ভাইয়া তুই চুপ

ভাইয়া তুই চুপ
আমি– আচ্ছা লতা আজকাল তোর বান্ধবি মায়া কে আর দেখিনা কেন বল তো?? আমাদের বাসায় আসেও না??
লতা– ও আর জীবনেও আসবেনা….
আমি– কী বলিস কেন??
লতা– ওর উপর বদমানুষের কুনজর পড়েছে…!!
আমি– কথা টা কি আমাকে বললি খুঁচা দিয়ে??
লতা– বোঝার তো কথা কাকে বলেছি।
কথা হচ্ছিল আমার ছোটবোন লতার সাথে। ওর এক বান্ধবিকে আমার ভালো লাগে, তায় ওর কাছে যদি শুনি মায়ার কথা এমন ভাব নেয় যেন মায়া ফেরেস্তা। মায়া কে ভালো লাগে আমার অনেকদিন থেকেই। কিন্তু ভেবেছিলাম কখনওই বলবো না। কিন্তু সেদিন লতার জন্মদিনে মায়া একটা হলুদ শাড়ি পড়ে এসেছিল। ব্যাস লেগেগেলো ভালো! আর এই ভালোলাগা কোনভাবেই যেন কমেনা!! ইচ্ছা করেছি ওর দিকে তাকাব না, ওর আশেপাশে যাবোনা, কিন্তু মেয়েটি চোখে এতো সুন্দর কাজল দিতো যে আমি পাগল হয়ে যেতাম! কেন আমার কী দোষ? আমার প্রিয় জিনিস গুলা কেন মায়া ইউজ করবে?? কেন হাতে কেন মেহেদী নিতে হবে?? সে কী জানেনা মেহেদি হাতে নিলে মেঘ সেদিক তাকাবেই কেন তাকে হিজাব পড়তে হবে কেন?? সে কি জানেনা হিজাব পড়া মেয়ে দেখলে মেঘ এর মাথা ঘোরে! যদি সে এসব জেনে থাকে তাহলে এসব না করলেই পাড়ে……
লতা– ভাইয়া তুমি আজকাল শুনলাম মেয়েদের আই,ডি তে মেসেজ করিস??
আমি– মেয়েদের নাকি একটা মেয়ের??
লতা– সে যায় হোক…. করিস কিনা বল??
আমি– জানিস তো সবই দেখি!! কেন রিপ্লে তো দেইনা তাহলে এতো বলে বেড়ানোর কি দরকার??
লতা– ঠিক আছে যাকে তাকে কেন আমার বান্ধবি মেসেজ করবে??
— ওয়াও আমি তোর আপন মায়ের পেটের বড় ভাই, সে কিনা যে সে হয়ে গেলাম??
— অবশ্যয়…. যারা বোনের বান্ধবির দিকে তাকায় তারা কী ভালো মানুষ??
— এই!! মায়ার কী বিয়ে দেবে না ওর বাপ?? আর মায়া যদি তোর বান্ধবি থেকে তোর ভাবি হয় তাহলে সারাজীবন কাছে পাচ্ছিস সেটা ভেবে দেখেছিস গাধী!
— ভাইয়া তুই আমার আমাকে গাধা বললি!! আর আমি নিজেই বলেছি মায়াকে তোর আশেপাশে যেন না আসে…..
— কী তার মানে তুই চাস না আমি রিলেশন করি??
— না
— কেন??
— কারণ তুই সারাদিন ঘুমাস, পড়ালেখা ঠিকমতো করিস না!! রুম থেকে বেড় হোস না! এমন ছেলেকে কে পছন্দ করবে??
— কে আবার করবে মায়া করবে!!
