সম্রাট আওরঙ্গযেবের সৈন্য বাহিনী। একজন মুসলমান সেনাপতির অধীনে পাঞ্জাবের একটি গ্রামের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ পথে এক ব্রাক্ষ্মণের অপরূপ সুন্দরী কন্যার প্রস্ফুটিত গোলাপ মুখ দেখে গলে যান সেনাপতি। পিতা ব্রাক্ষ্মণকে ডেকে
বিয়ের প্রস্তাব দেন। আর জানিয়ে দেন, আজ থেকে এক মাসের মাথায় বর সেজে তিনি ব্রাক্ষ্মণের বাড়িতে উঠবেন।পিতা ব্রাক্ষ্মণ বিচলিত! ছুটে গেলেন সম্রাট আলমগীরের কাছে। ঘটনা খুলে বলল। সবিনয় সাহায্য প্রার্থনা করল। আওরঙ্গযেব আশ্বাস ও অভয় দিয়ে বললেনঃ ‘নিশ্চিন্তে ঘরে ফিরে যাও। নির্দিষ্ট দিনে আমি তোমার বাড়িতে উপস্থিত থাকব।’
ব্রাক্ষ্মণ নানা চিন্তা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরল। ভাবছিল, আসলেই কি সম্রাট আমার বাড়িতে আসবেন? হয়তো প্রতিনিধি পাঠাবেন। আর যদি আসেনই তাহলে সাথে হাতি ঘোড়া লোক লশকর! আমি তাদের থাকতে দেব কোথায়? ব্রাক্ষ্মণের মাথায় চিন্তার অন্ত নেই।
সব চিন্তার অবসান হলো। ঘটনার ঠিক একদিন পূর্বে মহান সুলতান উপস্থিত! সম্পূর্ণ একা! ব্রাক্ষ্মণতো হতবাক! সম্রাট ব্রাক্ষণের জীর্ণ ঘরে সারারাত ইবাদাত বন্দেগীতে কাটালেন। পরদিন যথা সময়ে সেনাপতি মহোদয় ‘বর’ বেশে উদিত হলেন। কথা প্রসঙ্গে ব্রাক্ষ্মণকে বললেন’বিয়ের আগে কন্যাকে আরেকবার দেখা উত্তম। আপনার কন্যা কোথায়?’ ব্রাক্ষ্মণ সম্রাটের শেখানো সুরে সম্রাট যে ঘরটিতে অবস্থান করছেন সে ঘরটি দেখিয়ে দিলেন! সেনাপতি ঘরে ঢুকেই দেখে,সম্রাট আলমগীর কোষমুক্ত তরবারী হাতে! সাহসী সেনাপতি ভয় ,লজ্জা, অপমানে থর থর কাঁপতে থাকে। মুহূর্তে অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়ে মাটিতে।