের মধ্যে তফাৎ বোঝার উপায় রইলো না।
ড্রয়িংরুমে এক সোফায় অতিথিসুলভ ভাবগাম্ভীর্য নিয়ে নাহিয়ান আর নাহিদ বসে আছে। যদিও দুইজনের মুখ বন্ধ, চুপচাপ কিন্তু আড়ালে ক্রমাগত একে অন্যকে খোঁচাখুঁচি করেই যাচ্ছে। ওদের বাবা আফজাল হোসেন বসেছেন পাশেই। আজহারউদ্দীন এবং উবাইদ বেশ অনেকক্ষণ গল্প করলেন আফজাল হোসেনের সাথে। অমায়িক মানুষ, চুপচাপ থাকেন। আন্তরিক ভঙিতে কথা বলেন। গুলিস্তানে অস্থায়ী দোকান আছে একটা। দোকানের আয় দিয়ে সংসার চলে। আজহারউদ্দীনের খুব ভালো লেগে গেলো এই পরিবারটিকে। এমন হাসিখুশি পরিবার সহজে দেখা যায় না। নীচতলার স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ মুখের উজ্জ্বলতাকে ম্লান করতে পারেনি। দেখে মনেই হয় না অভাবের ডালপালা অষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে এই পরিবারকে। আজহারউদ্দীনের বাসার ডাইনিংরুমে পাঁচজন খেতে বসেছে। অনেক আইটেম টেবিলে এক অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরী করেছে। নাহিয়ান আর নাহিদ একেবারেই চুপচাপ হয়ে গেছে। আফজাল হোসেন বার বার বললেন,
— এতো কিছু করার কি দরকার ছিল?
— এতো কিছু কই? আপনার স্ত্রী তো প্রায়ই নানা রকম খাবার খাওয়ান। আমাদেরই বরং সেই সুযোগ হয় না।
উবাইদ পুরুষদের মেহমানদারীর দায়িত্ব নিয়েছে। ভেতরে মহিলাদের খাবারের আয়োজন থেকে মাঝে মাঝে জুবাইদার হাসি শোনা যাচ্ছে। আজহারউদ্দীনের খাওয়ার দিকে মনোযোগ নেই। তিনি তাকিয়ে আছেন দুই ভাইয়ের দিকে। ছোটটা মাংসের বাটির দিকে হাত বাড়াতেই বড়টা একটা খোঁচা দিলো। অমনি ছোটটা হাত গুটিয়ে বসে পড়লো। আজহারউদ্দীন মনে মনে হেসে ফেললেন। উবাইদাকে ইশারা করলেন এদিকে দেওয়ার জন্য।
এই টেবিলে অনেকবার অনেক আইটেম খেয়েছেন। জায়নামাজে হাজারবার সেজদা দিয়েছেন। কিন্তু আজকের মতো তৃপ্তি, ভালোলাগা কোনদিন আসেনি।
গল্পের বিষয়:
গল্প