— মায়ার বয়েই গেছে তোমার সাথে প্রেম করতে
এসব বলে লতা রুম থেকে চলে গেলো। এই টা আমার বোন?? নাকি শত্রু? মাঝেমাঝে আমি ভেবে হাপিয়ে যায়, আমার কোন বন্ধু নেই, আর এটা কোন কালে ছিলোও না! এই রুমে থাকা আর লিখালিখি করা আমার একমাত্র কাজ, আর এই কারনে লতা আমাকে খুঁচা দিয়ে বলছিল যেন রিলেশন না হয় মায়ার সাথে! মায়া মেয়েটাও সাধু না, আমি তাকে কিছু বললেই সেই কথা আমার বোনের কাছে বলে দেই, আর আমার বোন এসে আমার আচ্ছামতো পচায়!! তায় কিছু বলতেও ভয় লাগে!! একদিন মায়াকে স্কুল থেকে নিয়ে আসার পথে যখুনি দেখি মায়া আসছে, ঠিক তখুনি বুঝলাম আমার বুক ধড়ফড় করছে, ইয়া মায়া যেন আমার কাছেই আসছে কিন্তু শেষে কী হলো আমার বোন এসে মায়াকে অন্য অটো তে তুলে দিলো। আমার কাছে যেন আসতেই দেয়না! এমন ভাব নেই লতা যেন ওর বান্ধবি মহারানী ভিক্টোরিয়া।
আমি– লতা তুই সুন্দরি মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারিস না??
লতা– কেন?? তুই দেখবি সেই কারনে??
— শুধু নেগেটিভ ভাবিস কেন?? তুই তো কাইল্লা তুই যেন ওদের সাথে মিশে ফর্শা হতে পারিস এজন্য বলেছি বুঝেছিস??
— কী ভাইয়া তুই আমাকে কাইল্লা বলছিস?? আম্মা?? দেখো ভাইয়া আমাকে কিসব কথা বলছে?? আম্মু দেখো ভাইয়া পড়তে না বসে রুমে নংড়া করছে……
— ওই থাম থাম,, এর মাঝে আবার আম্মুকে ডাকিস কেন?? তুই একটা কাইল্লা….. ( এই বলে ছাদে গেলাম)
বিকালে ছাদে দারিয়ে থাকতে খুব ভালো লাগে, ইচ্ছা হলে মাঝেমাঝে গীটার টা বাজাই!! দু এক লাইন গান ও গেয়ে বসি!! মায়া দের বাসা আমাদের বাসা থেকে ৪ টা বাসা দূরে কোনদিন দেখলাম না তাকে ছাদে আসতে!! আসবে কী করে সে তো একটা আনরোমান্টিক মেয়ে,, সে কী করে বুঝবে বিকালে ছাদে ফুরফুরে বাতাস বয়, সে কি করে বুঝবে সন্ধায় জোনাকিপোকা আলো ছড়ায়!! সে শুধু জানে কেউ কিছু বললে সেই কথা তার ছোটবোনের কাছে বলা!
মেয়েটা এত্ত বড় হয়ে গেছে, তবুও কোন সেন্স হলোনা?? মাঝে একদিন আমাদের বাসায় সবায় ঘুরতে আসে,, আব্বুর বিজনেসে ভালো প্রফিট আসে বলে আব্বু একটা ফ্যামিলি প্রোগ্রাম করেন, সেখানে মায়া দের ফ্যামিলিকে দাওয়াত দেওয়া হয় সেদিন কিন্তু মায়া শাড়ি পড়ে না আসলেও পারতো। কিন্তু সে শোনেনি ঠিক বেহায়াদের মতো শাড়ি পড়ে এসেছিলো!! দুইবার তাকিয়েছিলাম, এরপরে বুঝলাম না এই মেয়েকে দেখে আমি স্থির থাকতে পারবোনা। তায় রুমের দোরজা আটকে ঘুমালাম!! বিকালে আমার ফোনে লতা কল দিয়ে বলল
— ভাইয়া ছাদে আই তো। আমি– কেন??
— কাজ আছে আই…
— কী কাজ বল, আর মায়া না গেলে আমি বেড় হবোনা….
— ঢং…. কেন মায়া তোর কী করল??
— কী করবে?? তার কী করার মুরোদ আছে?? সে পারে কিছু বললে তোকে এসে বলতে….
— কী করেছে বলবি তো..
— শাড়ি কেন পড়লো সে?? সে জানেনা হলুদ শাড়ি আমার প্রিয়?
আর শাড়ি পড়লে ভালো কথা, হাতে মেহেদি, চোখে কাজল এসব কেন নেবে?? তাকে দেখলে আমি পাগল হবো, তাই বেড় হবোনা…..
— হা হা হা ভাইয়া তুই আসলেই গেছিস মায়া রা চলে গেছে! তুই আই… গীটার টা নিয়ে আই…..
— হু……
লতার আজকে কী হলো এতো কথা বলার পরেও ভালো করে কথা বলছে?? লতা তো ভালো করে কথা বলার মেয়ে না যতো হোক আমার বোন বলে কথা খুঁচা তো মারবেই যাক মুখ ধুয়ে গেলাম ছাদে গীটারের তার লুজ ছিলো ঠিক করতে করতে যাচ্ছিলাম! ঠিক তখুনি মায়া দ্রুত বেড় কারনে আমায় দিলো এক ধাক্কা↓↓
আমি– ওরে মা রে মাজা মনেহয় ভেঙ্গে গেলো….
মায়া– স্যরি ভাইয়া…..
আমি– ওইই মেয়ে ফেবুতে মেসেজ দিলে রিপ্লে দাও না কেন?? ওরে মা কী ব্যথা…..
মায়া– এমনি আর দিবোও না…..
আমি/– ঐ মেয়ে আর শাড়ি পড়বেনা!! তাহলে তোমার বাবা-মা ভাব্বেন মেয়ে বড় হয়ে গেছে তখন বিয়ে দিয়ে দেবে অন্য ছেলের সাথে!
— বুদ্ধি জাহাজ আসছে!! দিলে আপনার কী?? আপনি ব্যাকা মাজা দিয়ে হসপিটলে যান।
আমি– আমার হাত টা ধরে তুলো প্লিজ….
মায়া- আপনার হাত ধরতে আমার বয়েই গেছে! যত্তোসব হাত ধরার ফন্দি…..
আমি– আজব…. নিজে দোষ করলে আবার এখন নিজেই ঝাড়ি দিচ্ছো গীটার হাতে লতার সামনে!
আমি– মিথ্যা কেন বললি???
লতা– আজব!! তুই আসছিলি না তাই বলেছিলাম…. আর তুই তো জেনেই গেছিস তাহলে আর মিথ্যা থাকলো কই বল…..
— ধ্যাত
— ভাইয়া তুই এমন খুরাচ্ছিস কেন??
— আর বলিস না আসার পথে মায়া ইচ্ছা করে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে আমার এত্তগুলা কথা শুনালো…. এত্ত ঝাঝ গলায় লতা– কী? তুই আমার সামনে মায়ার নামে এসব বলছিস?? কালকেই বলে দিবো।
— পারো ঐ একটা জিনিস ই…..
— না পারার কি আছে তুই কেন মায়ার নামে এইসব বলবি হ্যা?? মায়া কী তোর নামে এসব বলে??
— ঐ ওই মায়া আমাকে নিয়ে কিছু বলে কিনা কিভাবে জানবো?? আর বললেও তুই যে বলবিনা আমিমি ভালো করেই জানি….. কাইল্লা…
এইভাবে কেটে যাচ্ছে দিনকাল এদিকে মায়া নামের মেয়েটার মাঝে সেই কবে থেকে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি কিন্তু আজও খুঁজে পেলাম না। মেয়েটি আসলে একটু না পুরোটায় অদ্ভুত রকমের। কারণ আমি মায়াকে পছন্দ করি মায়া জানে তবুও সে কিছুই বলবেনা। শুধু দেখলে খুঁচা দিয়ে কথা বলবে, আর পাশে আমার বোন লতা থাকলে তো কথায় নেই। যেন ওর বান্ধবি তুলসী পাতা আসছে।
আমি– মায়া তুমি আমাদের বাসায় হিজাব পড়ে আসবেনা…..
মায়া– কেন??
— আমার কেমন কেমন যেন লাগে…
— কেমন লাগে??
— বলতে পারবনা, তবে পড়বানা তুমি!!
— তাহলে কি আমি মুখ সবায় দেখাবো??
— না না সবায়কে কী কাউকে দেখাবা না।
— কেন? দেখালে কী হবে??
— কী আবার হবে?? আমার জ্বলে! খারাপ লাগবে!! পেইন হবে! তুমি শুধু এই বাড়িতে মুখ দেখাবা….
— ইশ ঢং দেখে আর বাচিনা….
— কিছু বললেই কী তোমার কাছে ঢং মনেহয়??
— তো তাছাড়া আর কী…
— ধ্যাত কথায় বলা যায়না……
আমি— আচ্ছা লতা তোর বান্ধবি কী কাউকে পছন্দ করে??
লতা — করে হয়ত! যেমন সুন্দর চোখ তেমন সুন্দর হাসি কেন করবেনা বল ভাইয়া….
— তোরা সবগুলা ফাজিল!
— হহহহ তাই তো দেখি ঘুরঘুর করিস সবসময়।
— কী কথা টা আবার বল শুনি আমি ঘুরঘুর করি? ওকে এরপরে যদি কখনওই সামনে পাস তাহলে আমার নাম ফিরিয়ে রাখিস….
— হ যা যা কত্ত দেখলামে এমন।
ওকে তাই নাকি, আমি ঘুরঘুর করি… আচ্ছা আজকের পর থেকে আর কখনওই মায়ার সামনে পড়বো না, দেখি কিভাবে মায়া বলে আমি তার সামনে ঘুরঘুর করি। একটু পছন্দ করি এই আর কি, তাই বলে কি আমার কোন সম্মান নেই? আমাকে কেন এসব শুনতে হবে?? ওকে এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। যেন মায়া কখনওই আমাকে ছোট করে কিছু বলতে না পারে।
নিয়ম মেনে ৪ দিন রুম থেকে বেড় হয়না! লতা জানে কেন বেড় হচ্ছিনা” উলটা আম্মা জানে আমি কখনওই তেমন রুম থেকে বেড় হয়না তাই আম্মা এটাকে সিরিয়াস ভাবে নেইনি। আসলে এই ক’দিনে অনেকবার ভেবেছি মায়াকে মনে করবনা। বা মায়াকে দেখতে চাইবো না। কিন্তু পারেনি ঠিক ওর ছবির দিকে চোখ যাবেই। লতার জন্মদিনে কিছু সেল্ফি নিছিলাম কী যে আনন্দ পেয়েছিলাম ঠিক বোঝাতে পাড়ব না। মায়া খুব বেশিই সুন্দরি। তাতে কী তাকে ভালোবাসা যাবেনা এমন কোন নিয়ম আছে নাকি?? আমিও মেঘ আমার কী কম ফ্যান ফ্লোয়ার আছে?? ওর থেকে কী আমি কম?? তাই রেগে যাচ্ছি আর ভাবছি মনের ভুলেও মায়ার সামনে যাবোনা কিন্তু ঠিক পারছিলাম না!! এই শালা মন আমার ঘরে থেকেও অন্যকাউকে নিয়ে ভাবে এটায় তো বুঝলাম না। শালা পাথর গলে সিমেন্ট হবে কিন্তু মায়ার মন গলে আমার গফ হবে না আমি মেঘ লিখে দিতে পারি!
৬ দিনের দিন বিকালে ভেবেছিলাম কেউ রুমে নাই তাই ফ্রেশ হতে পাশে গেছি ওমনি দেখি মায়া এই মেয়ে কি সবসময় আমাদের বাসায় পরে থাকে নাকি?? আবার প্রস্তাব দিলে রাজি হয়না কেন?? আমাদের বাসায় থাকতে হলে আমার সাথে প্রেম করতে হবে, মনেমনে বললাম। কেই কোন কথা না বলে যে যার কাজে চলে গেলাম.. তারপর আবার রুমে। রুমে যাবার কিছুক্ষণ পর যখন হলুদ ডাইরি তা লিখতে যাবো তখুনি দেখি টেবিলের কর্নারে নেই আজব গেলো কই?? মাত্র রেখে ফ্রেশ হতে গেলাম! আমার ডাইরি তো কেউ নেবেনা। তাছাড়া আমার রুমে কেউ আসেওনাগেলো কই??
আমি— লতা এই লতা.??
লতা– আসছি ভাইয়া…
আমি– আমার ডাইরি টা কই???
লতা– জানিনা তো! খুঁজে দ্যাখ ভালো করে।
আমি– তোর কি মনেহয় আমি খারাপ করে খুজছি?? যদি না পাই আর যদি অন্যকেউ পরে তাহলে কিন্তু ঘর আমি গুড়া করে ফেলবো এই বলে রাখলাম।
লতা— আরে আমাকে খুঁজতে দে। এতো খেপছিস কেন??? দেখি আমি আগে….
— আমার বিশ্বাস তুই জেনেশুনে নিয়েছিস।
— ভাইয়া দ্যাখ মেজাজ খারাপ করবি না বলে রাখলাম।
— চুপ কর তোর মেজাজ খারাপ দেখতে রুমে ডাকিনি। আমি আমার ডাইরি চায়।
— ভাইয়া তোর মতো এমন বদ রাগী ছেলে কিভাবে এতো ভালো লেখক হতে পারে মাঝেমাঝে আমি বুঝেও যেন বুঝিনা……!
— আগে আমার হলুদ ডাইরি এনে দে।
অনেক খোঁজাখুঁজির পরে পেলাম না! হারিয়েছে আজ ৪দিন। আজব বেপার এই চারদিনে মায়া একবারের জন্য হলেও বাসায় আসেনি! কি জানি কী হয়েছে.! যাই হোক তাতে আমার কী?? আমি কেন তাকে নিয়ে ভাববো আমার বয়েই গেছে ভাবতে। তবুও ফালতু মন আমার, আমার কথা মানেনা। তখন গোধূলি বসে আছি ছাদে। আকাশটা লাল। সবকিছু কত সুন্দর লাগছে! খেয়াল করলাম কেউ একজন আমার পাশে এসে বসলো। এইবার তার বর্ণনা দিচ্ছি।
→ হাতে মেহেদী
→ চোখে কাজল
→ পায়ে পায়েল
→ সাদা সবুজ জামার সাথে হিজাব ( যে হিজাব পিছনের দিকে পেছানো থাকে, আমার প্রিয় এটা)
→ ঠোটে হাল্কা লিপিস্টিক
→ সুন্দর মিষ্টি হাসিহাসি মুখ……
ওরে আল্লাহ হাতে দেখি আমার সেই ডাইরি। আল্লাহ রে এখানে মায়াকে নিয়ে অনেক গল্প কবিতা লিখা আছে। লজ্জায় মাথা কাটা যায়  কি করি?? কি করি?? বুদ্ধি একটা পেয়েছি।
আমি— ঐ মেয়ে তুমি আমার ডাইরি কই পেলে??
— চুপ
— লজ্জা করেনা কোন ছেলের ব্যক্তিগত ডাইরি পড়তে??
–চুপ
— তুমি তো নিজেকে বিশ্বসুন্দরি মনে করো তাহলে আমার ডাইরি কেন তোমার হাতে??
— চুপ ( মুখটা কালো)
— শুনো আজ ১৫ দিন তোমার আশেপাশে যায়না আর যাবোও না, তুমি তোমার মতো থাকো আমি কিছুই বলবো না। আর ভেবেছি আমিই বাসা থেকে মেসে যাবো আর কারোর বিরক্তের কারণ হবোনা পেছন থেকে লতার কথা↓↓
লতা — ভাইয়া তুই চুপ… আর একটা কথাও বলবিনা। মায়া তোকে কতটা ভালোবাসে তুই কি বুঝিস?? মায়া কেন আমাদের বাসায় আসে তুই কি জানিস?? মায়া কেন তোর ডাইরি নিয়েছে তুই জানিস?? হ্যা তুই এসব কিছুই বুঝিস না। আচ্ছা ভাইয়া মুখের কথায় কি সব?? মুখে না বললে কি কিছুই হয়না?? শোন ভাইয়া এই ১৫ দিন একটুও হাসেনি। মায়া বলতে পারেনি ঠিকই কিন্তু তোকে ভালোবাসে। আর কিছুই বলবো না পাড়লে বুঝেনিস।
কথা গুলো যেন এক নিশ্বাসে লতা বলে চলে গেলো। আমি তাকিয়েই আছি মায়ার দিকে। টপটপ করে পানি পড়ছে। কোন কথা নেই কারো মুখে……! আমি কোন কথা না বলে মায়াকে জড়িয়ে ধরলাম। আর মায়া আমার বুকে শক্ত করে ঝাপিয়ে পরে আরও দ্বিগুনভাবে কান্না করতে লাগলো। আমি জানি এ কান্না কষ্টের কান্না নয়.. এ কান্না বেদনার কান্না নয়।
এ কান্না পরম সুখে ভালোবাসার মানুষের বুকে মাথা রাখতে পারার কান্না…… ক’জন পারে এইভাবে কাঁদতে?? ক’টা বোন পারে এইভাবে বলতে– ভাইয়া তুই চুপ?? সেলুট সেইসব বোনদের। সেলুট সেইব প্রেমিক প্রেমিমাদের। ভালোবাসা কানায় কানায় পূর্ণ হোক। আর মেঘ বাস করুক প্রতিটা মানুষের কলিজায়।
গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত